মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুই গণহত্যা (Bogtui Murder) ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃত লালন নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ মার্চ ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। বস্তুত বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সে-ই। ২১ মার্চ রাতে লালন ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
নেপথ্য কাহিনি...
২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই (Bogtui Murder) গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁরাও মারা যান। ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল চার্জশিটে নাম থাকা অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। এদিন হল গ্রেফতার। বগটুইকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল এমন একজনের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। তিনি বলেন, সেদিন যে দলবল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিল লালন। ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। মিহিলাল বলেন, এটা মানুষও চাইছে।
আরও পড়ুন: 'প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?' সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা
লালনকে নিয়ে এই ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল ২৭ জনকে। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Murder) অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগনে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরেও দীর্ঘ ন মাস ধরে ফেরার ছিল লালন। শেষমেশ ধরা পড়ল সিবিআইয়ের জালে।
তদন্তের শুরু থেকেই যে জবানবন্দি পাওয়া গিয়েছিল, তার সবেতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে লালন শেখের নাম। সিবিআইয়ের তরফেও বগটুই হত্যা মামলায় যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয় লালনকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours