World Heart Day: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায় 

1600x960_1114408-heart-day

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস (World Heart Day)। সারা বিশ্বে মানুষকে কার্ডিওভাস্কুলার নানা সমস্যা নিয়ে সচেতন করার জন্যই আলাদা করে একটা দিনের উদযাপন। ২০২৩-এর বিশ্ব হার্ট দিবসের থিম হল, “Use Heart, Know Heart” অর্থাৎ, হৃদযন্ত্র শুধু ব্যবহার করবেন না, আপনার হৃদযন্ত্রকে জানুন।

কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক

এখন ২০ বছর বয়সেও হার্টের অসুখ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে হার্টের অসুখের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব আরও বাড়ছে। সেই উপলক্ষ্যেই এই দিবসটির (World Heart Day) গুরুত্বও বাড়ছে। হৃদরোগ এবং হৃদরোগের কারণে মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়াই বিশ্ব হার্ট দিবসের লক্ষ্য। চিকিৎসকদের কথায়  হাই ব্লাড প্রেসার মহামারীর থেকে কম কিছু নয়! শুধু বয়স্করা নয়, কমবয়সীরাও রীতিমতো ঘায়েল হচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়। আর তার ফলস্বরূপ কমবয়সেই হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক!

দিনটির গুরুত্ব কেন বাড়ছে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ফি বছর সারা পৃথিবীর প্রায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেলিওরের মতো কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। তাই দীর্ঘায়ু হওয়ার ইচ্ছে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব হার্টের দিকে নজর ফেরান। শেষ এক দশকে হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই এই দিনটির (World Heart Day) গুরুত্বও এখন অপরিসীম।

হার্ট সুস্থ রাখার উপায়

হার্ট (World Heart Day) ভালো রাখতে চাইলে সব সময় অ্যাক্টিভ থাকুন। প্রতি সপ্তাহে ৭৫ থেকে ১৫০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন। কিংবা হাঁটুন। শাকসবজি, বিনস, মাছের স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করুন আপনার খাদ্যতালিকায়। এতে মিলবে উপকার। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এই সকল খাবার। স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খান সীমিত। মাখন, চর্বি, চর্বিযুক্ত মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য যতটা পারবেন কম খান। এমন খাবার হার্টের জন্য মোটেই ভালো নয়। হার্ট ভালো রাখতে চাইলে আপনার ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে। হার্ট অ্যাটাক থেকে স্ট্রোকের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে এই স্থূলতা। হার্ট ভালো রাখতে সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলুন। রোজ সঠিক সময় খাবার খান। রোজ সঠিক সময় ঘুমান। রোজ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বিশ্রাম নিন।  

হার্ট অ্যাটাকের পিছনে

হার্টের রোগের ফাঁদে পড়ার অন্যতম কারণ হল দীর্ঘদিনের হাই সুগার, প্রেশার ও কোলেস্টেরল। আসলে এই রোগগুলি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হার্টের বারোটা বাজাতে পারে। তাই হৃদরোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে আপনাকে ডায়াবিটিস, প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মতো ঘাতক অসুখকে বাগে আনতেই হবে। আজকাল আমরা সকলেই দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাই। আর এই কারণেও হার্টের (World Heart Day) রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত প্রাণায়াম বা যোগা করে স্ট্রেস কমান।

আরও পড়ুন: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

হাসিতেই সমাধান

হার্টের সমস্যায় নানা ওষুধ তো আবিষ্কার হয়েছে, তবে হাসিতেই মিলবে হৃদযন্ত্রের সমস্যার সবচেয়ে বড় সমাধান! এমনই দাবি করছেন ব্রাজিলের একদল বিজ্ঞানী। তাঁর বলছেন ‘লাফটার থেরাপি’র মাধ্যমেই হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বার্ষিক বৈঠকে বলা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে হাসি-চিকিৎসার বিকল্প নেই৷ হাসি একদিকে যেমন এন্ড্রোফিন রিলিজ করে, তেমনই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share