মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রধান অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। বুধবার দেবাঞ্জনের আবেদনে কর্ণপাত করল না কলকাতা হাইকোর্ট। দেবাঞ্জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপর ছেড়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
দেবাঞ্জনের দাবি
বুধবার আদালতে দেবাঞ্জনের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, প্রভাবশালীরা এই ঘটনায় যুক্ত। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী যুক্ত। তাঁদের বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করছে কলকাতা পুলিশ। একই সঙ্গে, দেবাঞ্জনের আইনজীবী দাবি করেন, জামিনে মুক্তির পর তাঁর মক্কেলের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে। তাই তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা দেওয়া হোক। এই ২ দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দেবাঞ্জন দেব। তবে বিকাশবাবুর সওয়ালে কর্ণপাত করেনি আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, 'অভিযুক্ত কী করে তদন্তে হস্তান্তর চাইতে পারেন? এতদিন পর কেন এই কথা বলা হচ্ছে? মূল অভিযুক্তের অভিযোগকে কেন গুরুত্ব দেবে আদালত?'
কী বলল আদালত
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে ভুয়ো প্রতিষেধক শিবির চালানোর অভিযোগে দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ। তিনি সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দেবাঞ্জনের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার মাথাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাঞ্জন। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে বিচারপতির মন্তব্য, “দেবাঞ্জন দেব নিশ্চই প্রভাবশালী ছিলেন। সেই কারণেই তিনি ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্যাম্প বা অন্য কর্মসূচি করতে পারতেন। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে যাঁদের নামে অভিযোগ করছেন, তাঁদের প্রত্যক্ষ মদতে তিনি এসব কাজ করছেন।”
আরও পড়ুন: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের
এদিন সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, 'এখনও তদন্ত হচ্ছে। এই নথি থেকে এখনও অন্য কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। আরও খতিয়ে দেখতে হবে।' বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ, 'আদালত তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। তবে তিনি প্রয়োজন হলে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য ও কেন্দ্র দ্রুত তাঁর আবেদন বিবেচনা করবে।' এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি দুপুর তিনটের সময়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours