Electric Car: দেশ ছেয়ে যাবে ইলেকট্রিক গাড়িতে! প্রয়োজন ১২০০ কোটি, বললেন বিজ্ঞানী

Electric Car Revolution: পাঁচ বছরেরও কম সময়ে দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির বন্যা! জানেন কীভাবে?
electric
electric

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূষণ এবং তেল আমদানির খরচ কমাতে দ্রুত দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির (Electric Car) ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। গাড়ি শিল্পের একাংশের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই, তিন ও চার চাকার যাত্রিবাহী বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারও উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছবে। ২০৩০ সালে মোট গাড়ির ৩০% হবে বৈদ্যুতিক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অধ্যাপক অজয় ​​কুমার সুদ জানান, খুব শীঘ্রই পেট্রোল এবং ডিজেলে চলমান গাড়িগুলি হারিয়ে যাবে। তাঁর কথায়, ভারত সরকার যদি বৈদ্যুতিন গাড়ি রাস্তায় নামানোর জন্য ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে, দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি ছেয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞের মত (Electric Car) 

অধ্যাপক সুদ জানান, খুব শীঘ্রই ভারতে বৈদ্যুতিন যানবাহনগুলি পছন্দের মাধ্যম হয়ে উঠবে। সুদ বলেন, "২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, ভারতে প্রায় ৯ লক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহন (Electric Car) বিক্রি হয়েছিল, কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশে চলে যাবে।" বৈদ্যুতিক যানবাহন সাশ্রয়ী এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, বলে আশা সুদের। তবে এর জন্য প্রয়োজন চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। বৈদ্যুতিক যানের জন্য  ব্যাটারি প্রযুক্তিতে অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। অধ্যাপক সুদ বলেন, "সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারি এবং অ্যালুমিনিয়াম-আয়ন ব্যাটারির উপর গবেষণা আশার সঞ্চার করেছে।" সস্তা, হালকা, নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি তৈরি করাই ইলেকট্রিক যানের আসল চাবিকাঠি।

আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

বাজেটে অটো-মোবাইল ক্ষেত্র

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2024) পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন যে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম এবার কমানো হচ্ছে। এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি মূলত বৈদ্যুতিন গাড়ি (Electric Car) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আর এই ব্যাটারির দাম কমে গেলে গাড়ির দামও অনেকটাই কমে যাবে। দেশে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বাড়াতে কেন্দ্র সরকার একের পর এক পদক্ষেপ করছে। এমনকী এই ধরনের বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বাড়াতে সরকার একটি নতুন ইভি নীতিও ঘোষণা করেছে। এই নতুন ইভি নীতিতে কোনও বৈদেশিক সংস্থা যদি ৫০ কোটি ডলারের বেশি এই দেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করে এবং ৩ বছরের মধ্যে দেশে কারখানা স্থাপন করে, তাহলে সেই সংস্থা সম্পূর্ণরূপে আমদানি করে ছাড় পাবে। প্রফেসর সুদ বলেন যে ভারতের অটোমোবাইল সেক্টর দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। বৈদ্যুতিন যানের ক্ষেত্রে বর্তমান আমদানি-নির্ভর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ভারতকে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles