পঞ্চম পরিচ্ছেদ
কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন
বেলা প্রায় নয়টা। ঠাকুর নিজের ঘরে বসিয়া আছেন। মনোমহন কোন্নগর হইতে সপরিবারে আসিয়াছেন। মনোমহন প্রণাম করিয়া বলিলেন, এদের কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছি। ঠাকুর কুশল প্রশ্ন করিয়া বলিলেন, আজ ১লা, অগস্ত্য, কলকাতায় যাচ্ছ, কে জানে বাপু! এই বালিয়া একটু হাসিয়া অন্য কথা কহিতে লাগিলেন।
নরেন্দ্রকে মগ্ন হইয়া ধ্যানের উপদেশ
নরেন্দ্র ও তাঁহার বন্ধুরা স্নান করিয়া আসিলেন। ঠাকুর ব্যগ্র হইয়া নরেন্দ্রকে বলিলেন (Kathamrita), যাও বটতলায় ধ্যান কর গে, আসন দেব?
নরেন্দ্র ও তাঁহার কয়টি ব্রাহ্মবন্ধু পঞ্চবটীরমূলে ধ্যান করিতেছিলেন। বেলা প্রায় সাড়ে দশটা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কিয়ৎক্ষণ পরে সেইখানে উপস্থিত; মাস্টারও আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন—
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (ব্রাহ্মভক্তদের প্রতি)—ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়। উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?
এই বালিয়া ঠাকুর মধুর স্বরে গান গাহিতে লাগিলেন;
ডুব দে মন কালী বলে। হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে।
রত্নাকর নয় শূন্য কখন, দু-চার ডুবে ধন না পেলে,
তুমি দম-সামর্থ্যে এক ডুবে যাও, কুলকুণ্ডলিনীর কুলে।
জ্ঞান-সমুদ্রের মাঝে রে মন, শান্তিরূপা মুক্তা ফলে,
তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে, শিবযুক্তি মতো চাইলে।
কামাদি ছয় কুম্ভীর আছে, আহার-লোভে সদাই চলে,
তুমি বিবেক-হলদি গায়ে মেখে যাও, ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে।
রতন-মাণিক্য কত, পড়ে আছে সেই জলে,
রামপ্রসাদ (Ramakrishna) বলে ঝম্প দিলে, মিলবে রতন ফলে ফলে।
ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা (Kathamrita) ও সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান
আরও পড়ুনঃ “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”
আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”
আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”
আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours