Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • South 24 Parganas: শওকত মোল্লার ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত খোদ বিধায়ক! তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: শওকত মোল্লার ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত খোদ বিধায়ক! তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চরম অস্বস্তিতে শাসক দল। রবিবার কাছারি মাঠে জয়নগর লোকসভায় কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে কর্মী সভায় দেখা গেলনা গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলকে। একই ভাবে তাঁর অনুগামীদের এদিন সভায় দেখা যায়নি। যদিও তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন নিজের অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু দলেরই একাংশের মতামত দলীয় কোন্দল হল এখানে প্রধান সমস্যা। ঘটনায় বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে।

    শওকত মোল্লার নেতৃতে সভায় কোন্দল (South 24 Parganas)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব ক্যানিং-এর বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে এদিন দলীয় কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় তৃণমূল প্রার্থী নিজে ছিলেন। এই সভায় বক্ল তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের আহ্বানে ৮-৯টি পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী এবং অঞ্চল সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গোসাবা (South 24 Parganas) বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত বালি ১, বালি ২, গোসাবা, বিপ্রদাসপুরের পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অত্যন্ত স্পষ্ট হয়েছে একথা তৃণমূলের একাংশের মানুষ মনে করছেন। অবশ্য গোসাবা অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের এই কর্মী সম্মেলনে ডাকা হয়নি তাই আসিনি। বাকিদের কথা বাকিরাই বলতে পারবেন।” যদিও শওকত মোল্লা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ ছিলেন। তবে অনিমেষ বলেছেন, “সকলকে আসতে বলা হয়েছে। কেউ না আসলে আমার কিছু বলার নেই।”

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে জয়নগর কেন্দ্রের (South 24 Parganas) তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল বলেন, “দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। আমার সঙ্গে সকলে প্রচারে অংশ গ্রহণ করছেন। কোথাও কোনও রকম সমস্যা নেই। সকলের একটাই লক্ষ্য কত বেশি মার্জিনে প্রার্থীদের জয় করা যায়।” কিন্তু প্রার্থীর এই মন্তব্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্র আলাদা, ঠিক এমনটাই মনে করছে বিজেপি। 

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপন জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। জয়নগর (South 24 Parganas) জেলার বিজেপির মুখপাত্র সঞ্জয় নায়েক বলেন, “গোসবায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সকলেই অবগত। ভাগ নিয়ে ওদের গোলমাল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবনতলা থানার মাঠের দিঘী এলাকা। মাঠের দিঘী এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক মারধর করে। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও জবাব দেয়। ফলে মারামারিতে আহত হয়েছেন দুপক্ষের মোট সাতজন। যাঁদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলে দাবি করা হয়েছে দলের তরফ থেকে। এই রাজ্যে মোট ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জয়নগর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরদারের অভিযোগ করে বলেন, “সরকারি অনুমতি নিয়ে ওই এলাকায় একটি কর্মী সভার করা পরিকল্পনা করছিল আমাদের দলের কর্মীরাই। আর সেখানেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। প্রশাসনকে বারবার জানালে দুষ্কৃতীদের আক্রমণ থেকে উদ্ধার করতে আসেনি পুলিশ। কোনও ভাবেই আহত দলীয় কর্মীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি তাঁরা।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে ফের সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, জখম বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পুলিশ সূত্রে খবর (South 24 Parganas)

    স্থানীয় (South 24 Parganas) ও পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল-বিজেপি গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে শনিবার সকালে। আর সেই ঘটনায় আহত হয়েছে মোট সাতজন। ক্যানিং হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বিজেপির দুই কর্মীকে। যাঁদের মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক মন্ডল সভাপতির অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে তৃণমূলের দুজনকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক রামকুমার মন্ডল এর নেতৃত্বে ব্যাপক পুলিশ যায় ওই এলাকায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে তৃণমূলের ক্যানিং (South 24 Parganas) পূর্বকেন্দ্রের বিধায়ক শওকাত মোল্লা বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যখন ফিরছিলেন, তখনই বিজেপির লোকজন তাঁদেরকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে। সেই থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। ঘটনায় আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন, ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কী কারণে ঘটনাটা ঘটেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “জল নেই, রাস্তাঘাট নেই, ভোট চাইতে এসেছেন?” সোনারপুরে তোপের মুখে সায়নী

    South 24 Parganas: “জল নেই, রাস্তাঘাট নেই, ভোট চাইতে এসেছেন?” সোনারপুরে তোপের মুখে সায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রাস্তা, পানীয় জল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে এলাকার মহিলাদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। মহিলারা সায়নীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ভোটই দেব না, ভোট দিয়েও এলাকার উন্নয়নের জন্য লাভ হয় না।” একই ভাবে সমালোচনা করেছে বিজেপি। যুবনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ (South 24 Parganas)

    যাদবপুর লোকসভা (South 24 Parganas) কেন্দ্রের মানুষ অভিযোগ করে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে বলেন, “এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, রাস্তাঘাট ভালো নেই, নিকাশি ব্যবস্থা নেই, ড্রেন ঠিকঠাক নেই। পুরসভাকে বারে বারে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। এখন ভোট চাইতে এসেছেন? কোনও দলকে ভোট দেব না।” সায়নী ঘোষের প্রচারের সময় তাঁর মুখের সামনে দাঁড়িয়ে সোনারপুর রাজপুর পৌরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা এমন ভাবেই আক্রমণ করলেন।

    সায়নীর বক্তব্য

    সোনারপুর এলাকার (South 24 Parganas) মহিলাদের ওই প্রতিবাদ এবং ক্ষোভের কথা শুনে প্রথমে কিছুক্ষণ চুপ করে ছিলেন। এরপর তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ (Sayoni Ghosh) বলেন, “জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, রাস্তা করা হচ্ছে, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। ড্রেন পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। মানুষের পাশে তৃণমূল আছে থাকবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ধরনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল নিজেদের কথা নিজেরাই প্রকাশ করছে বলে মনে করছেন যাদবপুর লোকসভার বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “এলাকার মানুষের বক্তব্য যথার্থ, তিনি তা সমর্থন করেন। কারণ আগে যিনি সাংসদ ছিলেন, তিনি এলাকায় আসেননি, এলাকা ঘুরেও দেখেননি, এলাকার মানুষদের অভাব-অভিযোগ কখনও তিনি উপলব্ধি করেননি। তাই আজ চোখের সামনে সাধারণ মানুষের এই কথাগুলো শুনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই, কাজ না করলে শুনতে তো হবেই। মানুষ তো আর চুপচাপ বসে থাকবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিজেপি-র সক্রিয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম নিমাই হালদার। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত।

    আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মী নিমাইবাবুর নেতৃত্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) কৃষ্ণচন্দ্রপুর বুথে ২৫০ ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছিল। আহত নিমাই হালদারের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বুথে বিজেপি লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে নিমাইবাবুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আর এতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তাঁর ওপর রাগ ছিল। আর তাই, গত সোমবার সামান্য বিষয় নিয়ে তৃণমূল কর্মী মধু ঘোষের সঙ্গে নিমাই হালদারের বচসা বাধে। এরপরই মধু ঘোষের ছেলে নন্দন ঘোষ সহ আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক পেটায়। গুরুতর জখম বিজেপি কর্মীকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জখম ওই বিজেপি কর্মী নিমাই হালদারের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করতে যান মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত। তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত বলেন, বিজেপি বুথে ভাল ফল করেছে বলে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় অস্বীকার করেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপি হালদার। তিনি বলেন,পারিবারিক গন্ডগোল কে বিজেপি রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তাঁকে মারধর করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আটমনোহরপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই ভোটের মুখে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আট মনোহরপুর গ্রামে মঙ্গলবার দোল উৎসব চলছিল। ঠিক সেই সময় বক্স বাজানো কে কেন্দ্র করে এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। এরপরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাস, রড নিয়ে  বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরই জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দোল উৎসব চলাকালীন উচ্চস্বরে বক্স বাজানোয় এলাকার এক বাসিন্দা প্রতিবাদ করলে  দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়  কুলপি থানার পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় কুলপি ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বপন দাস বলেন,  কুলপি ব্লকে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। তিনি এও জানান, আগামী দিনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবো। কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারণ ভোটের আগে কোন ইস্যু নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি-র কর্মিসভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি-র কর্মিসভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিজেপির কর্মিসভায় তৃণমূলের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায়। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরে, বিজেপি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তাতে জখম হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    সরকারি অনুমতি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায় বিজেপি-র কর্মিসভা হচ্ছিল। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। বিজেপির দাবি, পুলিশকে হামলার কথা জানানো হয়। তা সত্ত্বেও আহত দলীয় কর্মীদের উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ভোটের আগে এই অশান্তিকে কেন্দ্র করে থমথমে জীবনতলা থানার মাঠেরদিঘি এলাকা। বিজেপির হাতাহাতিতে জখম দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই দাবি। ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিজেপির দুই কর্মীকে। যাঁদের মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক মণ্ডল সভাপতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রামকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার (South 24 Parganas) সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, দলীয় কর্মিসভায় তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কর্মীরা জখম হন। সন্ত্রাস করে সব কিছু শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তৃণমূলের ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপির লোকজনেরা কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে। তা থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অশান্তির জেরে আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘তৃণমূলের কিছু নেতার মদতেই আটকে রাখা হয়েছে বাবাকে’, সরব আরাবুল পুত্র

    South 24 Parganas: ‘তৃণমূলের কিছু নেতার মদতেই আটকে রাখা হয়েছে বাবাকে’, সরব আরাবুল পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গিয়েছে। শাসক থেকে বিরোধী প্রায় সব পক্ষের প্রার্থীরা জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়। আর সেই ভাঙড়ের তৃণমূলের ভোট মেশিনারির হোতা আরাবুল ইসলাম এবার রাজনৈতিক ময়দানে নেই। তিনি বর্তমানে বারুইপুর জেলে কারাবন্দি। তাঁর মুক্তির দাবিতে কোর্ট চত্বরে রাস্তায় গড়াগড়ি খেয়ে মানত করলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে আরাবুলের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। আরবুলের জেলবন্দির জন্য তৃণমূলের একাংশকে দায়ী করা হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

    তৃণমূলের কিছু নেতার মদতেই আটকে রাখা হয়েছে আরাবুলকে! (South 24 Parganas)

    গত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) এই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন আইএসএফ। একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ভাঙড় পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনায় ৮ই ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। জামিন পাওয়া তো দুরস্ত তাঁকে একের পর এক কেসে ট‍্যাগ করে কখনও পুলিশ হেফাজত তো আবার কখনও জেল হেফাজতে রাখা হচ্ছে। এই আবহে ভোট ময়দানে নেই ভাঙড়ের তাজা নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর অনুগামী থেকে সাধারণ কর্মী সমর্থকেরা কার্যত মুষড়ে পড়েছেন। আরাবুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী। পাশাপাশি ভাঙড় জেলা পরিষদের সদস্য তথা আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলাম বলেন, তৃণমূলের কিছু নেতার মদতে বাবাকে (আরাবুল) আটকে রাখা হয়েছে। তবে, বেশিদিন আটকে রাখা যাবে না। সত্য সামনে আসবেই। দলের অন্য কর্মীরাও এই একই বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    আদালতে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ

    এবার একেবারে বারুইপুর কোর্ট চত্বরে আরাবুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ভাঙড়ের বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য দীলিপ পাত্র সহ তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য,  “দাদাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দাদার মুক্তির জন্য ঠাকুরের কাছে মানত করেছি।” যদিও এ বিষয়ে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা বলেন, “এটা বিচারাধীন বিষয়। আমার কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক”, এ কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা!

    South 24 Parganas: “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক”, এ কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক’ বললেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্ব বিধানসভায় জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের জনসভা থেকে তিনি এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যবাসীও হতবাক।

    ঠিক কী বলেছেন শওকত? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্ব বিধানসভায় জয়নগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক। বিচারপতির আসন থেকে যেভাবে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাতে মানুষের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যেতে বাধ্য। আর নিজেকে চন্দ্রবোড়ার থেকে বেশি বিষধর বলছেন। সেই বিষধর সাপকে কীভাবে ঝাঁপিতে ভরে ফেলতে হয় সেটা জানা আছে তৃণমূলের।” নাম করেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,”অভিজিৎ গাঙ্গুলি যতই বড় চন্দ্রবোড়া বা কেউটে হোক, তাঁকে ঝাঁপিতে ভরে ফেলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়রা। তিনি নিজেকে যতই বিষধর সাপ ভাবুন, মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার থেকে বড় ওঝা। ওনাকে কীভাবে ঝাঁপিতে পুরে ফেলতে হবে সেটা জানা আছে। আর তমলুকে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ওখানে লেজেগোবরে করে ফেলেছেন।”

    আরও পড়ুন: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    নওশাদকে কটাক্ষ করলেন শওকত

