মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের বাণিজ্যিক নগরী ইস্তানবুলের বিস্ফোরণের (Istanbul Blast) নেপথ্যে থাকা মূলচক্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তুরস্কের মন্ত্রী সুলেমান সয়লু সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানান। গতকালের বিস্ফোরণের ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আর ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যেই এই ঘটনার পেছনে থাকা মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সেদেশের পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যক্তিই ইস্তানবুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে বোমাটি রেখে দিয়েছিল। ফলে ধৃত ব্যক্তিকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই হামলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৮১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
কী ঘটেছিল?
গতকাল, রবিবার আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল তুরস্কের বাণিজ্যিক নগরী ইস্তানবুল (Istanbul Blast)। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ইস্তানবুল শহরের কেন্দ্রস্থল তাকসিম স্কোয়ারের কাছে ইস্তিকলাল স্ট্রিটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ভয়াবহ দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। আর সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ইস্তানবুল শহরের সেই রাস্তাটি ভিড়ে ঠাসা ছিল। আর বিস্ফোরণের পরই ব্যস্ত এলাকাটি থেকে লোকজন ভয়ে আতঙ্কে পালাতে শুরু করে।
❗Blast hits central #Istanbul, local media report. pic.twitter.com/s95VcL1BRr
— NonMua (@NonMyaan) November 13, 2022
বিস্ফোরণের (Istanbul Blast) উৎস সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে না জানা গেলেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছিল, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। সেদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে জানিয়েছিলেন যে, এই ঘটনায় এক মহিলা জড়িত আছে। এরপর রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “এখনই এই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে সন্ত্রাসবাদের গন্ধ তো রয়েছে।”
আরও পড়ুন: এয়ার-শো চলাকালীন আমেরিকায় দুই যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ! মৃত ৬
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিওতে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের ইঞ্জিন, পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুরস্কের বাসিন্দারা দাবি করেছেন, বিস্ফোরণের পরই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার আশপাশে থাকা দোকানগুলির ঝাঁপও ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার (Istanbul Blast) পরেই ওই এলাকার দখল নিয়েছে পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থলে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এরই মাঝে আজ এই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল সেদেশের পুলিশ। তবে ধৃত সম্পর্কে বেশি কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়নি পুলিশের তরফে। তবে এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা রয়েছে বা কোনও জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তুরস্কের পুলিশ।
+ There are no comments
Add yours