Tag: PM Modi

PM Modi

  • Green Energy in India: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত

    Green Energy in India: ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবীকরণযোগ্য জ্বালানি (Green Energy in India) খাতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে ভারত। ০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে চলেছে দেশ। ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’র ক্ষেত্রে ২০৩০-এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত “পাঞ্চজন্য ইনফ্রা কনক্লেভ ২০২৫”-এ ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

    চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Pralhad Joshi) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কখনও নিজের বা মন্ত্রিসভার জন্য সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করেন না। তিনি সব সময় এমন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য স্থির করেন যা আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করে।” মন্ত্রী যোশী আরও বলেন, “নবীকরণযোগ্য জ্বালানি খাতেও প্রধানমন্ত্রী একটি অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্য পূরণের অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছি।”

    ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন -এর মূল উদ্দেশ্য

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চালু হওয়া ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন (NGHM)’-এর মূল উদ্দেশ্য ভারতের জ্বালানি ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করা এবং দেশকে বিশ্বব্যাপী সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করা। এর জন্য ₹১৯,৭৪৪ কোটির বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্মিত। এগুলি হল নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো, চাহিদা তৈরি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা। মন্ত্রী যোশী (Pralhad Joshi) জানান, ইতিমধ্যেই কাণ্ডলা, পারাদীপ ও তুতিকোরিন বন্দরে বিশেষ হাইড্রোজেন হাব গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ভারতের সবুজ হাইড্রোজেন (Green Energy in India) রফতানির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, এনটিপিসি, রিলায়েন্স, আইওসিএল-এর মতো বড় সংস্থার পাশাপাশি বহু স্টার্ট-আপ এবং এমএসএমই (MSME) সবুজ হাইড্রোজেন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে, যার ফলে গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী ভ্যালু চেইন। তৈরি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই ভারতে সবুজ-বিপ্লব

    ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Energy in India) মিশন-এর লক্ষ্য হল বার্ষিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন, ১২৫ গিগাওয়াট নতুন নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা, ৮ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ৬ লক্ষ নতুন চাকরি, প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গম কমানো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi) জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ফুয়েল বেসড বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ২০৩০-এর মধ্যে ‘পুনর্ণবীকরণযোগ্য এনার্জি’ থেকে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জলবায়ু নিয়ে ভারত তার লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। সবুজ ও পরিষ্কার পরিবেশ তৈরির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই হবে ভারতের সবুজ-বিপ্লব। ভবিষ্যৎ হবে স্বনির্ভর।

  • Speed Skating World Championships: স্কেটিংয়ে বিশ্বজয় ভারতের, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া স্বর্ণপদক জয় দুই ভারতীয়র

    Speed Skating World Championships: স্কেটিংয়ে বিশ্বজয় ভারতের, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া স্বর্ণপদক জয় দুই ভারতীয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্পিড স্কেটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপে (Speed Skating World Championships) সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন আনন্দকুমার ভেলকুমার। চিনের বেজিংয়ে তিনি এক হাজার মিটারে সময় করেন ১.২৪.৯২৪। যুব বিভাগে কৃশ শর্মাও এক হাজার মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে স্পিড স্কেটিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপ। চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আনন্দকুমারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আনন্দকুমার-এর সাফল্য

    ২২ বছর বয়সি আনন্দকুমার ভেলকুমার ভারতের হয়ে প্রথমবারের মতো স্পিড স্কেটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (Speed Skating World Championships) স্বর্ণপদক জিতলেন। এর আগে ৫০০ মিটার স্পিড স্কেটিংয়ে ৪৩.০৭২ সেকেন্ডে শেষ করে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন আনন্দকুমার। এটাই ছিল এই প্রতিযোগিতায় প্রথম কোনও ভারতীয়ের জেতা পদক। সোমবার তিনি নেমেছিলেন হাজার মিটার স্প্রিন্টে। আনন্দকুমার ভেলকুমারের কেরিয়ার ইতিমধ্যেই নানা কীর্তিতে ভরপুর। ২০২১ সালে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫ কিমি এলিমিনেশন রেসে রৌপ্য পদক জিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের প্রতিভার পরিচয়ন দেন তিনি। এরপর ২০২৩ সালে হাংঝৌ এশিয়ান গেমসে ৩০০০ মিটার টিম রিলেতে ব্রোঞ্জ এনে দেন ভারতকে। ২০২৫ সালে চেংদু ওয়ার্ল্ড গেমসে ব্রোঞ্জ জয় এবং এরপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ ও ১০০০ মিটারে সোনা, এই দুই কীর্তি ভেলকুমারকে ভারতের প্রথম স্পিড স্কেটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

    রোলার স্পোর্টসে ভারতের উত্থান

    ভারতের হয়ে জুনিয়র বিভাগে ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে নেন কৃষ শর্মা। এটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের দ্বিতীয় সোনার পদক। উল্লেখ্য, চলতি বছর চেংদুতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গেমসে কৃষ শর্মা ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতের হয়ে রোলার স্পোর্টসে প্রথম পদক অর্জন করেন। দুই ভারতীয়ের এই সাফল্য ভারতের রোলার স্পোর্টসে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং পূর্ব এশিয়া যেখানে এতদিন এই খেলার দাপট দেখিয়ে এসেছে, সেখানে ভারতের এই উত্থান বিশ্বমঞ্চে এক বড় বার্তা দিল।

    উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    আনন্দকুমারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘২০২৫ সালের স্পিড স্কেটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে (Speed Skating World Championships) পুরুষদের সিনিয়র ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জেতায় আনন্দকুমার ভেলকুমারের জন্য গর্বিত। দৃঢ়তা, গতি এবং মনোবল তাকে স্কেটিংয়ে ভারতের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে তুলেছে। তার কৃতিত্ব অসংখ্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতের সকল প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রীড়ায় উজ্জ্বল মুহূর্ত। প্রথম ভারতীয় হিসেবে আনন্দকুমার ভেলুকুমার সোনা জিতল স্পিড স্কেটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপের ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে। তোমার জন্য গর্বিত চ্যাম্প।’’

  • PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামরিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলন শুরু হল কলকাতায়। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম দেশের তিন বাহিনী যৌথ সেনা কমান্ডাররা সম্মেলনে অংশ নিলেন। ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at Fort William)। সোমবার ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমান নাম বিজয় দুর্গ) তিনদিনব্যাপী সেনা সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। বক্তব্য-বৈঠক শেষে দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা থেকে আকাশপথে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন নরেন্দ্র মোদি।

    বিজয় দুর্গে বিশেষ বৈঠকে মোদি

    কলকাতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় দুর্গে (সাবেক ফোর্ট উইলিয়াম) তিন দিনের এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেছেন মোদি (PM Modi at Fort William)। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। থাকবেন ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান, সেনার উচ্চপদস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা। রবিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতা পৌঁছোন। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওনা দেন রাজভবনে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনও কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তাঁর ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছয় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।

    যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধনে মোদি

    সকালে রাজভবন থেকেই যোগ দেন সম্মেলনে। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরোন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi at Fort William)। সাড়ে ৯টায় ঢোকেন বিজয় দুর্গে। সেখানে যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা মোদি বিজয় দুর্গেই ছিলেন। চলতি সম্মেলনের বিষয়বস্তু ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সংস্কার, রূপান্তর এবং পরিবর্তন। আগামী তিন দিন ধরে সেখানে ভারতীয় সেনার লক্ষ্য এবং কর্মপন্থা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে এদিন ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব-সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবেরা।

    মোদির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    উল্লেখ্য, বিজয় দুর্গে মোদির (PM Modi at Fort William) এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। একদিকে অশান্ত বাংলাদেশ। অন্যদিকে চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। পরিবর্ত পরিস্থিতিতে ‘তিন ফ্রন্টে’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার স্ট্র্যাটেজি কী হবে, কতটা প্রস্তুত বাহিনী, তা এদিন খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সুপারস্পাই’ অজিত ডোভালের এই বৈঠকে থাকাও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিরক্ষা আধিকারিকের কথায়, এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য সামরিক কাঠামোয় গভীর সংস্কার, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং বহু-মাত্রিক যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া। জানা যাচ্ছে, সেনার আধুনিকীকরণ এবং পরিকাঠামোগত সরলীকরণ নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে ৷ যা ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় ৷” শেষ সম্মলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে।

    চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুজোর আগে ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে এলেও তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উৎসাহ দেখে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান মোদিও। কয়েকদিন আগেই মেট্রোর নতুন রুটের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ফের শহরে মোদি। সোমবারই তিনি কলকাতা থেকে বিহারে যান। সেখানে তিনি ₹৩৬,০০০ কোটিরও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেন এবং জনসভায় ভাষণ দেন। পাশাপাশি, উত্তর বিহারের বহুপ্রতীক্ষিত বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি মা কামাখ্যার কৃপায় ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর প্রথমবার অসমে এসেছি। অপারেশন সিঁদুর আমাদের একটি বড় সাফল্য।” অসমের (Assam) মংগোলদৈ এলাকায় এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Assam)

    কংগ্রেসের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন বিজেপি ভারতরত্ন দিচ্ছে শুধুমাত্র যাঁরা নাচেন এবং গান গান, তাঁদের। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় পণ্ডিত নেহরু উত্তর-পূর্বকে বিদায় জানিয়েছিলেন, সেই ক্ষতির বেদনা এখনও ভরেনি এবং কংগ্রেস পার্টির বর্তমান প্রজন্মও তাতে নুন ছিটিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি স্তম্ভিত।” তিনি বলেন, “আপনি আমায় যত অভিশাপ দিন, আমি কেয়ার করি না। আমি ভগবান শিবের ভক্ত, আমি সমস্ত বিষই গ্রহণ করি। কিন্তু যখন কংগ্রেস দেশের সৎ সন্তানদের—যেমন ডঃ ভূপেন হাজারিকাকে—অপমান করে, তখন আমার মনে কষ্ট হয়।”

    জঙ্গি হামলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ গোটা ভারত উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য এটি তাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ছ’দশকেরও বেশি সময়ে কংগ্রেস ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩টি সেতু তৈরি করেছে,  আর আমরা এক দশকে এই নদীতেই ৬টি সেতু নির্মাণ করেছি। রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস সেই সব মানুষ ও ব্যবস্থার পাশে দাঁড়ায়, যারা সব সময় ভারতের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস শাসন কালে ভারতে বহু জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার চুপচাপ বসে ছিল।”

    তিনি বলেন (Assam), “আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কংগ্রেস আমাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর বদলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের অ্যাজেন্ডা বহন করার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানের মিথ্যা কথা কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে তাদের ভোটব্যাংকের স্বার্থ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। তারা ‘দেশের স্বার্থ’ নিয়ে কখনও ভাবে না।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করে। তারা চায় অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের স্থায়ী নাগরিক হোক এবং এই অনুপ্রবেশকারীরাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করুক (Assam)।”

  • PM Modi in Manipur: ‘সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে শান্তির পথে এগোতে হবে’, মণিপুরবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi in Manipur: ‘সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে শান্তির পথে এগোতে হবে’, মণিপুরবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিই উন্নয়নের মূল ভিত্তি। মণিপুর মানেই সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। শনিবার হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে পা রেখে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুর সফরে গিয়ে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। মণিপুরের মানুষের অদম্য মনোবলকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মণিপুরের এই পাহাড়সমৃদ্ধ ভূমি প্রকৃতির অমূল্য উপহার। একই সঙ্গে এটি আপনার পরিশ্রমের প্রতীক। আমি মণিপুরের মানুষের মনোবলের প্রতি স্যালুট জানাই।” এদিন মণিপুরে ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুনলেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। বিগত দুই বছরে কী কী হয়েছে মণিপুরে, তা তাদের কাছ থেকেই জানলেন। ২ বছর ধরে হিংসার আগুনে জ্বলেছে মণিপুর। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে মণিপুরে।

    ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    ২০২৩ সালের ৩ মে হিংসার আগুন জ্বলেছিল মণিপুরে। কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা মাসের পর মাস, বছর পার করেও চলে। মণিপুরের হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া ৬০ হাজার মানুষ। শনিবার মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে নেমেই দুর্যোগের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারী বৃষ্টির মধ্যেই সেখান থেকে সড়কপথে ৬৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চুড়াচন্দপুরের পিস গ্রাউন্ডের ত্রাণ শিবিরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা। হিংসার মূলকেন্দ্র চুড়াচন্দপুরে ঘরছাড়া বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, তাদের হাতে আঁকা ছবি ও ফুলের তোড়া নেন। উপহার দেওয়া পালকের টুপিও পরেন প্রধানমন্ত্রী। চুড়াচন্দপুরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মহিলাদের হস্টেল সহ ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর জন্য খরচ হবে ৭৩০০ কোটি টাকা।

    মণিপুরের নামেই ‘মণি’

    মণিপুরের নামেই ‘মণি’ রয়েছে, যা আগামী দিনে পুরো উত্তরের আভা বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, কেন্দ্র সরকার মণিপুরের রেল ও সড়ক সংযোগ প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগোচ্ছে, এবং আমাদের লক্ষ্য যে উন্নয়নের সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছক।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪ সাল থেকে মণিপুরে সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মোট ৪,৭৪৬ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যপরিষেবা, শিক্ষা এবং ডিজিটাল উন্নয়ন।

