Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রোমোটারের থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের স্কোয়ারফুট পিছু ৮০ টাকা চেয়ে দর কষাকষি করার অভিযোগ উঠেছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কাউন্সিলরের দরাদরির এমনই মারাত্মক ভিডিও প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ভিডিওতে কী রয়েছে? (Suvendu Adhikari)

    কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শ্রীমতি ছন্দা সরকার কেউ বা কাদের সঙ্গে কথা বলছেন। “আমাকে ৮০ টাকা করে দিলেই হয়ে যাবে। সিন্ডিকেটের থেকেও আবার আছে। জমিটার তো হিসেব আছে। ওটা ধরলেই তো বেরিয়ে যাবে। টোটাল জমিটার ওপরে।” এমনই কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় ছন্দা সরকারকে। যদিও সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও পোস্ট করে কী লিখেছেন?

    “তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান! দুর্নীতি এবং এদের নেতা-নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক “স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর”কে চিনে রাখুন। ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সঙ্গে রফা করছেন।”

     

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    যদিও এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকার বলেন, “ওদের নোংরামো ওদের কাছেই রাখতে দিন। আমি অন্তত কোনও দিন এরকম নোংরামি করিনি আর করিও না। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমার সামনে যেন এসে বলে। পায়ের জুতো খুলে কী করে মারতে হয়ে, তাও জানি। তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অনেক কামিয়ে গিয়েছেন। এখানেও কিছু চামচা বিজেপি আছে তারাই ওর কানে এসব দিয়েছে। সেই চামচার নাম বলতে বলুন।”

    কাউন্সিলরের বাড়িতে পুলিশ, ইডি যাবে!

    কাউন্সিলরের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি কেন ওঁর বাড়িতে যেতে যাব। ওঁর বাড়িতে তো পুলিশ যাবে, ইডি যাবে। উনি মামলা করুন। আমিও বলব ভিডিও ফরেন্সিকে পাঠাতে। ওঁর গলা থেকে কাকুর মতো ভয়েজ স্যাম্পেল নিতে। এরপর যদি ভুল প্রমাণ হয়, আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপিকে (BJP) ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” বুধবার বিকেলে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিজেপির তরফে ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই উপলক্ষেই হাজরায় ছিল সভা। সেই সভায়ই তৃণমূলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। বলেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিজেপি যেভাবে আন্দোলন সংগঠিত করেছে, তা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব আতঙ্কিত”।

    বিজেপির দাবি (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু বলেন, “দফা এক, দাবি এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই দাবিকে সামনে রেখেই আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলনকেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে বলেই তারা জানে বিজেপিকে আটকাতে হবে। কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বিজেপি। মগরাহাটের প্রার্থী মানস শ-সহ আমাদের ৫৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের ৩৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন।”

    দিকে দিকে কর্মীদের আত্মবলিদান

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের পাঁচজন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন। রাজ্যের বাইরে গিয়ে তাঁদের আশ্রয় নিতে হয়েছে। তার পরেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি ও সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সামনে থেকে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা দেখে চমকে গিয়েছে তৃণমূল।” তিনি বলেন, “বিজেপিকে ওরা ভয় পেয়েছে বলেই লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। কিন্তু আমরা সমস্ত আক্রমণের মোকাবিলা করে লড়াই চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছে আগেই এই সভার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতির আবেদন জানানো হলেও, কলকাতা পুলিশ সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির। শর্ত সাপেক্ষে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার কাকুর পরিচয় দিয়ে দ্রুত ময়নাতদন্ত না করলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়না তদন্তকারী এই চিকিৎসকের দাবিকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার নির্দেশে শ্মশানে বিধায়ক, কাকুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (Suvendu Adhikari)

    এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (Suvendu Adhikari) লিখলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। দাবি করেছেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের কাকু পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’

     

    কে এই পানিহাটির কাকু?

    কালীঘাটের কাকুর পর সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক কাকুর আবির্ভাব ঘটেছে। কেউ তাঁকে বলছেন, ‘শ্মশানঘাটের কাকু’, কেউ আবার বলছেন ‘পানিহাটির কাকু’। এই কাকু আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। তাঁর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। সঞ্জীবকে ‘কাকু’ বলেই সম্বোধন করতেন নির্যাতিতা। এক সময়ে তিনি ছিলেন সিপিএমের কাউন্সিলর। তার পর ভোটে হেরে গিয়ে বেশ কয়েক বছর ‘দলহীন’। ২০১৯ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই যোগদান পর্বে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (নান্টু) এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথম জনকে আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর দ্বিতীয় জন খাদ্য দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে। সঞ্জীব পেশায় ব্যবসায়ী। বাংলার বাইরেও তাঁর ব্যবসার কাজ চলে। জানা গিয়েছে, মূলত বৈদ্যুতিক প্রকল্পে ঠিকাদারি করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?  

    জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট রাতে পানিহাটির শ্মশানঘাটে অনেকের সঙ্গে ছিলেন সঞ্জীব। যেমন ছিলেন বিধায়ক নির্মলও। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার দেহ ‘তড়িঘড়ি’ দাহ করার জন্য সেই রাতে পরিবারের উপর ‘চাপ’ তৈরি করা হয়েছিল। সঞ্জীব বলেন, “সেই সময়ে আমার এ সব কথা বলার অবস্থাই ছিল না। অত পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক, অত ছাত্রছাত্রী- আমি ময়নাতদন্ত কখন হবে কি হবে না, সে কথা বলার আমি কে? আমাকে সিবিআই ডাকলে সমস্ত বিষয়টি বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, এভাবে তিনি যে কথা রাখবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (Panskura Flood) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা। কথা দিয়েছিলেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেই কথা রাখলেন শুভেন্দু। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    টানা বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। ২০ সেপ্টেম্বর প্লাবিত পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী। বলতে থাকেন কীভাবে নিমেশের মধ্যে তাঁর দোতলা বাড়ি-ঘর সর্বস্ব জলে ভেঙে গিয়েছে। সেদিন আশ্রয়হীন দুর্গতের গামছা দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলাম। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেননি। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি সরকার নই। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেব।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পারব করব।”

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    শুভেন্দুর দেওয়া চেক পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুর্গত

    রবিবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রতিশ্রুতি মতো সেই টাকা দিয়ে যান শুভেন্দুর টিমের সদস্যরা। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশবাবু। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, এদিন কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য, বন্যা মোকবিলায় সেনার সাহায্য নিক সরকার’, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য, বন্যা মোকবিলায় সেনার সাহায্য নিক সরকার’, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জলে ভাসছে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির আরামবাগ সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে বাঁধের কোনও পরিচর্যাই করা হয়নি। এই মুহূর্তে কী করা উচিত সরকারের, সেই ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন তিনি।

    বন্যা মোকাবিলায় সেনা নামানোর বার্তা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বন্যা পরিস্থিতির জন্য সময় মতো নদীবাঁধ সংস্কার না করাকে দায়ী করেন তিনি। শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, বর্ষার আগে নদীবাঁধ সংস্কারের কোনও কাজ করেনি সেচ দফতর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য ব্যর্থ। কারণ, দেউলিয়া রাজ্য সরকারের কাছে বাঁধ সংস্কার করার মতো টাকা নেই। যার ফলে হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙে জল জনবসতিতে ঢুকে পড়ায় জনগণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর তাদের কোনও সহযোগিতা করছে না। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বার্তা, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে যেমন সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল, এখনও বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকারের তাই করা উচিত। তাহলেই বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে উদ্দেশ্য করে বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে আমি সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাইতে অনুরোধ করব। যাতে ফের বাঁধগুলিতে শক্ত করা হয়। এতে প্রাণ ও সম্পত্তিহানি এড়ানো যাবে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে যত তাড়াতাড়ি এনডিআরএফ মোতায়েন করবেন তত মঙ্গল।

    বন্যার আশঙ্কা

    এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) সৃষ্টি হতে পারে হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে বুধবার হুগলির পুড়শুড়া যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন দুর্গতরা। আর মুখ্যমন্ত্রী বন্যার জন্য ডিভিসিকে দায়ী করে নিজের সরকারের দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, ফের পথে নামছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, ফের পথে নামছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ধর্না অবস্থানের শেষ দিনের মঞ্চ থেকেই আগামীদিনে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP) একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার থেকে টানা দু’সপ্তাহ ব্যাপী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করছে পদ্ম শিবির। এদিন দমদম নাগেরবাজারে আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্ব বিক্ষোভ মিছিল হবে। একই দাবিতে এদিন নিজের খাসতালুক কাঁথিতে পথে নামতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে শুধুমাত্র আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোই নয়, আরজি করের ঘটনায় আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।

    বুধবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি বিজেপির। ‘থানা সাফাই’ অভিযানেরও ডাক দিয়েছে। ঝাঁটা আর গঙ্গাজল দিয়ে ২৩ তারিখ এই অভিযান করবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ তারিখ কালীঘাট চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার কর্মসূচির প্রথম দিন বিকেলে কাঁথির ভবতারিণী মন্দির থেকে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল শেষে পথসভাতেও বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, এদিন বিকেলেই দমদমের নাগেরবাজার থেকে সেন্ট মেরি স্কুল পর্যন্ত বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    এমনিতেই আরজি কর ইস্যুতেই প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ। এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরাও পথে থাকতে চাইছেন। এই আন্দোলন প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের এখন দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। যতদিন না পর্যন্ত এই ঘটনায় যারা জড়িত তারা কঠোর শাস্তি পাচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন ততদিন পর্যন্ত বিজেপি রাস্তায় থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতার পদত্যাগ-বিনীতের গ্রেফতারি চেয়ে আন্দোলনে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু-সুকান্ত

    BJP: মমতার পদত্যাগ-বিনীতের গ্রেফতারি চেয়ে আন্দোলনে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু-সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার বিচার চায় বিজেপি (BJP)। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়ালের গ্রেফতারিও চায়। এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্যাতিতার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলনেই থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    সরকারি মদতেই খুন! (BJP)

    এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, প্রথম দিন থেকেই নির্যাতিতার বিচার চেয়ে নিঃস্বার্থভাবেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে রয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম দিন থেকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপিই প্রথম রাজ্যপালের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিল। এমনকী, কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতিরও কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করে বিজেপি। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি মদতে এই খুন হয়েছে। পুলিশমন্ত্রী সরাসরি যুক্ত বলেও এদিন দাবি করেছে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘টালা থানার ওসির গ্রেফতারি প্রমাণ করে দিল যে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন মিথ্যার পর মিথ্যা কথা বলেছেন। টালা থানার ওসির বাড়িতে সহমর্মিতা দেখানোর জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন যাতে সিবিআইয়ের কাছে বিনীত গোয়ালের নাম না নেন অভিজিৎ মণ্ডল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা মনে করি প্রমাণ লোপাট করার জন্য ২০ জনের টিম পাঠানো হয়েছিল। এটাও একটা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা।’’

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    মমতার পদক্ষেপ থেকে সরকারি কর্মচারীরা শিক্ষা নিন

    শুভেন্দু (BJP) অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ভূমিকা পালনকারীদের জেলে পাঠানো উচিত। পৈশাচিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া শুধুমাত্র কয়েকজন আধিকারিকের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের রায়ে সকলেই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছাড়া পিন থেকে হাতি, কিছুই নড়ানো যায় না।’’ ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্যতম দায়ী বলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘মমতার পদত্যাগও যথেষ্ট নয়। গোটা বিষয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়েও উপযুক্ত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের বলব, এই অধ্যায় থেকে অনুগ্রহ করে শিক্ষা নিতে। কেন না সময় এলে, নিজেকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মচারীদের বলিদানের ভেড়া মনে করে ফিরেই তাকাবেন না। সে কারণে সংবিধানের বর্ণিত নির্দেশিকা, আইন মেনে ন্যায়পরায়ণ থেকেই দায়িত্ব পালন করুন।’’

