Tag: West Bengal

West Bengal

  • CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

    CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালে অনুগামীদের নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর (CBI) সিজার লিস্টে সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা দেখে হতবাক হয়ে যান সিবিআই কর্তারা।

    সন্দীপের বাড়িতে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ২৮৮ পাতার আরটিআই-এর কপি ও অভিযোগপত্র। পাওয়া গিয়েছে ৭৩০ পাতার টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও। সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে মিলেছে অভ্যন্তরীণ কমিটির ৫১০ পাতার গোপন রিপোর্ট। যে সব নথি সন্দীপ ঘোষের অফিসে থাকার কথা সেগুলি তাঁর বাড়িতে কেন ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) সরকারি ই-টেন্ডারের সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। ই-টেন্ডারের চিঠি কেন টালা থানার ওসি-কে দেওয়া হয়েছিল জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ষড়যন্ত্রে যোগসাজশ সন্দীপ-অভিজিতের

    ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে যোগসাজশ ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি করেছে সিবিআই। রিমান্ড লেটারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দাবি, ৯ অগাস্ট দুপুরে আর জি কর মেডিক্যালের সুপারকে দিয়ে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) টালা থানায় যে অভিযোগ করিয়েছিলেন, তাতে সঠিক তথ্য ছিল না। এমনকী, জেনে বুঝে আত্মহত্যার তত্ত্ব ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই আরও দাবি করেছে, গোটা ঘটনাটাকে গুরুত্বহীন করে দেখাতে চাওয়ার জন্যই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি তৎকালীন অধ্যক্ষ। এমন ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যা করণীয়, তাতেও গাফিলতি দেখিয়েছেন সন্দীপ। ৯ অগাস্ট সকাল ১০টা ৩ মিনিটে টালা থানার ওসি-কে ফোন করলেও সন্দীপ নিজেই এক ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে যান। রিমান্ড লেটারে দাবি করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ওসির ওপর প্রভাবশালীর চাপ!

    জানা গিয়েছে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল। এক সিবিআই (CBI) আধিকারিক বলেন, ‘খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ময়নাতদন্ত করানোয় স্থানীয় ওসি বা তদন্তকারী অফিসারের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল বলে সন্দেহ বাড়ছে। এমনকী দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের সব সম্ভাবনা নির্মূল করে রাতেই মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্যেও ওসি-র ওপরেও প্রভাবশালীরা কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে।’ তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ যাতে দ্বিতীয়বার কোনও মতে ময়নাতদন্ত না করা যায়, তার জন্যেই অভিজিৎবাবু অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন বলে সূত্র মিলেছে।

    ওসি-র মাথার ওপর কে কলকাঠি নেড়েছে?

    এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, ‘অনায়াসে রাতে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যেত। কিন্তু পুলিশ রাতেই দাহ কাজ সারতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তদন্তকারীদের এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জোরালো কারণ রয়েছে।’ সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, দেহ ময়নাতদন্ত করা বা না-করা নিয়ে সব সিদ্ধান্ত একা ওসি-র পক্ষে নেওয়া সম্ভব ছিল না। সেদিন মৃতার মা, বাবা তো দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের অনুরোধও করেছিলেন। এই আবহে ধৃত অভিজিতের ফোনের কিছু নথি থেকে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে টালা থানার অতিরিক্ত ওসির সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাও বলেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে রাত জাগল কলকাতা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে মধ্যরাতে অঙ্গীকার করলেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদের এই লড়াই চলবে, সাফ জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা জুনিয়র ডাক্তারদের কুর্ণিশ জানালেন। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বললেন, ‘‘ছোট না হলে প্রণামই করতাম।’’ 

    মশাল মিছিলে হুইলচেয়ারে প্রবীণরা (RG Kar Protest)

    শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটার রাস্তা মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest) করল নাগরিক সমাজ। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে’। রাত দখল আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির গবেষক ছাত্রী রিমঝিম সিন‍্‍হা। তিনিই শুক্রবারের মশাল মিছিলের অন্যতম আয়োজক। তিনি জানান, রাত দখলের কর্মসূচির দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল আরজি করের ঘটনায় দোষীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শুক্রবারের মিছিল চলমান আন্দোলনের আর একটি ধাপ। 

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয় এই মিছিল। রুবি ক্রসিং, ভিআইপি বাজার, সায়েন্স সিটি, চিংড়িঘাটা, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়, মল্লিক বাজার, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে মিছিল শেষ হয় শ্যামবাজারে। বিচারের দাবিতে মিছিলে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কোথাও হুইলচেয়ারে, কোথাও ওয়াকার নিয়েই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন প্রবীণরাও। মিছিলে ছিলেন তারকা, বুদ্ধিজীবী, কর্পোরেট সংস্থার কর্মী, সরকারি চাকরিজীবী, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এমনকী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও৷ মিছিলে নেমেছিলেন সেলিব্রিটিরাও। শুক্রবারের মিছিলে ছিলেন কিছু অভিনেতা ও ফিল্ম পরিচালকও। মিছিলে দেখা যায় বিরসা দাশগুপ্তকেও। পথে নেমেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরাও। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘মশাল হাতে এক স্বর/ জাস্টিস ফর আর জি কর’। ‘আামার রাজ্য আমার দেশ/ অত্যাচারির হবে শেষ’। আন্দোলনের জনজোয়ারই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে এই প্রতিবাদ থামার নয়। এই আগুন নিভবে না। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা শহর। নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পথে নেমে এই আন্দোলন চলবে। এদিন গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্তও হয় আরও একটি নাগরিক মিছিল। 

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ছোট না হলে প্রণাম করতাম

    শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে হাজির ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই আরজি কর। রাত তখন আড়াইটে মশাল তুলে দেওয়া হল নির্যাতিতার পরিবারের হাতে। সকলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোখের জল ঝরালেন নির্যাতিতার মা। তিনি বললেন, ‘‘৯ তারিখের পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। মুখে কোনও কথা আসে না। কারণ, বুকের ব্যথা মুখ দিয়ে ব্যক্ত করা যায় না। ব্যথাটা বুকেই রয়েছে। তবে, একটাই আশা যে এত সাধারণ নাগরিক আমার পাশে আছেন, সবাই আমার মেয়েকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভেবে আন্দোলনে নেমেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) তাঁরা তো আমার ছেলে-মেয়ে। তাঁরা যেভাবে ঝড়ে-বৃষ্টিতে রোদে পুড়ে কষ্ট করে এতদিন ধরে লড়াই (RG Kar Protest) চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের তো আমি কী বলব? ছোট না হলে প্রণামই করতাম। তাঁরা তো জনগণের সেবার জন্যই ডাক্তার হন। আজ সমাজই তাঁদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সমাজের সেবা করবেন, আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এটাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। যতদিন না আমার মেয়ে বিচার পাই, ততদিন এভাবেই রাস্তায় থাকুন। আমার পাশে থাকুন।’’

    কাজের মধ্যে থেকে বিচার ছিনিয়ে আনবে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মিছিল (RG Kar Protest) থেকেই বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সিবিআইয়ের ওপরে আস্থা রাখতে হবে, উচ্চ আদালতের ওপরও আস্থা রাখতে। এত সহজে বিচার আসবে না, সময় লাগবে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরেছে। কাজের মধ্যে থেকেই বিচার ছিনিয়ে আনবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্না তোলার ঘোষণা বৃহস্পতিবার রাতেই করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহার করেন তাঁরা। আপাতত ধর্না তুলে নিলেও আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) ন্যায় বিচারের দাবিতে অনড় ডাক্তাররা। সিবিআইয়ের কাছে বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এদিনের মিছিলে অংশ নেন।

    মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest)

    এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মশাল হাতে মিছিলে (RG Kar Protest) সামিল হন সাধারণ মানুষও। ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার তাঁরা কাজে ফিরবেন। দাঁড়াবেন বন্যা দুর্গতদের পাশে। শনিবার থেকেই জরুরি পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। মাঝে এক সপ্তাহের বিরতি। সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে তাঁরা ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়াতে শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নামে নাগরিক সমাজও। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলছে মশাল মিছিল। মিছিলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক। পথে নেমেছেন অনেক শিল্পী।

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    কী বললেন জুনিয়র ডাক্তার?

    মিছিলে (RG Kar Protest) হাঁটতে হাঁটতেই এক জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) বললেন, “আমরা রাজনীতি করতে চাইলে এতদিন ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বসে থাকতাম না। চেয়ারের লড়াই শুরু করতাম। সেটা আমরা করিনি। হাসপাতাল থেকে শুরু করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য কাঠামো নিয়ে যে দাবিতে আমরা ছিলাম, সেখানেই আছি। আর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই আমরা ধর্না তুলে বন্যা দুর্গত জায়গায় যাচ্ছি। তাই রাজনীতির কথা বলে আমাদের মনের জোর কমানো যাবে না।” এদিকে আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই

    CBI: সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরও চাপ বাড়ল। এমনিতে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই বার বার জেরা করেছে। এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই। একই সঙ্গে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে আদালতে আবদেন করেছে সিবিআই (CBI)।

    সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট (CBI)

    জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করানোর জন্য আবেদন করেছে সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে পেশ করা আবেদনে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার ষড়যন্ত্রে সন্দীপ ঘোষ যুক্ত থাকতে পারেন। এই আশঙ্কায় তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় তদন্তকারীদের করা কয়েকটি প্রশ্নে সন্দীপ ঘোষ বিভ্রান্তিকর উত্তর দিয়েছেন। সেই প্রশ্নগুলির সঠিক জবাব পাওয়া দরকার। সেজন্য সন্দীপ ঘোষকে গুজরাতে নিয়ে গিয়ে নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষার মুখোমুখি হতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে হওয়া লাগাতার আন্দোলনের জেরে চাপের মুখে বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট

    নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। এবার তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আরও ৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদনও জানায় তারা। এর আগে সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। মূলত কোনও ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে সত্যি বলছেন কি না, তা জানতেই এই বিশেষ পরীক্ষা করা হয়। এটা মূলত লাই ডিটেক্টর। কোনও প্রশ্নের নিরিখে ওই ব্যক্তির রক্তচাপ, শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝিয়ে দেয় তিনি মুখে যে কথা বলছেন, সেটাই সত্যি কি না। সূত্রের খবর, টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে জেরা করে এখনও বেশি কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিএফএসএলে যে সমস্ত ফুটেজ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, আগামী ১-২ দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট আসবে। পাশাপশি আরজি করের সিসিটিভি ফুটেজের পরীক্ষা শেষ। যে সব সন্দেহভাজনদের দেখা গিয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে আরও জিজ্ঞেসাবাদের প্রয়োজন অভিযুক্তদের। সুপ্রিম কোর্টের পর এবার শিয়ালদা আদালতেও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্টের কপি জমা দেওয়া হল এজেন্সির তরফে। মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে’’, ডিভিসি-সম্পর্ক ছেদ করতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে’’, ডিভিসি-সম্পর্ক ছেদ করতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের দায় তিনি এড়িয়ে যেতে চান বলে বিরোধীদের অভিযোগ। উল্টে, ডিভিসি-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার তিনি হুমকি দিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করেন।

    ডিভিসি ইস্যুতে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বরানগরে প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ তপন সিকদারের স্মৃতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রয়াত দলীয় নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মমতার নাম না করে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি কালকে বলেছেন না ডিভিসির (DVC) সঙ্গে কাট-আপ করে দিতে। উনি কি জানেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সাত থেকে আটটি জেলার আলো জ্বলে, কারখানা চলে, ট্রেন যায় ডিভিসির বিদ্যুতে। একটা নতুন পাওয়ার স্টেশন করতে পারেননি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেননি। ডিভিসির উপর নির্ভর করেন আবার ডিভিসিকেই কাট-আপ করবেন বলেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, এক্ষুনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আটটি জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে।’’

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়। ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত বন্ধ করা নিয়েও মমতাকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে গত চারদিন ধরে অনবরত জল ছাড়ায় বাংলার বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য আগামী তিনদিন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়। এই নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন,  ‘‘ঝাড়খণ্ড বর্ডার আটকে দেওয়া হলে নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসতে পারবে না। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পণ্য পরিবহণও আটকে যাবে। ঝাড়খণ্ড সীমানা খুলে যদি না দেওয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখব। জাতীয় সড়ক বন্ধ করা যায় না। রাজ্যপালকেও গোটা বিষয়টা জানাব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড় চলছে। এই আবহের মাঝে এবার জাল নিয়োগপত্র নিয়ে বিড়ম্বনায় রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের লোগো, আধিকারিকের সই জাল করা নিয়োগপত্র প্রতারণা চক্র সক্রিয়। এক যুবক জাল নিয়োগপত্র নিয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ায় এই দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবক ও তার সঙ্গে আসা আর এক যুবককে। দু’জনেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুমারজল গ্রামের বাসিন্দা।

    কীভাবে ধরা পড়ল জাল নিয়োগপত্র? (North Bengal Medical)

    চতুর্থ শ্রেণির পদের একটি নিয়োগপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ অফিসে কাজে যোগ দিতে আসেন মুস্তাক আলি নামে এক যুবক। নিয়োগপত্রটি দেখে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার সন্দেহ হয়। মুস্তাক আলি ও তাঁর সঙ্গী ইমরানকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) ফাঁড়ির পুলিশ এসে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘কোনও নিয়োগপত্র ছাড়া হলে স্বাস্থ্যভবন থেকে পোর্টালে তা তোলা হয়। কিন্তু পোর্টালে এই নিয়োগপত্রের উল্লেখ নেই। নিয়োগপত্রে যে আধিকারিকের সই রয়েছে সেটিও সন্দেহজনক। এত অসঙ্গতি দেখে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া দেয়।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    কীভাবে প্রতারিত হলেন মুস্তাক আলি?

     প্রায় এক বছর আগে গ্রামেরই এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে দেখা হয় মুস্তাকের। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের কাজের টোপ দেন সেই ব্যক্তি। মুস্তাক বলেন, ‘‘৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন তার দেখা পাইনি। হঠাৎই কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক আসে। তাতে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজের নিয়োগপত্র দিয়ে ছ’লক্ষ টাকা চান। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, সরকারি চাকরি তাই বেশি টাকা দিতে হবে। বন্ধুদের কাছ থেকে ধার দেনা ৬০ হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে দিয়ে বলি বাকি টাকা পরে দেব। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসি। বুঝতে পারিনি যে, আমাকে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।’’ 

    জাল নিয়োগপত্র চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ

    এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির প্রতারণা চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ উঠে এল। প্রায় দুবছর আগে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হয়েছিলেন মালদার এক ব্যক্তি। সেই ঘটনাতেও জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার পিছনে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি প্রতারণা চক্রের হাত ছিল। পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। তারপরেও এই চক্রের সক্রিয়তায় উঠছে প্রশ্ন।

     কী বলছে পুলিশ?

    মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রামেরই এক ব্যক্তি প্রতারণা করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শুধু ওই ব্যক্তি একা নন। এই চক্রের জাল (North Bengal Medical) অনেক দূর বিস্তৃত। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। নিয়োগপত্রে যেভাবে স্বাস্থ্যভবনের লোগো ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যভবনের কোনও কর্মীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। উৎসবের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এমনিতেই রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। ফলে, নতুন করে নিম্নচাপ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর তা ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather Update) অফিস। এর জেরে ২৩ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে। এই আবহে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি গাঙ্গেয় বঙ্গে। তবে, সেটি কতটা শক্তিশালী হবে, বা তার অভিমুখ কোন দিকে থাকবে, তা এখনই স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েকদিনে এই বিষয়ে সবিস্তারে জানানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। এদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গে সামান্য বৃষ্টি হবে। ওই দু’দিনই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ওই দু’দিন কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    উত্তরবঙ্গে কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    এছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হবে না শুক্রবার এবং শনিবার। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। ওই তিনটি জেলার আবহাওয়া (Weather Update) শুষ্ক থাকবে। প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে যে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে, তা বন্ধ হয়েছে। আগের তুলনায় পরিমাণ অনেকটা কমলেও বৃহস্পতিবার রাতেও পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকলে আর জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমলে বন্যা পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু আগামী সপ্তাহের গোড়ায় নতুন নিম্নচাপ তৈরি হলে তার জেরে হওয়া বৃষ্টিতে ফের রাজ্যের একাংশ প্লাবিত হবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির জেরে পুজোর আগে রাজ্যে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে সকলেই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বন্যাকে পরিচিত ধাঁচে ‘ম্যান মেড’ বলে কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে পত্রপাঠ খারিজ করল কেন্দ্র। শুক্রবার জল শক্তি মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হল, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা? (Flood Situation)

    বৃহস্পতিবারই হাওড়ার (Flood Situation) উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিভিসির সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখব কি না, তা ভেবে দেখব।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ কেন্দ্র। এমনকী, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘ম্যান মেড বন্যা’র কথা শোনা গিয়েছিল। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, মাইথন, পাঞ্চেত বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের যেমন জল ছাড়ার জন্য দোষারোপ করেন, একই সঙ্গে কেন্দ্রকেও দুষেছিলেন তাদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ডিভিসির জলে ভেসে যাচ্ছে বাংলা। আমি জানি না কেন্দ্র কেন ডিভিসির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছে না। কেন্দ্রের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য বাংলাকে কেন ভুগতে হবে? এটা পশ্চিমবঙ্গের জল নয়। এটা ঝাড়খণ্ডের জল যা পাঞ্চেত বাঁধ থেকে আসছে।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    মমতার তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির জবাবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে তরফে জানানো হয়েছে যে, ডিভিসি (Flood Situation) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই জল ছেড়েছে। পাঞ্চেত ও মাইথন বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে ডিভিসির যে কমিটি, তাতে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তাদের জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। এমনকী, আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবগত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকারের অধীন তেনুঘাট বাঁধ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতে সমস্যা বেড়েছে। এই বাঁধটি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির আওতার বাইরে। বারবার বলা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড সরকার এ’টি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির অধীনে আনেনি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিভিসি-র বাঁধে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল জমলেও মাত্র আড়াই লক্ষ কিউসেকের মতো জল ছাড়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় জলাধারে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১৬৩ কিউসেক জল জমলেও মাত্র ৯০,৬৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। ফলে ৭৮.৫ শতাংশ জলই ধরে রাখা হয়েছিল। ডিভিসি নিজে দায়িত্ব নিয়ে পাঞ্চেত জলাধারে মাত্রাতিরিক্ত জল ধরে রেখেছিল। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলেও ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ৮০ হাজার কিউসেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani Medical: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    Kalyani Medical: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) পর পরই জনসমক্ষে চলে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চলতে থাকা ‘থ্রেট কালচার’-এর পরিবেশ। ভয় কাটিয়ে এখন পড়ুয়ারা এই (অপ)‘সংস্কৃতির’ বিনাশ এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের অনুগামীরা থ্রেট কালচার শুরু করেছিলেন। তাঁদের দাপটে জুনিয়র ডাক্তাররা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে নড়েচড়়ে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ১৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার কল্যাণী মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ হাসপাতালেও থ্রেট কালচারের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (Kalyani Medical)

    থ্রেট কালচারের অভিযোগে নদিয়ার কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন আগামী ৬ মাস কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হল। এই ৬ মাস অভিযুক্তরা কলেজ ক্যাম্পাস, হস্টেল এবং হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র পরীক্ষার কারণ ও তদন্তের প্রয়োজনে কলেজে বা হাসপাতালে আসতে পারবেন। পাশাপাশি এই ৩৯ জন জনের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত সমস্ত রকমের প্রমাণ পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    এই ৩৯ জন পড়ুয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন অধ্যক্ষ (Kalyani Medical) এবং একজন চিকিৎসকও থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও শুরু হচ্ছে বিভাগীয় তদন্ত। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ২ জন আগামী দিনে পরীক্ষা সহ কোনও প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। গত সপ্তাহে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী একযোগে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ইমেল করে প্রিন্সিপাল সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করায় রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজকে বড় বার্তা দেওয়া হল বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি কর তৈরির জন্য ভিক্ষা করেছিলেন বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর

    RG Kar Hospital: আরজি কর তৈরির জন্য ভিক্ষা করেছিলেন বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এখন সারা বাংলা-তথা দেশ তোলপাড়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ পথে নেমে এর সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু, এই হাসপাতালের সৃষ্টি এবং স্রষ্টার ইতিহাস জানেন কি? সম্পূর্ণ কাহিনি শুনলে অবাক হবেন। জানা যায়, এই হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর।

    কে এই রাধাগোবিন্দ কর? (RG Kar Hospital)

    বেলগাছিয়া (Kolkata) থেকে দমদম বাড়ি বাড়ি সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন এক ডাক্তার। মাথায় একটা টুপি আর সাইকেলে ঝোলানো ক্যামবিসের ব্যাগ। রোগী দেখাই শেষ নয়, নানা ভাবে সহযোগিতা এমনকী ওষুধ কেনার পয়সাও দিচ্ছেন তিনি। সেই ডাক্তারবাবুর নাম রাধাগোবিন্দ কর। আরজি  কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) স্রষ্টা তিনি। সারা বাংলার মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে একজন ডাক্তার সারাটা জীবন লড়াই করেছেন। হাওড়া জেলার রামরাজাতলা স্টেশন থেকে সামান্য দূরত্বে বেতড়ের বিখ্যাত কর বাড়ি তাঁর জন্মভিটে। ১৮৫০ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। জানা যায়, বাবা দুর্গাদাস কর ছিলেন অবিভক্ত বাংলায় মেডিক্যাল অফিসার। তিনি ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর রাধাগোবিন্দ কর কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠ গ্রহণের জন্য ১৮৮০ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ১৮৮৩ সালে ডাক্তারি পড়তে কলকাতা ছেড়ে স্কটল্যান্ডে পাড়ি দেন তিনি। ১৮৮৭ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিদ্যার শ্রেষ্ঠ অলংকারে ভূষিত হলেন তিনি। এমআরসিপি হয়ে বিদেশে ডাক্তারি করার সুযোগ থাকলেও তিনি ফিরে এলেন এই বাংলায়। একজন বিলেত ফেরত ডাক্তার হয়ে বাংলার অসহায় গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

    হাসপাতাল তৈরির জন্যে ভিক্ষা!

