Bangladesh Crisis: আইএসআই-এর সঙ্গে গোপন সাক্ষাত ছাত্রনেতাদের! বাংলাদেশের গণ আন্দোলন কি চক্রান্ত?

ISI: বাংলাদেশের গণ আন্দোলনে আইএসআই যোগ! ছাত্রনেতাদের সঙ্গে এক বছর আগে সাক্ষাত মার্কিন গোয়েন্দাদেরও
Bangladesh_Crisis_(9)
Bangladesh_Crisis_(9)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গণ অভ্যুত্থান বা ছাত্র আন্দোলন পুরোটাই ষড়যন্ত্র নয় তো! বাংলাদেশ কি উপলক্ষ! মূল লক্ষ্য, ভারতকে কবজা করা? এর পিছনে কার হাত রয়েছে পাকিস্তান, চিন না আমেরিকা? বারবার উঠেছে এই প্রশ্ন। সাম্প্রতিক এক তদন্তে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবং পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ আইএসআই এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে চমকপ্রদ সংযোগ প্রকাশ পেয়েছে। ওই তদন্তে দেখা গিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, দুবাই এবং দোহায় গোপন বৈঠক করা হয়েছিল।

সু-সমন্বিত ষড়যন্ত্রের অংশ 

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন, (Bangladesh Crisis) প্রাথমিকভাবে বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এই আন্দোলন  ব্যাপক আকার ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। প্রাথমিকভাবে যা গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য তৃণমূলস্তরের আন্দোলন হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল, তা এখন বিদেশি অপারেটিভদের একটি বৃহত্তর, সু-সমন্বিত ষড়যন্ত্রের অংশ। 

আইএসআই -যোগ

প্রায় এক বছর আগের কথা। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে, কয়েকজন বাংলাদেশি ছাত্রকে (Bangladesh Crisis) বেছে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে এরাই আন্দোলনে মূল ভূমিকা নেয়।  এই ছাত্ররা বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থার রাডার এড়িয়ে পাকিস্তান, দুবাই এবং দোহায় ভ্রমণ করেছিল। সেখানেই তারা আইএসআই ও মার্কিন গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করে। একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএসআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরো বিষয়টি দেখভাল করছিলেন। ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করা, আন্দোলনের রূপরেখা এঁকে দেওয়ার কাজ করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে অশান্ত করেছে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে পদ্মাপারে অভ্যুত্থান বা সেনা শাসন প্রতিষ্ঠায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ভূমিকা রয়েছে তা বলাই যায়। বস্তুত, এই আন্দোলনে আইএসআই-এর  মদতপুষ্ট মৌলবাদী শক্তি ও এনজিও-কে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে অভ্য়ুত্থান! প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয় হাসিনাকে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

মার্কিন-যোগ 

এই গোলমালের পেছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পূর্বের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকার হাতে তুলে দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারতেন বলে, দাবি করেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, সেন্ট মার্টিন আমেরিকার হাতে তুলে না দেওয়ার ফলে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। সেন্ট মার্টিন নিয়ে সংসদে আগেও ইঙ্গিত দিয়ে ছিলেন হাসিনা। সেন্ট মার্টিনে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চায় আমেরিকা। ওই ঘাঁটি তৈরি হলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকার কর্তৃত্ব বাড়ত। তাতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ ছিল। সেক্ষেত্রে অবশ্য সমস্যা ছিল চিনেরও। তবে, যাই হোক পদ্মাপারের আন্দোলনের পিছনে আমেরিকারও পরোক্ষ হাত ছিল বলেই অনুমান। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। আমেরিকা থেকে প্রচুর টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। গত নির্বাচনের সময় থেকেই হাসিনা বিরোধী সুর তুলেছিল ওয়াশিংটন। 

জামাত-যোগ

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ জুড়ে (Bangladesh Crisis) যে ব্যাপক হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলছে তার নেপথ্যে রয়েছে জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির। চলতি বছরের শুরুতেই ব্যাপক আর্থিক সাহায্য পায় আইএসআই সমর্থিত জামাত-ই-ইসলামি। এই টাকার একটি বড় অংশ এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ছাত্র আন্দোলন এবং নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠন যেমন হিজবুত তেহরীর এবং জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের মতো ব্যক্তিত্ব, যিনি ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনের নেতা, জামাতের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। আলম এখন অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী।

আরও পড়ুন: ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হল, কার্গিল যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা কবুল পাকিস্তানের!

চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখলেও কূটনীতির নিয়ম মেনে প্রতিবেশী তথা বন্ধু ভারতকেই বরাবর অগ্রাধিকার দিয়েছেন মুজিবকন্যা হাসিনা। বেজিংয়ের চাপ থাকলেও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে প্রশ্রয় দেননি তিনি। পাকিস্তানকে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ ছিলেন হাসিনা। তাই তাঁকে সরিয়ে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী সরকার তৈরির লক্ষ্য ছিল চিন-পাকিস্তানের। একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) একটা শক্ত জমি চেয়েছিল আমেরিকা। তাই মুক্ত বাংলাদেশ জনগণের ইচ্ছায় না ষড়যন্ত্রের  ভিত্তিতে রচিত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles