Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের ছাত্র-যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! তীব্র শোরগোল কাকদ্বীপে

    South 24 Parganas: তৃণমূলের ছাত্র-যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! তীব্র শোরগোল কাকদ্বীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সভাপতিকে এবার গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। আর তা নিয়েই কাকদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় পড়ল পোস্টার। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে “দেবাশীষ তুই খুব বাড় বেড়েছিস, তুই গুলি খেয়ে মরবি”। পাশাপাশি পোস্টারে আরও উল্লেখ করা রয়েছে যে কাকদ্বীপে যদি, আবুজেল মোল্লার মতো আরেকটা ঘটনা না ঘটুক চাস, তাহলে সাবধান হো। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে বিক্ষুদ্ধদের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া অন্য কিছুই না। তৃণমূলের নেতারাই  শাসক দলের কাছে সুরক্ষিত নয়। আর এই প্রাণনাশের হুমকির পোস্টারে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

    কেন গুলি করার পোস্টার (South 24 Parganas)

    মূলত পোস্টারে থাকা এই আবুজেল মোল্লা কাকদ্বীপ বিধানসভার (South 24 Parganas) নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এমনকি তিনি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতিটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে পোস্টারে আরও এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাসেরও নাম রয়েছে। তিনি কাকদ্বীপ বিধানসভার রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনিও আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পোস্টারে এমন ভাবেই লেখা হয়েছে, “যদি বুদ্ধ অথবা আবুজেল মোল্লার মতো তোর অবস্থা না হয়। তাহলে আগে থেকে শুধরে যা।”

    তৃণমূল যুব সভাপতির বক্তব্য

    রীতিমতো গুলি করে খুন করার হুমকির পোস্টারকে ঘিরে এখন আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন জেলার (South 24 Parganas) ছাত্র-যুব সভাপতি দেবাশীষ দাস। এই বিষয়ে হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও পড়েছে পোস্টার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী দীপিতা দাস রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি বলেন, “আমি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি কিন্তু এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রকাশ মাত্র। এই পোস্টারের মধ্যেই স্পষ্ট যে তৃণমূল, তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত নয়। টাকার ভাগ নিয়ে নিজেরা নিজেদের সঙ্গে লড়াই করছে। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে গর্তের মধ্যে কিলবিল করছে ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বকুলতলা থানায় এলাকায় মিনতি রুইদাসকে একটি সাপ ছোবল দেয়। এরপর আহত এই মহিলাকে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সাপের কামড়ের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ, সাপকে না মেরে সর্প উদ্ধারকারীকে খবর দেয় এবং এরপর একসঙ্গে ২২ টি সাপ উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত সাপগুলি রীতিমতো কিলবিল করছিল।  

    সাপ দেখলেই একেবারে আঁতকে ওঠার উপক্রম হয়। গা ছমছম করে ওঠে। তবে সব সাপের বিষ যে থাকে এমনটাও নয়। সাপ দেখলেই মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। একই ভাবে সাপও মানুষের উপস্থিতিতে ভয়ার্ত হয়ে যায়।

    উদ্ধার ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)

    বকুলতলা থানা এলাকায় মিনতি রুইদাসকে কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover) কামড়ালে, এলাকার মানুষ সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তীকে খবর দেয়। কারণ বাড়ির লোকজনের সন্দেহ ছিল আরও সাপ রয়েছে। ঘটনায় বাড়ির লোকজন একেবারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর সমরেন্দ্রবাবু সাপগুলিকে মারার বদলে উদ্ধার করেন। বাড়ির সীমানায় এক গর্ত থেকে ২২টি কেউটে সাপ উদ্ধার করেন তিনি। রীতিমতন নিজের জীবনকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে, এই সাপগুলিকে উদ্ধার করেন তিনি। সাপকে উদ্ধার করে আপাতত একটি জারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগণার বনদফতরে খবর দিয়ে সাপগুলিকে হস্তান্তর করা হয়। পরে বনদফতরের কর্মীরা সাপগুলিকে নিয়ে সংরক্ষিত উদ্যানে ছেড়ে দেয়।