    বাংলার মানুষের কাছে হেরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

    রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘শুধু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নয়, শহর-গ্রাম-মফস্বলে যে ন্যায়বিচার চেয়ে আন্দোলন চলছে। তার চাপে পড়ে কিছু ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ কোটি মানুষের আন্দোলনে তিনি ভয় পেয়ে পদক্ষেপ করেছেন। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’’ সুকান্ত বলেন, ‘‘যতক্ষণ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না হচ্ছে ততক্ষণ বিশ্বাস নেই। টালা থানার প্রাক্তন ওসি তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার। বিনীত গোয়েল আগে সিবিআইয়ে ভরসা রেখেছিলেন। বলেছিলেন, সিবিআই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রমাণ পেলে পদক্ষেপ করুক। ফলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটকারীদের কাউকে সরালে হবে না। শাস্তি দিতে হবে। বিনীতকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে হবে না। তাঁকে জেলে যেতে হবে বলে মনে করি।’’ সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘কয়েকজন স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও সরানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে তিনি বাংলার মানুষের কাছে হেরে গেলেন। ঘুণ ধরা ব্যবস্থা তিনিই তৈরি করেছেন। সরকারি কর্মচারীরা আনন্দে বলির পাঁঠা হচ্ছেন। বাংলার মানুষ বলির পাঁঠা হতে চান না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: ধর্না শেষ, লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি, নবান্ন অভিযানের ডাক মিঠুনের

    BJP Dharna: ধর্না শেষ, লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি, নবান্ন অভিযানের ডাক মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির (BJP Dharna) ধর্না কর্মসূচি শেষ হলেও আন্দোলনের ময়দান ছাড়ছে না বিজেপি। মাঝে একটা দিন বাদ। ১৮ তারিখ থেকে ফের পথে নামছে বঙ্গ গেরুয়া ব্রিগেড। জানা গিয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তার কর্মসূচিকে পুজোর মুখ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

    বিজেপির লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা (BJP Dharna)

    ২৯ অগাস্ট থেকে ধর্না (BJP Dharna) কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি। ধর্মতলায় প্রতিবাদ-অবস্থান শুরু হয় তাদের। তার আগে শ্যামবাজারে ছিল পাঁচদিনের কর্মসূচি। এবার, ধর্না শেষ হওয়ার পর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা শুরু হবে বিজেপির। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি বিজেপির। ‘থানা সাফাই’ অভিযানেরও ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ঝাঁটা আর গঙ্গাজল দিয়ে ২৩ তারিখ এই অভিযান করবে দলের মহিলা মোর্চা। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ তারিখ ‘কালীঘাট চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    সরকার উৎখাতের দাবি

    শ্যামবাজারের পরে ধর্মতলায় টানা ধর্না (BJP Dharna) কর্মসূচির শেষ দিনে সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘোষণা, “ধর্না হয়তো শেষ হল। কিন্তু যত ক্ষণ না বিচার পাচ্ছি, তত ক্ষণ আমারা রাস্তাতেই থাকব। আমরা রাজ্যপালের কাছে ১ কোটি সই মাথায় নিয়ে যাব। ৩৫৬ বা ৩৫৫ যাই হোক, আপনি এই সরকারকে উৎখাত করুন।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক মিঠুনের

    ধর্না-মঞ্চে (BJP Dharna) উপস্থিত হয়ে এ দিনই অভিনেতা তথা রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী আবার এক ধাপ এগিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন। প্রয়োজনে বুক পেতে গুলি খাওয়ার জন্য প্রত্যেককে প্রস্তুত হতে বললেন! তিনি বলেন, “আবার নবান্ন অভিযান হবে। আমি সেই অভিযানে থাকব। আর এই অভিযান ব্রিজের কাছে থেমে যাবে না। নবান্নের ১৪ তলায় গিয়েই থামবে! ওরা এর আগে জল কামান চালিয়েছে, কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে। এ বার হয়তো গুলি চালাবে। আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন! আমরা থাকব সামনের সারিতে। দেখি কত গুলি চালাতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দাড়িভিটকাণ্ড এবং ভোটে নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দাড়িভিটকাণ্ড এবং ভোটে নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিটকাণ্ড, পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোটের সময় নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি (Job) দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রতিবছর বিধানসভায় নিজের দফতরে তিনজনকে চাকরি দিতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবছর সেই চাকরি দিলেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির দাবি, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের গুলিতে। একই ভাবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভার নির্বাচনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হলে এদিন চাকরির কথা ঘোষণা করেন তিনি।

    গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্কুলে উর্দু নয়, বাংলা শিক্ষকের দাবি করায়, ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে স্কুলচত্বরে বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণ। সেই খুনের বিচারের মামলা এখনও হাইকোর্টে চলছে। দোষীরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি উভয় পরিবারের। ঘটনায় সেই সময় রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এবার এই মৃত ছাত্র রাজেশের ভাই সুজিত সরকারকে চাকরি দিয়েছেন শুভেন্দু। অপর দিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে নিহত ভোলানাথ মণ্ডলের স্ত্রী রূপালি মণ্ডল এবং গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে নন্দীগ্রামে হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির নাতি অভিজিৎ আড়িকে চাকরি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। প্রত্যেককে গ্রুপ-ডি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার তিন জনকে বেতন দেবে। 

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    কী বলেলন শুভেন্দু?

    ক্রমাগত খুন-হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, “দাড়িভিটের ঘটনা যে সময়ে ঘটেছিল, তখন আমি তৃণমূলে ছিলাম। সৌভাগ্যবশত, ওই পরিবারের সদস্যকে চাকরি (Job) দেওয়ার সুযোগ আমিই পেলাম।’’ রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তোলেন তিনি। সামনেই ২০ সেপ্টেম্বর। এই দিনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। স্কুলের বোমাবাজি করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই সময় মমতা ছিলেন প্যারিস সফরে। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের কথা না বলে, আরএসএস এবং বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই নিয়ে গোটা উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। মামলা পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে গেলে এনআইএ-তদন্ত সংস্থাকে ভার দেওয়া হয়। একই ভাবে ভোট-পরবর্তী হিংসা, বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষা এবং আইনের শাসন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলায় বিচারকদেরও নিরাপত্তা নেই! সিবিআই তদন্ত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বাংলায় বিচারকদেরও নিরাপত্তা নেই! সিবিআই তদন্ত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা নিয়ে মহকুমা আদালতের বিচারকরা আগেই সরব হয়েছিলেন। পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে জেলা জজের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এবার এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে বিচারকদের আবাসন এবং রাজ্যের সব কটি বিচারালয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

    চিঠিতে কী লিখেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরজি করে নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তাঁর কথায়, ‘আরজি করে নিজের কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্রীকে খুন-ধর্ষণের নৃশংস ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এবার দুষ্কৃতীদের নজরে বিচারকরা।’ এক পুলিশ অফিসারের মদতেই এই ষড়যন্ত্র ঘটানো হয়েছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলায় বিচার বিভাগও আক্রমণের মুখে! বিচারকের রায় পছন্দ না হওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে গভীর রাতে তাঁদের আবাসনে হামলা চালানো হয় এবং ওই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন এক পুলিশ অফিসারও। এই ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’  এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলায় বিচারবিভাগের জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্যও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন রাখলেন বিরোধী দলনেতা। এর আগে এই ঘটনা নিয়ে বুধবারই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে চিঠি লিখে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের এসিজেএম আদালতের তিনজন বিচারক। সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশ কর্তা কুমারেশ দাসের যুক্ত থাকার অভিযোগও এনেছেন ওই তিন বিচারক। ঘটনার জেরে তাঁরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাও উল্লেখ করেছেন বিচারকেরা। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছেন জেলা বিচারক শুভদীপ মিত্র। প্রসঙ্গত, বিচারকদের আবাসনে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছে একজনকে। আবাসনে হামলার ঘটনা নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share