Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের মামলার (Sandeshkhali Case) তদন্তভার তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এদিনই বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত পাঁচ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিট গঠনের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ন্যাজোট ও বনগাঁ থানার তিনটি অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশও রাজ্য পুলিশকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্ত করবে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্ত নিয়ন্ত্রিত হবে সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই।

    সিবিআই তদন্তের দাবি ছিল (Sandeshkhali Case) বিজেপির

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করে আসছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) সিবিআই তদন্তই হওয়া উচিত।” পঞ্চান্ন দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর শেষমেশ গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে রাখা হয় সিআইডি হেফাজতে। শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দিনই ইডি জানিয়েছিল, তারা দ্রুত হেফাজত চাইবে শাহজাহানের। ইডিও প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। কলকাতা হাইকোর্টে তারা এ ব্যাপারে আবেদনও করেছিল।

    প্রাক কথন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা (পরে বহিষ্কার করা হয়) শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন শাহজাহান। তার পরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Case) আক্রান্ত হওয়ার পরেই ইডি হাইকোর্টে জানিয়েছিল, রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই তাদের। তথ্য বিকৃতির আশঙ্কাও করেছিল তারা। আদালতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সন্দেশখালিরকাণ্ডের তদন্ত করানো হোক সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে।” ইডির সেই দাবিকেই এদিন মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Road Show of Narendra Modi: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    Barasat Road Show of Narendra Modi: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আগামী ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে (Barasat) মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ৫ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কলকাতায় আসবেন। এরপর তিনি রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। রাজ্যে সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের কথা বিশেষ ভাবে আলোচনায় প্রধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে এই সভায়। আবার একই সঙ্গে ৬ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ফলে সবটা মিলিয়ে ভোটের আগে এই সভার গুরুত্ব ব্যাপক হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মোদির সভা (Barasat Meeting)

    ইতি পূর্বে সরকারি প্রকল্পের একাধিক শিলন্যাস এবং উদ্বোধন করতে গত ১ এবং ২ মার্চ রাজ্যের এসেছিলেন মোদি (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে কৃষ্ণনগর এবং আরামবাগে বিশাল জনসভা করেন। সভায় রাজ্যের তৃণমূল শাসনের দুর্নীতির একাধিক বিষয়কে তুলে ধরে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। একই ভাবে রাজ্যের নারী নির্যাতন এবং সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মমতার সরকারকে তোপ দেগেছেন। এবার ৬ তারিখ বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন। উত্তর ২৪ পরগনার নারী নির্যাতনের বিষয়কে হাতিয়ার করে আরও আক্রমণ তীব্র করতে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল শাসনের অগণতান্ত্রিক আচরণ প্রধান্য পাবে তাঁর বক্তব্যে। বিমান বন্দর থেকে বারাসত (Barasat) পর্যন্ত মোট ১১ কিমি এলাকা রোড শো করবেন মোদি। জেলার প্রত্যেক মণ্ডল মণ্ডলে এই সভার লাইভ সম্প্রসারণ হবে। সারা দেশের মোট ৬ হাজার জায়গা থেকে লক্ষাধিক মহিলারা ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করবেন। জানা গিয়েছে হাওড়া ময়দান-এসপ্লানেড মেট্রো ইস্ট ওয়েস্ট উদ্বোধন করবেন মোদি।

    বিজপির বক্তব্য

    সোমবার রাতে বারাসতের (Barasat) সভাস্থল পরিদর্শন করতে আসনে বিজপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা এবং কেন্দ্রীয় মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা মোদির সভা সম্পর্কে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, লাখপতি দিদি সহ একাধিক নারী উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এই কাজ আগে কখনও হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভায় এই জেলার সকল মা-বোনদের আহ্বান জানাচ্ছি। এই সভায় রাজ্যের মহিলা সংগঠক, কর্মী ও সমর্থকরা যোগদান করবেন।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    Loksabha Vote: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করে কমিশন, সোমবার এমনই দাবি জানাল রাজ্য বিজেপি। কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে এই দাবি জানান বিজেপির প্রতিনিধিরা (Loksabha Vote)। আগেই ঠিক ছিল ৪ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে। সেইমতো এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির তরফ থেকে বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ভোট পরবর্তী হিংসা এবং ভোটের দিন সন্ত্রাস- এই সমস্ত কিছুকেই তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের সামনে।

    কী বললেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    বিজেপির প্রতিনিধি জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট (Loksabha Vote) দিতে পারে, আমরা তাই বলেছি।” জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে ফুল বেঞ্চের সামনে। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “২০২১, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা দেখেছে সাধারণ মানুষ। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করেছে পুলিশ ক্রিমিনালদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাতে এসে যেন পর্যবেক্ষকরা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে।রাজ্য পুলিশের কথায় যেন তারা বিশ্বাস না করেন। তারা যেন বিরোধী দলের ইনপুট, নিজেদের ইনপুট -এর উপর ভরসা করে।”

    পুলিশের ওপর ভরসা না করতে আবেদন কমিশনকে 

    সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে একের পর এক বৈঠক সারতে থাকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশনের সামনে এক দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট (Loksabha Vote) করানোর প্রস্তাব রাখে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেখানে সারা রাজ্যে এক দফায় ভোট করানোর দাবি একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরিয়া ডমিনেশনের কাজে যেন লোকাল আইসিদের কথায় ভরসা না করে কমিশন, এমন আবেদনও করেছে বিজেপি। পাশাপাশি অবজারভারদের সঙ্গে আধা সেনার সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ভুয়ো ভোটারদের কথাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে ফের রাজ্যকে নিশানা মোদির

    PM Modi: সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে ফের রাজ্যকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের পরে কৃষ্ণনগরেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। নিজের ভাষণে সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তৃণমূলের নতুন নামকরণও নমো। একইসঙ্গে বাংলার মাটিতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘‘বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়িয়েছে’’

    তৃণমূল নেতারা দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছে বলে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির অপরাধী গ্রেফতার হোক।  কিন্তু বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়ানোয় এবং বিজেপির নেতারা তাদের পাশে থাকায় রাজ্য সরকার মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আরও সংযোজন, ‘‘এখন মা মাটি-মানুষ তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে।  সন্দেশখালির বোনেরা ইনসাফ চাইছে, তৃণমূল সরকার কর্ণপাতও করেনি। বাংলার এমন অবস্থা যে, পুলিশ নয়, এখানে অপরাধী ঠিক করে সে কবে আত্মসমর্পণ করবে, কখন তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’

    টিএমসি সরকার কেলেঙ্কারির মাস্টার

    রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে বাধা দিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাস্থ্য, নারী বিকাশের মতো একাধিক প্রকল্প আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। ঘরে ঘরে জল প্রকল্পেও তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ মোদির (PM Modi)। রাজ্যে ২৫ লক্ষ ভুয়ো মনরেগা কার্ড তৈরি হয়েছে। যার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার টিএমসি সরকারকে কেলেঙ্কারির মাস্টার বলেও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।

    গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী

    মোদির ভাষণে এদিন উঠে আসে রেশন কেলেঙ্কারির কথাও। তিনি বলেন, ‘‘এরা গরিবদের রেশন লুট করতেও পিছপা হয় না।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিজেপি সরকার মানুষের জন্য কাজ করে, এটা মোদির গ্যারান্টি। বিজেপি কর্মীদের আগামী কয়েকদিনের কর্মসূচিও ঠিক করে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপি কর্মীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে আগামী ১০০ দিন ধরে বলতে বলেন, মোদিজী এসেছিলেন আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Seikh Shajahan: সিআইডির হেফাজতে শেখ শাহজাহান, জেরার মুখে কী বললেন জানেন?

    Seikh Shajahan: সিআইডির হেফাজতে শেখ শাহজাহান, জেরার মুখে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের প্রশ্নের সামনে মুখে যেন কুলুপ এঁটেছেন একদা সন্দেশখালির স্বঘোষিত বাঘ। শারীরিক ভাষায় ঝরে পড়ছে সেই এক ঔদ্ধত্য। ভেড়ি দখল, জমি দখল, শ্লীলতাহানি, ইডির ওপর হামলা, খুনের অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে গতকালই দেখা গিয়েছিল পুলিশের সামনে স্পর্ধার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে কোর্টে ঢুকছেন। সিআইডি অফিসারদের সামনে এমনই স্পর্ধা দেখাচ্ছেন তিনি, খবর সূত্রে। শুধুই উত্তর দিচ্ছেন, ‘‘এক কথা বারবার বলব না।’’

    আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারারাত ঘুমোননি তিনি। খাননি রাতের খাবারও। গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তোলপাড় হয় সারা রাজ্য। এখানে নিজের ভূমিকার কথা মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করেছেন যে, ইডির বিরুদ্ধে জনতাকে উস্কানি দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি সিআইডি-এর সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন বলেই সূত্রের খবর রয়েছে। 

    লোকদেখানো সাসপেন্ড!  

    বৃহস্পতিবার ভোররাতেই মিঁনাখা থেকে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালত গতকালই দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল ভবন থেকে শাহজাহানকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এটা নিছকই লোকদেখানো। শাহজাহানের এতদিনের অপকর্মের খতিয়ান রাজ্য নেতাদের কাছে নেই, এমনটা হতে পারেনা।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপি তরফ থেকে গতকালই দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতারির পর রাজকীয় কায়দায় আদালতে ঢুকতে দেখা যায় সন্দেশখালির কালপ্রিট শাহজাহানকে। তৃণমূল নেতার শারীরিক ভঙ্গি, পোশাক দেখলে মনে হবে না তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশ মাথা নীচু করে হাঁটছে, আর শাহজাহান তাঁদের মাঝখান দিয়ে গটগট করে মাথা উঁচু করে এজলাসে ঢুকলেন! যেন অলিম্পিকে পদক জিতে এসেছেন।’’ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘পুলিশ যে শাহজাহানের কথাতেই চলে, তা এই দিন ওঁর আদালতে ঢোকা বা বেরনোর ছবি থেকেই স্পষ্ট। পুলিশই এতদিন শেল্টার দিয়ে রেখেছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁকে ধরতে গিয়েই আক্রান্ত হয় ইডি। সে থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। টানা ৫৫ দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ইডির দাবি, তথ্য লোপাটের চেষ্টা করা হবে। এমনকী শাহজাহানকে আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ। তাই দ্রুত শাহজাহানকে ঘিরতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলছে তারই প্রস্তুতি। এরইমধ্যে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্ত,  অরূপ সোমকে।

    অরূপ সোমকে তলব

    শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী অরূপ সোমকে ডেকে পাঠাল এনফোরেসমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইডি’র সমন পেলেন তিনি। অনুমান, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতেই এই তলব। চলতি সপ্তাহেই অরূপের দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসা সংক্রান্ত মামলায় তলব করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। এই ব্যবসায়ী শাহজাহানের থেকে চিংড়ি মাছ নিয়ে অন্যান্য কোম্পানিদের বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির সঙ্গেই শেখ শাহজাহানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু শেখ শাহজাহান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ফলে তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি কালো টাকা আসত ৷ সেই কালো টাকা অরূপ সোমের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত মাছের ব্যবসার নামে। ফলে কতবার কত কোটি টাকা তাঁদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে, সেই সমস্ত বিশদে জানার জন্যই ফের অরূপ সোমকে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    অরুণ সেনগুপ্তকে জেরা

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বিরাটির ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তও হাজির হলেন ইডির দফতরে। সোমবারই তাঁর মেয়ে এসেছিলেন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি নিয়ে সোমবার তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান অরুণ-কন্যা। এরপরই এদিন যান অরুণ নিজে। আমদানি-রফতানির সংস্থা রয়েছে তাঁরও। চিংড়ি মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কাজ করে তাঁর সংস্থা। শেখ শাহজাহান সম্পর্কে দ্বিতীয় যে ইসিআইআর হয়েছে, মূলত তা অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার একটি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে। অরুণ সেনগুপ্ত সি ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত যোগ ছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে পুলিশের আচরণ দেখে হতবাক রাজ্যবাসী। সাধারণত দাগী অপরাধীদের আদালতে তোলার সময় কোমড়ে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় কোমড় ধরে বা হাত ধরে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু, সন্দেশখালির বাদশা শাহজাহানকে কোমরে দড়ি পরানো তো দূরের কথা পুলিশ হাত পর্যন্ত দেওয়ার সাহস দেখাল না। আদালতের এজলাসে তোলার সময় কোনওভাবে মনে হচ্ছিল না শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরং, তাঁর পিছনে যেভাবে পুলিশ ছিল তাতে তাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমনই অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দেশখালির বাসিন্দারা কী বললেন? (Sheikh Shahjahan)

    সাদা জামা, সাদা প্যান্ট, ম্যাচিং করে ধূসর রঙের কোর্ট। পায়ে সাদা স্নিকার্স। ৫৫ দিন পর শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এই সাজেই ধরা দিলেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর শরীরে কার্যত দেখা গেল না কোনও উত্তাপ। তাঁর হাতে দেখা গেল না কোনও হ্যান্ডকাফ, কোমরে নেই দড়িও। আঙুল উঁচিয়ে এমন ভাবে আদালতে প্রবেশ করলেন যেন ‘জামাই’। তাহলে কি নিয়ম সবার জন্য আলাদা? এমনই প্রশ্ন তুলেছে সন্দেশখালিবাসী। তাঁদের বক্তব্য, শাহজাহান কোনও বীর পুরুষ নন। তিনি একজন ধর্ষণকারী। তাঁর বিরুদ্ধে জমি লুট, একাধিক খুন, বাড়ি ভাঙচুর, শ্লীলতাহানির মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। এরকম একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে পুলিশের আচরণ মেলানো যাচ্ছে না। পুলিশের সামনেই খোশ মেজাজেই রয়েছে শাহজাহান। গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়া হল। তাহলে পুলিশ হেফাজতে শাহজাহান বহাল তবিয়তে থাকবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, আসলে ইডি-র হাত থেকে শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)  রক্ষা করতেই মরিয়া পুলিশ। তাঁকে লোকদেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, পুলিশ এতদিন জামাই আদর দিয়ে, ভালো-মন্দ খাইয়ে রেখেছিল। আজ যখন লোক দেখানো গ্রেফতারের পর আদালতের উদ্দেশ্যে তাঁকে বার করা হচ্ছে, পুলিশ তাঁর হাতটুকু ধরার সাহস দেখাতে পারিনি। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব জোনাল কমিটির সদস্য কিংকর কান্তি রায় বলেন, পুলিশের ক্ষমতা নেই শাহজাহানের কোমরে দড়ি পরানোর। বারবার বিভিন্ন কেস দিয়ে শুধু পিসি টানবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan Arrest: ‘‘ধরতে পারবে ইডি-সিবিআইও’’, আদালতের নির্দেশ দেখেই কি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ?

    Sheikh Shahjahan Arrest: ‘‘ধরতে পারবে ইডি-সিবিআইও’’, আদালতের নির্দেশ দেখেই কি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়ে শেখ শাহজাহানের দলবলের হাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫ জানুয়ারি। আর রাজ্য পুলিশের হাতে ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহান গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) হলেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। মাঝে কেটে গিয়েছে ৫৬ দিন। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন সময় লাগল কেন পুলিশের?

    ‘ক্রোনোলজি’-তেই বিষয়টা পরিষ্কার

    বিরোধীরা দাবি করে আসছিলেন, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) রয়েছেন। বিরোধীদের কথা যদি বাদই দেওয়া হয়, স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করছিলেন, সেখানেই দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। অথচ, পুলিশের দাবি, ‘ফেরার’ শেখ শাহজাহান কোথায় আছেন, তার হদিস মিলছে না। অন্যদিকে, শাসক দলের দাবি, আদালতের জন্যই নাকি পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না তাঁকে ধরতে। তাহলে, কী এমন ঘটল, যে পুলিশ তড়িঘড়ি গ্রেফতার করল? পুলিশ-প্রশাসনের অবশ্য দাবি যে, আদালত তরফে অনুমতি মেলার পরই শাহজাহানকে গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) করা হয়েছে। যদিও, এর মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে ঘটে গিয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ‘ক্রোনোলজি’-টা একবার দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে গোটা বিষয়টা—

    আরও পড়ুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার কী বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বড় নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করা হল। ওই একই দিন, ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে এ-ও জানিয়ে দেয় যে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে কখনই আটকানো হয়নি। এমন কোনও স্থগিতাদেশ নেই। স্রেফ, পুলিশ ও ইডি-তে নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ যে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এটা সোমবারের ঘটনা। তার পরও কিন্তু, সেদিন বা পরের দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবার গোটা দিন চলে গেলেও শাহজাহান গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) হয়নি।

    হাইকোর্টের বুধবারের নির্দেশই বদলে গেল খেলা!

