Author: ishika-banerjee

  • India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) কোনও অবনতি ঘটেনি। পদ্মাপাড়ে ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধিতার মধ্যেই এমন দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আগামী ৩-৪ এপ্রিল তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউনূস। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ইউনূস। এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।”

    কলকাতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

    ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এলেন ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার মোট ১১ জন পদস্থ কর্মকর্তা এই সফরে অংশ নিতে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। এই আবহে সেখানে ভারত বিদ্বেষের হাওয়া যেন প্রবল হয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝতে পারে ভারতকে যে কোনও মূল্যে পাশে দরকার। পদ্মাপাড়ে উন্নয়নের জন্য ভারত নিয়ে এবার সুর নরম করতে বাধ্য হন ইউনূস।

    গঙ্গা-পদ্মা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে। আগামী বছর চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে কিছু পর্যালোচনা ও সংশোধন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ গঙ্গার প্রবাহ ও বণ্টন নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসে। তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ অভিযোগ তুলেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা পর্যাপ্ত জল পায় না। অন্য দিকে, ভারতের দাবি, জলপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কিছু সময় জলের পরিমাণ কমবেশি হয়। তাই নিয়েই ফের আলোচনার জন্য ভারতে এসেছে বাংলার প্রতিনিধি দল।

    কোথায় কোথায় যাবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা

    প্রতিনিধি দলটি সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে তাঁরা গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখেন। ফরাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জল বণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ জল কী ভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞেরা। এর পর ৭ মার্চ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। গঙ্গার জলবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি-ট্রাম্প সুসম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আসেন ভারতে। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও তার উত্তর দেয়নি নয়াদিল্লি। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত একাধিক বার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূস সরকারের জামাত-ঘনিষ্ঠতা এবং ভারত-বিরোধিতা ক্রমে বুমেরাং হয়ে ফিরেছে ঢাকার কাছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেও ভারতকে পাশ পেতে চাইছেন ইউনূস। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি নন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়য়ে মোদি যা করার করবেন। তাই মোদিই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন এমন আশাও দেখছে ঢাকা, ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দাবি ইউনূসের

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক (India Bangladesh Relation) ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সেটার থেকে আমরা সরে আসতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু মেঘ দেখা দিয়েছে। তা অপপ্রচারের কারণে এসেছে। এই অপপ্রচার কোন শত্রুরা করছে, সেটা বিচার করতে হবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ভারতের। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার প্রথমেই কথা হয়ে গিয়েছে।” এখন মোদির হাত ধরেই কি পদ্মাপাড়ে সুদিন ফেরার আশা দেখছেন ইউনূস! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

  • Chamoli Avalanche: চামোলিতে উদ্ধার কাজ শেষ করল সেনা, জীবিত উদ্ধার ৪৬, তুষারধসে মৃত ৮

    Chamoli Avalanche: চামোলিতে উদ্ধার কাজ শেষ করল সেনা, জীবিত উদ্ধার ৪৬, তুষারধসে মৃত ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে তুষারধসে (Chamoli Avalanche) আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ শেষ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বরফের নীচে আটকে পড়া ৫৪ জনের মধ্যে ৪৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি ৮ জন মৃত। রবিবার বিকেলে আরও চার শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার ফের উদ্ধারে নামেন সেনাবাহিনী-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। বরফের চাঁই তুলতেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। রবিবারই উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    উদ্ধার কাজে বাধা

    শুক্রবার চামোলি (Chamoli Avalanche) জেলায় বদ্রীনাথের কাছে মানা গ্রামে তুষারধসে মোট ৫৪ জন শ্রমিকের চাপা পড়ার খবর মেলে। তারপর থেকে রবিবার পর্যন্ত ৪৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। মারাত্মক তুষারপাত, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ধসের প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা। রবিবার সকালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পদে-পদে বাধা পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকারী দলকে। ভারতীয় সেনা, আইটিবিপি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিআরও এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ২০০-রও বেশি কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে জীবিত শ্রমিকদের উদ্ধার করেন।

    অক্লান্ত পরিশ্রম উদ্ধারকারীদের

    উত্তরাখণ্ডের চামোলি (Chamoli Avalanche) জেলার মানা গ্রামের কাছে কাজ চলছিল। দায়িত্বে ছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। তাদেরই একটি ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে বরফের নীচে চাপা পড়ে যায়। শনিবার সকালে পরিস্থিতি, উদ্ধারকাজের তৎপরতা ও আবহাওয়া সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর রবিবার রাতে উদ্ধারকাজ শেষের পরে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি উদ্ধারকারীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয় আধুনিক প্রযুক্তি-ভিক্টিম লোকেটিং ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, দিল্লি থেকে আনা হয়েছে গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন ব়্যাডার এবং প্রশিক্ষিত অ্যাভালাঞ্চ রেসকিউ ডগ। ড্রোন, ইউএভি, এমআই ১৭ হেলিকপ্টার ও তিনটে চিতা হেলিকপ্টারও উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হয়। শুক্রবার সকাল থেকে চামোলির মানা গ্রামে তুষারধসের কারণে বদ্রীনাথ-জ্যোতির্মঠ জাতীয় সড়কের অন্তত ১৫-২০টি স্থানও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।

  • Drug Free Bharat: মাদক মুক্ত ভারত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার, জানালেন অমিত শাহ

    Drug Free Bharat: মাদক মুক্ত ভারত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার, জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক কারবারীদের শাস্তি দিতে কোনও খামতি রাখবে না সরকার, হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ওপর থেকে নীচ এবং নীচ থেকে ওপর গোটা দেশজুড়ে তল্লাশি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিককালে ১২টি আলাদা মামলায় ২৯টি মাদক চোরাচালানকারীকে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাদক মুক্ত (Drug Free Bharat) ভারত গঠনের আহ্বান জানালেন তিনি।

    যুবসমাজের প্রতি আহ্বান

    সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার টাকার বিনিময়ে যুব সমাজকে ড্রাগের নেশায় আচ্ছন্ন করার বিরুদ্ধে সার্বিক লড়াই শুরু করেছে। তিনি জানান, নিখুঁত তদন্তের সাহায্যে মাদক চোরাচালানকারীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আগামী দিনে মাদক মুক্ত ভারত গঠন (Drug Free Bharat) করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ছাত্রছাত্রী সহ সমাজের প্রত্যেককে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মাদকাসক্তির ঝুঁকি থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে। সচেতনতা হচ্ছে মূল বিষয়। এমনই অভিমত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

    ২৯ জন মাদক পাচারকারী গ্রেফতার

    রবিবার সমাজ মাধ্যমে শাহ (Amit Shah) লেখেন, মোদি সরকার মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে একেবারে সদা প্রস্তুত, যারা দেশের যুবকদের মাদকাসক্তির অন্ধকার অমাবস্যায় ফেলে দিয়ে অর্থের লোভে মগ্ন থাকে। নিচ থেকে শীর্ষ পর্যন্ত এবং শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত এক নিখুঁত তদন্তের ফলে ভারতব্যাপী ১২টি আলাদা মামলায় ২৯ জন মাদক পাচারকারী আদালতে দণ্ডিত হয়েছে। শাহ জানান, মোদি সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় ন্যাশনাল কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) এই গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। আমেদাবাদ, ভোপাল, চণ্ডীগড়, কোচিন, দেরাদুন, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, কলকাতা এবং লখনউ থেকে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে শাহ জানান, মাদক সমস্যার বিরুদ্ধে সরকার আরও তীব্রভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে। একটি মাদক মুক্ত ভারত (Drug Free Bharat) গড়ে তোলা হবে। দেশজুড়ে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হয়েছে, যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

  • Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই তাঁরা নকল বা ভুয়ো ভোটার নন। বিবৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের দাবি, এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না। বিভ্রান্তি এড়াতে ইউনিক বা অনন্য এপিক নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, দু’টি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে একই আলফানিউমেরিক সিরিজ ব্যবহারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে একই এপিক নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয়।

    মমতার মিথ্যাচার

    বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্রের উদাহরণ দিয়ে যে কারচুপির অভিযোগ মমতা করেছিলেন, কমিশন (Election Commission of India) তা খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি, আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভোটার তালিকায় কারচুপির ‘মিথ্যে অভিযোগ’ তুলেছিলেন। যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা নড়ে যায়। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, একই সংখ্যায় একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও সেখানে ‘ভুয়ো’ ভোটারের প্রশ্ন নেই। ভোটাররা শুধু নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, কিছু ভোটারের আইডি কার্ডের নম্বর এক হতে পারে। তবে নাম, ধাম, বিধানসভা কেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আলাদা হবে। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর যা-ই হোক না কেন, ভোটারেরা শুধু নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন। কমিশনের যুক্তি, ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনার জন্য তারা এখন ‘এরোনেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তার আগে রাজ্যে রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে, কোনও যান্ত্রিক নিয়ম না মেনে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেওয়া হত। ফলে, কিছু রাজ্য একই সিরিজের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকতে পারে। তাতে বিভিন্ন জায়গায় একই সংখ্যার ভোটার আইডি কার্ড বিলি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটারদের আইডি কার্ডে ভিন্ন সংখ্যা থাকবে। প্রতিটি ভোটার কার্ডের সংখ্যা ইউনিক হবে। কোথাও একই নম্বর থাকলে তা সংশোধন করা হবে।

  • ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    ICC Champions Trophy: বরুণের পাঁচ উইকেট, অপরাজিত ভারত! সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) দুর্দান্ত স্পেলে ভারত জয় পেয়েছে ৪৪ রানে। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের লাইনআপ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে সবার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪ তারিখ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।

    বরুণে মুগ্ধ রোহিত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) এখনও অবধি ফেভারিটের মতোই পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে। তৃতীয় ম্যাচেও অপরাজিত। জয়ের হ্যাটট্রিকেও চিন্তিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুবাইয়ের পিচে ২৪৯ রানের পুঁজি! নিউজিল্যান্ড ভালো স্পিন খেলে। সে কারণে শেষ ম্যাচে একাদশে সারপ্রাইজ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল। একাদশে হর্ষিত রানার বদলে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে (Varun Chakravarty)। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই ভারতের স্পিনারদের দখলে। এর মধ্যে বরুণের ঝুলিতে পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ! আর তাতেই পাঁচ উইকেট। এটাই ‘মাথাব্যথা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘বরুণের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে। ফলে আমরা এই ম্যাচে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পারফর্ম করতে পারে কি না। ও যা পারফর্ম করল, সেমিফাইনালে একাদশ গড়তে ভাবতে হবে। তবে এটাকে সুস্থ মাথাব্যথাই বলব। ও যদি ঠিকঠাক থাকে, ওর বোলিং বোঝা কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’

    ম্যাচের সেরা বরুণ

    ম্যাচের আগের রাতেই বরুণকে (Varun Chakravarty) জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি খেলছেন। তাতে অবশ্য স্নায়ুর চাপ কমেনি। রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামির পর ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরা বরুণ বলছেন, ‘শুরুর দিকে নার্ভাস লাগছিল। দেশের জার্সিতে ওডিআইতে সেই অর্থে খেলিইনি। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ধাতস্ত হচ্ছিলাম। বিরাট, রোহিত, শ্রেয়স, হার্দিকরা আমার সঙ্গে লাগাতার কথা বলছিল। মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিংয়ে ফোকাস করার কথা বলছিল।’ নিজে পাঁচ উইকেট নিলেও জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ ম্যাচের সেরা বরুণ। বললেন, ‘পুরোটাই যে টিম এফোর্ট’।

  • Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজধানীতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কঠোর পদক্ষেপের কথা জানান শাহ। দিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশিস সুত, দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় আরোরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

    দিল্লিতে অনুপ্রবেশ রুখতে শাহ-নামা

    বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতে, অমিত শাহ স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ, ডকুমেন্টেশন এবং বসবাসের নেটওয়ার্কটি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শহরে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কার করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন যে, ‘‘উপর থেকে নীচ পর্যন্ত একটি পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে অবৈধ বসবাসের সমস্যা সমাধান করা যায়।’’ তিনি এই অভিযানে শুধুমাত্র অভিবাসীদের নয়, বরং যারা তাদের অবৈধ বসবাসে সহায়তা করেছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। দালালি, ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি বা সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে জানান শাহ।

    দ্রুত গতিতে কাজ

    এই বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন, যিনি ফেব্রুয়ারি ২০ তারিখে দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকারের “ডবল গতিতে” কাজ করার কথা বলেন তিনি। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসী, অপরাধমূলক গ্যাং এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা দূর করতে একযোগভাবে কাজ করার কথাও বলেন। রেখার কথায়, ‘‘দিল্লির জনগণ যেন নিশ্চিন্ত থাকে যে নতুন সরকার অবৈধ বসবাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে কাজ করবে।’’

    অবৈধ অভিবাসন রুখতে সক্রিয় পুলিশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দিল্লি পুলিশের কাছে আন্তঃরাজ্য গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় অপরাধ মানুষের নিরাপত্তার অনুভূতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। দিল্লি পুলিশকে এই গ্যাংগুলো নির্মূল করতে কোনও অনুরোধের সুযোগ ছাড়াই কাজ করতে হবে।’’ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে এমন কিছু কলোনি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা জনগণের সংখ্যা বেশি। সেখানকার একটি বিস্তারিত নিরীক্ষণ চলছে এবং অবৈধ বাসিন্দাদের উৎখাত করা হবে।

    অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান

    ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। দিল্লির কোথায় কত অভিবাসী অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তার খোঁজে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে লাগাতার সেই অভিযান চলছে। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দলও। বিভিন্ন বস্তি এলাকা এবং শ্রমিক কলোনিতে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেই দল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

    মহারাষ্ট্রেও অভিযান

    শুধু দিল্লিতেই নয়, মহারাষ্ট্র থেকেও সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে জাল নথিপত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বেশির ভাগই ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে এ দেশে থাকতে শুরু করেছিলেন। কেউ অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে এ দেশে এসেছেন, আবার কেউ অন্য কোনও উপায়ে ভারতে এসেছেন। তবে পুলিশি অভিযানে তাঁদের কারও থেকেই ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। ধৃতদের মধ্যে অনেকেও এ দেশে জাল নথি দেখিয়ে ভুয়ো পরিচয়ে শ্রমিকের কাজে বা অন্য কোনও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

    দিল্লি পুলিশকে শাহি নির্দেশ

    অমিত শাহ দিল্লি পুলিশ স্টেশনের তেমন কাজ না করা থানাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পুলিশিংকে আরও সক্রিয় ও প্রো-একটিভ করতে হবে এবং ডিসিপি-লেভেল কর্মকর্তাদের নিয়মিত জনশুনানি এবং অভিযোগ নিরসন করতে হবে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা সম্পর্কিত দীর্ঘকালীন আইনি প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে অমিত শাহ নির্দেশ দেন যে, দিল্লি সরকার যেন বিশেষ পিপি নিযুক্ত করে যাতে দাঙ্গা সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং আইনি ঝামেলা কমে।

    মেট্রো-ব্যস্ততা, জলের সমস্যা

    অমিত শাহ দিল্লির ট্রাফিক জটের স্থানে জরিপ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া, বর্ষাকালে জলের সমস্যা মেটানোর জন্য দিল্লি সরকারকে একটি “বর্ষাকাল পরিকল্পনা” প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি ঘোষণা করেন যে দিল্লি পুলিশ এখন থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন দেবে না। শহরের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

  • ICC Champions Trophy: এক দিনের ক্রিকেটে ৩০০তম ম্যাচ, একাধিক নজিরের সামনে কিং কোহলি

    ICC Champions Trophy: এক দিনের ক্রিকেটে ৩০০তম ম্যাচ, একাধিক নজিরের সামনে কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফর্মে ফিরেছেন কিং কোহলি। রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে ৩০০তম ম্যাচ খেলতে নামবেন বিরাট (Virat Kohli)। সেই ম্যাচে একাধিক রেকর্ড ভাঙতে পারেন কোহলি। এর আগে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, এমএস ধোনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

    একাধিক রেকর্ডের সামনে কোহলি

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। ১০ ম্যাচে ৭০১ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩ ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৬৬৫ রান। কোহলি ১৫ ম্যাচে করেছেন ৬৫১ রান। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫ রান করলেই টপকে যাবেন সৌরভকে। তবে ৫১ রান করলে ভেঙে দিতে পারেন ধাওয়ানের রেকর্ড। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪২ রান করতে পারলে কোহলি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়ে যাবেন। কোহলি রবিবার শতরান করলে একক ভাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৭টি শতরান করার রেকর্ডটি গড়বেন। কোহলি রবিবার অর্ধশতরান করলে একক ভাবে আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি অর্ধশতরান বা তার বেশি রান করার রেকর্ড গড়বেন।

    গ্রুপ শীর্ষে থাকার লড়াই

    ম্যাচের আগের দিন কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তাঁর সতীর্থ লোকেশ রাহুল। কেএল রাহুল (KL Rahul) বলেছেন যে, কোহলির ভারতীয় ক্রিকেটে প্রভাব এতটাই বিশাল যে তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ (Champions Trophy 2025)-এর নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কেএল রাহুল বলেন, ‘৩০০ ওয়ানডে ম্যাচ অনেক বড় সংখ্যা। বিরাট ভারতীয় ক্রিকেটের এক মহান সেবক। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের মাহাত্ম্য বোঝাতে শব্দ কম পড়ে যায়।’ রাহুল আরও জানান, সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফর্ম দলের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। কেএল রাহুল বলেন, ‘রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), শুভমন গিল (Shubman Gill) ও বিরাট কোহলি দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন। শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন।’ ভারত ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে, তবে নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করবে গ্রুপ এ (Group A)-তে ভারতের চূড়ান্ত অবস্থান। এরপরেই ঠিক হবে সেমিফাইনালে কোন দলের বিরুদ্ধে ভারত খেলতে নামবে।

  • Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার জামানার পতনের পর মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) জামানায় ঢাকা-ইসলামাবাদ দোস্তি চওড়া হয়েছে। পদ্মাপাড়ে ভারত বিরোধিতার সুর যত চড়েছে ততই পাকিস্তানের কোলে ঢলে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ ৫০ বছর পর সমুদ্র বাণিজ্য চালু করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Army Chief)। করাচি থেকে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে চট্টোগ্রামে। এবার পাকিস্তান সেনার সঙ্গে যোগ রেখে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জমানকে সরাতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন। তাঁর বদলে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়ে আসা হতে পারে পাক ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী,ফয়জুর রহমানকে।

    ইউনূস এবং সেনাপ্রধানের মধ্যে বিরোধ!

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Army Chief) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) , যিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, তিনি দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনারেল জমান দীর্ঘদিন ধরে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। তিনি দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ এবং শেখ হাসিনার অপসারণের পর দেশটির আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর জেনারেল জমান বারবার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে কথা বললেও, বর্তমান পরিস্থিতির অজুহাতে ইউনূস দেশে নির্বাচনের তারিখ বারবার স্থগিত করেছেন। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, জেনারেল জমান শেখ হাসিনার শাসনামলে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক শেখ হাসিনার পরিবারে, যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

    ইউনূস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্র

    বিশেষ সূত্রমতে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল জমান সন্দেহ করছেন যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। তাঁর ধারণা, আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব ফেলছে এবং তাদের পছন্দের লোকদের শীর্ষ পদে নিযুক্ত করার চেষ্টা করছে। গত মাসে পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের বাংলাদেশ সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি, জেনারেল জমানের প্রতি আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফয়জুর রহমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী। তিনি পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

    জমানকে অপসারণের চেষ্টা

    বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে গুঞ্জন, অন্তবর্তী সরকার জেনারেল জমানকে সেনাপ্রধান পদ থেকে অপসারণ করে, ফয়জুর রহমানকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফয়জুর রহমানকে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের সমর্থন রয়েছে।

    বিরোধের সূত্রপাত

    গত অগাস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময়, আন্দোলনকারীদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন জেনারেল জমান এবং সেনা। তাদের চাপেই ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন হাসিনা। তারপর, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউনুস। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি রূপরেখা দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এতদিন পর্যন্ত ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন। অর্থাৎ, সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কাজেই, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজনৈতিক প্রয়োজনে সেনাকে ব্যবহারের সুযোগ ছিল। তার বদলে সেনাকে রাষ্ট্রপতির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে নয়া সরকার। এর ফলে, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকবে। কিন্তু আখেড়ে উল্টো কাজ করছে ইউনূস প্রশাসন। তার থেকেই বিরোধের সূত্রপাত।

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

    বাংলাদেশে (Bangladesh Army Chief) শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশে বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যা ঢাকা এবং নয়াদিল্লির সম্পর্ককে জটিল করে তুলছে। ভারত, ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে অভিযোগ করছে যে তারা সন্ত্রাসী মৌলবাদী ইসলামিক শক্তিগুলির দ্বারা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম এবং এ ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারত সফরে এসে পাক গোয়েন্দারা ভারতের চিকেন নেকও দেখতে গিয়েছিলেন। যা ভারতের কাছে বিরক্তির কারণ। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাক ঘনিষ্ঠতা ভারতের কাছে অসন্তোষের।

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

  • Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২ বছর পরেই ফের কুম্ভমেলার (Maha kumbh 2025) আয়োজন করা হবে দেশে। ২০২৭ সালেই আবার কুম্ভমেলা হবে। এবার আয়োজক শহর মহারাষ্ট্রের নাসিক। দেশের চার শহরে কুম্ভমেলা হয়— প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। প্রতিটি শহরে কুম্ভমেলা আয়োজনের পৃথক হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী নাসিকে পরবর্তী কুম্ভের বছর ২০২৭।

    কেন মাত্র দু’বছরের মধ্যেই পরবর্তী কুম্ভমেলা

    নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয় ১২ বছর অন্তর। এই মেলাকে পূর্ণ কুম্ভমেলা বলা হয়ে থাকে। এর আগে গোদাবরী নদীর তীরে নাসিকে পূর্ণ কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই হিসাব অনুযায়ী, ১২ বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে ২০২৭-এ। ওই বছর ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। শিপ্রা নদীর ধারে উজ্জয়িনীতে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ১২ বছরের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আবার পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হবে ২০২৮ সালে। অর্থাৎ, পর পর দু’বছর মহারাষ্ট্রে এবং মধ্যপ্রদেশে দু’টি পূর্ণ কুম্ভমেলা হওয়ার কথা।

    হরিদ্বারেও কুম্ভমেলা ২০২৭-এ

    নাসিকে কুম্ভমেলার সময় জুলাই-অগাস্ট। প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বারের ক্ষেত্রে কুম্ভমেলার হিসাব কিছুটা আলাদা। এই দুই শহরে ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভের পাশাপাশি ছ’বছর অন্তর একটি করে অর্ধ কুম্ভমেলারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। সুতরাং, প্রয়াগরাজে পরবর্তী কুম্ভমেলাটি হবে আরও ছ’বছর পরে ২০৩১ সালে। হরিদ্বারে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০২১ সালে। সেটি ছিল পূর্ণকুম্ভ। নিয়ম অনুযায়ী, হরিদ্বারেও ২০২৭ সালে একটি অর্ধ কুম্ভমেলার আয়োজন হওয়ার কথা। ২০২৭ সালে একই বছরে পর পর দু’টি কুম্ভমেলার আয়োজন করা হবে। যদিও এই দুই মেলা আয়োজনের সময় ভিন্ন। হরিদ্বারে সাধারণত এপ্রিল মাসে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়।

    নাসিক কুম্ভের প্রস্তুতি

    সম্প্রতি নাসিক কুম্ভ ২০২৭-র প্রস্তুতি ঠিকভাবে করার জন্য প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ পরিদর্শন (Maha kumbh 2025) করে এক প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাকুম্ভের গৃহীত ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। নাসিক থেকে আসা ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ডঃ প্রবীণ গেদাম এবং বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যেমন স্পেশ্যাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দত্তাত্রয় করালে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জলজ শর্মা, পৌর কমিশনার মনীষা খাত্রি এবং নাসিক মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও মানিক গুরসাল। ডঃ প্রবীণ গেদাম বলেন, ‘‘আমরা ২০২৭ সালের নাসিকের কুম্ভমেলাকে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি অর্জনের জন্য, আমরা এখানকার ব্যবস্থাগুলো অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দল এই বিশাল অনুষ্ঠানের জন্য বাস্তবায়িত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে। স্নানঘাট ও আখড়া সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি আমরা। এটি নাসিক কুম্ভের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।’’

LinkedIn
Share