মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India’s Internet Capacity) ডিজিটাল বিপ্লব ঘটতে চলেছে। তিনটি উল্লেখযোগ্য আন্ডারসি কেবল প্রকল্প (Undersea Cable Projects) চলতি বছরের অক্টোবর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল ‘২ আফ্রিকা পার্লস’, ‘ইন্ডিয়া-এশিয়া-এক্সপ্রেস’ (IAX) এবং ‘ইন্ডিয়া-ইউরোপ-এক্সপ্রেস’ (IEX)। এই প্রকল্পগুলির রূপায়ণ হলে ভারতের ইন্টারনেট ক্ষমতা চারগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।
আন্ডারসি কেবল
আন্ডারসি (Undersea Cable Projects) বা সাবমেরিন যোগাযোগ কেবলগুলি হল ফাইবার-অপটিক কেবল। মহাদেশগুলির মধ্যে ডেটা প্রেরণের জন্য এগুলি মহাসাগরের নীচে স্থাপন করা হয়। এগুলি বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ভিত মজবুত করে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এই ধরনের কেবলের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।
২ আফ্রিকা পার্লস
‘২ আফ্রিকা পার্লস’ প্রকল্পটি দীর্ঘতম আন্ডার-সি কেবল সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি। ৪৫,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। এখানে বিনিয়োগ করেছে ভারতী এয়ারটেল এবং মেটা। এই বিশাল কেবল নেটওয়ার্কের ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষমতা ১৮০ টেরাবিট প্রতি সেকেন্ড (tbps)। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার ৩৩টি দেশকে সংযুক্ত করবে এই কেবল। এক্ষেত্রে এয়ারটেলের মুম্বই ল্যান্ডিং স্টেশন একটি প্রধান নোড হিসাবে কাজ করবে।
ভারত-এশিয়া ও ভারত ইউরোপ এক্সপ্রেস
এছাড়াও, ইন্ডিয়া-এশিয়া-এক্সপ্রেস (IAX) এবং ইন্ডিয়া-ইউরোপ-এক্সপ্রেস (IEX) কেবলগুলি ভারতের সংযোগ ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে। সূত্রের খবর, রিলায়েন্স জিও-র সমর্থনে এই সিস্টেমগুলির প্রতিটি ২০০ টিবিপিএস-এরও বেশি ক্ষমতা যোগ করবে। আইএএক্স কেবলটি ১৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে বিস্তৃত হবে। এটি মুম্বইকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান হাব সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুক্ত করবে। একইভাবে, আইইএক্স কেবলটি প্রায় ৯,৭৭৫ কিমি দূরত্বে বিস্তৃত হবে। পারস্য উপসাগরের মাধ্যমে ভারতকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?
আন্ডারসি কেবলের সুবিধা
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুসারে, ২০২৩ পর্যন্ত, এই নেটওয়ার্কের মোট ক্ষমতা ছিল ১৩৮.৫৫ টিবিপিএস, যার মধ্যে ১১১.১১ টিবিপিএস সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। নতুন কেবলগুলি (India’s Internet Capacity) যোগ করার ফলে এই ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ক্ষমতার বৃদ্ধি পরিষেবার মান উন্নত করবে। বিশেষ করে, ৫জি ভিডিও স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইস, এআই-ভিত্তিক পরিষেবা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পগুলি নয়া দিগন্ত খুলে দেবে। দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours