Ramakrishna 277: “তুমি যদি কারুকে বস্ত্র দান করে থাক, তো মনে করে দেখ—তবে লজ্জা নিবারণ হবে”

https://www.madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-270th-copy

শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

চর্তুদশ পরিচ্ছেদ

১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

ছোকরা ভক্তদের সঙ্গে আনন্দ—মা-কালীর আরতিদর্শন ও চামর ব্যজন —
মায়ে-পোয়ে কথা—“কেন বিচার করাও”

আরতি সমাপ্ত হইল। যাহারা আরতি দেখিতেছিলেন এককালে সকলে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণও (Ramakrishna) মন্দিরের বাহিরে আসিয়া প্রণাম করিলেন। মহেন্দ্র মুখুজ্জে প্রভৃতি ভক্তেরাও প্রণাম করিলেন।

আজ অমাবস্যা। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। গরগর মাতোয়ারা! বাবুরামের হাত ধরিয়া মাতালের ন্যায় টলিতে টলিতে নিজের ঘরে ফিরিলেন।

ঘরের পশ্চিমের গোল বারান্দায় ফরাশ একটি আলো জ্বালিয়া দিয়া গিয়াছে। ঠাকুর সেই বারান্দায় আসিয়া একটু বসিলেন, মুখে ‘হরি ওঁ! হরি ওঁ! হরি ওঁ’! ও তন্ত্রোক্ত নানাবিধ বীজমন্ত্র।

কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর (Ramakrishna) ঘরের মধ্যে নিজের আসনে পূর্বাস্য হইয়া বসিয়াছেন।

Origin of Language — The Philosophy of Prayer

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবাবিষ্ট হইয়া মার সহিত কথা কহিতেছেন—বলিতেছেন, “মা, আমি বলব তবে তুমি করবে—এ কথাই নয়।

“কথা কওয়া কি?—কেবল ঈশারা বই তো নয়! কেউ বলছে, ‘আমি খাব’,—আবার কেউ বলছে, ‘যা! আমি শুনব না।’

“আচ্ছা, মা! যদি না বলতাম ‘আমি খাব’ তাহলে কি যেমন খিদে তেমনি খিদে থাকত না? তোমাকে বললেই তুমি শুনবে, আর ভিতরটা শুধু ব্যাকুল হলে তুমি শুনবে না,—তা কখন হতে পারে।

“তুমি যা আছ তাই আছ—তবে বলি কেন—প্রার্থনা করি কেন?

“ও! যেমন করাও তেমনি করি।

“যা! সব গোল হয়ে গেল!—কেন বিচার করাও!”

ঠাকুর (Kathamrita) ঈশ্বরের সহিত কথা কহিতেছেন।—ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া শুনিতেছেন।

সংস্কার ও তপস্যার প্রয়োজন—ভক্তদিগকে শিক্ষা—সাধুসেবা

এইবার ভক্তদের উপর ঠাকুরের দৃষ্টি পড়িয়াছে।

শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—তাঁকে লাভ করতে হলে সংস্কার দরকার। একটু কিছু করে থাকা চাই। তপস্যা। তা এ জন্মেই হোক আর পূর্বজন্মেই হোক।

“দ্রৌপদীর যখন বস্ত্রহরণ করছিল, তাঁর ব্যাকুল হয়ে ক্রন্দন শুনে ঠাকুর দেখা দিলেন। আর বললেন—‘তুমি যদি কারুকে কখনও বস্ত্র দান করে থাক, তো মনে করে দেখ—তবে লজ্জা নিবারণ হবে।’ দ্রৌপদী বললেন, ‘হাঁ, মনে পড়েছে। একজন ঋষি স্নান কচ্ছিলেন,—তাঁর কপ্‌নি ভেসে গিছলো। আমি নিজের কাপড়ের আধখানা ছিঁড়ে তাকে দিছলাম। ঠাকুর বললেন — তবে আর তোমার ভয় নাই’।”

মাস্টার ঠাকুরের আসনের পূর্বদিকে পাপোশে বসিয়া আছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—“তুমি ওটা বুঝেছ।”

মাস্টার — আজ্ঞা, সংস্কারের কথা।

শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—একবার বল দেখি, কি বললাম।

মাস্টার—দ্রৌপদী নাইতে গিছলেন ইত্যাদি। (হাজরার প্রবেশ)

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share