মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের কর্মবিরতি তুলে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। ধর্মতলার মহাসমাবেশ থেকে গতকাল শুক্রবার রাতেই তাঁরা একথা ঘোষণা করেন। তবে পাশাপাশি তাঁরা জানিয়ে রেখেছেন যে ধর্মতলায় বিক্ষোভ তাঁরা চালিয়ে যাবেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য রাজ্য সরকারকে তাঁরা বার্তা দিতে চান, তাঁরা যেমন কাজে ফিরছেন, তেমন রাস্তায় থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা আন্দোলনে রয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ধর্নামঞ্চে তাঁরা একটি বড় ঘড়ি টাঙিয়ে দেন। সেই ঘড়িকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার তাঁদের দাবি না মানে তবে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা জুনিয়র ডাক্তারদের জেনারেল বডির বৈঠকেই ঠিক হয়ে যায় পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা। তার পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয় রাতে।
জনগণ আমাদের পাশেই, দাবি ডাক্তারদের (Junior Doctors)
ধর্মতলার (Dharmatala) অবস্থান থেকেই দেবাশিস হালদার (Junior Doctors) ঘোষণা করেন, ‘‘গণআন্দোলন বজায় রেখেই রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। জিবি মিটিংয়ে এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটা যদি মনে হয় রাজ্য সরকার ভয় দেখাচ্ছে, ভাবছে জনগণ আমাদের পাশে নেই, ভয় পেয়ে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি, তাহলে ভুল ভাববে রাজ্য সরকার। আসলে জনগণ আমাদের পাশে রয়েছেই। একটাই পক্ষ।’’ তবে কর্মবিরতি তুললেও, আন্দোলন যে আরও তীব্রতর হতে চলেছে, তার আভাসও দিতে শোনা যায় দেবাশিসকে। তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতর অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছি। আমরা কাজে ফিরছি। আর এখানে বসে থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছি, আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তাতেও আছি।’’
এই লড়াই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর দশ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে সামিল হন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। শুক্রবার রাতে তারই ব্যাখ্যা দেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দশ দফা দাবি আসলে দুটো দাবি। প্রথম দাবি, ন্যায়বিচার। বাকি সব দাবি জড়িয়ে রয়েছে, আর একটাও যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য।’’ তাঁদের কথায়, ‘এই লড়াই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তার স্বার্থে।’ আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘কর্মবিরতি যদি আমাদের দাবি পূরণের অন্তরায় হয়, তাহলে কর্মবিরতি তুলে নিলাম। কাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময়। সেই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আমরণ অনশন। এই ঘটনার মোটিভকে সামনে আনতে হবে।’’ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সাফ জানিয়েছেন, অনশনও আন্দোলনের শেষ নয়। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথেই থাকবেন তাঁরা। তাঁদের এই দাবি যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করতে একটা বড় দেওয়ালঘড়ি সঙ্গে নিয়ে এসে ধর্নাস্থেলে টাঙিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। বলেন, ‘‘আমরা এই ঘড়ি নিয়ে এসেছি। প্রতি মিনিট, ঘণ্টার হিসাব হবে। তাই এই ঘড়ি অবস্থান মঞ্চে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তবে আমরা জীবনের বাজি রেখে আমরণ অনশন শুরু করব।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours