Tag: West Bengal

West Bengal

  • Snake: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    Snake: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন কেউটে, কারও দাবি গোখরো। গ্রামের বয়স্করা বলেন কালনাগিনী (Snake)। পূর্ব বর্ধমানের চার গ্রামে জ্যান্ত সাপকে দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয়। এখানে তাই কেউ সাপ বলেন না, সাপ এখানে ‘ঝাঁকলাই’ নামে পরিচিত। ফি বছর ঝাঁকলাইয়ের পুজো হয়। এবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পলসোনা গ্রামে দেখা গেল, মন্দিরে এক পুরোহিতের লাঠির মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল একটি সাপ। অন্য পুরোহিত তখন মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সেই কেউটের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন। নিজের হাতে সিঁদুর মাখিয়ে দিচ্ছেন ফণাধারী কেউটের মাথায়। সোমবার এ ভাবেই জ্যান্ত কেউটেকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল।

    কবে থেকে শুরু হয়েছে পুজো? (Snake)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০০ বঙ্গাব্দ থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে ভাতারের বড়পোশলা, শিকোত্তর, মুকুন্দপুর এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, পলসোনা, মুশারু, নিগন মিলে মোট সাতটি গ্রামে ঝাঁকলাইয়ের (Snake) পুজো হয়। স্থানীয়রা জানান, এক সময় সাতটি গ্রামেই দেখা যেত ঝাঁকলাই। তবে এখন বড়পোশলা, ছোটপোশলা, মুশারু এবং পলসোনা এই চার গ্রামেই শুধু দেখা মেলে এই কেউটের। সাপ এখানে ঘরের লোক। কাছের আত্মীয়। বিষধর জীব নয়, বরং দেবতা। সাপের সঙ্গে দিব্যি খেলে কচিকাঁচারা। প্রতি ঘরে সাপের বিশ্রামের জন্য বিছিয়ে রাখা হয় খড়ের গাদা। সাপে-মানুষে দিব্যি সহাবস্থান এখানে। সাপের কামড়ানোকে গ্রামবাসীরা প্রসাদ বলেন। কাউকে সাপে কামড়ালে তাঁর চিকিৎসা না করিয়ে মন্দিরের মাটি শরীরে বুলিয়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ঝাঁকলাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লোককথা!

    মুশারু,পলসোনা, বড়পোশলা, ছোটপোশলার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মনসামঙ্গলের বেহুলা-লখিন্দরের উপাখ্যান। ঝাঁকলাই নিয়ে অনেক লোককথা। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ঝাঁকলাই আসলে ‘কালনাগিনী’। লখিন্দরকে লোহার বাসরঘরে দংশন করে পালানোর সময় বেহুলা কাজললতা ছুড়ে মেরেছিলেন। সেই কাজললতার আঘাতে কালনাগিনীর (Snake) লেজ কেটে যায়। পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি গ্রামে যে ঝাঁকলাইয়ের দেখা মেলে, তাদেরও লেজ কাটা। মনসামঙ্গলে কালনাগিনী বেহুলার শাপে মর্ত্যে আসে। গ্রামবাসীরা আরও বলেন, ‘ঝঙ্কার’ শব্দটা এসেছে বেহুলার বালার আওয়াজ থেকে। লোহার বাসরে লখিন্দরকে ছোবল মারার পরে কালনাগিনীর (Snake) বিষ প্রয়োগের ক্ষমতা চলে যায়। বেহুলা শর্ত দেন, নির্বিষ হয়ে তাকে সাত গ্রামে লুকিয়ে থাকতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) এই সাত গ্রামেই নাকি এখন কালনাগিনীর বাস। তারই নাম ‘ঝাঁকলাই।’ তাকেই ঝঙ্কেশ্বরী দেবী রূপে পুজো করা হয় গ্রামে।

     মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রামের সঙ্গে মিল রয়েছে

    বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা ধরে বলগোনা পেরিয়ে নিগনের ঠিক আগে বাস থামে মুশারুতে। এখান থেকে ভ্যান রিকসা বা ই-রিকসা চেপে যাওয়া যায় গ্রামের ভিতরে। পলসোনাতে যাওয়ার পথও এখান থেকেই। মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রাম শেতপালের মতো বাংলার পূর্ব বর্ধমানের এই চারটে গ্রাম। গ্রামবাসীদের কথায়,ঝাঁকলাই (Snake) কামড়ায় না। পরোপকারী বন্ধু। বংশ পরম্পরায় সাপের পুজো করি আমরা।

    কী বললেন সর্প বিশেষজ্ঞ?

    সর্প বিশেষজ্ঞ ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, “ঝাঁকলাই একটি বিরল প্রজাতির সাপ। এই গ্রামবাসীদের এই ভক্তি এবং শ্রদ্ধার জন্যই বিরল প্রজাতির সাপটি এখনও টিকে রয়েছে এখানে। এটা অবশ্যই এক বিরল ঘটনা। তবে, সিঁদুরে রাসায়নিক থাকে। ঝাঁকলাইয়ের পুজোর সময় সিঁদুর মাখানো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই হুঁশ ফিরল পুলিশ-প্রশাসনের। অবশেষে সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হলেন দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা আশরফ আনসারি। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জমি কারবারের সঙ্গে যে তৃণমূল নেতারা জড়িত তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কেন গ্রেফতার? (Darjeeling)

    জানা গিয়েছে, জমি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামীকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি (Darjeeling) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সোমবার ফের তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘর থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরই গত ১২ জুলাই নকশালবাড়ির সেবদেল্লা মৌজায় ধৃত তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজনের নামে সরকারি জমি দখলের বিষয়ে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে ১৯ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সোমবার গ্রেফতার করা হয় নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারিকে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ধৃত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধৃত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Darjeeling) পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারি বলেন, “আমাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি নাকি জমির দালাল। আসলে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছি বলেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসুবিধায় পড়ে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে। আমাকে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে।”

    দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা!

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “একই কথা বারবার বলার যে দক্ষতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে তা অনস্বীকার্য। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ছোট ছোট কাককে গ্রেফতার করে দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আমি ২০২৬ সালে এই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের সমস্ত কাক ও দাঁড়কাকের বিসর্জন দেখতে চাই। ছোট নয় বড় মাথাদের কবে গ্রেফতার করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কি বীরভূমে ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল? নানুরের পার্টি অফিস থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই বিষয় নিয়ে ফের চর্চা হতে শুরু করেছে। এমনিতেই কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর জেলায় কাজল শেখ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই জেলাজুড়েই অনুব্রতের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেত্রী কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রশংসা করায় লোকসভা নির্বাচনে কেষ্ট তিহার জেলে থাকলেও তাঁর ছবি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেননি দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। বরং, জেলাজুড়ে (Birbhum) কেষ্টর ছবিতে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Anubrata Mondal)

    ২১ জুলাই পর ২৭ জুলাই নানুরে শহিদ দিবস পালন করা হয়। যেখান ২০১১ সালে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ নিজে এসেছেন। এমনকী তিহার যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal) তৃণমূলের এই শহিদ স্মরণ সভার প্রধান বক্তা হিসেবে গণ্য হতেন। তবে, ২০২৪ সালে দেখা গেল অন্য চিত্র। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল কার্যলয় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের। কেন সরে গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী এসে কেষ্টর প্রশংসা করেছিলেন। এতদিন তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল না। তবে, নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর আবারও তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জামসেদ আলি খান বলেন,অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ছবি বা পোস্টার সরিয়ে নিলে গোটা বীরভূমের (Birbhum) মানুষের মন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া অসম্ভব। এখানে অনুব্রত মণ্ডলের বাইরে কিছু নেই। কিন্তু, পার্টি অফিস থেকে কেন সরিয়ে ফেলা হল তাঁর ছবি, তা দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ফের ডেঙ্গির থাবা শিলিগুড়িতে, এবার প্রাণ গেল শিশুর

    Siliguri: ফের ডেঙ্গির থাবা শিলিগুড়িতে, এবার প্রাণ গেল শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতে। আর এটা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ি (Siliguri) সহ দার্জিলিং জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়লেও আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ নিয়ে আগেই স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল। এবার রবিবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক শিশুর ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যুর পর সেই মৃত্যুর তথ্যও গোপন করতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ন’বছরের জায়না খাতুন অনেক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানো হলেও জ্বর কমছিল না, বাইরে থেকে এনএস -১ পরীক্ষা করালে ডেঙ্গি পজিটিভ ধরা পড়ে। শনিবার সকাল থেকে অবস্থার অবনতি হলে শিলিগুড়ি শহরের  হিলকার্ট রোডের একটি নার্সিংহোমে জায়নাকে ভর্তি করা হয়। রবিবার তার মৃত্যু হয়। নার্সিংহোমের তরফে  জানানো হয়েছে, ভর্তির সময় এই শিশু প্লেটলেট ১০ হাজারের নেমে এসেছিল। অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। ওই শিশুর পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি হেমোরেজেনিক, কার্ডিয়াক ফেলিওর এই কথাগুলি লেখা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

     কী বলছে স্বাস্থ্যদফতর?

    দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক ওই শিশুর মৃত্যু ডেঙ্গিতে হয়েছে তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে ডেথ সার্টিফিকেট এসেছে,সেখানে ওই শিশুর মৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিষ্কার লেখা রয়েছে সেপটিসেমিয়া। ডেঙ্গি না লেখা থাকে তাহলে আমরা সেটাকে ডেঙ্গিতে মৃত্যু বলে ধরতে পারি না। দার্জিলিং জেলার পতঙ্গ বাহিত রোগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি সিএমওএইচ-২ ডাঃআনোয়ার হোসেন বলেন, ওই শিশুর মৃত্যু ডেঙ্গিতে হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে এখনও সরকারিভাবে এর কোনও প্রমাণ নেই। প্রাইভেট ল্যাবগুলিতে (Siliguri) নির্দেশ দেওয়া রয়েছে, কারও ডেঙ্গি ধরা পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টাল অ্যাপে জায়না খাতুন নামে কোনও ব্যক্তির ডেঙ্গি পজিটিভের রিপোর্ট নেই। কাজেই আমরা ডেঙ্গিতেই জায়নার মৃত্যু হয়েছে এটা বলতে পারছি না। নার্সিংহোমে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে। 

    শিশু মৃত্যুতে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গু আতঙ্ক

    স্বাস্থ্যদফতরের হিসেবে, গত জানুয়ারি মাস থেকে শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত মোট ৬৫ জন ডেঙ্গির সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভা এলাকায় ৩০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে। জেলায় মোট সংক্রমণ ৬৫-র অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত এলাকায়। মাটিগাড়া ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা মাটিগাড়া-২ ও পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত ৩০ জনেরও এরও বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত  হয়েছেন। যা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উদ্বেগে রয়েছে। জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল এই দুটি এলাকায় পরিদর্শন করে ডেঙ্গি (Dengue) প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় কর্মসূচি ঠিক মতো কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    Balurghat: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে পাচ্ছেন না কোনও নাগরিক পরিষেবা। ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অভিযোগ জানাতে গেলেই কাউন্সিলর বলেন সুকান্ত মজুমদারকে বলেন। এমনই অভিযোগ বালুরঘাটের (Balurghat) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনির বাসিন্দাদের। পুরসভার পরিষেবা না পেয়ে অবশেষে এলাকার বাসিন্দারা দ্বারস্থ হলেন বালুরঘাট মহকুমা শাসকের। সোমবার মহকুমা শাসকের দফতরে এলাকায় পুর পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ডেপুটেশন দেন এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। রাস্তায় ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। রাস্তায় চলাচল করতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তার আলো বন্ধ থাকছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ বিষয়ে পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানানো হলে তিনি বলছেন, লোকসভা ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে ভোট দিয়েছেন, তাঁকে গিয়েই অভিযোগ করুন। জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ভোটে বালুরঘাট পুরসভায় ব্যাপক জয় পায় বিজেপি। শুধুমাত্র বালুরঘাট পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে ২৫ হাজার ভোটে লিড পান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত  মজুমদার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ সেই কারণেই পরিষেবা বন্ধ রেখেছে বালুরঘাট পুরসভা।  যাতে ওয়ার্ডের কাজ হয় সেই জন্য আমরা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানালাম।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ  দত্ত বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর বালুরঘাট পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের কাছে কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূলের কাউন্সিলররা বলেন, সুকান্ত মজুমদারের কাছে যান। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। যদি পুরসভার চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলররা যদি তাঁদের কাজ না করতে পারেন তাহলে পদ ছেড়ে দিন আমরা চালিয়ে নিচ্ছি সব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকা কাউন্সিলর মুনমুন কর বলেন, এটা পুরোটা মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপি আলোতে থাকার জন্য এই নোংরা কাজটা করছে। আমাদের পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ ঠিকঠাক হয়। আর আমাদের কোনও কাউন্সিলর এমন কথা বলেনি বলেই আমার বিশ্বাস। এটা বিজেপির (BJP) চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Traders Strike: আলু বোঝাই ট্রাক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে, চলছে ধর্মঘট, হুঁশ নেই তৃণমূল সরকারের!

