Women’s Reservation Bill: ‘‘মহিলাদের হয়ে কি পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন না?’’ অধীরকে ‘শাহী’-পাঠ

“ভারতের ঐতিহ্যই হল পরিবারের মহিলাদের কল্যাণ কামনা করবেন পুরুষরা..."
Amit_Shah
Amit_Shah

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহিলাদের হয়ে কি পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন না?” বুধবার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে এমনই প্রশ্ন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করি, এই ইস্যুতে (মহিলা সংরক্ষণ বিল) (Women’s Reservation Bill) কেবল মহিলারাই বলবেন। মহিলাদের ইস্যুতে পুরুষরা বলতে পারবেন না?”  

অধীরকে জবাব শাহের

সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিলটি নিয়ে বিজেপির তরফে প্রথমে বলতে ওঠেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তখনই কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিজেপির হয়ে ব্যাটিং করছেন একজন পুরুষ সাংসদ।” এর পরেই অধীরকে শাহি-পাঠ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রথম বক্তা হতে না পারায় অধীর চৌধুরী নিশিকান্তের ওপর ঈর্ষাকাতর হচ্ছেন।”

ভারতের ঐতিহ্য মনে করালেন শাহ 

অধীরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শাহ মনে করিয়ে দেন, “ভারতের ঐতিহ্যই হল পরিবারের মহিলাদের কল্যাণ কামনা করবেন ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যরা।” প্রসঙ্গত, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill) পেশ করে বিজেপি। বিলটি আইনে পরিণত হলে, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার ৩৩ শতাংশ সংরক্ষিত হবে মহিলাদের জন্য। এদিকে, এদিন মহিলা সংরক্ষণ বিলের স্বপক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিলেন তিনিই।

আরও পড়ুুন: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন...’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করতে ভারতীয় জনতা পার্টি চেষ্টার কসুর করছে না।” তিনি বলেন, “বিজেপিই দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল যারা লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইছে। বিজেপি যখন বিরোধী পক্ষ ছিল, আমরা সরকারের কাছে এই বিলের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কংগ্রেস, যারা তখন ক্ষমতায় ছিল, বিলটি আনেনি। ২০১৪ সালে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বিলটিও (Women’s Reservation Bill) ল্যাপস হয়ে যায়।” কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর বিআর আম্বেদকর বলেছিলেন, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি আমরা রাজনৈতিক সাম্য পাব। কিন্তু সামাজিক যেসব বিষয় বাদ থেকে গেল, সেগুলি অবশ্যই সংশোধন করবে পরবর্তী সরকারগুলি।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles