Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর বিধানসভার মধুসূদন চকের মাঝিপাড়া। এখানকার ২৮১ নম্বর বুথে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election) প্রকাশ্যে। এই বুথে তৃণমূলের পক্ষে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনই দাবি করছেন দুই প্রার্থী। দুজনেই আবার শাসকদলের অনুগামী বলেও দাবি করছেন। ভারতীয় সংবিধানে এমন নজির কি আছে, যেখানে একই দলের দুজন প্রার্থী লড়বেন একই দলের হয়ে? এটা হাস্যকর বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি অনেকেই।

    কীভাবে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election)?

    বহুদিন ধরেই মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Panchayat Election) খবর সামনে উঠে আসছে। বিগত দিনে জ্যোৎস্না পাত্র ছিলেন শাসক দলের প্রধান। হঠাৎ করেই গত বছর দল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিরোধীদের সাহায্য নিয়ে অন্য আরেক জনকে প্রধান করে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৮১ নম্বর বুথে মনোরঞ্জন জানা পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শাসকদলের। এবার তাঁর স্ত্রী তারামণি মণ্ডল জানা শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেন। তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন জানার দাবি, নির্দল হিসাবে তাঁর স্ত্রী নমিনেশন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে হবে। সেই মতো তাঁর স্ত্রী নমিনেশন জমা করেন। পরবর্তী কালে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা মাইতিও সেখানে শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, দুজনই টিএমসি প্রার্থী। তবে নমিনেশনের শেষ দিনে প্রকৃত কে তৃণমূলের প্রতীক পাবে, সেটাই এখন দেখার। দলের প্রতীক না পেলে তাঁর স্ত্রী নির্দল হয়ে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন জানা।

    একই আসনে আরেক প্রার্থী কে (Panchayat Election)?

    অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা মাইতিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক পাবেন। আর প্রতীক না পেলে তিনিও নমিনেশন তুলবেন না, নির্দল হয়ে লড়বেন, এমনটাই জানা গেছে। একমাত্র আগামীকালই জানা যাবে প্রকৃত তৃণমূলের প্রার্থী কে। কারণ আগামীকাল নমিনেশন তোলার শেষ দিন। তবে যাই হোক না কেন, শাসকদলের কোন্দলের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শেষ হাসি হাসেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    South 24 Parganas: মথুরাপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তৃণমূলের এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটে গুরুতর জখম তৃণমূলের এক যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মথুরাপুর থানার ঘোড়াদল এলাকায়। আহত যুবকের নাম আরিফ হোসেন মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোরে বাড়ির কাছেই বোমা বাঁধছিল আরিফ হোসেন মোল্লা। তখনই বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখেন, বোমা বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে গেছে আরিফ। এর পরেই তাঁকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ (South 24 Parganas) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মথুরাপুর থানার পুলিশ। তবে কী কারণে এই বোমা বিস্ফোরণ, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    মায়ের বক্তব্য

    মা সমিয়ন বিবি বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে মধ্যমগ্রামে কাজ করে, আর ছোট এই ছেলে কলকাতায় বই বাঁধাইয়ের কাজ করত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য বাড়িতে (South 24 Parganas) এসেছে। হোসেন রাজনীতির কারণেই বোমা বাঁধার কাজ করছিল বলে জানান মা। তিনি আরও বলেন, তাঁদের পরিবার তৃণমূল পার্টি করে। রাত তখন বাজে ৩ টে। সেই সময় আমরা বাড়িতে সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ছেলে বাবা গো, মা গো বলে চেঁচিয়ে ওঠে। গিয়ে দেখি সারা শরীর ঝলসে গেছে। এর পর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। এখান থেকে ডাক্তাররা কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না, ছেলের এখন কী হবে!

    পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিরোধীরা বলছেন, গত ৯ দিনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা গেছেন ৭ জন। মুহূর্মুহূ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহারের দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, মালদার চাঁচল, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, বীরভূমের নানুর, পূর্ব মেদিনীপুরের বকচা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং, মিনাখাঁ এবং ভাঙড়। সর্বত্রই বিরোধীরা মনোনয়ন করতে গিয়ে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙড়, ক্যানিং এবং দিনহাটাতে হয়েছে ব্যাপক বোমাবাজি। শুধু তাই নয়, হুগলির খানাকুল থেকে উদ্ধার হয়েছে ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন এই নির্দেশের বিপক্ষে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করার পর বিরোধীরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চায় না। অপর দিকে, মনোনয়নের সময় রাজনৈতিক হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মনোনয়ন করাকে সুনিশ্চিত করেন তিনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই এখন দেখার।       

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: আধার কার্ড থেকে জানা গেল, মৃতদেহটি তাঁদের নিখোঁজ ছেলের নয়!

    Coromandel Express: আধার কার্ড থেকে জানা গেল, মৃতদেহটি তাঁদের নিখোঁজ ছেলের নয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল দুর্ঘটনায় মৃতদেহ নিয়ে নতুন করে জটিলতা। এক যুবকের মৃতদেহ কাকদ্বীপের এক নিখোঁজ যুবকের বলে পাঠিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু পরে জানা গেল, সেটি আদৌ কাকদ্বীপের নয়। শেষমেশ পরিচয় মেলায় ফিরে গেল সেই মৃতদেহ। অন্যদিকে, নিখোঁজ ছেলের সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন কাকদ্বীপের পরিবার। তাঁরা শুধু কেঁদেই চলেছেন। 

    কী হয়েছিল?

    ওড়িশা রেল দুর্ঘটনার (Coromandel Express) পর প্রায় সাত দিন অতিক্রান্ত। কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত মধুসূদনপুর ৬৪ নম্বর বুথের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজনের মৃতদেহ শনাক্তকরণ হয়েছে। কিন্তু বাকি ৩ সদস্যের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকদ্বীপে একটি মৃতদেহ এসে পৌঁছায়। বলা হয়, সেটি নিখোঁজদের মধ্যে একজনের। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির (Coromandel Express) নাম শামসুল হুদা শেখ, বয়স আনুমানিক ৩০। মৃতের বাড়ির লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার সময় পোশাকের মধ্যে থেকে একটি আধার কার্ড পাওয়া যায়। তাতে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম রাজা সাহানিয়া, বিহারের বাসিন্দা তিনি। তারপরই শুরু হয় জটিলতা। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে শামসুল হুদার পরিবার। এভাবেই প্রথমে বিভ্রান্তি এবং পরে তার নিরসন হওয়ায় পরিবারের লোকজন তা গ্রহণ করতে পারলেন না। 

    কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারগুলি

    অগত্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে মৃতদেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বালেশ্বরে (Coromandel Express)। সামসুল হুদা শেখ ছাড়া আরও যে দুজনের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি, তাঁরা হলেন আব্দুল মাজিত শেখ (৪৭) ও গিয়াসুউদ্দিন শেখ (৩৪)। তিনজনকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারগুলি। এদেরই একটি পরিবারের আক্ষেপ, যাও বা পাওয়া গেল, সেটা আবার অন্য রাজ্যের মৃতদেহ। পরিবার সহ এলাকার মানুষজনের আক্ষেপ, সাত দিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত মৃতদেহ কেন পাওয়া যাচ্ছে না, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। কবে এঁদের খোঁজ মেলে, সেই আশায় দিন গুনছেন পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Life Imprisonment: ফলতার মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    Life Imprisonment: ফলতার মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতার সহরারহাটে মিষ্টি ব্যবসায়ী খুনে সাজা ঘোষণা করলেন ডায়মন্ড হারবারের এডিজি জয়প্রকাশ সিংহ। অভিযুক্ত ৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) এবং ১ জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন তিনি।

    কী ঘটনা ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৯ শে মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার সহরারহাটের একটি মিষ্টির দোকানের মালিক কার্তিক ঘোষকে দোকানে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর মোট ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে দুজন ফেরার থাকলেও ৯ জনকে গ্রেফতার করে ফলতা থানার পুলিশ। এরই মাঝে জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক বন্দির মৃত্যু হয়। 
    গত সোমবার ডায়মন্ড হারবার এডিজি আদালতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে অভিযুক্ত রাজা খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক জয়প্রকাশ সিংহ। অন্যদিকে বাকি সাতজন অভিযুক্ত মুজফফর মিস্ত্রী, উত্তম দোলুই, সবেদ আলি সেখ, সাহাজাদা পাইক, আক্তার উদ্দিন মোল্লা, কাদের সেখ এবং সাইদুল সেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) নির্দেশ দেন বিচারক।

    খুশি নন নিহতের মেয়ে

    অবশ্য নিজের বাবার খুনিদের সাজা ঘোষণার পর নিহত কার্তিক ঘোষের মেয়ে বলেন, তাঁর মৃত বাবা বিচার পেল না। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজা খানের মাত্র ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। আগামী দিনে মূল অভিযুক্ত রাজা খানের সর্বোচ্চ শাস্তির (Life Imprisonment) দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা। অপরদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবী সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। এডিজি আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী স্বপনকুমার কপাট বলেন, ২০১৪  থেকে কার্তিক ঘোষ খুনের মামলা চলছিল। এই মামলায় মোট ৩৫ জন সাক্ষী ছিলেন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর বিচারক মঙ্গলবার সাজা (Life Imprisonment) ঘোষণা করেন। সরকারি আইনজীবী পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কুলতলিতে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী, মুক্তিপণ দাবি ৫০ লক্ষ টাকা

    South 24 Parganas: কুলতলিতে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী, মুক্তিপণ দাবি ৫০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোন করে চেয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। আর তা পেলে, তবেই ছাড়া পাবে ব্যবসায়ী। এরপর থেকেই ফোন সুইচড অফ, বারো দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিখোঁজ ব্যবসায়ীর।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কোথায় ঘটল ঘটনা?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলিতে নিখোঁজ ব্যবসায়ী বিজয়কৃষ্ণ কয়াল। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় তাঁর শেষ ফোন এসেছিল পরিবারের কাছে। ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর ১২ দিন কেটে গেলেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর খোঁজ মেলেনি। বিজয়কৃষ্ণবাবুর বাড়িঘর নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যায়। পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ১৭ মে বিজয়কৃষ্ণ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তারপর দোকানে গিয়েছিলেন। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বিজয়কৃষ্ণ দোকান বন্ধ করে একাই বের হচ্ছেন। সেই তাঁকে শেষ দেখা, তারপর রাত হয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং এরপর বারে বারে ফোন করতে থাকলেও তাঁকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর প্রায় ১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি তাঁর কোন হদিশ।

    পরিবারের বক্তব্য

    নিখোঁজ ব্যবসায়ী (South 24 Parganas) বিজয়কৃষ্ণের বাবা শ্যামাপদ কয়াল বলেন, গত ১৭ তারিখ রাত দশটা নাগাদ বিজয় কৃষ্ণের ফোন ধরেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জানান, ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁদের, আর তা দিলে তবেই বিজয়কৃষ্ণ বাড়ি ফিরবে। পুলিশ প্রশাসনকে কোনও ভাবেই যেন না জানানো হয় বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বন্ধ বিজয়কৃষ্ণের ফোন।

    পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের

    ঘটনার পর ওই দিন রাতেই কুলতলি (South 24 Parganas) থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ব্যবসায়ীর। বিজয় কৃষ্ণের বাবা শ্যামাপদ কয়ালের দাবি, তাঁর ছেলেকে হয়তো কোনও ভাবে প্রথমে ডেকেছে, আর তারপরেই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, নিখোঁজ ব্যবসায়ী হলেন কুলতলির বাসিন্দা বিজয়কৃষ্ণ কয়াল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ বিজয়কৃষ্ণ কয়াল এখন কবে বাড়িতে আসেন, সেই আশায় দিন গুনছে পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। তার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার মল্লিকপুর এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম রাজু মিস্ত্রি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সম্প্রতি বুড়ুলে বিজেপির (BJP) জনসভা হয়। সেই জনসভায় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তোলার পর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি কর্মী রাজু মিস্ত্রি। তিনি পেশায় ফ্রিজ মেরামতির কাজ করেন। অভিযোগ, এরপরেই বুধবার রাতে ফ্রিজ সারানোর নাম করে ওই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেছেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই কর্মী। ফলতার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পদক্ষেপ না নিলে এসপি অফিস ঘেরাও করব”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাস বলেন, “দলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এইভাবে বিজেপি (BJP) কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সব থেকে বড় জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। আজ মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় দক্ষিণ হাবড়া পল্লীমঙ্গল ক্লাবের মাঠে সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবারের লোকসভা ভোটে এই জেলার সবকটি লোকসভা আসনেই বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই হাবড়ায় সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করে গিয়েছেন। কাউকেই ১৯৭১ সালের দলিল দেখাতে হবে না।” পাশাপাশি মঞ্চ থেকে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    ঠিক কি বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ হাবড়ার সভা থেকে এদিন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “অশোকনগরের এমএলএ বেশি ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে। একটু স্লো চলুন। বারসতের গতবারের বিদায়ী সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পিএ বাপি প্রচুর টাকা তুলেছেন। তাঁর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সাংসদও। আমি একথা বলেছিলাম বলে মানহানির মামলা করেছিল আমার নামে। পাল্টা আইজীবীর চিঠিতে বাবার নাম তোলার প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই তারপর থেকে আমাকে আর খোঁচাতে আসেননি। পিএ-এর বস্তাটা যদি খুলে দিই ওঁর ঘর থেকে বেরিয়ে প্রচার করা মুশকিল হয়ে যাবে!”

