UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্যই খুলে দেওয়া হবে মাদ্রাসার দ্বার...
madrassa
madrassa

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক সংস্কার উত্তর প্রদেশে (UP Madrasa)। এবার থেকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের মাদ্রাসার (Madrasa) পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটির (NCERT) সিলেবাস। আগামী মার্চে যে সেশন শুরু হচ্ছে, সেই নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাসে পড়বে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা। মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারপার্সন ইফতিকার আহমেদ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সিলেবাসে। তিনি বলেন, এবার থেকে মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা পাবে।

ওয়াকফ বোর্ড...

গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে রাজ্যের ১০৩টি মাদ্রাসায়ই এনসিইআরটির সিলেবাস চালু করার। তারা এও জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্যই খুলে দেওয়া হবে মাদ্রাসার দ্বার। ইসলামিক স্কুলগুলিতে আধুনিকীকরণের উদ্দেশে চালু করা হবে ইউনিফর্মও। উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সাদাব শামস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই আমাদের প্রথম কাজ। তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা এটাও চেষ্টা করব যাবে মাদ্রাসাগুলি সিবিএসই কিংবা উত্তরাখণ্ড স্টেট বোর্ডের অনুমোদন পায়।  

গত সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশ সরকার সে রাজ্যের অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি (UP Madrasa) সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। এই মাদ্রাসাগুলি কোথা থেকে অর্থ পায়, শিক্ষকের সংখ্যা কত, সিলেবাসই বা কী এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করার পর উত্তর প্রদেশের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অভিযোগ, এই মাদ্রাসাগুলি একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেছে। এই কারণ দেখিয়েই তাদের বেআইনি ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশ সরকার। যে মাদ্রাসাগুলিকে (UP Madrasa) বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উল্লামও।

আরও পড়ুুন: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

যোগী সরকার যখন মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে, তখন তার ব্যাপক সমালোচনা করতে শুরু করে সে রাজ্যের কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠী। জামাত উলেমা-ই-হিন্দ সরকারের সমীক্ষার সিদ্ধান্তটিকে মাদ্রাসার বদনাম করতে ঈর্ষাকাতর প্রয়াস বলে বর্ণনা করে। যদিও মুসলিমদেরই একাধিক সংগঠনের মতে, এতে আদতে ভালই হবে মাদ্রাসাগুলির (UP Madrasa)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles