Karnataka: কর্নাটকে চালু ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি, কার্যকর কঠিন ব্যাধির ক্ষেত্রে, লাগবে পরিবারের সম্মতি

karnataka-government-implements-right-to-die-policy-for-patient-in-case-of-incurable-illness-representational-pic

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ বা ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি চালু করল কর্নাটক সরকার (Karnataka)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই চালু হল এই নীতি। এই নিয়ম অনুযায়ী, যে সব রোগী কঠিন রোগে আক্রান্ত এবং নিরাময়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তাঁদের ‘মৃত্যু’ উপহার দেওয়া যেতে পারে। রোগী এবং তাঁর পরিবারের সম্মতি লাগবে এক্ষেত্রে। তারপরেই চিকিৎসকরা ওই রোগীর ‘শান্তিপূর্ণ মৃত্যু’ (Right to die) নিশ্চিত করতে পারবেন। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছে। এবিষয়ে মুম্বইয়ের প্রখ্যাত চিকিৎসক রূপ গুরসাহানি জানিয়েছেন, কর্নাটক রাজ্য প্রথম এই নীতি চালু করল। এধরনের কিছু নিয়ম ইতিমধ্যে চালু রয়েছে গোয়া, মহারাষ্ট্রে ও কেরলে।

‘মৃত্যুর অধিকার’ (Karnataka) কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে?

এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও রোগীকে ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ দেওয়া হবে না। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি দু’টি ধাপে পরীক্ষা করে দেখবেন চিকিৎসকরা (Karnataka)। দুটি ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই ওই নির্দিষ্ট রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে আদালতের তরফে। প্রথমে তিন জন চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা হবে বোর্ড। এই প্রাইমারি বোর্ড রোগীকে পর্যবেক্ষণ করবে। এই বোর্ড যদি মনে করে রোগীর বেঁচে থাকার আশা একেবারেই নেই, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা এবং পর্যালোচনা হবে রোগীর বিষয়ে। দ্বিতীয় মেডিক্যাল বোর্ডে আরও তিন জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং এক জন সরকার নিযুক্ত চিকিৎসক থাকবেন। এরপরে দু’টি বোর্ডের রিপোর্ট জমা পড়বে আদালতে।

সম্প্রতি সুপ্রিম রায়ে উঠে আসে ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি

আদালত (Karnataka) যদি রোগীর মৃত্যুতে সম্মতি দেয়, তখনই একমাত্র চিকিৎসকরা তা নিশ্চিত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে রোগী লাইফ সাপোর্টে আছেন, তাঁর লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে গোটা প্রক্রিয়া নির্ভর করবে রোগীর পরিবারের ওপর। পরিবার যদি রোগীর ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’র জন্য আবেদন জানায়, তখনই প্রক্রিয়া শুরু করবেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যে সব রোগী কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং যাঁদের রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে মৃত্যুর অধিকার দেওয়া যেতে পারে। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পরেই ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ নীতি কার্যকর করা হচ্ছে কর্নাটকে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share