    Potato Traders Strike: আলু বোঝাই ট্রাক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে, চলছে ধর্মঘট, হুঁশ নেই তৃণমূল সরকারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আলুর চাহিদা মেটানো না পর্যন্ত ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেই দায় সেরেছেন। এমনই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, আলু নিয়ে রাজ্যজুড়ে কী হচ্ছে তা দেখার বিষয়ে রাজ্য সরকারের হেলদোল নেই। এই আবহের মধ্যে সোমবার থেকে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট (Potato Traders Strike) ডেকেছেন। স্বাভাবিকভাবে পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যবাসী।

    ধর্মঘটের জেরে বাজারে আলুর টান! (Potato Traders Strike)

    এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্টে একাধিক আলু বোঝাই ট্রাক আটকে রয়েছে। পুলিশই আলু বোঝাই ট্রাক আটকে দিয়েছে। এরফলে বিপাকে পড়েছেন ট্রাক চালকেরা। লিটন মল্লিক নামে এক ট্রাক চালক বলেন, এভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে আলু নষ্ট হয়ে যাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এমনিতেই প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটের (Potato Traders Strike) জেরে সোমবার সকাল থেকে আলু বের হচ্ছে না হিমঘর থেকে। আলু ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বাজারে সোমবার থেকেই জোগান কমতে শুরু করেছে আলুর। হিমঘর থেকে শনিবার যে আলু বের করা হয়েছিল তা বাজারে প্রায় শেষের দিকে। সোমবার থেকেই বেশির ভাগ বাজারে দেখা মিলবে না আলু। যেটুকু আলু মজুত করা রয়েছে, তার মূল্য হবে আগুনছোঁয়া। রাজ্যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু, সোমবার  হিমঘর থেকে আলু বের হওয়া বন্ধ হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার থেকে বাজারে আলুর টান পড়তে শুরু করবে।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    রাজ্য সরকারের হুঁশ নেই!

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বাজার বের হলে আলুর (Potato Price) দাম শুনে আমাদের মাথায় হাত পড়ছে। রাজ্য সরকারের কোনও হুঁশ নেই। আগে কিছুনা হলে মানুষ বলত আলুসেদ্ধ ভাত খাব, কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতিটাও আর নেই। মানুষ সেটাই বা বলে কীভাবে। সরকার উদ্যোগ গ্রহণ না করলে আলু নিয়ে বাজারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। আর তারজন্য রাজ্য সরকারই দায়ী থাকবে।

    প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা কী বললেন?

    প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা বলেন, ভিন রাজ্যে আলু যাতে না যায়, তারজন্য দুই রাজ্যের বর্ডারে রীতিমতো পুলিশি জুলুমবাজি চলে। বর্ডারে দিনের পর দিন গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে আলু নষ্ট হয়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তৃণমূল নেত্রীকে তুলোধনা করলেন। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও কড়া করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Saumitra Khan)

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে বিএসএফকে সতর্ক করা হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করা হোক। যাতে একটাও রোহিঙ্গাও ঢুকতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরি করবেন, ২১ জুলাই তিনি এই বার্তা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভারতের গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে পড়বে। ভারতবর্ষ কোনও পান্থশালা নয়, যে কেউ আসবে খাবে আর চলে যাবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের কোনও মতে প্রবেশ করতেআমরা দেব না। সেজন্য আমরা প্রাণ দিতে রাজি আছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখব যে অবিলম্বে সীমান্তে পাহারার কড়াকড়ি করা হোক। নইলে ভারতবর্ষের বড়ই বিপদ।”

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    রবিবার ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করল বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের দিন যেখানে শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই একাধিক জায়গায় ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল। কোথাও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভোজপুরি গানের সঙ্গে অশ্লীল নাচ করতে দেখা গিয়েছে। আবার কোথাও মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন করেছেন শাসক দলের কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনে এই ধরনের ঘটনা প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) সঙ্গে কয়েকশো যোজন পার্থক্য এদিনের একুশের জুলাইয়ের।

    উৎসবের মেজাজে তৃণমূল কর্মীরা, আসরে মদের ফোয়ারা (TMC 21 July)

    রবিবারের সকালে ধর্মতলায় শহিদ (TMC 21 July) সমাবেশে যোগদান করতে সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। হাওড়া ব্রিজ, ফেরিঘাট, হাওড়া (Howrah) স্টেশন, এমনকী দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজট ছিল। বেলা গড়াতে ভিড় বাড়তে থাকে এতটাই যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকেই অনেকে গাড়ি ঘোরাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরে যান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর ধর্মতলা পৌঁছতে পারবেন না। ফলে, মন খারাপ হয় অনেক কর্মীদেরই। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাস রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস ট্রার্মিনালে। সেখানেই দুপুরের খাওয়ার জন্য রান্না-বান্না করতে হয়। সেখানেই দেখা গেল, উৎসবের মেজাজে আসরে মাংস-মদের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন অনেকে। কেউ গাড়ির নিচে বসে, কেউ আবার প্রকাশ্যে বসে মদ্যপান করছেন। অথচ তাঁরাই নাকি শহিদ তর্পণে বেরিয়েছিলেন। নেশায় বুঁদ হয়ে অনেকে আবার কথাও বলতে পারছেন না।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

     হাও়ড়ার (Howrah) সাঁতরাগাছি ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কর্মীদের চটুল নাচ করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তাপস মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর। তাঁর বাড়ি মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারি বাগান এলাকায়। পরিবারের  দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (South 24 Parganas) সামনে ওই বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁর বাড়ির লোককে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০২৩ সালে দোলের দিনেও তাপসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি (BJP) করে বলেই তৃণমূলের লোকজনরা তাকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে থানায় তখন অভিযোগ করা হয়েছিল। তাতে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও তৃণমূলের লোকজনই তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। ইতিমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরাও তদন্ত শুরু করে মৃত্যুর সঠিক কারণের সন্ধানে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের বক্তব্য,  এর আগেও তৃণমূল ওর ওপর হামলা করেছিল। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পুলিশ দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Potato Traders Strike: রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আলু ব্যবসায়ীদের, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা!

    Potato Traders Strike: রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আলু ব্যবসায়ীদের, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই আলুর যা দাম তাতে নাভিশ্বাস অবস্থা রাজ্যবাসীর। গত কয়েকদিন ধরে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। এই আবহের মধ্যে এবার সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে ব্যবসা বনধের (Potato Traders Strike) ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২২ জুলাই সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আলু ব্যবসায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Potato Traders Strike)

    পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ প্রতিহার বলেন, শনিবার রাত থেকে আলু হিমঘর থেকে বের করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও আলু ইতিমধ্যেই হিমঘর থেকে বের হতে থাকে, অথচ লোড করা হয়নি তা রবিবারের মধ্যে লোড করে বেরিয়ে যেতে হবে। সোমবার থেকে গাড়িতে কোনও আলু লোড করাও যাবে না। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, আলুবোঝাই গাড়ি অন্য রাজ্যে যেতে দিচ্ছে না প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন সীমানায় আটকে রয়েছে গাড়ি। সরকারিভাবে কেউ দায় স্বীকার করছে না। এর প্রতিবাদে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ২২ জুলাই থেকে এই আলু ধর্মঘট (Potato Traders Strike) ডাকা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেই আমরা ধর্মঘট করব।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা

    ধর্মঘটের কারণে আলুর দাম (Potato Price) নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে এক লাফে অনেকটাই। এমনকী রাজ্য সরকার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে টাস্ক ফোর্স নামিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও দাম খুব একটা নামেনি। আলু ব্যবসায়ী সমিতির এই সিদ্ধান্তের জেরে ফের বাজারে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে ফের আলুর দাম (Potato Price) বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি খোলা বাজারে আলুর দাম কমানোর জন্যও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তার জেরেই কি আলু ব্যবসায়ীদের এই পদক্ষেপ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share