    এদেশের মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন রাধাগোবিন্দ কর। হাসপাতালের অর্থ সংগ্রহ করতে সে সময় এই বিলেত ফেরত ডাক্তার ভিক্ষা পর্যন্ত করেছেন। তখনকার দিনে কলকাতার বড়লোকদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করেছেন। বড়লোক বাড়িতে কোনও আনন্দ-অনুষ্ঠান হলে সেই বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন, হাত পেতে ভিক্ষা চাইতেন তিনি। চিকিৎসক হিসেবে অর্জিত অর্থের সমস্তটাই দান করে গিয়েছেন মেডিক্যাল স্কুল ও হাসপাতাল স্থাপনে।

    আরজি কর হাসপাতাল তৈরির আদি কথা

    ১৮৯৮ সালে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বেলগাছিয়ায় ১২ বিঘে জমি কিনে নেন রাধাগোবিন্দ কর। এরপর সেখানেই ৭০ হাজার টাকা খরচ করে গড়ে তোলেন হাসপাতাল (RG Kar Hospital)। ঠিকানা, ১ নম্বর বেলগাছিয়া রোড। শয্যাসংখ্যা ৩০। হাসপাতাল পরিদর্শন করতে এসে প্রিন্স অ্যালবার্ট ভিক্টর দান করেন ১৮ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা সাহায্য করার জন্য হাসপাতালের নাম রাখা হয় ‘অ্যালবার্ট ভিক্টর হাসপাতাল’। ১৯০৪ সালে এই হাসপাতালের সঙ্গে মিশে যায় কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জেনস অব বেঙ্গল। তারও ১০ বছর পর মেলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন। তখন নামকরণ হয় বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ। ১৯১৬ সালের ৫ জুলাই সেই কলেজের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন লর্ড কারমাইকেল। তাই তাঁর সম্মানে আবারও বদলে যায় এই চিকিৎসা কেন্দ্রের নাম। দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত নাম ছিল কারমাইকেল। ১৯১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাধাগোবিন্দ কর। মৃত্যুর সময় তাঁর নিজস্ব সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। শুধু ছিল বেলগাছিয়ায় তাঁর একটি বাড়ি। সেই বাড়িটিও তিনি উইল করে দিয়ে যান এই মেডিক্যাল কলেজের নামে। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে রাধাগোবিন্দ করের নামেই কলেজের নাম রাখা হয় ‘আরজি কর’। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৯৫৮ সালের ১২ মে এটি গ্রহণ করে।

    রাধাগোবিন্দ কর ও নিবেদিতা

    ১৮৯৯ সালে কলকাতা জুড়ে প্লেগ মহামারির আকার নেয়। সেই সময়ে উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে রোগীদের সেবা করছেন ভগিনী নিবেদিতা। আর বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর সাইকেলে করে এলাকা চষে বেড়ান। বেশিরভাগ রোগীই গরিব। পথ্য কেনারই পয়সা নেই, তার ওপর আবার ডাক্তাবের ফিস। রোগী দেখার সঙ্গে সঙ্গে দরকার হলে রোগীদের পথ্য কেনার টাকাও দিচ্ছেন বিলেত ফেরত ডাক্তারবাবু। এর কিছুদিন পরই নিবেদিতার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। প্লেগ সংক্রমণ রুখতে এবং মৃত্যুর হার কমাতে দু’জনে মিলে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। ডাক্তারি পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর একাধিক বইও লিখেছেন। যা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।

    এখন আরজি কর হাসপাতাল

    বর্তমানে ১৫ একর জুড়ে বিস্তৃত ১২১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল (RG Kar Hospital) কমপ্লেক্সে ১০টি ভবন এবং সাতটি হস্টেল রয়েছে। ২০১৫ সালে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, এই মেডিক্যাল কলেজকে এক সময় অনেকে অবজ্ঞা করত। কারণ, তখন বেলগাছিয়াকে কলকাতা শহরের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হত না। তাই, এই মেডিক্যাল কলেজকে খালের কলেজ বলা হত। জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে এমবিবিএস, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করা হয়। বিএসসি নার্সিং, প্যারামেডিক্যাল শাখায় আরও কয়েকটি কোর্সের জন্য আসন রয়েছে। বিলেত থেকে ফিরে এদেশের মানুষের জন্য যে হাসপাতাল তৈরির চারাগাছ তিনি লাগিয়েছিলেন, আজ তা বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share