অভিনয় হইতেছে। কর্ণ ও পদ্মাবতী করাত দুই দিকে দুইজনে ধরিয়া বৃষকেতুকে বলিদান করিলেন। পদ্মাবতী কাঁদিতে কাঁদিতে মাংস রন্ধন করিলেন। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ অতি আনন্দ করিতে করিতে কর্ণকে বলিতেছেন এইবার এসো আমরা একসঙ্গে বসে রান্না মাংস খাই। কর্ণ বলিতেছেন, তা আমি পারব না পুত্রের মাংস খেতে পারব না।
একজন ভক্ত সহানুভূতি ব্যঞ্জক অস্ফুট আর্তনাদ করিলেন। ঠাকুর সেই সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করলেন। অভিনয় সমাপ্ত (Kathamrita) হইলে ঠাকুর রঙ্গমঞ্চের বিশ্রাম ঘরে গিয়ে উপস্থিত হইলেন। গিরিশ, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তেরা বসিয়া আছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ প্রবেশ করিয়া নরেন্দ্রের কাছে গিয়ে দাঁড়াইলেন ও বলিলেন আমি এসেছি।
সানাইয়ের শব্দে ভাবাবিষ্ট ঠাকুর।
এখনও ঐক্যতান বাদ্যের শব্দ শোনা যাইতেছে। (Kathamrita)
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (ভক্তদের প্রতি)- এই বাজনা শুনে আমার আনন্দ হচ্ছে। সেখানে দক্ষিণেশ্বরে সানাই বাজত। আমি ভাবিবিষ্ট হয়ে যেতাম। একজন সাধু আমার অবস্থা দেখে বলতো এসব ব্রহ্ম জ্ঞানের লক্ষণ
গিরিশ ও আমি আমার
কনসার্ট থামিয়া গেলে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আবার কথা কইতেছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- একি তোমার থিয়েটার না তোমাদের?
গিরিশ- আজ্ঞে আমাদের।
শ্রীরামকৃষ্ণ- আমাদের কথাটিই ভালো (Ramakrishna)। আমার বলা ভালো নয়। কেউ কেউ বলে আমি নিজেই এসেছি। এসব হীন বুদ্ধি অহংকারে লোকে বলে।
শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্র প্রভৃতি সংঘে
নরেন্দ্র- সবই থিয়েটার
শ্রী রামকৃষ্ণ- হাঁ হাঁ ঠিক। তবে কোথাও বিদ্যার খেলা, কোথাও অবিদ্যার খেলা।
নরেন্দ্র -সবই বিদ্যার (Ramakrishna)
শ্রী রামকৃষ্ণ- হাঁ হাঁ, তবে অতি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়। ভক্তি ভক্তের পক্ষে দুই আছে বিদ্যা মায়া অবিদ্যা মায়া।
Leave a Reply