    শান্তি বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সকল সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে শান্তির পথে এগোতে হবে। মণিপুরের এই অঞ্চলে হিংসার প্রভাব পড়েছিল, কিন্তু এখন সকল সম্প্রদায় শান্তির পথে এগোচ্ছে। আমি সকল সংগঠন এবং গোষ্ঠীকে সামাজিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। ভারত সরকার মণিপুরের জনগণের পাশে আছে।”

    রেলপথে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়ল আইজল

    এদিন রেলপথে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়ে গেল আইজল। ৮০৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বৈরাবি-সায়রাং রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর মিজোরামের বৈরাবি রেলপথ অসমের শিলচরের সঙ্গে যুক্ত। এই রেলপথ ধরে প্রথম বারের জন্য ট্রেনের চাকা গড়াতে চলেছে মিজোরামে। এই রেলপ্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি বলেন, “আজ থেকে মিজোরামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটল।” শনিবার আইজলে মোট ৯০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। পাহাড়ি পথে বৈরাবি-সায়রাং রেললাইন তৈরি করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। নিজের বক্তৃতায় বৈরাবি-সায়রাং রেললাইন তৈরির জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের ধন্যবাদ জানান মোদি। তিনি বলেন, “পাহাড়ি রাস্তায় বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে মোকাবিলা করে আজ এই রেললাইনের উদ্বোধন হল। আমাদের ইঞ্জিনিয়র এবং কর্মীদের মনোবলের জন্যই এটা সম্ভব হল।” বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে কিছু রাজনৈতিক দল ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে এসেছে। কেবল ভোট আর আসন নিয়েই তারা ভেবে এসেছ‌ে। গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত, মিজোরামের মতো রাজ্য এই মনোভাবের জন্য এত কাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

  • Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে।” শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিয়েই এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে সরসংঘচালক বলেন, “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে ও চাপে পড়ে নেওয়া হয়েছে।”

    জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় জরিমানা (Mohan Bhagwat)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলেন, “এটি (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) প্রকৃতপক্ষে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।” মার্কিন প্রশাসনের এই চড়া শুল্ক হারকে ভারত অন্যায়, অপ্রমাণিত এবং অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে যে, “নয়াদিল্লি কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”

    কী বললেন ভাগবত

    আরএসএস প্রধান বলেন, “বিশ্বের মানুষ আশঙ্কিত যে, যদি ভারত শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের কী হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান কী হবে। এ জন্য ভারতীয় পণ্যগুলিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” শুক্রবার ভাগবত যোগ দিয়েছিলেন নাগপুরে “ব্রহ্ম কুমারিজ বিশ্বশান্তি সরোবর” নামের একটি যোগ ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন, “মানব মনোভাব ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র দিকে পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধানই করা সম্ভব।” সরসংঘচালক বলেন, “আজকের বিশ্ব সমাধান খুঁজছে, কারণ তাদের অসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমি মনোভাবের কারণে তাদের পক্ষে পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।” ভারত যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এবং বিশ্বকে উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেন সরসংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ভারত মহান দেশ। ভারতীয়দেরও উচিত মহান হওয়ার চেষ্টা করা।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বড় দেশ এবং এটি আরও বড় হতে চায়।” বর্তমান ভারতের সামর্থ্যের উল্লেখ করতে গিয়ে ভাগবত (RSS) বলেন, “ভারত বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে এবং তামাম বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম।”

    ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসা

    এদিন ভাগবত ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে উল্লেখ করেন কঠিন সময়ে তাঁদের স্থিরধৈর্য এবং সন্তুষ্টির কথা। বলেন, “কোনও সংকট থাকা উচিত নয়।  তবে যদি থেকেও থাকে, তাহলে সময় এলে তা পরিবর্তিত হবে। তবু, দুঃখ-দুর্দশা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ এই একাত্মতার আত্মার কারণে সন্তুষ্ট থাকে (Mohan Bhagwat)।” প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন। এটা কার্যকর করা হয় ১ অগাস্ট থেকে। এরই দিন কয়েক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় এই শাস্তি।  ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি তিনি ভারতকে এই বলেও সতর্ক করেন যে, যদি নয়াদিল্লি সরে না আসে, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমেরিকার আরও অভিযোগ, ভারত রুশ তেল কিনে অন্যান্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Mohan Bhagwat) নয়াদিল্লি।