    এর পর বুধবার, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে, ওই একই মামলার শুনানিতে, হাইকোর্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়। তা হলো, শুধু পুলিশ নয়। চাইল শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি-সিবিআইও। অর্থাৎ, যে আগে পাবে, ‘ফেরার’ শাহজাহানকে সেই গ্রেফতার করতে পারবে। আদালতের এই ছোট্ট নির্দেশই যে ঘুম উড়ে যায় শাসক দলের। কেন? এর কারণ, শাসক দল বুঝে যায়, যদি একবার শাহজাহানকে খুঁজে পেয়ে ইডি-সিবিআই তুলে নেয়, তাহলে প্রমাদ গোনা ছাড়া উপায় নেই। অথএব, আগে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। ফলস্বরূপ, ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan Arrest)।

    আরও পড়ুন: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    কেষ্টর ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল পুলিশের ‘সক্রিয়তা’

    এর আগে, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল। লক্ষ্য, ইডি-সিবিআইয়ের হাতে পড়া থেকে কেষ্টকে বাঁচানো। তাই কোনও একটি ‘আষাঢ়ে’ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল কেষ্টকে। যদিও, কিছুদিন পরই সেই কেন্দ্রের হাতেই সঁপে দিতে হয়েছিল কেষ্ট মণ্ডলকে। সেটাও ছিল এক বড় দুর্নীতি— গরু পাচার মামলা। এবারেও বড় দুর্নীতির তদন্তে ইডি-সিবিআই রেডারে এসেছে শেখ শাহজাহানের নাম। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    সন্দেশখালির কোন অজ্ঞাতস্থানে গিয়েছিলেন রাজীব?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে কতদিন শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ইডি-সিবিআইয়ের হাতে পড়া থেকে ঠেকাতে পারবে মমতা-প্রশাসন? কতদিন এভাবে শেষ শাহজাহানকে ‘বাঁচানো’ সম্ভব হবে? সপ্তাহখানেক আগেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। একটা গোটা রাত কাটিয়ে সেখান থেকে ফেরেন। লঞ্চে চেপে কোনও এক অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুপ্রতিম সরকার এবং পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তা। বিরোধীদের কটাক্ষ, শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan Arrest) সঙ্গে বসে ‘ডিল’ করতে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা।

    ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচাতেই ‘গ্রেফতার’

    শুধু বিরোধী নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তো খোদ হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছে। শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) রাজ্যের পুলিশ রক্ষা করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’ এখানেই শেষ নয়। বুধবারের শুনানিতে ভরা এজলাসে রাজ্যের কৌঁসুলির উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন— ‘‘তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায়?’’ এর সঙ্গেই, হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, চাইলে ইডি-সিবিআইও গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) করতে পারে। হাইকোর্টের এই নির্দেশেই কি ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠল মমতা-পুলিশ? এই নির্দেশের পরই কি তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ-কে? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির জেলিয়াখালি যাওয়ার পথে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে স্বাগত এবং সংবর্ধনা গ্রহণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের উপর আক্রমণের ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে আজ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মানুষের আন্দোলন, জনরোষের কাছে প্রশাসন নতি স্বীকার করে কার্যত গ্রেফতার করেছে বলে মনে করছে বিজেপি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, “শাহজাহানের বিরুদ্ধে অ্যাকশান হওয়া উচিত। এখানে একটা বিরাট চক্র রয়েছে সিরাজ, জিয়াউদ্দিন, আলমগীরে সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। ২০১৮ সালের ৩ জনকে খুনের মামলা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আমরা চাই মামলায় সিবিআই তদন্ত করুক।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জেলিয়াখালি যাওয়ার পথে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “এডিজি সুপ্রতীম সরকার মিথ্যা বলেছেন। হাইকোর্টের কোনও রকম স্থগিতাদেশ ছিল না। ২০০৬-০৭ সালে সিপিএমের আমলে সিঙ্গুরের বিরাট অপকর্ম করেছেন। ওঁর সম্পর্কে যত কম বলা যায় তত ভালো। তিনি তৃণমূলের শেখানো কথা বলছেন। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ১০০ শতাংশ রাজনীতিকরণ হয়েছে। তৃণমূলের শাখা সংগঠন হল পুলিশ। সাংবাদিকদের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এতে ড্যামেজ কন্ট্রোল হবে না। শাহজাহানকে ধরার আগে ডিআইজি ভাস্কর মুখার্জির গাড়িতে করে পুলিশ প্রথমে ফলতায় নিয়ে যায়, এরপর মিনাখাঁয় এনে বাড়ির পরিবারের সঙ্গে দেখা করানো হয়। সেখানে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন যে কয়েক দিনের মধ্যেই ফিরে আসবেন। পুলিশের দলের মধ্যে আমার লোক রয়েছে। সূত্রে আমি আগেই জেনে গিয়েছি। মমতার পাশে কেউ নেই। আপনি যা যা পরিকল্পনা করবেন আপনার লোকেরা আমাকে খবর দিয়ে আপনার সমস্ত পরিকল্পনাকে ভঙ্গ করবেন।”

