Author: ishika-banerjee

  • ICC Champions Trophy: ভারতের জয়ে ক্ষতির মুখে পিসিবি! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও পাকিস্তানের বাইরে

    ICC Champions Trophy: ভারতের জয়ে ক্ষতির মুখে পিসিবি! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও পাকিস্তানের বাইরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আয়োজক দেশ হয়েও ফাইনাল আয়োজন করতে পারল না পাকিস্তান। পাক দল আগেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিরে বাইরে চলে গেছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও দেশের বাইরে চলে গেল। তাও ভারতের সৌজন্যে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে খেলা হচ্ছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপত্তির জেরে পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকার করে বিসিসিআই। ঠিক হয়, ভারত তাদের গ্রুপ ও নকআউট, এমনকী ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচও দুবাইয়ে খেলবে। সেই মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হবে দুবাইয়ে।

    গদ্দাফি নয় দুবাইতেই ফাইনাল

    ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এই টুর্নামেন্টের প্রতিটা ম্যাচই তারা খেলবে দুবাইতে। ভারত সেমিফাইনাল বা ফাইনালে না উঠলে ম্যাচগুলি হতো পাকিস্তানেই। কিন্তু সেটা হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভারত ফাইনাল খেলবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল ফাইনাল খেলতে উড়ে যাবে দুবাই। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এক অর্থে পাকিস্তানেরও ছুটি করেন রোহিতরা। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বইতে শুরু করে মিমের প্লাবন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা

    ভারত হারলে ফাইনাল (ICC Champions Trophy) আয়োজিত হতো লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে। সে ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রি এবং বিজ্ঞাপন থেকে আরও বেশি উপার্জন করতে পারত পিসিবি। তা হলো না শেষ পর্যন্ত। সেমিফাইনাল আয়োজন করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। একজন তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘গদ্দাফি স্টেডিয়াম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিল’। সুমিত কাড়েল নামে অন্য একজনের সরস টিপ্পনি—‘ভারতের হাতে দুবাই থেকে ছুটি হল আয়োজক দল পাকিস্তানের। তিনটি ম্যাচ পাকিস্তানের সেরা তিনটি স্টেডিয়ামে বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল। একটি সেমিফাইনাল পাকিস্তানের বাইরে খেলা হল। এখন ফাইনালও আয়োজিত হবে দুবাইয়ে। এর চেয়ে চরম অসম্মান ও আর্থিক লোকসান আর কিছুই হতে পারে না। আয়োজক হয়েও পাকিস্তান আয়োজক নয়।’

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের বাইরে

    আরেকজন নেটিজেন মজার ছলে লেখেন—‘তাহলে এটা চূড়ান্ত—২৩ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাইরে। ৪ মার্চ: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের বাইরে।’ রাহুলের ছক্কা মারার ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই শট বলে দিচ্ছে কীভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।’ বাবর-রিজওয়ানদের সমালোচনার পর এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও কটূক্তি। একজন সমর্থক লেখেন, ‘৩০ বছর পর একটা আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু তার ফাইনালও দেশের বাইরে হবে। মহসিন নকভির অযোগ্যতার প্রমাণ।’

    সমস্যায় পাকিস্তান ক্রিকেট

    ২৯ বছর পরে আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু শুরুতেই বিদায় নিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে পাক বোর্ডের সামনে তিন বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক) স্পনসরের সমস্যা। দুই) ভবিষ্যতে আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার সমস্যা। তিন) পাকিস্তান ক্রিকেটের খোলনলচে বদলে ফেলার দাবি।

    আগ্রহ হারাচ্ছে স্পনসররা

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) হাত ধরে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের তিনটি মাঠ সংস্কারে ১৮০ কোটি টাকা খরচ করেছে তারা। প্রতিটি দলের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। বিদেশি সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার দিকে নজর রাখা হয়েছে। কিন্তু আসল বিষয় হল ক্রিকেটে দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করা। যে ভাবে পাকিস্তানে একের পর এক আইসিসি প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হচ্ছে, তাতে এই আগ্রহ ক্রমশ কমছে। বড় প্রতিযোগিতাগুলিতে টানা ব্যর্থতায় হতাশ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও। পিসিবি কর্তারা স্পনসর হারানোর আশঙ্কা করছেন।

    আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনে ভাবতে হবে

    ১৯৯৬ সালের পর থেকে পাকিস্তানে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা হয়নি। তার একটি কারণ সেখানকার নিরাপত্তা। এ বার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। কিন্তু আইসিসি চায়, যে দেশে প্রতিযোগিতা হবে সেই দেশে গ্যালারি ভর্তি থাকুক। দর্শকদের উৎসাহ থাকুক। আয়োজক দেশ যদি ভাল খেলতে না পারে, তা হলে উৎসাহ কমবে। পাকিস্তানের দর্শকেরা যে ভাবে ক্রিকেটে আগ্রহ হারাচ্ছেন, তাতে ভবিষ্যতে এই দেশকে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার আগে অনেক ভাবতে হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে।

    পিসিবিকে গোল দিল বিসিসিআই

    চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) শুরুর দিন সাতেকের মধ্যেই পাকিস্তান দল প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছে। আট দল নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতার প্রথম চার দলের মধ্যেও ঠাই হয়নি আয়োজক দেশের। যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় নিঃসন্দেহে। এই আবহেই এবার আরও বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট। সেমিফাইনালে ভারতের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে শুধুমাত্র বিদায় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া, ছিটকে গিয়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামও। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্জের মধ্যে ম্যাচই পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ ম্যাচ। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকে ট্রোল করে ভারতীয় ফ্যানরা।‌ মাঠ এবং মাঠের বাইরে পাকিস্তানকে একরাশ লজ্জা উপহার দিল ভারত। মাঠে রিজওয়ান-বাবরদের হেলায় হারাল রোহিত-বিরাটরা আর মাঠের বাইরেও পিসিবিকে গোল দিল বিসিসিআই।

  • India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মাধ্যমে তুরস্ক (Turkey) থেকে বিপজ্জনক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতীয় সীমান্তে সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের ‘টিবি-২ বায়রাক্টার’ ড্রোন আমদানি করেছে এবং নজরদারি অভিযানের জন্য ভারত সীমান্তের (India Bangladesh Border) কাছে সেগুলো মোতায়েন করছে। ভারত এই এলাকাগুলিতে তাদের কার্যকলাপের উপর সতর্ক নজর রাখার জন্য রেডার স্থাপন সহ সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

    পাক সহায়তাতেই ড্রোন আমদানি!

    মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ক্রমশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। পাক যোগসূত্রে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বায়রাক্টার টিবি ২ ড্রোন কিনেছে বাংলাদেশ। ভারতের সীমান্তে তা মোতায়েনও করা হয়েছে। পাকিস্তানও তুরস্ক থেকে ওই ড্রোন কিনেছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের পথ দিয়েই তুরস্ক-বাংলাদেশ এই যোগসূত্র গড়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষই নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোতায়েন করা তুরস্কের এই ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ৮ হাজার ২৩০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এই ড্রোন ফাইটার জেটকেও পাল্লা দিতে পারে। বায়রাক্টার টিবি-২ হল মাঝারি উচ্চতায় হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য। মানবহীন বিমানটিতে আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পরিদর্শন করতে তাদের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এই আবহে ভারতের সীমান্ত তুরস্কের ড্রোন মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সতর্ক দিল্লি।

  • Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাইসেন জেলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মাখনি গ্রামে ওয়াকফ বোর্ড এক চমকপ্রদ দাবি তুলেছে। তারা দাবি করছে গ্রামের বাসস্থান, কৃষিজমি এবং এমনকি একটি শিবলিঙ্গের ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বোর্ড সম্প্রতি গ্রামবাসীদের একটি নোটিশ দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে জমি তাদের অধীনে রয়েছে এবং তা তাদের মুক্ত করতে হবে।

    ওয়াকফ বোর্ডের কাছে কোনও প্রমাণ নেই (Waqf Board)

    ওয়াকফ বোর্ড দাবি করছে যে, মাখনি গ্রামে অবস্থিত ওই ৩ একর জমি একটি কবরস্থানের অংশ। তবে তাদের দাবি সমর্থনে কোনও শক্তিশালী প্রমাণ দেখানো হয়নি। প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, নোটিশে গ্রামবাসীদের বাড়ি, চাষের জমি, প্ল্যাটফর্ম এবং এমনকি শিবলিঙ্গেরও উল্লেখ করা হয়েছে। বোর্ড দাবি করেছে যে, গ্রামবাসীদের ওই জমি ছাড়তে হবে। যা গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ও রোষের সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসীদের সম্পত্তির পাশাপাশি, বোর্ড একইভাবে রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন জমির ওপরও দাবি জানিয়েছে। বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, গ্রামটি একসময় কাদির খান নামে এক ব্যক্তির মালিকানায় ছিল। যিনি ওই জমিটি ওয়াকফে দান করেছিলেন। তবে স্থানীয়রা এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে এবং তারা জানাচ্ছে যে, কখনও এমন কোনও ব্যক্তি ওই গ্রামে বাস করেননি।

    ওয়াকফ বোর্ডের নানা জমি নিয়ে বিতর্ক (Waqf Board)

    মাখনি গ্রামে (Madhya Pradesh) বহু পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের জমি ছাড়বে না। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিশেষত, শিবলিঙ্গের ওপর এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তারা বোর্ডের কার্যকলাপকে অধিকতর হস্তক্ষেপ এবং বেআইনি দখল বলে অভিযোগ করছে। রাইসেনের এই বিতর্ক এমন সময় সামনে এসেছে, যখন ভারত সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কাজ করছে, যা ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা এবং সম্পত্তি দাবির বিষয়গুলো সমাধান করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত। এই বিলটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের অস্বাভাবিক প্রভাব ও সম্পত্তি দাবি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বোর্ড গত কয়েক বছরে মন্দির, হিন্দুদের মালিকানাধীন জমি এবং সরকারি জমির ওপর দাবি তুলেছে।

  • Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৎপর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    পঠনপাঠন কার্যত লাটে

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমনের জেরে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণা। ফের একবার বিক্ষোভ আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালের উচিত আরজি করের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে পঠনপাঠন, গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগানো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত আর তথাকথিত সেকু-মাকুদের দফতরেও তালা লাগানো উচিত। যাদবপুরে মাওবাদীদের যে ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’

    দায়ী সরকার, বিজেপি শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে

    যাদবপুরে বিশৃঙ্খল (Jadavpur University Chaos) পরিস্থিতির জন্য তণমূল সরকারকে দায়ী করলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজক পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়, তা জানায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মানুষ শুধু আমাদের পুলিশটা হাতে তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দু’টোকেই উপড়ে ফেলে দেব! এক ঘণ্টা লাগবে!’’ শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দাবি জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নকশাল মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। এবিভিপির সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,‘‘বিজেপি সরকারে আসবে ছাব্বিশে। তারপরে এরা আর বেঁচে থাকবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গেছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গেছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না। যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলাতে এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।’’

  • India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত। আমেদাবাদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল এই জয়। ঘরের মাঠে অপরাজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে (India Vs Australia) হারিয়েছে রোহিত-ব্রিগেড। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। দলটা অস্ট্রেলিয়া, তাই যেন ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই জয়ের কৃতিত্ব গোটা দলকে দিয়েছেন তিনি।

    দলগত সাফল্যেই জয়

    এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। জয়ের জন্য ভারতের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না। ওদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, জিততে গেলে আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। সকলে ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। জেতা ছাড়া আমাদের মাথায় কিছুই ছিল না। সকলে মিলে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি।”

    রো-‘হিটে’র নজির

    এদিন আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নজির গড়লেন রোহিত। মঙ্গলবার রোহিত আইসিসির প্রতিযোগিতায় নিজের ৬৫তম ছক্কা মারলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভেঙে দিলেন ক্রিস গেলের বিশ্বরেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটার আইসিসির প্রতিযোগিতায় ৬৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৪৯টি। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। আইসিসির প্রতিযোগিতায় তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৪৫টি।

    চেজ মাস্টার কোহলি, ছাপিয়ে গেলেন সচিনকে!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সেমিফাইনালে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এল বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয় এনে দিল তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে আরও একটি কীর্তি গড়লেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে এক দিনের ক্রিকেটে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় কোহলিকে। তা যে শুধু কথার কথা নয়, তার প্রমাণ কোহলির পরিসংখ্যান। সচিন তেন্ডুলকরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রান পূর্ণ করলেন কোহলি। ১৭০টি ম্যাচে এই সাফল্য অর্জন করলেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে সচিন ২৪২টি ম্যাচে করেছেন ৮৭২০ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ৮৮.৪। কোহলি রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৯৩.৩ স্ট্রাইক রেটে। এ ক্ষেত্রে কোহলির গড় ৬৪.৭১। রান তাড়া করতে নেমে এখনও পর্যন্ত ২৪টি শতরান করেছেন কোহলি। সচিন করেছিলেন ১৪টি শতরান।

    কেন হাতছাড়া শতরান

    এদিন তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এক দিনের আন্তর্জাতিকে ৫২তম শতরান হাতছাড়া করলেন কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বিরাট সে কথা মেনেও নিলেন। কোহলি বলেছেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান মতো বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি সেই রানটা করে নিয়ে আর দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করে দিতে। মাঝেমাঝে সে ভাবেই খেলতে চাই। তবে কখনও-সখনও আপনি যেটা চান সেটা কাজে লাগে না।” আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিরর নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। কেরিয়ারে সব মিলিয়ে একশোটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এদিন সচিনের সঙ্গে বিরাটের ব্যবধান আরও একটু কমবে, এমন সম্ভাবনাই ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রানে ফেরেন চেজমাস্টার।

    মাত্র ৫টি বাউন্ডারি, কোনও ছয় নেই, সিঙ্গল ৫৬!

    বিরাট কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি। কোনও ছয় নেই। সিঙ্গল নিয়েছেন ৫৬টি! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির ইনিংসেও ৭টি মাত্র বাউন্ডারি মেরেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি বলেন, “আমার মতে আজকের ইনিংসটাও পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। সেখানে সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ৭টি বাউন্ডারি মেরেছিলাম। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি। মরিয়া হয়ে রান তাড়া করার চেষ্টা করিনি। মাঠের এ দিক-ও দিক খুচরো রান নিতে পেরে ভাল লাগছিল। যখন আপনি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নিতে পারবেন, তখন বুঝবেন ভাল খেলছেন। পাকিস্তান এবং আজকের ম্যাচে আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা এই বিষয়টাই। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি।”

    পরবর্তী বিশ্বকাপেও থাকবেন কোহলি!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতেই একের পর এক বড় ইনিংস খেলে সমস্ত সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি আবার কি এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ফর্মে? সহাস্য কোহলির উত্তর, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন। আমি ও সব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ের কথা ভাবলে এ ধরনের জিনিস আপনা থেকেই হতে থাকবে। দল যা চায় সেটা করতে পারলে আমি গর্বিত হই। মাইলফলক আর আকৃষ্ট করে না।” তাহলে কী দলের জন্যই ফের একবার একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে চান কোহলি? আপাতত লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। আরও একটি আইসিসি খেতাব।

  • Beawar Sexual Exploitation Case: আজমেরের পুনরাবৃত্তি! হিন্দু কিশোরীদের ধর্ষণ, ধর্মান্তরণের চাপ জিহাদি গ্যাংয়ের

    Beawar Sexual Exploitation Case: আজমেরের পুনরাবৃত্তি! হিন্দু কিশোরীদের ধর্ষণ, ধর্মান্তরণের চাপ জিহাদি গ্যাংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন গণধর্ষণ। মুখ বন্ধ করতে অশালীন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল। ৩০ বছর আগের এই ঘটনায় নড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। ১০০ জনেরও বেশি কিশোরীকে এ ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল রাজস্থানের আজমের। এবার তারই প্রতিফলন ঘটল বেওয়ারে (Beawar Sexual Exploitation Case)। মুসলিম গ্রুমিং গ্যাং কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে নাবালিকা হিন্দু মেয়েরা। পরিকল্পিতভাবে সাজগোজ, ব্ল্যাকমেল, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল তাদের।

    কী হয়েছিল, মামলা দায়ের

    ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, বেওয়ার (Beawar Sexual Exploitation Case) পুলিশ অল্প শিক্ষিত মুসলিম যুবক রেহান মহম্মদ (২০), সোহেল মনসুরি (১৯), লুকমান (২০), আরমান পাঠান (১৯), সাহিল কুরেশি (১৯) এবং দুই নাবালককে গ্রেফতার করে, যারা হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে, ধর্ষণ করে এবং বলপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করছিল। এই ধর্ষক জিহাদিরা হিন্দু মেয়েদের নামাজ, রোজা এবং কলমা (ইসলামিক বিশ্বাসের ঘোষণা) পাঠ করাচ্ছিল। তাছাড়া, তারা মেয়েদের বোরখা পরতে, নামাজ পড়তে, রোজা (রোজা) পালন করতে এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য ব্রেনওয়াশ করতে চাপ দেয়। অভিযুক্ত ধর্ষণ জিহাদিদের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে।

    ব্রাহ্মণ হলে ২০ লক্ষ টাকা, দলিত ১০ লক্ষ

    এক নির্যাতিতার সাক্ষ্য অনুসারে, এই ধর্ষক জিহাদিরা বেওয়ারের বিজয়নগরের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া হিন্দু মেয়েদের অনুসরণ করত। মোবাইল ফোনে মেয়েদের সংস্পর্শে আসার পর তারা মেয়েদের যৌন নির্যাতন করত, অপরাধের স্পষ্ট ছবি এবং ভিডিও তুলত এবং তারপর তাদের আরও নির্যাতনের জন্য এটি ব্যবহার করত। অভিযুক্তরা নির্যাতিতাদের ছোট ছোট মোবাইল ফোন দিত। অভিযুক্ত সোহেল মনসুরি এক নির্যাতিতাকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি ছোট মোবাইল ফোন দিয়েছিল। সে তাকে ক্রমাগত হুমকি দিত। নির্যাতিতাকে জোর করা হত। যেন, সে তার বন্ধুদের সোহেলের বন্ধু, রিয়ান, জাভেদ এবং আরমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সোহেল হিন্দু মেয়েটিকে বোরখা পরতে বাধ্য করত এবং রমজান ও রোজা সম্পর্কে শিক্ষা দিত। জানা গিয়েছে, সে তাকে রোজা রাখার জন্য ব্রেনওয়াশ করত। সে ব্লেড দিয়ে তার হাতও কেটে দিয়েছিল। হিন্দু মেয়েটির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত সোহেল। তাকে কলমা পড়তে চাপ দিত। ভুক্তভোগীরা বলেছিল যে পুরুষরা বুলেট মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য গাড়ি সহ নতুন গাড়িতে আসত এবং তাদের নিয়ে যেত। ভুক্তভোগীদের একজন বলেছিল, “তারা একবার আমাকে বলেছিল যে একজন ব্রাহ্মণ মেয়ে বিক্রি করলে ২০ লক্ষ টাকা পাবে, আর তুমি (একজন দলিত) পাবে ১০ লক্ষ টাকা।” মেয়েরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছিল যে তাদের ক্রমাগত অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল এবং অন্য মেয়েদের আনতে বাধ্য করা হয়েছিল।

    তদন্তে পুলিশ

    একজন মেয়ের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যাওয়ার পরে মামলাটি উন্মোচিত হয়। পরিবার যখন একজন মুসলিম পুরুষকে ফোন করে, তখন সে গালিগালাজ এবং হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় ছুটে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে, যার পরে মামলাটি স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানতে পারে যে কেবল একজন নয়, একাধিক মেয়েই এই ঘটনার শিকার হয়েছে। বেশ কয়েকজন মুসলিম ছেলে এই ঘটনায় জড়িত ছিল। তারা মেয়েদের কাছ থেকে টাকাও আদায় করত এবং তাদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা চুরি করতে বাধ্য করত। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার গুন্ডাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে স্কুলের মেয়েরা। প্রথমে স্কুলের মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা হত। অভিযুক্তেরা তার পর প্রলোভন দিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করত। গণধর্ষণ করা হত। ধর্ষণের সময়কার ছবিও তোলা হত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ছবি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদেরকে ব্ল্যাকমেল করা হত। ব্ল্যাকমেল করে নির্যাতিতা ছাত্রীকে বলা হত সে যেন তার বান্ধবীদেরও নিয়ে আসে। এ ভাবেই একাধিক ছাত্রীর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল।

    মসজিদে যাওয়ার জন্য চাপ

    বেওয়ারের এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে ‘মুসলিম গ্যাং’ তাকে স্থানীয় মসজিদে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। এই মামলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বিজয়নগরের প্রাক্তন কাউন্সিলর হাকিম কুরেশিকে গ্রেফতার করে। এই গ্যাংয়ে বেশ কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাকে একই দিনে কোটদার পকসো আদালতের বিচারকের বাসভবনে হাজির করা হয় এবং ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরে, তাকে ১১ মার্চ পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কুরেশি অন্যান্য অভিযুক্ত এবং ধর্ষণ জিহাদিদের সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত।

    কতজন গ্রেফতার

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন নাবালিকাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করার সময়, বেওয়ারে উত্তেজনা বিরাজ করছে কারণ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ২৪ ফেব্রুয়ারি আজমের, বেওয়ার এবং ভিলওয়ারা জেলায় এই অপরাধের প্রতিবাদে মানুষ বন্ধের ডাক দেয়। মানুষ এই অপরাধে জড়িত সকল দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে আন্দোলন করছে। শনিবার (১ মার্চ) বেওয়ার ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল মামলার প্রতিবাদে আজমিরে সম্পূর্ণ বন্ধ পালিত হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলিও। জেলা কালেক্টরের অফিসে “আক্রোশ” সমাবেশ করে তারা। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। প্রতিবাদী হিন্দু অধিকার কর্মীরা কালেক্টরের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। হিন্দু অধিকার সংগঠনগুলি ছাড়াও, প্রায় ১২৪টি বাজার সমিতিও আজমের জুড়ে “বন‍্‍ধ”-কে সমর্থন জানিয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দ্রুত বিচারের দাবি

    গ্রুমিং গ্যাং মামলা প্রসঙ্গে আজমিরের ডেপুটি মেয়র নীরজ জৈন বলেন, “আমরা চাই মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এটি কেবল ব্ল্যাকমেল বা ধর্ষণের ঘটনা নয় – হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এটি লাভ জিহাদের একটি স্পষ্ট ঘটনা। ন্যায়বিচার বিলম্বিত করা উচিত নয়, যেমনটি আজমের ব্ল্যাকমেল মামলায় দেখা গিয়েছে, যেখানে ৩৩ বছর পর দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সময়মতো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এই মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।”

  • Rohit Sharma: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককে এভাবে অসম্মান! কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির

    Rohit Sharma: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককে এভাবে অসম্মান! কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককেও অসম্মান করা যায়! এটাই রীতি কংগ্রেস ও তৃণমূলের। এমনই মনে করছে নেটপাড়া। ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বডি শেমিং ও কটাক্ষ করা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস (Congress Leader Shama Mohammad) নেত্রী শামা মহম্মদ এবং তৃণমূল (TMC)-নেতা সৌগত রায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের সমালোচনা করে বলেছেন, “এটা শুধু লজ্জাজনক নয়, চরম নিন্দনীয়!”

    শামা-সৌগতর মন্তব্য

    সোমবার কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শামা মহম্মদ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) “একজন খেলোয়াড়ের নিরিখে বেশি মোটা” বলে কটাক্ষ করেন। রোহিতকে ভারতের “সবচেয়ে প্রভাবহীন অধিনায়ক” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় কংগ্রেস নেত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “রোহিত শর্মা অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য নন, তিনি দলে থাকারও যোগ্য নন! আমি শুনেছি সম্প্রতি রোহিত শর্মার ফর্ম খুব খারাপ যাচ্ছে। ও একটি শতরান করেছে। তাছাড়া দু’রান, তিন রান, চার রান, পাঁচ রানেই আউট হয়ে যায়। ওর দলে থাকার যোগ্যতা নেই। ভারত জিতে যাচ্ছে, কারণ অন্য খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। অধিনায়কের কোনও অবদান নেই। শামা মহম্মদ যা বলেছেন, সেটা সত্যি।” এই বক্তব্য নিয়ে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে।

    নেটিজেনদের নিশানা

    রোহিতকে সমালোচনা করায় সৌগতকে নিশানা করে রীতিমতো কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায় নেটপাড়ায়। এক নেটিজন বলেন, “সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ওপেনিং জুটি: রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল – না। সৌগত রায় ও শুভমন গিল – হ্যাঁ। উনি সেঞ্চুরি করবেন।” একজন তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, “লর্ডসের মেঘলা সকালে স্যাঁতস্যাঁতে পিচে সৌগতবাবু ব্যাট করছেন। আর মিচেল স্টার্ক বল করছেন। দারুণ।” অপর একজন বলেন, “রোহিতকে বাদ দিয়ে সৌগত রায়কে দিয়ে ওপেন করানোর আবেদন করছি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে। ওঁনাকে একবার সুযোগ দেওয়া দরকার। এখন উনি খুব ভালো ব্যাট করেন।”

    কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর তোপ

    কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র এবং তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “ক্রীড়াবিদদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ তাঁরা নিজেদের পেশাদার কেরিয়ার সামলাতে পারেন। এই সব দলের নেতারা যে মন্তব্য করেছেন, তা স্রেফ চূড়ান্ত লজ্জার নয়, জঘন্যও বটে। তাঁরা একজন অ্যাথলিটের বডিশেমিং করেছেন। দলে তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করা হয়। যাঁরা অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি (Netizens Trolls Saugata)। পদ্ম শিবিরের নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ক্যাপ্টেনসিতে যারা ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে, তাঁরা আবার রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেনসিকে ম্যাড়মেড়ে বলে! আমার ধারনা দিল্লিতে ৬টি ও ৯০টি নির্বাচনে হেরে যাওয়াটা খুবই প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়, কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপ জেতাটা তা নয়! রোহিত শর্মার অসাধারণ ধারবাহিকতা রয়েছে খেলোয়াড় ও ক্যাপ্টেন হিসেবে।” ক্রমশ অস্বস্তি বাড়তে থাকে কংগ্রেসের। পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে আঁচ করে কংগ্রেস শামার বক্তব্যের সঙ্গে দলীয় অবস্থানের দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, “শামা মহম্মদের মতামত একান্তই তাঁর নিজেস্ব। দলের সঙ্গে এক কোনও যোগ নেই। দল শামাকে সেই পোস্টটি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতের ক্রীড়াবিদদের অবদানকে সবসময় সম্মান করে কংগ্রেস।”

  • Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে (Kashmir-Manipur Remark) ভিত্তিহীন মন্তব্যের অভিযোগে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে তুর্কের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানান রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দায়সারা মন্তব্য করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগে সরব হন তিনি। ভারত সুস্থ ও বৈচিত্র্যময় গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদেই বিশ্বাসী বলে জানান অরিন্দম। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ভারতকে নিয়ে এসব ভিত্তিহীন ও সারবত্তাহীন দাবির থেকে বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    ভারতের কড়া জবাব

    রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন (ইউনাইটেড নেশন্‌স হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইট্‌স)-এর প্রধান ভল্কার তুর্কের কাশ্মীর ও মণিপুর প্রসঙ্গে মন্তব্য অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। সোমবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তুর্ক। ওই সময়ে ভারতের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তুর্ক জানান, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে আরও উদ্যোগী হওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন অরিন্দম।

    ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

    রাষ্ট্রপুঞ্জে অরিন্দম বাগচী বলেন, “যেহেতু ভারতকে নাম করে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমি প্রথমেই বলতে চাই, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতে একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা রয়েছে। অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্যগুলি বাস্তব পরিস্থিতির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।” অরিন্দমের মতে, এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগকে (Kashmir-Manipur Remark) বার বার ভুল প্রমাণ করেছেন ভারতবাসীরা। ভারতের বৈচিত্র এবং ভারতীয় সমাজের মুক্তচিন্তাকে আরও ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। তুর্কের উদ্বেগ উড়িয়ে দিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি রয়েছে এবং উন্নয়নও হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন, সেখানে ভোটদানের হার এবং পর্যটনের বিকাশের কথাও তুলে ধরে ভারত। এই ঘটনাগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত উন্নয়নের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় জানান অরিন্দম।

    ভারতের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হোক

    বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দিল্লি। জেনেভায় ওই সভায় তুর্ককে পাল্টা জবাব দিয়ে বাগচী বলেন, “এধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে বারবার ভারত ভুল প্রমাণিত করেছে। ভারত সম্পর্কে বলতে গেলে আরও পড়াশোনা করে আসার অনুরোধ রইল। ভারতের বৈচিত্র্য ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে সঠিক জ্ঞানটুকু থাকা প্রয়োজন।” রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সোমবার বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি তুলে ধরার সময়ে ইউক্রেন, গাজা, আমেরিকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে সেখানে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের সাফ বার্তা, যাঁরা বলছেন এসব কথা, তাঁদের উদ্দেশে একটাই পরামর্শ— আয়নায় নিজেকে ভালো করে দেখুন।

    মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

    উল্লেখ্য, অশান্তি কবলিত মণিপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি সংঘর্ষ। সেই থেকেই জাতিহিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যটি। এই মুহূর্তে মণিপুরের কী পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করণীয়, সবটাই আধিকারিকদের থেকে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দ্রুত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে আগামী দিনে বড়সড় পদক্ষেপ করা হতে পারে, বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কাশ্মীরে উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, এমন একটি যুগ ছিল যখন দেশের অন্যান্য অংশে আইন প্রয়োগ করা জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর করা যায়নি। সারা দেশে দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ৩৭০ ধারার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এখন সময় বদলেছে। ৩৭০ ধারা রদের পর সারা দেশ যে সুবিধা পায়, সেই সুবিধাই পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। এখানে সম্প্রতি পর্যটন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপত্যকায় নয়া রেল প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে যা সাহায্য করবে। উন্নয়নের শক্তি, পর্যটন সম্ভাবনা, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের নেতৃত্বই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশ, এমনই আশা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উন্নত ভারত গঠনের জন্য উন্নত-আধুনিক কাশ্মীরও চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত (India Vs Australia)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন রোহিত-বিরাটরা। কিন্তু ফাইনালে আশাভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়তে পারে মঙ্গলবার। বদলার ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে রোহিত ব্রিগেডের।

    মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

    দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়াও করেছে। কিন্তু বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে একটিতে বল গড়ায়নি, আর একটি মাঝপথেই ভেস্তে যায়। এ বার খেলতে হবে দুবাইয়ের মন্থর পিচে। ভারতের কাছে ভয়ের কারণ ট্র্যাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করেছেন। দ্বিতীয়জন স্টিভ স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে রানের খিদে কোনও দিন তাঁর কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই।

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন। যতই ভাঙাচোরা দল হোক, অস্ট্রেলীয় (India Vs Australia) আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা উজাড় করে দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে জেতার পরেই তা বোঝা গিয়েছে। অন্যদিক, ভালো খেললেও রোহিতদেরও হলুদ জার্সি নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এবার সেই আতঙ্ক বদলের পালা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার সামলে দিয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, অক্ষর পটেলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরিমিত আগ্রাসন ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। রোহিত-কোহলি যে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব— এই স্পিন ত্রয়ী এখন গোটা বিশ্বের ত্রাস। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বল এখনও অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। ফলে বোলিং বিভাগে ভারত বেশ শক্তিশালী হয়েই নামবে।

    দুবাই-এর পিচ নিয়ে রোহিত

    ভারত একই ভেনুতে তিনটি ম্যাচ খেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে ভারত (India Vs Australia)। সেমিফাইনালের আগে সেই প্রশ্নের সমালোচনা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই পিচে আলাদা চ্য়ালেঞ্জ থাকছে। তিন ম্যাচেই পিচ আলাদা আচরণ করেছে। এটা আমাদের হোমগ্রাউন্ড নয়। এটা দুবাই। সারা বছর এখানে খেলি না। এখানকার পরিবেশ আমাদের কাছেও নতুন।’ রোহিত আরও যোগ করেন, ‘এখানেও চার-পাঁচটি পিচ রয়েছে। প্রত্যেকটা পিচেরই চরিত্র ভিন্ন। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে, সেটার আচরণ আমিও জানি না। যাই হোক না কেন, দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, সেখানেই খেলতে হবে।’

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি।

    কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম সেমিফাইনাল দুপুর ২.৩০, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার

  • Kolkata Knight Riders: নতুন জার্সি নাইটদের, শ্রেয়সের জায়গায় কেকেআর অধিনায়কের নাম ঘোষণা

    Kolkata Knight Riders: নতুন জার্সি নাইটদের, শ্রেয়সের জায়গায় কেকেআর অধিনায়কের নাম ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ আইপিএল (IPL 2025)। গত বার আইপিএলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে ধরে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। তার জায়গায় এবার দলের ব্যাটন তুলে দেওয়া হল অজিঙ্কা রাহানের হাতে। আইপিএল শুরুর আগে নতুন জার্সিও প্রকাশ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জার্সির বুকে রয়েছে তিনটি তারা।

    নয়া অধিনায়ক রাহানে

    কেকেআরের (Kolkata Knight Riders) অধিনায়ক কে হবে তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জল্পনা চলছিল। তালিকায় রাহানের সঙ্গে ছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ারও। আবার অনেকে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলদের নামও করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভারতের অভিজ্ঞ ক্রিকেটের উপর ভরসা রাখল কেকেআর। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের অধিনায়কত্ব করেন রাহানে। এ বার আইপিএলেও দেখা যাবে তাঁকে। পাশাপাশি বেঙ্কটেশকে দেওয়া হয়েছে সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। এ বারের আইপিএলের নিলামে বেঙ্কটেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছে কেকেআর। তুলনায় রাহানেকে তাঁর ন্যূনতম মূল্য দেড় কোটি টাকায় কিনেছে কলকাতা। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছিল, বেঙ্কটেশকে অধিনায়ক করা হবে। বেঙ্কটেশ নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার উপর ভরসা রেখেছে শাহরুখ খানের দল।

    নতুন জার্সিতে তিন মাহাত্ম্য

    সোমবার নতুন জার্সিও প্রকাশ করেছে কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। জার্সির বুকে রয়েছে তিনটি তারা। তিন বার আইপিএল জেতায় তিনটি তারা জায়গা পেয়েছে জার্সিতে। মার্চ মাসের তিন তারিখ এই জার্সি প্রকাশ করা হয়েছে। মার্চ মাসও বছরের তৃতীয় মাস। একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে এই নতুন জার্সি প্রকাশ করেছে কেকেআর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিন সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে হেতু কলকাতা তিন বার আইপিএল জিতেছে তাই এই সংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়েছে তারা। কেকেআরের মূল মন্ত্র ‘করব, লড়ব, জিতব।’ সেটিও তিন শব্দ। তাই সেই মন্ত্রকেও ভিডিয়োতে তুলে এনেছে কেকেআর। জার্সির হাতায় সোনালি রঙের একটি ব্যাজও রয়েছে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে হাতায় থাকবে এই লোগো। ভিডিয়োতে নতুন জার্সি পরে দেখা গিয়েছে রিঙ্কু সিং, বেঙ্কটেশ আয়ার, রমনদীপ সিং, মণীশ পাণ্ডে, বৈভব অরোরা, অনুকূল রায়, মায়াঙ্ক মারকণ্ডে ও লবনীত সিসোদিয়াকে।

LinkedIn
Share