    মধ্যমগ্রামেও গার্ডেনরিচের মতো ভুয়ো বিল্ডিং রয়েছে

    এদিন নাম না করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকেও আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রেশন কেলেঙ্কারি, কেন্দ্র সরকারের টাকা চুরি এবং কাট মানিতে এই জেলায় তৃণমূলের নেতারা বিরাট ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন। একই ভাবে গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “মধ্যমগ্রামে যদি হাত দেন, গার্ডেনরিচের মতো কত ভুয়ো বিল্ডিং বের হবে। একই ভাবে অশোকনগর, বারাসতে প্রচুর পুকুর ভরাট করে বৈধ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরসভায় দুর্নীতিতে রথীন ঘোষ জড়িত। আমার কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। প্রচারে সেগুলো বলব। কয়েকদিন আগে ইডি, সিবিআই ওঁকে বাড়িতে গিয়ে আদর করে এসেছে।”

    রাজ্যের নির্বাচন প্রসঙ্গে কী বললেন?

    রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের নির্বাচন কমিশন দুর্নীতিগ্রস্থ পুলিশ আধিকারিকদের বদল করবে। কারণ এই পুলিশ প্রশাসন ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচন করার পর মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমদের সংখ্যালঘু নেতা মহম্মদ আলিকে এই বারাসতে পিটিয়ে খুন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। খুনিদের এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। মনোনয়ন জমা থেকে ভোট দেওয়া এবং গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের সকল অধিকার লুট করেছে তৃণমূল। তাই চোরেদের হারাতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এবার ফের রাস্তায় নেমে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার যেমন করা হয়েছে, একই ভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সিরাজউদ্দিনকেও গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং তাঁর অনুগামীরা এলাকায় মানুষের চাষের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও নানা অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এলাকার বেড়মজুরের ঝুপখালিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা।

    তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর উত্তপ্ত (Sandeshkhali)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে মমতার জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। ঠিক পরের দিন সোমবার থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুরু হয়েছে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বেড়মজুর এলাকার ঝুপখালিতে নিপীড়িত মহিলারা রাস্তায় নেমে টায়ার, গাছের ডালপালা পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকার মানুষের দাবি, “শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন এবং আলমগিরকে গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং আলমগির উভয়েই এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছে। বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তাই তাঁদের শাস্তি চাই আমরা।”

    দুই মাস ধরে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করার জন্য ফের একবার বিক্ষোভের পথে। অপর দিকে গতকাল এই তৃণমূল নেতার ডান হাত জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে সিবিআই নিজেম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। গত দুই মাস ধরে কার্যত ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ ছিল বেছে বেছে হিন্দু ঘরের মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে রাতভর গণধর্ষণ করত এই শাহজাহানেরা। ইতিমধ্যে এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তথা সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় দেখা গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গেলে বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। ইতিমধ্যে বারাসতে মোদির সভায় নির্যাতিতা মহিলাদের একটা অংশের মানুষ নিজেদের উপর ঘটা অত্যাচারের কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের সঙ্গে এখন তার অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের একবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবার সামনে আমাকে উলঙ্গ করল, শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজ-শঙ্কর সামনে রেখে চলত অত্যাচার।’ ঠিক এই ভাবে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দার। প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনে ফের একবার উত্তাল গোটা এলাকা।

