India Canada Row: ‘৪০ জন কূটনীতিককে সরাও, নাহলে…’, সংঘাতের আবহে কানাডাকে বলল ভারত

কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকের সংখ্যা ৩০, অথচ ভারতে কানাডিয়ান কূটনীতিকের সংখ্যা এর প্রায় তিনগুণ!
justin-trudeau-Naerndra-Modi-canada-trade
justin-trudeau-Naerndra-Modi-canada-trade

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে নিজ্জর খুনে ভারতকে দুষেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরে অবশ্য সুর নরম করে কানাডা সরকার (India Canada Row)। যদিও তার আগেই বিশ্বরাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়েছেন ট্রুডো। সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পাশে পাননি ‘ফাইভ আইজ’-এর বাকি চার সদস্যকে। ট্রুডোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছে শ্রীলঙ্কাও। 

কানাডাকে হুঁশিয়ারি ভারতের

এহেন আবহে কানাডাকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করল ভারত। কূটনীতিকদের সংখ্যা কমাতে ট্রুডো সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত। তা না হলে কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকের সংখ্যা ৩০। অথচ নয়াদিল্লির দূতাবাসে কানাডিয়ান কূটনীতিকের সংখ্যা এর প্রায় তিনগুণ। এই সংখ্যাই কমাতে বলেছে ভারত। 

কী বলছে বিদেশ মন্ত্রক?

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “কানাডায় (India Canada Row) ভারতের যে সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন, সেই তুলনায় নয়াদিল্লিতে কানাডার কূটনীতিকের সংখ্যা ঢের বেশি। তাই দু’ দেশের মধ্যে সমতা রাখা উচিত। সেই কারণেই ভারত থেকে প্রায় ৪০ জন কানাডার কূটনীতিককে সরানোর কথা বলা হয়েছে।”

জুন মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। এই খালিস্তানপন্থী নেতা খুনে ভারতের হাত থাকতে পারে বলে সম্প্রতি সে দেশের পার্লামেন্টে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। শুধু তাই নয়, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে কলমিস্ত্রি বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কানাডা সরকারের অভিযোগ খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। তার জেরে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারত-কানাডার। অভিযোগের স্বপক্ষে ট্রুডো সরকারকে প্রমাণও দিতে বলে ভারত।

আরও পড়ুুন: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

এমতাবস্থায় কানাডায় (India Canada Row) বসবাসকারী হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের সে দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে খালিস্তানপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তার পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরে ওয়াশিংটনে তিনি বলেন, “বাধ্যবাধকতা ছিল। আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসের ওপর হিংসার প্রচার করা হচ্ছিল। কীভাবে ওঁরা দফতরে গিয়ে ভিসা দেওয়ার কাজ করবেন। এটা আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তির প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসকে নিরাপত্তা দিতে হবে।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles