Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

“আমাদের শহরটা কার্যত ভাগাড়ে ভরে গিয়েছে...", তোপ এক শিল্পীর
Dengue_(4)
Dengue_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে মারা গিয়েছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোন। ডেঙ্গিতে (Dengue) ভুগছিলেন তিনি। কলকাতায় ফের ডেঙ্গির বলি হলেন একজন। এবার ডেঙ্গি যাঁর প্রাণ কেড়েছে, তিনি পেশায় চিকিৎসক। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের নাম দেবদ্যূতি চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ২৮ বছরেই জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হল তাঁকে। গড়ফার শহিদ নগর এলাকায় বাড়ি ওই চিকিৎসকের। দিন চারেক ধরে জ্বর থাকায় প্রথমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতে। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার।

ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে

ফি বর্ষায় রাজ্যে বাড়বাড়ন্ত হয় ডেঙ্গির (Dengue)। যত্রতত্র জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক পরিষ্কার না হওয়া সহ নানা কারণে রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত বলে রাজ্যবাসীর অভিযোগ। প্রতি বছর তারই মাশুল গোনেন রাজ্যবাসী। কেউ হারান সন্তান, কেউ হারান বাবা কিংবা মা অথবা কোনও স্বজন-বান্ধবকে। রাজ্যে বর্ষা নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যে হানা দেয় ডেঙ্গি। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। চলতি বছর অগাস্ট মাসে ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৩৬৯ জন। এর একমাস পরেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজারের চৌকাঠ। অর্থাৎ, প্রতিদিন রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তিনশোরও বেশি

শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গি সংক্রমণে প্রতিবার প্রথমে থাকে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পর কলকাতা। এবারও তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার চারেক। বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। দক্ষিণ দমদমে ৩১০। আর শহর কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৯ জন।


সরকারি হিসেবে এই পরিসংখ্যান মিললেও, বেসরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ঢের বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব থেকে জানা গিয়েছে, অন্যান্যবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ততটা দেখা যায় না। তবে এবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ৬০ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ।

আরও পড়ুুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

শহরের এই ৪০ শতাংশের মধ্যেই রয়েছেন সাহেবের বোন, রয়েছেন সদ্য প্রয়াত চিকিৎসকও। সাহেবের বোন মারা (Dengue) যাওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল টলিউড। অভিনেত্রী দেবলীন দত্ত বলেছিলেন, ডেঙ্গি বা এমন অতিমারি চিন্তা তো বাড়াবেই। রোগের উৎসটা চিন্তার। এ ধরনের রোগ তো হবেই। এমন একটা নোংরা শহর। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘রাস্তাঘাটের কী খারাপ অবস্থা! বছরের পর বছর দেখে যাচ্ছি, যেখানে জল জমার সেই জমেই থাকছে। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এগুলোই তো অসুখের উৎস। সেগুলোকে ঠিক করার জন্য কোনও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক অভিনেতা সখেদে বলেছিলেন, “আমাদের শহরটা কার্যত ভাগাড়ে ভরে গিয়েছে। তাতেই মশার আঁতুড়ঘর। যা বিপদ বাড়াচ্ছে।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles