Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করবে। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে একটি দুর্গামণ্ডপে (Durga Puja) গিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে আরজি করকাণ্ড থেকে জয়নগরে নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি।

    নতুন সরকার গঠনের কী কৌশল বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন কীভাবে হবে, তাও বললেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় ৭০ ভাগ হিন্দু। আরও তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা একটা সরকার গড়ব, যে সরকার সুশাসন দেবে, সুরক্ষা দেবে। আমাদের কোনও ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা নেই। কারও বিরোধিতা নেই।” জয়নগরের নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন না করা পর্যন্ত আমাদের কোনও দিদি, বোন, কেউ সুরক্ষিত নয়। সব জায়গায় অভিযুক্তরা তৃণমূলের লোক।”জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন চলে আন্দোলনকারীদের। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “জ্যোতিবাবুর আমলে সিপিএম যা করেছিল, এখন তৃণমূল একই কাজ করছে। সিপিএম ও তৃণমূল এক। কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ।”

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

    আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে ধর্ষণ ও খুনে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনটে পার্টে সিবিআই কাজ করছে। ধর্ষণ ও খুন, প্রমাণ লোপাট ও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি। ৬০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট না দিলে ধৃত জামিন পেয়ে যেত। এরপর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে।” সিবিআইয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করার ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই ভালো কাজ করছে। আমরা তাদের ওপর ভরসা রাখছি। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সিবিআই যেন কড়া ব্যবস্থা নেয়, এটাই আমাদের দাবি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengali Language: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    Bengali Language: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের শুরুতেই বাঙালিদের জন্য পুজোর উপহার দিল মোদি সরকার। বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার (Bengali Language) তকমা দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সাহিত্য অ্যাকাডেমি নিয়ন্ত্রণাধীন ভাষা বিশেষজ্ঞ কমিটি (Linguistics Experts Committee) গত ২৫ জুলাইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা-সহ মোট পাঁচটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার (Classical language) মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজোর মুখে সেই কথা জানাল কেন্দ্র। 

    কোন কোন ভাষা ধ্রুপদী ভাষা

    এবার মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমিয়ার সঙ্গে বাংলাকেও ‘ক্ল্যাসিক্যাল’ ভাষার (Bengali Language) মর্যাদা দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ফলে এই তালিকায় জায়গায় পাওয়া ভাষার সংখ্য়া দাঁড়াল ১১। যা আগে ছিল ৬। আগে এই তালিকায় ছিল তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম এবং ওড়িয়া। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ধ্রুপদী ভাষা কী

    কোনও ভাষার (Bengali Language) ইতিহাস বা প্রাপ্ত নথির বয়স যদি ১,৫০০ থেকে ২০০০ বছর হয়, আদি ভাষা এবং সাহিত্যের সঙ্গে বর্তমানের ভাষা এবং সাহিত্যের ফারাক যদি স্পষ্ট হয়, তবেই সেই ভাষাকে ধ্রুপদীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ধ্রুপদী ভাষার (Classical language) বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতের জন্য তিনটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রেও এধরনের পদক্ষেপের সুযোগ থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রথম ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল তামিল। 

    ধ্রুপদী মর্যাদা পাওয়ার ফলে কোন কোন সুবিধা 

    এই স্বীকৃতি পেলে সেই ভাষা (Classical language) নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেয় কেন্দ্র। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা বিভাগ বা কেন্দ্র গঠন করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেই ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। ধ্রুপদী ভাষার (Bengali Language)  মর্যাদা পেলে তাতে লেখা প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, শিলালিপি, এবং দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগী হওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই স্বীকৃতি প্রাপ্ত ভাষাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ বৃদ্ধি পায়। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার ফলে বাংলার সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদদের জন্য বিশেষ পুরস্কার ও সম্মাননার ব্যবস্থাও করা হবে। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদার কারণে পেশাদারী ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহারিক প্রয়োগ আরও যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে কর্মসংস্থান এবং আর্থিক লাভের সম্ভাবনা হবে বলেও কেন্দ্র সরকারের দাবি।

    ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’, প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    বাংলা (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার (Classical language) তকমা পাওয়ায় খুশির হাওয়া সর্বত্র। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আপামর বাঙালিকে পুজোর আগে বিশেষ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি যারা বাংলায় কথা বলেন তাঁদের কাছে পুজোর সেরা উপহার। এই স্বীকৃতির ফলে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেবে কেন্দ্রীয় সরকার, এর ফলে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, শিলালিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।’’

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, বাঙালিদের জন্য এটা ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’। তিনি বলেন, ‘‘সমগ্র রাষ্ট্রের দরবারে বাংলা ভাষাকে অন্যতম ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সুদীর্ঘকাল ধরে প্রতিটি বাঙালির মাতৃভাষাকে ঘিরে যে স্বপ্ন, তা আজ পূরণ হল প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে।’’ একটি ‘স্ক্রিনশট’ও তিনি শেয়ার করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম, ওড়িয়ার সঙ্গে ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় জুড়ল বাংলা, মরাঠি, পালি, অহমিয়া এবং প্রাকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত ৯ মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে নিহত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

    নিহত মৎস্যজীবীদের পাশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর এফবি বাবা গোবিন্দ নামক একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারে মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ৮ জন বেঁচে ফিরলেও বাকি ৯ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। আর সেই মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টি নেবে। বেশ কিছু মৎস্যজীবী পরিবার এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে আমি জানতে পারলাম। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।” তিনি আরও বলেন, “বার্ধক্য ভাতার বেশিরভাগ টাকাই পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার, তারপরেও রাজ্য সরকার নিজেদের নাম দিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যে প্রচার করে। আমি এখানে এসেছি কোনও রাজনীতি করতে নয়, কোনও পতাকা নিয়ে আসিনি। রাজ্যের যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।”

    তৃণমূলকে তুলোধনা

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে আসার সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আমি চিনি তাঁকে। আমি বলেছি আগে পঞ্চায়েতে জলের ব্যবস্থা করতে তারপর বড় বড় কথা বলতে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই মৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেনি। সব সময় মথুরাপুরের বিজেপি নেতৃত্বদের মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে দমানোর চেষ্টা করেছে। গুন্ডাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মানুষকে হেনস্থা ছাড়া তৃণমূল আর কিছুই করতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা। জন-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহরে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে এই আন্দোলনে। এই আবহে লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি (BJP)। আরজি কর ইস্যুতে নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে, তার পরের দিনই বনধ ডাকে গেরুয়া শিবির। ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় বিজেপির ডাকা বনধে। এই অবস্থায় সংগঠনের পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    পুজো মিটলেই ফের বাড়বে আন্দোলনের ঝাঁঝ (BJP) 

    সূত্রের খবর, আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির (BJP) আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে চলেছে। পুজো মিটলেই আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। কারণ আরজি কর ইস্যুতে মানুষের মধ্যে সরকার বিরোধী ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি জেপি নাড্ডার সামনে আরজি করের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ?

    এর পাশাপাশি চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় (BJP) অমিত শাহের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার রাতের এই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসেছিলেন অমিত শাহ। জেপি নাড্ডার বাসভবনেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আরজিকর কাণ্ডে পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সন্ত্রাস থেকে দুর্নীতি ইস্যু তো রয়েছেই, তার সঙ্গে নতুন করে মমতা সরকারের গলার কাঁটা হয়েছে আরজি কর। এরপর ২৬ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে এখন থেকেই সেই ভোটকে পাখির চোখ করতে শুরু করে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে হচ্ছিল মশাল মিছিল। রবিবার মিছিল করছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাদবপুরে একটি মিছিল থেকে হঠাৎই কেউ বা কারা স্লোগান দেয় ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ (Kashmir Mange Azadi Slogan)। ঘটনায় বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “অতি বামেরা মূল আন্দোলনকে (আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন) হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। সেটা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। কারণ তারা জানে, এই স্লোগানগুলো উঠলে সাধারণ মানুষ আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে।” তিনি বলেন, “কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আজাদি চায় না। তারা ভারতবর্ষকে নিয়ে খুশি আছে। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিল। এরা সামনে বামপন্থী, পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক।”

    তোপ শুভেন্দুরও

    ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “পুলিশ তো এ নিয়ে কিছুই করবে না। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান তোলে। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাষ করা। মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে দেশবিরোধী-রাষ্ট্রদ্রোহীদের লালন-পালন করছেন। এই কাজের সঙ্গে তাঁর দলেরও একটা অংশ যুক্ত রয়েছে। এটা আসলে দেশের মধ্যে আর (Kashmir Mange Azadi Slogan) একটা দেশ তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে (BJP)।”

    ডাক্তাররা চুপ কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    বিজেপি (BJP) নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে ডাক্তাররা চুপ কেন, তা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রতিবাদের মিছিল থেকে আজাদি স্লোগান উঠলেও ডাক্তারবাবুরা কথা বলেন না কেন? তাঁরা বিভিন্ন সময় প্রেস কনফারেন্স করেন, মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করে তার ডিটেইল্স সবাইকে দেন। তাঁদের অরাজনৈতিক মিছিলে বামপন্থী এবং অতি বাম ছাড়া সবাই ব্রাত্য সেটাও তারা বুঝিয়ে দেন। ভালো কথা, কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দিয়ে যে স্লোগান (Kashmir Mange Azadi Slogan) ওঠে সেই স্লোগানের বিপক্ষে একটা কথাও জুনিয়র ডাক্তারদের বলতে শোনা গেল না কেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য।” ১ অক্টোবর ডাক্তারদের মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ যদি যেচে (Mamata Banerjee) চড় খেতে চায়, তো খাবে। সুপ্রিম কোর্ট তো আগেই বলে দিয়েছিল, ডাক্তারদের কেন, যে কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দিতে পারবে না সরকার।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এর আগে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানও আটকাতে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা শোনেইনি। ডিভিশন বেঞ্চও তো তা গ্রাহ্য করেনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার এসব করতে যায়। যদি লেগে যায়। ফাটকা খেলতে যায় আর কি!” তৃণমূল সুপ্রিমোকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আরজি কর, সাগর দত্ত, তারপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের ওপর নিগ্রহ হয়েছে। সব সমস্যার মূলে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ওঁকে প্রাক্তন করা না হলে, কোনও সমস্যা মিটবে না। কারণ পুলিশের যে কাজ করার কথা, সেটা তারা করে না। পুলিশ দলের কাজ করে, টাকা তোলে।”

    মিছিলের ডাক চিকিৎসকদের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ, ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের ৫৫টি সংগঠন। উদ্যোক্তা জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও, পুলিশ তা দেয়নি। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উদ্যোক্তারা।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরেই আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন (Mamata Banerjee)।” আদালতের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গেই ‘যেচে চড়’ খাওয়ার উপমা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

       

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়। সমবায় ভোটে বিপুল জয়ে উড়ল গেরুয়া আবির। সমবায় সমিতি নির্বাচনে দিশেহারা কার্যত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হারলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানসহ প্রার্থীরা।

    ৯টি আসনেই জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি। নন্দীগ্রাম সমবায় সমিতি নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই জয়লাভ করেন বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া আবিরে জয় উদযাপন করতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি নির্বাচন ছিল রবিবার। সমবায় সমিতি নির্বাচনে উত্তেজনা ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমবায় সমিতিতে ন’টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়। পালটা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ন’টি আসনে প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে সমবায় সমিতি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। বিকেলে ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জয়লাভ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সুপর্ণা পণ্ডা পরাজিত হন। তার পরে উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) জেলা কমিটির সদস্য সুপর্ণা পড়্যা বলেন, “৯টি আসনের (Nandigram) ৯টিই বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন। আমরা মনোনয়নের দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে এখানে বিরোধী শূন্য করব। কারণ, এই মাটি আমাদের বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনও জায়গা নেই।” তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এটা তো অরাজনৈতিক নির্বাচন। এখানে তো রাজনৈতিক কোনও প্রতীক থাকে না। আর এই সমবায়ের মধ্যে যে বুথগুলি পড়ে ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপি (BJP)। সুতরাং এখানে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে তৃণমূলের থেকে। তবে এই নির্বাচনের রায় আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। মহম্মদপুর সমবায় সমিতি একটা ঐতিহ্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, তা রক্ষার দায়িত্ব মানুষ ওদের দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রতিবাদী হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে তদন্তকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে পুলিশ— এই দাবিতে পুলিশমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে লালবাজার ও স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল বিজেপি। এবার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “তিলোত্তমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এক জায়গায়, আর তারপর দেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে অন্য স্থানে।” শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, বদলে দেওয়া হয় রক্তের নমুনা, পোশাক। নষ্ট করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ।

    ‘বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ’ (RG Kar Case)

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সিবিআই-এর পেশ করা রিপোর্টে প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা জানায় এই হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) বৃহৎ ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, চিকিৎসক তরুণীর নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিরাট মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “উত্তরপ্রদেশে একটা ঘটনা এলে যোগীজি কী করেন দেখতে পাচ্ছেন। অসমেও এমন ঘটনার যোগ্য দৃষ্টান্ত পেয়েছি। পুকুরে চুবিয়ে চুবিয়ে জল খাইয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রে আমাদের সরকার, বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ। আর একটা অদ্ভুত রাজ্যে আমরা বাস করি যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের সুরক্ষা নেই। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ডাক্তার বোনকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়।”

    আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    ‘ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি

    একই ভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “কী অদ্ভুত, ঘটনায় (RG Kar Case) অভিযুক্ত হিসেবে গ্রফতার একজন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তারক্ষী সিভিক ভলান্টিয়ার। তার সঙ্গে জেলে রয়েছেন টালা থানার ওসি এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রক্ষকের হাতেই শিকার হচ্ছেন এই রাজ্যের মহিলারা। ভাবতে পারেন আপনারা আক্রান্ত হলে কোথায় যাবেন? থানায় নিশ্চই, অথচ থানার ওসি নিজেই মামলায় অভিযুক্ত। আরজি করের ঘটনা নজিরবিহীন, বিরল থেকে বিরলতম। সিবিআইয়ের রিপোর্ট পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত ডিস্টার্ব’। ভাবুন রিপোর্টে কী আছে। আমি বলছি, একটা ঘরে অত্যাচার হয়েছে আর অন্যঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ রাখা হয়েছে। জামা কাপড় বদলে দেওয়া হয়েছে। রক্তের নমুনা বদলে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    RG Kar Case: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে বার বার হুঁশিয়ারি স্বরূপ হুমকি দিচ্ছেন ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক। প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন হলে এই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ককে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।” আবার এই তৃণমূল বিধায়কের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের এই তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের বিরুদ্ধে, ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন আইএমএ-এর যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য। সোমবার অভয়া হত্যা মামলা ফের দেশের শীর্ষ আদালতে উঠতে পারে, যাতে নজর রয়েছে গোটা দেশের।

    কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই হচ্ছে

    রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “এই তৃণমূল নেতা সব সময় এমন বিতর্কিত কথা বলে থাকেন। ইউসুফ পাঠানকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী করেছিলেন, তখনও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। আসলে উনি এমনটা করেন বাজার গরম করে রাখার জন্য। প্রচারে থাকতে চান সব সময়। তাই ওঁদের নিয়ে কোনও কথা বলাই উচিত নয়। আরজি কর (RG Kar Case), সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা ঘটছে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। যতদিন তিনি থাকবেন পরিস্থিতির বদল হবে না।”

    মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব (RG Kar Case)

    কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তারকে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গত ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে, জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, গবেষক, অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন। মেয়েরা রাত দখলে নেমেছেন। সুবিচারের দাবিতে এই আন্দোলন ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এই গণআন্দোলনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “আমরা আইন তৈরি করি। কোনটা আইনসঙ্গত এবং কোনটা বেআইনি, সবটাই ভালো করে জানি। কারও জন্য যদি জেলে যেতে হয়, তাহলে জামিন পেয়ে ৫০ হাজার লোক নিয়ে জমায়েত করব। অপরাধ না করে যদি শাস্তি পাই, তবে ফিরে এসে অপরাধ করতে কুণ্ঠাবোধ করব না। সংখ্যায় যদি বিচার করেন, তা হলে দেখতে পাবেন, ওঁরা সারা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার। সব চিকিৎসক মিলিয়ে সর্ব মোট মাত্র চুরানব্বই হাজার। আমরা তিন কোটি তৃণমূল কর্মী। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব। তাতে আমার যা হওয়ার হোক।”

    আরও পড়ুনঃ মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    আইন নিজেদের হাতে নিতে উস্কানি দিচ্ছেন

    এরপর তৃণমূল বিধায়কের (Humayun Kabir) এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে রঞ্জন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, আরজি কর (RG Kar Case) মামলায় ১৬, ১৭ এবং ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার এবং ভয়মুক্ত পরিবেশের কথা বলেছেন। কিন্তু শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা বার বার হুমকি দিচ্ছেন। আইন নিজেদের হাতে নিতে উস্কানি দিচ্ছেন। ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আদালতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রোমোটারের থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের স্কোয়ারফুট পিছু ৮০ টাকা চেয়ে দর কষাকষি করার অভিযোগ উঠেছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কাউন্সিলরের দরাদরির এমনই মারাত্মক ভিডিও প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ভিডিওতে কী রয়েছে? (Suvendu Adhikari)

    কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শ্রীমতি ছন্দা সরকার কেউ বা কাদের সঙ্গে কথা বলছেন। “আমাকে ৮০ টাকা করে দিলেই হয়ে যাবে। সিন্ডিকেটের থেকেও আবার আছে। জমিটার তো হিসেব আছে। ওটা ধরলেই তো বেরিয়ে যাবে। টোটাল জমিটার ওপরে।” এমনই কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় ছন্দা সরকারকে। যদিও সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও পোস্ট করে কী লিখেছেন?

    “তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান! দুর্নীতি এবং এদের নেতা-নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক “স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর”কে চিনে রাখুন। ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সঙ্গে রফা করছেন।”

     

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    যদিও এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকার বলেন, “ওদের নোংরামো ওদের কাছেই রাখতে দিন। আমি অন্তত কোনও দিন এরকম নোংরামি করিনি আর করিও না। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমার সামনে যেন এসে বলে। পায়ের জুতো খুলে কী করে মারতে হয়ে, তাও জানি। তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অনেক কামিয়ে গিয়েছেন। এখানেও কিছু চামচা বিজেপি আছে তারাই ওর কানে এসব দিয়েছে। সেই চামচার নাম বলতে বলুন।”

    কাউন্সিলরের বাড়িতে পুলিশ, ইডি যাবে!

    কাউন্সিলরের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি কেন ওঁর বাড়িতে যেতে যাব। ওঁর বাড়িতে তো পুলিশ যাবে, ইডি যাবে। উনি মামলা করুন। আমিও বলব ভিডিও ফরেন্সিকে পাঠাতে। ওঁর গলা থেকে কাকুর মতো ভয়েজ স্যাম্পেল নিতে। এরপর যদি ভুল প্রমাণ হয়, আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share