Chandrayaan 4: ‘ওয়ান মিশন টু রকেট’! একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, চন্দ্রযান ৪ নিয়ে কী জানাল ইসরো?

ISRO: জটিল অভিযান! দ্রুত গতিতে চলছে চন্দ্রযান ৪-এর কাজ, বড় খবর শোনাল ইসরো
parliament_-_2024-03-13T121916239
parliament_-_2024-03-13T121916239

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। ফের চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে, এখন ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4) অভিযান নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। তবে চতুর্থ চন্দ্রযান অভিযান আগের সব অভিযানের থেকে একেবারে আলাদা হতে চলেছে, বলে দাবি করল ইসরো। কারণ চাঁদের মাটি ছোঁয়া এবং সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার জন্য পৃথক ভাবে দু’দফায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। 

‘চন্দ্রযান ৪অভিযানের লক্ষ্য

চাঁদের বুক থেকে চাঁদের মাটি এবং পাথর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে চলেছে ইসরো। এর আগে একমাত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিন চাঁদ থেকে চাঁদের মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সফল হয়েছে। ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সিম্পোসিয়ামে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এই অভিযানের একমাত্র লক্ষ্য, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য চাঁদের মাটি-পাথর সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযান হওয়ার কথা ২০২৮ সালে। এই অভিযান সফল হলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিক খুলে যাবে।

চন্দ্রযান ৪ জটিল অভিযান

এবার আর একটা রকেট নয়, পর্যায়ক্রমে দুই ধাপে দুই রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan 4)। চন্দ্রযান ৪-এর পেলোডগুলি দুই ধাপে পাঠানো হবে চাঁদে। দুই ধাপে সেই পেলোডগুলি বয়ে নিয়ে যাবে দুই রকেট। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, এই প্রথমবার ইসরো একটি মিশনের জন্য দু'বার রকেট উৎক্ষেপণ করবে। চাঁদের পাথর ও মাটি (রেগোলিথ) নিয়ে ফিরবে পৃথিবীর বুকে চন্দ্রযান ৪। এলভিএম-৩ (সাবেক জিএসএলভি) এবং পিএসএলভি রকেট দু'টি চন্দ্র মিশনের পেলোডগুলি বহন করবে। আলাদা আলাদা দিনে উৎক্ষেপণ করা হবে রকেটগুলি। আগের তুলনায় অনেক জটিল প্রক্রিয়া বলেই দু’-দফায় উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে ভারী যে উৎক্ষেপণযান, এলভিএম-৩ ব্যবহার করে প্রথমে তিনটি উপাদান একত্রে রওনা দেবে, যেগুলি হল, প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল এবং অ্যাসেন্ডার মডিউল। এই উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মতোই হবে। এর পর, পিএসএলভি উৎক্ষেপণযানে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হবে ট্রান্সফার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। তবে কোনটির উৎক্ষেপণ আগে এবং কোনটির পরে, তা এখনও জানা যায়নি। 

আরও পড়ুন: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

কীভাবে কাজ করবে মডিউলগুলি

আগের চন্দ্র মিশনগুলিতে ২-৩টি পেলোড থাকলেও চন্দ্রযান ৪-এ (Chandrayaan-4) থাকবে পাঁচটি পেলোড। পেলোডগুলি হল প্রপালশন মডিউল, যা চন্দ্রযান ৪-কে পথ দেখিয়ে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে। ডিসেন্ডার মডিউল, চাঁদে অবতরণ করবে এই পেলোডটি। এর কাজ চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডারকে নামানো। অ্যাসেন্ডার মডিউল, চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ট্রান্সফার মডিউলে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। ট্রান্সফার মডিউল এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে যাবে এই অংশ। সব শেষে রি-এন্ট্রি মডিউল, এই অংশ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles