শ্রীরামকৃষ্ণ — “বেশ কীর্ত্তন হল! গোপীদের অবস্থা বেশ বললে — ‘হে মাধব, আমার মাধব দাও।’ গোপীদের প্রেমান্দদের অবস্থা। কী আশ্চর্য! কৃষ্ণের জন্য পাগল!”
একজন ভক্ত আর একজনকে দেখাইয়া বলিতেছেন — **“এরই সঙ্গীতভাব — গোপীবাবা।”
রাম বলিতেছেন — “এর ভিতর দুইই আছে। মধুরভাব আর জ্ঞানের কঠোর ভাবও আছে।”
শ্রীরামকৃষ্ণ — “কি গা?”
ঠাকুর এবার সুরেন্দ্রর কথা বলিতেছেন।
রাম — আমি খবর দিছিলাম, কই এলেন না। শ্রীরামকৃষ্ণ — কর্ম থেকে এসে আর পারা যায় না।
একজন ভক্ত — রামবাবু আপনার কথা লিখেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য) — কি লিখেছে? ভক্ত — পরমহংসের ভুক্তি — এই বলে একটি বিষয় লিখেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ — তবে আর কি, রামের খুব নাম হবে। গিরিশ (সহাস্য) — সে আপনার চেলা বলে। শ্রীরামকৃষ্ণ — আমার চেলা-টেলা নাই। আমি রামের দাসানুদাস।
পাড়ার লোকেরা কেহ কেহ আসিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাদের দেখিয়া ঠাকুরের আনন্দ হয় নাই। ঠাকুর একবার বলিলেন, “এ কি পাড়া! এখানে দেখছি কেউ নাই।”
দেবেন্দ্র এবার ঠাকুরকে বাড়ির ভিতর লইয়া যাইতেছেন। সেখানে ঠাকুরকে জল খাওয়াইবার ইচ্ছা। ঠাকুর ভিতরে গেলেন। ঠাকুর সহসাইদলের বাড়ির ভিতর হইতে ফিরিয়া আসিলেন ও আবার বৈঠকখানায় উপস্থিত হইলেন। ভক্তরা কাছে বসিয়া আছেন। উপেন্দ্র ও অক্ষয় ঠাকুরের দুই পাশে বসিয়া পদসেবা করিতেছেন। ঠাকুর দেশের বাড়ির মেয়েদের কথা বলিতেছেন — “বেশ মেয়েরা, পাদরগেয়ে মেয়ে কি না! খুব ভক্তি।”
ঠাকুর আছাড়ায়? নিজে আনন্দে গান গাহিতেছেন! কি ভাবে গান গাহিতেছেন? নিজের অবস্থা স্মরণ করিয়া তাহার কি ভাবাবেশ হইল? তাই কি গান গাহি গাহিতেছেন?
গান – সহজ মানুষ না হলে সহজকে না যায় চেনা।
গান – দরবেশা দাড়ারে, সাধের কড়ওয়া কিস্তুধারী
দাড়ারে, ও তোর ভাব (রূপ) নেহারি।।
গান – এসেছেন এক ভাবে ফকিরা।
(ও সে) হিন্দুর ঠাকুর, মুসলমানের পীর।।
Leave a Reply