    এদিন নওশাদকে আরও একবার কটাক্ষ করেন করেন শওকত। বিজেপিকে পিছনের দরজা দিয়ে এ রাজ্যে ঢোকানোর পথ মজবুত করছে নওশাদরা। পাশাপাশি, এদিনের মঞ্চ থেকে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে আরও একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শওকত মোল্লা, প্রতিমা মণ্ডলরা। মানুষকে ভয় দেখিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু, তাদের সেই চক্রান্ত সফল হবে না বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। রাজ্যের মধ্যে ডায়মন্ড হারবারের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক মার্জিনে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল জয়লাভ করবে বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্বের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration scam: কাকদ্বীপে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার সময় ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা, মিলল তৃণমূল যোগ

    Ration scam: কাকদ্বীপে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার সময় ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা, মিলল তৃণমূল যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাচারের অভিযোগ তুলে প্রায় দুশো বস্তা রেশন (Ration scam) সামগ্রী হাতেনাতে ধরলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় আটক ২। রেশন সামগ্রী ধরার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার বাপুজি দশ নম্বর চ্যাটার্জিচক এলাকায়। উল্লেখ্য, রাজ্যে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। একই দুর্নীতির মামলায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ যোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে পাকড়াও হল (Ration scam)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোডাউন থেকে ভ্যান বোঝাই রেশন (Ration scam) সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি ভ্যান খারাপ হয়ে যায়। তা দেখেই এলাকার বাসিন্দা দীননাথ নাইয়ার সন্দেহ হয়। এপপর তিনি এবং আরও গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে জানতে চান, ভ্যানে মাল কীসের? বস্তা বোঝাই সামগ্রীর সাথে থাকা লোকজন জানায় এই মাল রেশন সামগ্রী, এক গোডাউন থেকে অন্য গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়, এগুলি পাচার করা হচ্ছে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকাবাসী সুস্মিতা হালদার অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ওই রেশন ডিলার আমাদের কোনও রেশন (Ration scam) দিচ্ছে না। ফলে এই রেশন সামগ্রীগুলো এল কোথা থেকে? গত লক ডাউনের পরবর্তী সময় থেকেই আমাদের প্রাপ্য রেশনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই আজকে আমরা আটক করে প্রতিবাদ জানালাম।” এরপরেই রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে এলাকার মানুষ মালবোঝাই ভ্যান আটক করে খবর দেয় কোস্টাল থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মাল বোঝাই ভ্যান সহ দুজনকে আটক করে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে জানা যায়, রেশন ডিলার দীননাথ নাইয়া বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ফলে এলাকার মানুষের দাবি, শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে এই দুর্নীতিতে।

    বিজপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এলাকার বিজেপি নেতা সুদীপ হালদার বলেন, “এলাকায় বহুদিন ধরে চাল-গম দিচ্ছিল না রেশন ডিলার। আর রাস্তা দিয়ে রেশন নিয়ে যেতেই সাধারণ মানুষ ধরে ফেলে। তৃণমূলের নেতা এই রেশন পাচারের (Ration scam) সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত করলেই মাথা খুঁজে পাওয়া যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। জবকার্ড উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রাপ্য টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। এবার সেই টাকা থেকেও ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার  উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ- প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অসিত হালদার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আফসানা বিবির জবকার্ড রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরই তাঁর কাছে কাটমানি চাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্বামী ইসরাফিল মোল্লার। তাঁর অভিযোগ, শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুমনা হালদারের স্বামী তৃণমূল নেতা অসিত হালদারের বিরুদ্ধে। ইসরাফিল স্থানীয় উস্তি থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের পাঠানো ৩২৬৪ টাকা জমা পড়ার পরই ২ হাজার টাকা চান উপপ্রধানের স্বামী অসিত হালদার। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর ও প্রাণে মারার হুমকি দেন অসিত। পুলিশের কাছে যথাযথ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছি। কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি জব কার্ড হোল্ডারের তালিকায় ওই তৃণমূল নেতার এবং উপ প্রধানের নাম রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অসিত হালদার বলেন, যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে ছিল আমি শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নিজের পকেট থেকে ধার দিয়েছি। এখন রাজ্য সরকার সেই টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের দেওয়ায় আমার পাওনা টাকাই চেয়েছি। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। একইসঙ্গে দলের স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছি আমরা। জবকার্ডে নাম নিয়ে তিনি বলেন, তালিকা তৈরির সময় আমার স্ত্রী উপপ্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন পঞ্চায়েতের একজন সাধারণ সদস্য মাত্র। তাই তখন থেকেই আমাদের নামেও জব কার্ড রয়েছে। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। এ বিষয়ে মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, “যদি ওই উপপ্রধানের স্বামী অন্যায় কিছু করে থাকেন তবে দল নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না”।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share