    সর্পপ্রেমীর বক্তব্য

    প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সাপের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউটে সাপ ধরে সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “আমি সাপগুলিকে মারতে নিষেধ করি। সাপ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সাপকে বাঁচিয়ে রাখা পরিবেশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এরপর সাপগুলিকে (Jaynagar Snake Recover) উদ্ধার করে বনদফতর বিভাগ নিয়ে যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে শাসক দলের নেতারা বারবার বলেন ‘উন্নয়ন রাস্তায়’। কিন্তু উন্নয়ন কতটা কঙ্কাল সার শূন্য, তার বাস্তব চিত্র চোখে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) নামখানার এক প্রত্যন্ত স্কুলে। প্রায় চার বছর ধরে কখনও গাছ তলায়, কখনও ভাঙা স্কুলের বাইরের দালানে, আবার কখনও রান্না ঘরের বারান্দায় চলছে পড়াশুনা। ছাত্রদের কোনও ক্লাসের ঘর নেই!। প্রশাসনের কাছে বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রশাসন নির্বিকার, এলাকায় দেখা মেলে না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।

    আমফানের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণের ত্রিপল, চাল, ঘরের টাকা, প্রয়োজনীয় ঔষধের টাকা চুরির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এলাকার উন্নয়নের টাকায় তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের বাড়িঘর-গাড়ি। কেউ বানিয়েছেন লাভ বাড়ি আবার কেউ তৈরি করেছেন সুবিশাল জাহাজ বাড়ি। কিন্তু এই উন্নয়নের জোয়ারে চাপা পড়ে গেছে সরকারি স্কুলঘর। এখনও তৈরি হলনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাস ঘর। তাই এলাকার মানুষ, স্কুল ঘর তৈরি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।

    নেই স্কুল ঘরের কোনও চাল (South 24 Parganas)!

    দেখতে দেখতে আমফান ঝড়ের চার বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমফানে উড়েছে স্কুলের চাল, নেই ঘরের মধ্যে বসে ক্লাস করার মতন উপযুক্ত পরিবেশ। স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার। ছাত্রছাত্রীরা কখনও গাছ তলায়, কখনো ভাঙা স্কুলের দালানে বসে কষ্ট করে পড়াশুনা করে। এইরকম বেহাল পরিস্থিতির শিকার হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার নামখানা ব্লকের দ্বারিক নগর ভিআই লেলিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। দ্বারিক নগর এলাকার এই স্কুলটির সকালে আইসিডিএস অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বেলা ১১ টা থেকে এসএসকে অর্থাৎ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা হয়। স্কুলের পাশে রয়েছে ১২ ফুট বাই ১৪ ফুট একটি রান্নাঘর, রান্না ঘরের সামনে রয়েছে একটি ছোট্ট বারান্দা, আর সেই বারান্দার মাপ বড়জোর ৬ফুট বাই ১৪ ফুট।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    আমফান ঝড়ে মূল স্কুলটির (South 24 Parganas) টিনের চাল উড়ে যায়। আর তারপর থেকে আজও ২০২৩ -এর অক্টোবরে এসে গেলেও স্কুলের কোনও সংস্কার হয়নি। এলাকাবাসী তাপসী নাইয়া বলেন, “স্কুলের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ তলায় বসে পড়াশুনা করতে হয়। বৃষ্টিবাদল হলে ভাঙা স্কুলের বারান্দায় বসে পড়াশোনা সারতে হয় তাদের।” এছাড়া আরও এক ছাত্রের অভিভাবক সম্ভু দাস বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার লিখিত দিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। আন্দোলন করে এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি।”

    স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য

    এসএসকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উষাবাজ (South 24 Parganas) বলেন, “গত কয়েক মাস আগে স্কুল সারাই করার জন্য লোক এলেও, গ্রামের লোকজন বা অভিভাবকরা এই কাজ করতে দেননি। গ্রামের লোকজনের দাবি পাকাপোক্ত কংক্রিটের ছাদ করতে হবে। কারণ সিমেন্টের টিনে তৈরি বাড়িতে তাঁদের ভরসা নেই। এই কথা সমর্থন করেছেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস, তবে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “কিছুদিনের মধ্যেই চেষ্টা করবেন যাতে স্কুলের কাজ করা যায়।”

    কিন্তু প্রশ্ন হল বিগত দিনেও প্রশাসন একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আবার প্রতিশ্রুতি! এবার কি প্রতিশ্রুতি মত কাজ হবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বলেও কাজ করেনি পঞ্চায়েত! পুজোর খরচ বাঁচিয়ে রাস্তা করলেন এলাকাবাসী

    South 24 Parganas: বলেও কাজ করেনি পঞ্চায়েত! পুজোর খরচ বাঁচিয়ে রাস্তা করলেন এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়েছে তৃণমূল সরকার। এই খাতে রাজ্য সরকার জলের মতো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। অথচ যে রাস্তা ধরে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যাবেন দরশনার্থীরা সেই রাস্তা সংস্কারে নজর নেই এই সরকারের। ফলে, রাস্তা ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত কারও কোনও হেলদোল নেই। এরকমই একটি বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হলেন গ্রামবাসীরা। পুজোর খরচ কমিয়ে এবার চাঁদা তুলে বেহাল রাস্তা সংস্কার করলেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আসুতি-২ পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আসুতি-২ পূর্বপাড়া এলাকার রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ। রাস্তা সংস্কারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কোনও হেলদোল নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃষ্টি হলেই জমছে জল। জমা জলে দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার পঞ্চায়েতে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। তাই নিজেরা টাকা দিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছি। পুজোর খরচ বাঁচিয়ে আমরা রাস্তার কাজ করছি। পুজোর আনন্দ থেকে এই রাস্তাটা ঠিক করা জরুরি। আমাদের অনেকের ঘরে বয়স্ক মানুষ আছেন। রাস্তাটা ঠিক না হলে, মানুষটাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছেও তো যেতে পারব না। রাস্তার যা অবস্থা, একটা গাড়ি আসবে না। এক বছর না হয় কম আনন্দ করে পুজোর খরচের টাকা বাঁচিয়ে রাস্তা তৈরি করলাম। শুধু রাস্তা নয়, রাস্তার আলো পর্যন্ত নিজেদের খরচ করে লাগাতে হয়েছে। পঞ্চায়েত কোনও কাজেই এগিয়ে আসেন না। করের টাকা, ভোট সবই পায় পঞ্চায়েত। কিন্তু, তারা কোনও কাজ করে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুরজিৎ দত্ত বলেন, পঞ্চায়েতের তরফেও সবরকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই রাস্তাটা আমরা পঞ্চায়েত থেকে একবার করে দিয়েছিলাম। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল জমে রাস্তা খারাপ করে দিচ্ছে। ওই রাস্তাটি আমরা ঢালাই করে দেব। তবে, এখনই বললে এখনই তো কাজ করা যায় না। বরাদ্দ করার পর কাজ হবে সেটা পুজোর আগে হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার অপরাধ! প্রায় এক মাস ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায়। এ যেন হাতে না মেরে জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্নপূর্ণা হালদার নামে গৃহবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি পরাজিত হন। গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বর্তমান শাসকদলের মদতে জল নিকাশি ব্যবস্থা হঠাৎ করে এক তৃণমূলের এক নেতা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি জায়গাটি ছিল তাঁদের, দীর্ঘদিন মামলা করে তাঁরা জয়ী হন। যার ফলে তারা এই পথ দিয়ে আর জল যেতে দেবেন না। আর তার ফলেই প্রায় এক মাস ধরে জলের তলায় ওই বিজেপি প্রার্থীদের তিনটি পরিবার সহ+ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আরও ১৯ টি পরিবার। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাড়ির উঠান থেকে ঘরের মেঝেতে পর্যন্ত প্রায় এক হাঁটু জল, অনেক বাড়িতে ভেড়ি দিয়ে জল তুলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকী গরুর গোয়াল, মুরগির খোঁয়ার পর্যন্ত জলে ডুবে আছে। প্রতিদিন বাড়ির বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জলে অসহায়ের মত দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

    কী বললেন বিজেপি কর্মী?

    বিজেপি কর্মী অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ। তারজন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। এলাকায় যে ভাবে জল জমে রয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপদ্রব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মৌলি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। জল নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প পথশ্রী। সেই প্রকল্পের কাজেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কাটমানি খেয়ে বেহাল রাস্তা না করার জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি রাস্তা তৈরির জন্য ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭৮ টাকা বরাদ্দ হয়। অন্যদিকে, এলাকার মানুষদের আরও অভিযোগ, ঢালাই রাস্তার ওপরে আবারও ঢালাই ফেলে টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে শাসক দল। আর তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যকে বলতে গেলেই হুমকির মুখে পড়তে হয় এলাকার মানুষদের। সেই ঢালাই রাস্তার একাংশ কার্যত মাটির রাস্তায় পরণত হয়েছে। আর সেই বেহাল মাটির রাস্তার ওপর দিয়েই প্রাণ হাতে করে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ও অন্যান্যদের। এমনকী প্রসূতি মহিলা বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাতায়াতের জন্য এই বেহাল রাস্তায় ভরসা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এই গ্রামের বেহাল রাস্তার মাঝে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে একটি কালভার্ট তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে সেই কালভার্টের বেহাল অবস্থা। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। নিজেদের সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে, দুর্ভোগে দিন কাটছে একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।

    পঞ্চায়েতের কী অবস্থান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রীতি মণ্ডল বলেন, আমি সবেমাত্র এক মাস প্রধান পদে দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তবে, এই বিষয়ে ডায়মন্ডহারবার সংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, কয়লা চোর, বালি চোর তৃণমূলের পক্ষেই এইসব কাজ সম্ভব। রাস্তাতেও ওরা কাটমানি খেয়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে রেখেছে। আমাদের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন অবিলম্বে এর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে শিকার ধরা পড়ল জালে। পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী। এরপর সূত্র ধরে, জয়নগরে দুই কামরার ঘরে মিলেছে অবৈধ বিশাল অস্ত্রের কারখানার (Arms Factory) হদিশ। পুকুরের মধ্যে লুকানো ছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে এসে পুলিশ নিজেই হতবাক। এতো অস্ত্র! তদন্তকারী অফিসারের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির মালিকের নাম রহমতুল্লা শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা (Arms Factory)

    গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল এই অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) সম্পর্কে। সময় বুঝে বারুইপুর থানার পুলিশের এসওজি, জয়নগর থানা এবং বকুলতলা থানার পুলিশ একত্রিত হয়ে অভিযান চালায়। পুলিশ নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে প্রথমে অস্ত্র কেনার জন্য ক্রেতা হিসাবে কারখানার মালিকের কাছে যায়। এরপর টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে যেতে বলে অস্ত্র কারবারীকে। ঠিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় মাল দেওয়ার কথা হয়। এরপর পুলিশ এলাকায় অনেক সময় অপেক্ষা করে তাকে গ্রেফতার করে।

    কী কী উদ্ধার হল?

    ধৃত কারখানার (Arms Factory) মালিক রহমতুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮ টি ওয়ান শটার বন্দুক, দুটো লং পাইপ। অস্ত্র তৈরির পালিশ মেশিন, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত, হ্যাক্সো, বাটালি, হাতুড়ি, লোহার পাইপ ইত্যাদি উদ্ধার হয়। এই সব সরঞ্জাম দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হত বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, ধৃত ব্যাক্তি নিজের সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর থানার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অপারেশন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আমরা এই অভিযুক্তকে নজরে রেখেছিলাম। তবে এই ধৃত ব্যক্তির পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত আরও এগোলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: উদ্বোধনের দু’মাসের মধ্যেই নদীবাঁধে ধস, কাটমানির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি

    South 24 Parganas: উদ্বোধনের দু’মাসের মধ্যেই নদীবাঁধে ধস, কাটমানির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল নদীবাঁধ। উদ্বোধনের দুমাসের মধ্যেই সেই বাঁধে নামল ধস, আতঙ্কে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকের  নারায়ণগঞ্জ এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, সেত দফতর বাঁধ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মাটি ও বাঁশ দিয়ে এই বাঁধ তৈরি করা হয়। ঘটা করে সেই নদীবাঁধের উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। দুই মাস যেতে না যেতেই সেই বাঁধে  প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে ধস নামে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, বাঁধ তৈরির দুমাসের মধ্যে যদি এভাবে ধস নামে, তাহলে বোঝা যাচ্ছে কাজে গাফিলতি ছিল। এভাবে কাজ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘটনার পর থেকে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। যেভাবে বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে অবিলম্বে মেরামতি না করা হলে গোটা বাঁধ জলে ধুয়ে যাবে।

    কী বললেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী?

    এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, নদীবাঁধ সবেমাত্র উদ্বোধন হয়েছে। তবে, বাঁধ প্রস্তুতকারী সংস্থা কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি। এলাকার মানুষের কথা ভেবে একটু আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এলাকায় যাচ্ছেন। অতি সত্বর সমস্যার সমাধান করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির সাগর মণ্ডল-পাঁচের সভাপতি অনুপ সামন্ত বলেন, নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নদীবাঁধ। তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে কে কত টাকা খাবে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাই, কাটমানি খাওয়া সেই নদীবাঁধ ভাঙবে না তো কি ভালো থাকবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কী করছে পুলিশ?

    Rape: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই তৃণমূল নেতা ও তার এক সঙ্গী ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজার থানার কেচারকুড় গ্রামের নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Rape)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ ব্যাঙ্কে যায়। সেখানে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন ওই যুবতী। সেই সময় কেচারকুড় এলাকার দুই যুবক সাহারুল হালদার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইউনুস হালদার ওই কলেজ ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে সেকেন্দারপুর মোড়ে নিজের একটি ফাঁকা বাড়িতে তোলে। প্রেমিককে একটি ঘরে আটকে রেখে অন্য একটি ঘরের মধ্যে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, তার নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে নিয়ে হুমকি দেয়। বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তার নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকাও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই কলেজ ছাত্রীকে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে, না হলে নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনায় নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি আদালতে গোপন জবানবন্দীর জন্য পেশ করে পুলিশ।

    কী বললেন নির্যাতিতা?

    নির্যাতিতা বলেন, বাড়ি ফিরে সমস্ত বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানাই। ঘটনার পর মন্দির বাজার থানায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সারুল হালদার ও ইউনুস হালদারের  বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আদালতে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। কিন্তু, ঘটনার পর তিনদিন হয়ে গেল পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। ওরা তৃণমূল করে বলে কি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেবে না। আমাদের দাবি, অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হোক।

    কী বললেন অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার স্ত্রী?

    অবশ্য এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইউনুস হালদারের স্ত্রী বলেন, যেহেতু আমার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেস করেন, তাই চক্রান্ত করে  স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আইএসএফের কর্মী সমর্থক। এই সব ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় আমার স্বামী জড়িত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্য দিবালকে চড় মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি  ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ পোস্টাল থানার কয়লাঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্বপন দাস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্বপন দাস নামে ওই তৃণমূল নেতা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফেজারগঞ্জের নূপুর হাজরা নামে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর সেই টাকা চাইতে গেলে তাকে বারে বারে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছিল। এরপরই প্রতারিত ওই মহিলা তৃণমূল নেতাকে সামনে পেয়ে ধরে ফেলেন। তাঁকে চড় মারেন, আর সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে, ওই তৃণমূল নেতাও ওই মহিলাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাস বলেন,গাড়ি কেনা-‌বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। আমি ওই ভদ্রমহিলার কাছে গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু, তাঁর কাগজপত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।

    প্রতারিত মহিলার কী বক্তব্য?

    নূপুরদেবী বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। চাকরিও করে দেয়নি। আমি টাকা চাইতে গেলে আমায় মারধর করেছে। ওর স্ত্রী আমায় অপমান করছে। তাই যখন টাকা দেয়নি তখন আমি বলেছি মেরে পাওনা টাকা আদায় করব। স্বপন দাস বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি সহ সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, যদি এমন কাজ করে থাকে, অবশ্যই শাস্তি পাবে। এখনও আমি বিষয়টি ভালো করে জানি না আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অনুপ সামন্ত বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাই, প্রকাশ্যে ওই নেতার উপর চড়াও হলেন মহিলা। আগামীদিনে আবারও এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share