মাধ্যম ডেস্কঃ মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে কিংবা সপ্তাহের মাঝেই তীব্র মাথার যন্ত্রণা! বিশেষত তীব্র আওয়াজ, আলো কিংবা অতিরিক্ত পরিশ্রম যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যার কারণে কিংবা স্নায়ু ঘটিত কোনো কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভুক্তভোগীদের এই সমস্যা কয়েক দিন ধরে চলে! মাঝেমধ্যে এই তীব্র যন্ত্রণার কারণে স্বাভাবিক জীবন ও কাজ ব্যাহত হয়। তবে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু খাবারে মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে পারে। যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ (Domestic Element) রাখা সহজ হয়। কোন কোন খাবারে মাইগ্রেন (Migraine) নিয়ন্ত্রণ সহজে সম্ভব হয় আসুন জেনে নিই।
জল(Migraine)!
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল শরীরের একাধিক রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেই তালিকায় রয়েছে মাইগ্রেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের (Migraine) যন্ত্রণা হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরে জলের ঘাটতি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিহাইড্রেশন থেকেই এই ধরনের যন্ত্রণা বাড়ে। তাই মাইগ্রেনকে কাবু করতে শরীরে পর্যাপ্ত জল জরুরি। নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। তাহলে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমবে।
কলা!
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের প্রকোপ রুখতে কলা খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দীর্ঘ সময় খাবার না খেলে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। ফলে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ নিয়মিত কলা খাওয়া দরকার। কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই ফল তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়। এতে পেট ভরে। আবার শরীরে শর্করার পরিমাণ ও কমতে দেয় না। ফলে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিও কমে।
বাদাম!
ব্যথার উপশমের জন্য শরীরে পর্যাপ্ত খনিজ পদার্থ থাকা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে খনিজ পদার্থের ঘাটতি যেকোনও যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে বাদাম জাতীয় জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান শরীরে ব্যথার সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। তাই মাইগ্রেন (Migraine) রুখতে বাদাম জরুরি।
তরমুজ!
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। হঠাৎ করেই গরম পড়লে ভুক্তভোগীদের সমস্যা ও বাড়তে পারে। এই সময়ে তাই তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রসালো ফলের ৯৬ শতাংশ জল থাকে। এরফলে শরীরে সহজেই জল পৌঁছয় এবং শরীর শুষ্ক হয় না। তাই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ (Domestic Element) সহজ হয়।
কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেন রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বার্গার, পিৎজা, হটডগ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন ও রাসায়নিক থাকে। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ব্যহত হয়। এছাড়াও এই খাবারের পুষ্টিগুণ একেবারেই নেই। তাই এই ধরনের খাবার খেলে মাইগ্রেনের (Migraine) সমস্যা বাড়ে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম–এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।
Leave a Reply