Weight Loss: জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

Weight Loss Improve Mood: শরীরে অতিরিক্ত ওজন মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে, প্রমাণ গবেষণায়
Obesity_(1)
Obesity_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্থূলতা বা শরীরে অতিরিক্ত ওজনের (Weight Loss) কারণে মারা যান। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকলে বেশ কিছু দুরারোগ্য এবং জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এ বিষয়ে একমত। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার জেরে শরীরে বাড়তে থাকে মেদের পরিমাণ। যা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনার মেজাজও হয়ে যায় খিটখিটে।

গবেষকদের দাবি

অতীতে ধারণা ছিল স্থূলকায় ব্যক্তিরা উদার হয়, তাঁদের মেজাজ (Weight Loss) সবসময় খুব ভালো থাকে। কিন্তু বর্তমান গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শরীরে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। আবার ওজন কমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানসিক সুস্থতা। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন জার্মান ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান নিউট্রিশন পটসডাম-রেহব্রুকের বিজ্ঞানীরা। কমবয়সে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে সরাসরি যোগ রয়েছে স্থূলতার। দেহের অতিরিক্ত মেদ থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণ ব্যাহত হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা অন্যান্য বহু রোগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করে। শরীরে যত কম পরিমাণ ফ্যাট থাকবে শরীর তত বেশি ভালো থাকবে।

ওবেসিটি বিপাক হারে বাধা

ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা আছে কি না, তা বোঝার এক মাত্র পদ্ধতি হল ‘বডি মাস ইনডেক্স’(বিএমআই)। ওবেসিটি গ্রাস করলে শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ফলে ইনসুলিন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। টাইপ টু ডায়াবিটিস, পিসিওডি(পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন হ্রাস (Weight Loss) বিপাকীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। শরীর যদু স্থূলকায় হয়, বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়, দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য সংকেত প্রদান করতে পারে না। জার্মানির ওই ইনস্টিটিউটে  ডিসিশন অ্যান্ড নিউট্রিশনের নিউরোসায়েন্স বিভাগের ছাত্ররা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৬২ জনের মধ্যে ১০ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায়, যাঁদের স্থূলতা কমেছে, তাঁরা অনেক বেশি অ্যাক্টিভ এবং সিদ্ধআন্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। বয়ঃসন্ধিকালে স্থূলতা শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাই সৃষ্টি করে না বরং কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles