Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

flu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ নামলেও, হঠাৎ যেন ছন্দপতন। আবহাওয়া বদলে (Weather Change) গেল। শীতের দাপট অনেকটাই কম। শনিবার রাত থেকেই আবার গুমোট ভাব। বাড়ছে তাপমাত্রা (Tempareture)। আর আবহাওয়ার এই হঠাৎ বদলেই বাড়বে বিপদ। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা (Doctors)।

শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, ভাইরাস ঘটিত জ্বরে ভোগান্তি হয় শিশুদের। বয়স্করাও নানান সমস্যায় ভোগেন। তার উপরে যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পরিস্থিতি অনেক সময়ই উদ্বেগজনক হয়। আর আবহাওয়ার এই আচমকা বদলে তাঁদের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি নজর দিতে হবে। সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

টিকাকরণ জরুরি…

চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় টিকাকরণ জরুরি। যদি কোনও টিকা বিশেষত হাম, রুবেলা ভাইরাসের টিকা নেওয়া বাকি থাকে, তাহলে অবশ্যই নিতে হবে। দেরি করা যাবে না। পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাপমাত্রার তারতম্যে শিশুরা খুব দ্রুত বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে নিউমোনিয়ার মতো রোগেও কাবু হয়। তাই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে শিশুদের নিউমোনিয়ার ভয়াবহতা থেকে বাঁচানো যাবে। বড় বিপদ এড়ানো যাবে। শিশুদের মতো বয়স্করাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন সময় মতো নিলে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমবে।

টিকাকরণ ছাড়াও সাধারণ কিছু সতর্কতার দিকেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, হঠাৎ গরম লাগলেও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ফ্যান চালানো চলবে না। কিন্তু একেবারেই গরমের পোশাক বর্জন করে বাইরে যাওয়াও চলবে না। এতে ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাছাড়া, যাঁদের ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়, তাঁদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এই রকম আবহাওয়ায় শুষ্কভাব বাড়ে। ফলে বাতাসে ধুলোর পরিমাণও বেড়ে যায়। ফলে, নিয়মিত স্কুল কিংবা বাইরে গেলে ধুলো থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

আরও পড়ুন: হামকে আসন্ন বিপদ ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

খাবারের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি নজরদারি দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে নানান মেলা হয়, অনেকেই বেড়াতে যায়। কিন্তু শিশুদের কোনও ভাবেই আইসক্রিম কিংবা ঠাণ্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এতে নানান সমস্যা বাড়বে। পেটের অসুখ এড়িয়ে চলতে জরুরি কম মশলার খাবার খাওয়া। শীতে অনেকেই নানান বাইরের খাবার খান। কিন্তু অতিরিক্ত চটজলদি খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত শিশুদের অনেক সময়েই শীতে বাইরের খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়। হাতে-পায়ে লাল র‌্যাশ বের হয়, জ্বর হয়। তাই শরীরে কোনও রকম অ্যালার্জি দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

খাবারের পাশপাশি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই আবহাওয়া শুষ্ক। তাই শরীরে জলের চাহিদা বাড়বে। জল পর্যাপ্ত না খেলে ডিহাইড্রেশনের মতো বিপদও ঘটতে পারে। তাছাড়া ভাইরাস ঘটিত জ্বরের থেকে মুক্তি পেতেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। তবে, চিকিৎসকেরা বলছেন, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। শীতের পারদ কমতেই কিন্তু ডেঙ্গির আশঙ্কা বাড়তে পারে। মশাবাহিত রোগের দাপট এড়িয়ে গেলে চলবে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে কী ধরণের জ্বর হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

 
 
Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share