    আর কী বললেন?

    শাহজাহানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এটা কোনও গ্রেফতার নয় মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। তাঁকে ফাইভ স্টারে রাখা হবে, মোবাইল ফোন সঙ্গে থাকবে। সবকিছুকে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে থেকে কন্ট্রোল করবেন শাহজাহান। তাই আমাদের দাবি ওঁকে ইডির হেফাজতে চাই। সিবিআই অবিলম্বে মামলাকে হস্তক্ষেপ করুক। মানুষ চাইছে তাঁদের প্রতি অন্যায়ের বিচার হোক। কড়া শাস্তি চাই আমরা। ইডি আক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশে কেস করেছে, তাই সবটাই পুলিশের দায়িত্ব ছিল। এই সব কিছুর সাফল্য ইডির। ইডি যদি না যেতো আর মূর্খ শাহজাহান যদি মারপিট না করত তাহলে এই কুকর্মের কথা মানুষ জানতেই পারতো না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: “এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি”, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া বোসের

    Sheikh Shahjahan: “এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি”, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ৫৫ দিন পরে তাঁর নাগাল পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। তারপরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি বলেন, “আশা করি, এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি।”

    বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছিলেন ওই চারজন। ঘটনার পরে পরেই বেপাত্তা হয়ে যান তৃণমূলের এই নেতা। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে মাঝে মধ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে একাধিকবার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদেরও একই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।

    রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া 

    মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে ফের চিঠি দেন রাজ্যপাল। সেই চিঠিতে শাহজাহানকে ৭২-ঘণ্টার মধ্যে হয় গ্রেফতার নয়তো কেন গ্রেফতার করা হয়নি সেই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান। রাজ্যপাল বলেন, “এটাই হল গণতন্ত্র। অন্ধকারের পর আলো। এটা প্রত্যেকের জন্য একটি শিক্ষা। আমি খুশি।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলেছিলাম সুড়ঙ্গের শেষে আলো থাকবে। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু তা করা হয়েছে। এখন আসুন, আশা করি, আইনের শাসনের একটি নতুন ভোর ফিরে আসবে বাংলায়।”

    আরও পড়ুুন: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    শাহজাহানকে নিয়ে গত পঞ্চান্ন দিন ধরে চর্চা হয়েছে চায়ের দোকানেও। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার সুন্দরী মেয়েদের তৃণমূল পার্টি অফিস কিংবা এলাকার বাগানবাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। নানা অছিলায় দখল করা হত গরিবের চাষের জমি। শাহজাহান বাহিনীর কথা মতো না চললেই নানাভাবে হেনস্থা করা হত বলেও অভিযোগ। পলাতক শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দাবিতে পথে নামেন স্থানীয় মহিলারাও।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর পরেই চাপে পড়ে যায় তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির জনমত ঘুরে যেতে পারে ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়েন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা। তৃণমূলের অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ধরিয়ে দেওয়া হয় শাহজাহানকে। সেই কারণেই মিনাখাঁয় লুকিয়ে থাকলেও, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের সময় লাগল ৫৫ দিন (Sheikh Shahjahan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share