Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • North 24 Parganas: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি করে দাপট দেখাচ্ছে তৃণমূল, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

    North 24 Parganas: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি করে দাপট দেখাচ্ছে তৃণমূল, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল। সরকারি জমিতে রয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুল গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, স্কুলের জমি দখল করে কার্যালয় নির্মাণ করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শাহাবুদ্দিন সর্দার। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)  

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) লক্ষ্মীপুল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল লাগোয়া জমিতে রাজনৈতিক কার্যালয় তৈরি করলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে। নির্মাণের জন্য বালির স্তূপ জড়ো করা রয়েছে স্কুলের সামনে। ফলে পড়ুয়াদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে তৃণমূলের যাঁরা কার্যালয়টি তৈরি করছেন, তাঁদের দাবি, স্কুলের জমি দখল করা হয়নি। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন বলেন, এ বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করিনি। তবে আমাকে বিডিও অফিস থেকে বলা হয়েছিল, নির্মীয়মাণ কার্যালয়ের ছবি পাঠাতে। আমি তা পাঠিয়েছি। জানিয়েছি, স্কুল ও দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে কতটা দূরত্ব রয়েছে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা শাহাবুদ্দিনসাহেব বলেন, স্কুলের জমিতে নয়, জেলা পরিষদের জমিতে পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছে। জেলা পরিষদের ৩.৫ শতক জমি স্কুলের নামে রয়েছে। সম্পূর্ণ জমি আছে ৫ শতক। স্কুলের সীমানার বাইরের জমিতে রাতে বসার জন্য পার্টি অফিস করছি। এতে কারও কোনও সমস্যা হবে না।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির কোটরা-কদম্বগাছি মণ্ডল সভাপতি কালীপদ ঘোষ বলেন, তৃণমূল তো এ রকমই করে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস হবে, সরকারি জমি দখল করে প্লটিং হবে। ওদের একেবারে উপর থেকে তলা পর্যন্ত এই জিনিস চলছে। গায়ের জোরে এই কাজ করছেন পঞ্চায়েত সদস্য। প্রশাসন উদাসীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি (Memari) ব্লকে তৃণমূলের কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। যতদিন যাচ্ছে এই এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল তত প্রকট হচ্ছে। মেমারি ২ ব্লকের একটি বড় অংশ মন্তেশ্বর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মন্তেশ্বরের বিধায়ক হওয়ার পরে স্থানীয় তৃণমূলে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি হয় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল শেখ ও তাঁর অনুগামী বলে পরিচিতরা পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি। একতরফাভাবে সিদ্দিকুল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দলের ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষের লোকজন টিকিট পেলেও, বার বার দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন মুখ উঠছে জেলা তৃণমূলের মধ্যেও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Memari)

    শুক্র ও শনিবার রাতে মেমারি (Memari)-২ ব্লকের বোহার ১ পঞ্চায়েতের বিটরা গ্রামে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের দু’টি পক্ষ। গত দেড় মাসের মধ্যে এই ব্লকে শাসক দলের দ্বন্দ্বের ঘটনা বার তিনেক প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডুর অনুগামী বলে পরিচিত অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অনাথবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে বিটরা গ্রামে শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি মিছিল হয়। অভিযোগ, সেই মিছিলে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জিন্নাত আলির অনুগামীরা হামলা চালান। মারধরে তিন জন জখম হন। অভিযোগ, পাল্টা আক্রমণও করা হয়। শনিবার থানায় অভিযোগ করে দু’পক্ষ। এর পরে আবার জিন্নাতদের অভিযোগ, শনিবার রাতে অনাথবন্ধুর লোকজন গ্রামে ‘বোমাবাজি’ করে।

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতারা কী সাফাই দিলেন?

    ময়নার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে অনাথবন্ধুর নেতৃত্বে মোটরবাইক মিছিল হচ্ছিল। তখন আমাদের দলেরই কয়েক জন হামলা চালায়। তাতে অনাথবন্ধু-সহ তিন জন জখম হন। রাহুল শেখ নামে এক জনকে রাস্তায় মারধর করা হয়েছে। উপপ্রধান জিন্নাতের পাল্টা অভিযোগ, ওরা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তোলাবাজি করছে। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দলের কেউ জড়িত নয়।

    ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    মেমারি (Memari) -২ ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষ বলেন, সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই গোলমাল, তা জানার জন্য বৈঠক করার কথা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিল্মি কায়দায় একদা অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ সত্যেন চৌধুরীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সত্যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোস্তফা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ নদিয়ার তেহট্ট থেকে গ্রেফতার করে। মোস্তফা তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে।

    অসামাজিক কাজে যুক্ত সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা সত্যেনকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার (Murshidabad) বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। খুনের আগে ও পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর আগে স্থানীয় শ্রীরামপুর বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কানাইনগর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আজিজুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তা আজিজুলের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কলার ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ এই মোস্তফাকে দলের পদ দিতে বাধেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিছু দিন আগেই তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির প্যাডে দেওয়া চিঠিতে তাকে কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি সৌমিত্র সরকার বলেন, এলাকায় অনেকের আব্দার ছিল, মোস্তফাকে পদ দেওয়া হোক। তাই, দেওয়া হয়েছে পদ। গ্রেফতারের কথা শুনেছি। এ-ও জেনেছি যে, সে নির্দোষ। সন্দেহের বশে তাকে ধরা হয়েছে। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বক্তব্য, ওই অঞ্চলে যুব সভাপতি বা সহ-সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। দলেরই এক কর্মীর দিকে গুলি ছোড়ায় জড়িত ছিল মোস্তফা। এ সব কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সত্যেন খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথসভা করেছে কংগ্রেস। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল চোর-গুন্ডাদের পদ দিচ্ছে, যাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাগে রাখতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দের গলায় মালা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি তৃণমূলের (Kamarhati)

    বৃহস্পতিবার ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সকালে বেলঘরিয়ার নন্দননগর বাজারের কাছে থাকা বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির যুবনেতা সুশান্ত রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় বিবেকানন্দ নাকি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের প্রকাশ্যে স্থানীয় কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানু দাসের ছেলে সৈকত ওরফে জয় দাস দলবল নিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।  বাড়িতে গিয়েও শাসিয়ে আসে এবং ফোনে হুমকি দিয়ে বলে এলাকাছাড়া করে দেবে ‘। একই অভিযোগ আর এক বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি দেয়। বুথে এজেন্ট হয়ে বসা তো দূরের কথা বাড়ি ছাড়া করারও হুঁশিয়ারি দেয়। ঘটনায় তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও।

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশনে বাধা!

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির (Kamarhati) নন্দননগরেরই ওল্ড নিমতা রোডে। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে নরোত্তম সিংহ  নামে এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সেখানে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছিলেন।  অভিযোগ আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কিত কোনও যোজনার ফর্মফিলাপ করা যাবে না।  দোকানে যারা ছিল তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারই বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।  না হলে আগামীদিনে বেলঘরিয়া জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  দলের কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টিও দলীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: তৃণমূলের কার্যালয় থেকে বিলি করা হল সরকারি কম্বল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Jalpaiguri: তৃণমূলের কার্যালয় থেকে বিলি করা হল সরকারি কম্বল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কম্বল বিতর্কে জড়াল তৃণমূল। এবার সরকারি কম্বল দলীয় দফতর থেকে বিলি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিরোধীদের পাশাপাশি নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূলেরই একাংশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কম্বল বিতরণ (Jalpaiguri)

    ১২জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন ছিল। ঘটা করে বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই কম্বল কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে এসেছিল। এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি দুই নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিব শংকর দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পঞ্চমী মোহন্ত সহ অন্যান্যরা। কম্বল যে দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চমী মহন্ত। কিন্তু শিব শংকর দত্ত জানিয়েছেন, দলীয় কার্যালয় থেকে নয় ওই এলাকার একটি জায়গা থেকে বিলি করা হয়েছে। যার কিছুটা সামনেই দলীয় দফতর ছিল। 

    কম্বল বিলি নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে রাজ্য থেকে প্রায় ৮০০ কম্বল এসেছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭ জন সদস্যের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭ জন সদস্যার মধ্যে আট জন বিজেপির। প্রত্যেক সদস্যকে সমান ভাবে কম্বল দেওয়া হয়েছে। সেই কম্বল কিভাবে দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ হয় তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা ২ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি মনোজ দেবনাথ বলেন, তিনি কেন এমনটা করলেন তা তার জানা নেই। রাজ্য থেকে শীতকালীন বস্ত্র পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এ কম্বল দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ করা ঠিক হয়নি। যে করেছে সে অন্যায় করেছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পঞ্চমী মোহন্ত বলেন, আমরা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করেছিলাম। এর পরেই দলীয় কার্যালয় থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই কম্বলগুলি আমাদের ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির থেকে দেওয়া হয়েছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, এই রাজ্যে এটাই দস্তুর। তৃণমূল আর রাজ্য প্রশাসন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তৃণমূল যেভাবে বলবে প্রশাসন সেই ভাবেই চলবে এবং তাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। তাই এই ঘটনায় অবাক হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই, এটাই স্বাভাবিক। যদি দেখা যায় সব সরকারি দফতরে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে কাজ হচ্ছে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই এদের নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশিপুরে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। পরে, কাশিপুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো শুক্রবার রাত্রে কাশিপুরে গিয়ে থানা থেকে তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে আসেন। শনিবার তাদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন সাধু উত্তরপ্রদেশ বেরিলির বাসিন্দা। সেখান থেকেই একটি গাড়ি করে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁদের যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগরে। সেখানে যাওয়ার পথে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। এরপর পুরুলিয়ায় (Purulia) ঢোকেন। কাশিপুরের কাছে গোবরডিঙ্গা গ্রামে আনোয়ার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুজব তৈরি করে এলাকার মানুষদের খেপিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের উপর শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত সাধুরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ জানতে পেরে আক্রান্ত সাধুবাবাদের উদ্ধার করে কাশিপুর থানায় নিয়ে যায়।

    আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলত, বললেন আক্রান্ত সাধুবাবা

    আক্রান্ত সাধুবাবা মধুর মহারাজ বলেন, আমরা কোনও ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। তাঁর আগেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কয়েক মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে আসলে ওরা আমাদের পিটিয়ে মেরে দিত। আমাদের কী দোষ তা আমরা বুঝতেই পারিনি। অকারণে আমাদের ওপর ওরা হামলা চালাল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ট্যুইট করলেন অমিত মালব্য

    এই ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়। মাফিয়াদের কাছে সাধু সন্তরাও নিরাপদ নন বলে দাবী করেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, শেখ আনোয়ারের নেতৃত্বে এই গুজব ছড়িয়ে সাধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া পোশাক পড়ে আছে বলেই বিজেপি তকমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ  অমিত মালব্য মমতার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। আনোয়ার নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্ব এই হামলা হয়েছে বলে ট্যুইটও করেন।

     

     

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া অবশ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দল এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সাধুদের পুলিশ রক্ষা করেছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

    জেলা পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজবকে কেন্দ্র করেই সাধুদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

    Hooghly: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙা এলাকায়। সেখানে নিচু জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে ‘প্লটিং’ করার অভিযোগ উঠল প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। বেআইনি এই কারবার বন্ধ করার তাঁরা দাবি জানিয়েছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙা এলাকায় আগে ইটভাটা ছিল। নিচু জমি ভরাটের জন্য মাটিবোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছে। তার জেরে পুরসভার জলের পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে। সেই জলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে তিনটি স্কুলও রয়েছে। গঙ্গার চর প্লট করে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম নাকাল হচ্ছেন। বেআইনি কারবার বন্ধ করার কথা বলা হলেও কেই শুনছে না। এবার এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

    নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য, সরব কাউন্সিলর

    তৃণমূল কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ এ দিনই পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পুরসভার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়। কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ বলেন, আগেও ওই জায়গায় বিধিবদ্ধ অনুমতি ছাড়াই প্রোমোটার গাছ কাটছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এখন সেখানে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য। এ জন্য পুরসভা থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুরসভার উপ-পুরপ্রধান শান্তনু দত্ত বলেন, পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে ওই জমিতে প্লটিংয়ের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, দেখতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট জমা পড়লে যদি দেখা যায়, সেখানে কোনও অবৈধ কাজ হয়েছে, তা হলে নির্মাণকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ভূমি দফতরের কী বক্তব্য?

    ভূমি দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিনা অনুমতিতে মাটি বহন করা যায় না। যদি কোনও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়, সে জন্য অনুমতির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের জমানায় চালু হওয়া স্কুলে ১০ বছরেই বন্ধ হল ঝাঁপ! কেন জানেন?

    South 24 Parganas: তৃণমূলের জমানায় চালু হওয়া স্কুলে ১০ বছরেই বন্ধ হল ঝাঁপ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘটা করে স্কুলের উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু, স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করেনি রাজ্য সরকার। আর তার জেরেই এবার আর কোনও পড়ুয়া স্কুলে ভর্তি হল না। অবশেষে লালবাতি জ্বলল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ জুনিয়র হাই স্কুলে।

    এবছর স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) দক্ষিণ শিবগঞ্জ জুনিয়র হাইস্কুলটি ২০১৩ সালে চালু করা হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষককে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে স্কুলটি চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে এলাকার চারজন শিক্ষিত যুবককে আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। পরবর্তীকালে অতিথি শিক্ষক দুজন অবসর নেন। আর একজন যুবককে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে স্কুল চালানো শুরু হয়। কিন্তু, স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় মিড ডে মিল থেকে আরম্ভ করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০২৩ সালে পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ১৭ জন। আর ২০২৪-এ এসে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য। কারণ, এবার পরিকাঠামোহীন এই স্কুলে কেউ আর ভর্তি হননি। ফলে, স্কুলটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেল।

    অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    অভিভাবকদের বক্তব্য, এলাকায় কোনও স্কুল ছিল না। তাই, স্কুলটির প্রয়োজন ছিল। এলাকার মানুষের দাবি মেনে স্কুল শুরু করার পর আমাদের আশা ছিল, স্কুলের উন্নয়নের বিষয়ে উদ্যোগী হবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। কোনও স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় এই অবস্থা। আর তার জন্য দায়ী সরকার। অতিসত্বর  শিক্ষক নিয়োগ করে  স্কুল চালু করার দরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, দশ বছর ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নেই। শিক্ষকের অভাবেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ওই স্কুলে কোনও ছাত্রই ভর্তি হল না। আর সেটাই হল কাল, পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল। এটা তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা। একটি স্কুলকে ঘটা করে চালু করে টিকিয়ে রাখতে পারল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি-র (ED) ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় এক সপ্তাহ পর টনক নড়ল পুলিশের। ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নবান্নে রিপোর্ট তলব করেছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এসবের পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গঙ্গাসাগরে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। তারপরও পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তারপরই হুঁশ ফিরল পুলিশের। চাপে পড়ে পুলিশ বিজেপির আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহবুব মোল্লা, সুকমল সর্দার। তবে, হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।

     ইডি-র (ED) ওপর হামলার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার

    সন্দেশখালিতে গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি (ED) আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ইডি আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে পুলিশ চিহ্নিত করে। ঘটনার পর তারা গাঢাকা দিয়েছিল। দু’জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে। ন্যাজাট থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    ইডি-র হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর

    সন্দেশখালিতে ইডি (ED) অভিযানের সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হামলার পর ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়। মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার ‘জামাল কুদু’ গান এখন সুপারহিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে এই গান। অনেকেই মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে সেই নাচের ছবি আপলোডও করছেন। কয়েকদিন আগে পরিচালক শ্রীজিত মুখোপাধ্যায়কে একটি পার্টিতে এই গানের তালে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচ করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও শেষে সেই গ্লাস মাথা থেকে নীচে পড়ে বিপত্তি বেধে যায়। এই খবর নিয়ে টলিউডে বেশ চর্চা হয়েছিল। এবার সেই বিখ্যাত জামাল কুদু-র গানের তালে মদের গ্লাস নিয়ে নাচ করতে দেখা গেল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পালকে। ভিডিও ঘুরছে লোকজনের ফোনে ফোনে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। পানিহাটি জুড়ে তৃণমূল নেতার এই চটুল নাচ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল, কী বললেন দলীয় কাউন্সিলর? (Panihati)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পাল। সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই শুরু হয় হিন্দি গান। আর ‘জামাল কুদু’ গান বাজতেই সেই অনুষ্ঠানের ভাইরাল ভিডিওতে মাথায় মদের গ্লাস নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে বাবু পালকে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তা ঠিক মতোই হয়েছে। কেউ হয়তো এটা করে ফেলেছে। তবে, এটা ঠিক হয়নি, অন্যায় করেছে। আমি দেখব এই মানুষগুলো যেন পার্টির সামনে না আসে। যদিও ঘটনায় বাবু পালের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, এই দলটাই তো জামাল কুদুর দল। সেই দলের কর্মীরা মদের গ্লাস নিয়ে নাচবে না তো কী করবে! দলটাই তো চলছে মাতালদের নিয়ে। দলের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share