    উলঙ্গ করার অভিযোগ (Sandeshkhali)

    সোমাবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেড়মজুর এলাকায় ফের মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নামেন। নির্যাতিতা, নিগৃহীত মহিলাদের ক্ষোভ ছিল শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে। যে কোনও সমস্যা মেটাতে গেলে যেতে হতো শাহজাহানের ভাই সিরাজের কাছে। তারপর চলত সেখানে যৌননিগ্রহ। গ্রামের এক নির্যাতিতার বক্তব্য, “গত বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা, আমাদের পরিবারে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিরাজের কাছে। সঙ্গে ছিল অজিত মাইতি। কোষাধ্যক্ষ এবং আরও অনেক মহিলা ছিল। অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা। সেই সময় আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাউকে জানাতে পারিনি। আমার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। আমার কোলে বাচ্চা ছিল দিদির কাছে। সেই বাচ্চাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নাম করে আমার শ্লীতাহানি করে শঙ্কর-সিরাজেরা।”

    শঙ্করের বাড়িতে জনরোষ

    শঙ্করের গ্রেফতারে পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষোভের উত্তাপ গিয়ে পড়ে শঙ্করের পরিবারের উপর। বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। খড়ের গাদায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শঙ্করের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার নিগৃহীতদের বক্তব্য, “আমাদের উপর যখন আক্রমণ হয় সেই সময় ওঁরা বুঝতে পারেনি অত্যাচার কাকে বলে। এবার বুঝুক।”

    অপর দিকে গতকাল বজবজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাজাহানকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। অপরে আজ সোমবার হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট হয় করে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সুন্দরবনে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে চলছে ট্রলারঘাট নির্মাণ

    South 24 Parganas: সুন্দরবনে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে চলছে ট্রলারঘাট নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে চলছে ট্রলারঘাট তৈরির কাজ। এলাকার মানুষের অভিযোগ এই অবৈধ কাজে নির্বিকার প্রশাসন। এলাকায় এই নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ শাসক দল, প্রশাসনের মদতে চোরাচালানের কাজ করছে।

    ম্যানগ্রোভ কেটে হচ্ছে নদীর গতিপথ রুদ্ধ (South 24 Parganas)

    সুন্দরবনকে (South 24 Parganas) রক্ষার্থে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যখন প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচা করে ম্যানগ্রোভ চারা বসানোর কাজ করছে, ঠিক তখনই এক অন্য ছবি ধরা পরল কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোবিন্দপুর গয়লার চক এলাকায়। নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে তৈরি করা হচ্ছে ট্রলারঘাট। এই অবৈধ নির্মাণে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস বলেন, “আমি ম্যানগ্রোভ কাটিনি। আমার কাছে জায়গার সঠিক কাগজপত্র রয়েছে।” তবে এই বিষয়ে এই জায়গার বর্তমান মালিক ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ওই এলাকায় (South 24 Parganas) পাশ থেকেই বয়ে গেছে কালনাগিনী নদী। এলাকার স্থানীয় শোভন নায়েক বলেন, “এইভাবে যদি নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয় তাহলে আগামী বর্ষার মরশুমে জলমগ্ন হয়ে পড়বে গোটা এলাকা। মূলত এলাকা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বই রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের অফিস। কিন্তু তারপরেও কীভাবে দিনের পর দিন এইভাবে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তবে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “কোনও রকম অবৈধ কাজ হয়ে থাকলে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে।” তবে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস বলেন, “কোথায় পদক্ষেপ! প্রশাসনকে তো বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রীতিমতো কাজ করে চলেছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে মথুরাপুর সাংগঠনিক (South 24 Parganas) জেলা বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “শাসকদল ও প্রশাসনের মদত না থাকলে এমন কাজ করা যায় না, পরিকল্পিত ভাবেই টাকার বিনিময়ে চলছে। এই অবৈধ কাজকর্ম অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share