    ভারতের অনড় মনোভাব

    এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কৌশলের মুখে পড়েও ভারত তার দৃঢ় মনোভাব বজায় রেখেছে (RSS)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশের মানুষের স্বার্থেই। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন। এর ঠিক পরে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান চিনে। সেখানে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন (Mohan Bhagwat) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তার পরেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। ভারতকে আরও একবার ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

  • PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমূল পরিবর্তন আসছে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। দেশের রেল মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে আইজল (Bairabi-Sairang Railway Line)। একটা সময় যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে মনে করা হতো এক দূরবর্তী অঞ্চল। উন্নয়নের অপেক্ষায় থাকত উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী মানুষজন। সেই চিত্রপটে আমূল বদল এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi in Mizoram) উদ্যোগে। কারণ, তিনিই সূচনা করেছিলেন ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির। তারই সাফল্য হিসেবে শনিবার বৈরাবি-সায়রাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মিজোরামে মোদি

    বৃহস্পতিবার এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৫১ কিলোমিটারের প্রকল্পটি এই প্রথম আইজলকে যুক্ত করবে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে। পাশাপাশি সায়রাং থেকে দিল্লি (রাজধানী এক্সপ্রেস), কলকাতা (মিজোরাম এক্সপ্রেস) এবং গুয়াহাটি (আইজল ইন্টারসিটি) পর্যন্ত তিনটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর মিজোরাম সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির এটি মিজোরামে দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি তুরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (৬০ মেগাওয়াট) উদ্বোধন করতে এসেছিলেন, যা আসাম সীমান্তবর্তী কলাসিব জেলায় অবস্থিত। এদিন আইজলের লামমুয়ালে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি মোদি নতুন রেলপথের উদ্বোধন ও ট্রেন সার্ভিসগুলির সূচনা করবেন। এছাড়াও তিনি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন এবং ছয়টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

    কলকাতা-আইজল রেল যোগাযোগ

    মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে আগামিকাল। আইজলের সাইরাং স্টেশন থেকে ০৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা স্পেশাল সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে পরের দিন বিকেল ৫ টায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। এরপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩১২৫ কলকাতা – সাইরাং ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে। প্রতি শনি, মঙ্গল ও বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে সাইরাং পৌঁছাবে। একই ভাবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সাইরং থেকে ছেড়ে পরের দিন দুপুর আড়াইটেতে কলকাতা পৌঁছাবে। যাতায়াতের পথে ট্রেন টি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের বদরপুর জংশন, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া টাউন, গোলকগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি ও মালদা টাউন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রে খবর।

    রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম

    এই অঞ্চলের জন্য রেলে বাজেট বরাদ্দ দ্বিতীয় ইউপিএ জমানার তুলনায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র এই আর্থিক বছরে ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্গম মিজোরামকে রেলপথে যুক্ত করতে ১৪৩টি সেতু এবং ৪৫টি টানেল নির্মাণ করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এর মধ্যে সাইরাং-এর কাছে ১১৪ মিটার উচ্চতার ব্রিজ নম্বর ১৪৪ বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে উঁচু পিয়ার রেল ব্রিজ। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইরাবি-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-র অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই রেলপথ আইজলকে আসামের শিলচর-এর সঙ্গে যুক্ত করবে এবং মিজোরামকে প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ২০০৮-০৯ সালে এই প্রকল্প অনুমোদন পায় এবং ₹৮,২১৩.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

    উত্তর-পূর্বে উন্নয়নের জোয়ার

    গোটা দেশে রেল (Bairabi-Sairang Railway Line) যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন আইজলে নতুন ট্রেন চালু হলে দিল্লি, কলকাতা ও গুয়াহাটিতে যাতায়াত সহজ হবে। এই রেলপথ চালু হলে আইজল থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কমে ১২ ঘণ্টা হবে, যেখানে সড়কপথে এটি ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আইজল-শিলচর যাত্রাও সাত ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে সহজ হবে খাদ্যশস্য ও সারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ। উপকৃত হবেন কৃষকরা। পাশাপাশি জোয়ার আসবে পর্যটন শিল্পেও। চাঙ্গা হবে স্থানীয় ব্যবসা। যুব সমাজের কাছে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Mizoram) সফরকে ঘিরে মিজোরাম জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যের আইজি (আইন শৃঙ্খলা) এইচ রামথলেংলিয়ানা জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ ইউনিট হাই অ্যালার্টে রয়েছে এবং আইজলে বিএসএফ ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের রুটে যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, দোকানপাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী ও সরকারি কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিজোরাম সফরের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির মণিপুর সফরের কথাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরুর পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মণিপুর সফর।

  • Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালাগালিকাণ্ডের পর এবার এআই ভিডিও! ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদিকে ভোট প্রচারে টেনে এনে বিতর্কে কংগ্রেস (Bihar Congress)। মোদিকে নিয়ে বিহার কংগ্রেসের তৈরি এআই ভিডিও নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, কংগ্রেস গোটা মহিলা সমাজকে অপমান করেছে।

    এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও (Bihar Congress)

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন বিহার কংগ্রেস এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর প্রয়াত মা হীরাবেনের মতো চরিত্র একটি সাজানো, স্বপ্নসদৃশ আলাপচারিতায় উপস্থিত হয়েছে বলে অনুমান। ৩৬ সেকেন্ডের এই ক্লিপটি যার ওপরে লেখা এআই জেনারেটেড, অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। ঘটনাটিকে বিজেপি বিহার নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেই দেখছে। যদিও কংগ্রেস এই ভিডিওর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এতে কারও প্রতি অবমাননার কোনও ইঙ্গিত নেই।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপি (BJP) সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল ভিডিওটির কড়া নিন্দে করেছেন। তিনি একে রাজনীতিতে নতুন এক নিম্নস্তরের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি সব সময় রাজনীতিকে পারিবারিক জীবনের থেকে আলাদা রেখেছেন। কষ্টের বিষয় যে কংগ্রেস প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করেছে এবং এখন ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে বিভ্রান্ত করছে ও সব মায়ের প্রতি অবমাননা করছে।” তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে (Bihar Congress)।

    বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সব সীমা লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করার জন্য কোনও অনুশোচনার বদলে কংগ্রেস মিথ্যা বলে অভিযুক্তকে যথার্থ ও নির্দোষ বলে সমর্থন করছে। এই দল ‘গান্ধীবাদী’ না হয়ে এখন ‘গালিবাদী’ হয়ে গিয়েছে।” তিনি ওই ভিডিও ক্লিপটিকে ‘ঘৃণ্য’ ও ‘লজ্জাজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মায়ের নাম রাজনীতির বিতর্কে টেনে আনার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২৭ অগাস্ট বিহারেরই দ্বারভাঙায় কংগ্রেস ও আরজেডি পরিচালিত ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র সময়, মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (BJP) ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ (Bihar Congress)।

  • CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হিসেবে শপথ নিলেন চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। শুক্রবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ সরকারের শীর্ষ স্তরের নেতামন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন এনডিএর জোটসঙ্গী বিভিন্ন দলের নেতারাও। উপরাষ্ট্রপতি পদে রাধাকৃষ্ণনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং আরও এক প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনও উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে।

    রাধাকৃষ্ণনের জয় (CP Radhakrishnan)

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই রাতে আচমকাই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেন ধনখড়। তার পরেই শুরু হয় উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। নির্বাচন হয় মঙ্গলবার। রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে ইন্ডি জোটের প্রার্থী ছিলেন সুদর্শন রেড্ডি। এই নির্বাচনে রেড্ডিকে পরাস্ত করেন রাধাকৃষ্ণন। তাঁর জয় নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই কোনও সংশয় ছিল না। খাতায়-কলমে এনডিএর পক্ষে ছিল ৪২৭টি ভোট। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১টি ভোটও পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। সব মিলিয়ে তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৪৩৮টি ভোট। যদিও ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। অথচ তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৩২১টি ভোট। প্রত্যাশিতভাবেই এসেছে ক্রস ভোটিংয়ের অনুষঙ্গ।

    রাধাকৃষ্ণনের রাজনৈতিক যাত্রা

    রাধাকৃষ্ণন তামিলনাড়ুর নেতা। তামিলনাড়ু থেকে এর আগে দুজন উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং আর বেঙ্কটরামন। সিপি রাধাকৃষ্ণন হলেন তামিলনাড়ু থেকে তৃতীয় উপরাষ্ট্রপতি। রাধাকৃষ্ণন ছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবক। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথমবার জয়ী হন কোয়েম্বাটোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পরের বছরই আবারও ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়ে লোকসভায় পা রাখেন দ্বিতীয়বারের জন্য। ২০২৩ সালে তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। পরের বছরই তাঁকে (Vice President) পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করে। এবার তিনিই হলেন দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (CP Radhakrishnan)।

LinkedIn
Share