মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বেঁধে দেওয়া দরে যারা তেল কিনতে চাইবে, নতুন বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের তেল (Russia Oil Export) বিক্রি করা হবে না। সম্প্রতি এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের এই ডিক্রি প্রকাশিত হয়েছে সরকারি পোর্টাল ও ক্রেমলিন ওয়েবসাইটে।
রাশিয়ার তেল...
জানা গিয়েছে, চলতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সমুদ্রপথে সরবরাহ করা রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন। শুধু তাই নয়, এই ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকা এই জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলি গোটা বিশ্বের জন্য তেল কেনার দর বেঁধে দিয়েছিল ব্যারেল পিছু ৬০ ডলারে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুতিনের ডিক্রি, যে বিদেশি ব্যক্তি এবং সংস্থা বেঁধে দেওয়া দরে তেল কিনতে চাইবে, রাশিয়ার দরজা তাদের জন্য বন্ধ।
আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের। তার পর গোটা বিশ্ব কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। একদল দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার পক্ষে, অন্যদল ইউক্রেনের পাশে। এর পরেই রাশিয়ার ওপর নানা বিধিনিধেষ জারি করে পশ্চিমের দেশগুলি। বেঁধে দেয় রাশিয়ার তেলের দরও। রাশিয়ার (Russia Oil Export) অভিযোগ, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও জি-৭ অপরিশোধিত তেলের যে দর বেঁধে দিয়েছে, উৎপাদন খরচের দিক থেকে তা ১২ থেকে ১৫ ডলার কম। তাই যারা ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বেঁধে দেওয়া দরে তেল কিনতে চাইবে, নতুন বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের তেল বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুতিনের দেশ। প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের পর রাশিয়াই বিশ্বের দ্বিতীয় তেল রফতানিকারী দেশ। তাই রাশিয়ার একটা সিদ্ধান্তেই বদলে যেতে পারে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। কারণ রাশিয়া যদি সত্যিই তেল রফতানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে তামাম বিশ্বে বাড়বে তেলের দর। আমরা জানি, তেলের দর বাড়লে বাড়ে মুদ্রাস্ফীতিও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours