মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, মহম্মদ ইউনূসকে সামনে রেখে এখন দেশ চালাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সি মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। ৮৪ বছর বয়সের ইউনূস মাহফুজকে তাঁর বিশেষ সহযোগী করেছেন। সেই ‘বিশেষ সহযোগীই’ তাঁর হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছেন বলে দাবি করেন তসলিমা।
ইউনুস সরকারের কথায়-কাজে অমিল
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাঁর হাতেই বাংলাদেশের শাসনভার। কিন্তু ইউনূস সরকারের কথায়-কাজে মিল থাকছে না। তিনি সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, বাস্তবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, হুমকি দেওয়া চলছেই। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই মৌলবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি এসেছে। তাই ইউনূসের হাতে যে নিয়ন্ত্রণ নেই, তা স্পষ্ট। বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দাবি, বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছে এক ২৮ বছর বয়সি যুবক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্টে এই দাবি করেছেন তসলিমা। তিনি লিখেছেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ চালাচ্ছে একটা ২৮ বছর বয়সি ছেলে, তার নাম মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। মহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহযোগী সে। ৮৪ বছর বয়সের ইউনূস জরাগ্রস্ত। সুতরাং খুব স্বাভাবিক যে তাঁর বিশেষ সহযোগীই ইউনূসের হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছে।”
কে এই মাহফুজ
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে এক ছাত্র সংগঠনের নেতা মাহফুজ ২০১৫-১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ যে সংগঠনের নামে বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন চলেছে, সেই সংগঠনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। গত ২৮ অগাস্ট তাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক দায়িত্ব পালনে, প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?
ইসলামপন্থী মৌলবাদী
তসলিমার দাবি, মাহফুজ আলম বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী নয়। সে ইসলামপন্থী মৌলবাদী। ‘হিজবুত তাহরীর’ নামে এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সে যুক্ত বলে অভিযোগ তসলিমার। বিতর্কিত লেখিকা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে যদিও মাহফুজ ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই বলে দাবি করে। তবে, এটা তাদের কৌশল। তসলিমা লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের শিবির পরিচয় গোপন করে শুধু ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে সামনে এসেছিল। এই সময় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা, কোনও কারণ নেই যে, জানিয়ে দেবে তারা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সম্ভবত ভেবেছে, একবারেই জানাবে, তাদের খেলাফত স্বপ্ন সফল করার পর।”
+ There are no comments
Add yours