Author: ishika-banerjee

  • India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই ভারতে ৫০ জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন বিএসএফের এক আধিকারিক। প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তে গোলাগুলি চালানো আর ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি প্রবেশ করানো পাকিস্তানের অভ্যেস। সেই মতোই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে আইএসআই। যদিও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ।

    কীভাবে হয়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। গত ৮ মে সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে বেশ কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তার সঙ্গে সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত গোলাগুলি চলছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমাবর্ষণ করে। পাল্টা হামলার মুখে পড়ে জঙ্গিরা পালাতে শুরু করে।

    দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। তার ঠিক পর দিন অর্থাৎ ৮ মে সাম্বা সেক্টর দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে বড় নাশকতার চেষ্টা করেছিল, তা বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ করা হয় ৭ জঙ্গিকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের (India-Pakistan)। একদিকে হাতিয়ার সেনা, অন্যদিকে দোসর জঙ্গিরা। তবে বিএসএফ সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়।

  • India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জন্য পাক সেনাপ্রধান (India Pakistan Conflicts) আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’ই দায়ী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিই জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, উপত্যকায় পর্যটন শিল্পে ধাক্কা দিতে এবং ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

    ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিয়েছিলেন মুনির

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত ওই হামলার লক্ষ্যই ছিল কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে পঙ্গু করে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়া। ধর্ম দেখে বেছে বেছে ২৬ জনকে তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। এটি এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির মূলভিত্তি।’’ উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েক দিন আগেই মুনির দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিভেদ ‘উস্কে’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কথাপ্রসঙ্গে এসেছিল কাশ্মীর সমস্যার বিষয়টিও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, বিশেষ করে তাদের সেনাপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসিম মুনিরের দৃষ্টিভঙ্গি চরম ধর্মীয়। পহেলগাঁওয়ে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এ হেন মতাদর্শের স্পষ্টতই যোগসূত্র রয়েছে।’’

    মুনিরের মন্তব্যের পরই হামলা টিআরএফ-এর

    পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই জয়শঙ্কর কথাগুলো বলেন। ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।” এই টিআরএফ-ই পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে।

     

     

     

     

  • India Pakistan Conflicts: দিল্লিতে বড় নাশকতার ছক! পাকিস্তানে পালানোর আগেই গ্রেফতার আইএসআই স্লিপার সেলের ২ এজেন্ট

    India Pakistan Conflicts: দিল্লিতে বড় নাশকতার ছক! পাকিস্তানে পালানোর আগেই গ্রেফতার আইএসআই স্লিপার সেলের ২ এজেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের আগেই দেশের রাজধানী দিল্লিতেই সন্ত্রাস হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। দিল্লি থেকে আইএসআই-এর দুই এজেন্টের গ্রেফতারিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জনের নাম আনসারুল মিয়া আনসারি। ওই ব্যক্তি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর গোপন তথ্য পাচার করত পাকিস্তানে। দিল্লিতে বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তার আগেই গোয়েন্দারা তাদের ধরে ফেলে।

    সেনার বিভিন্ন দফতর, ঘাঁটির তথ্য পাচারই লক্ষ্য

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এই পাকিস্তানি এজেন্টদের সম্পর্কে জানুয়ারি মাসেই খবর এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, আইএসআই গুপ্তচর নেপালের পথ ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করবে। ভারতীয় সেনার বিভিন্ন দফতর, ঘাঁটির তথ্য, ছবি ও জিওলোকেশন পাকিস্তানে পাচার করাই তাদের লক্ষ্য ছিল। দিল্লিতে স্লিপার সেল হিসাবে কাজ করছিল এরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও হামলার আগেই দিল্লিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল পাকিস্তানের স্লিপার সেলের সদস্যরা।

    কে এই আনসারুল

    সূত্রের খবর, ধৃত আনসারুল নেপালি বংশোদ্ভূত। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pak Agents Arrested) অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে রাজধানী জুড়ে বিশেষ অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। সেই অভিযানের সময়েই আনসারুলের হদিস পান গোয়েন্দারা। তার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, আইএসআই-এর মদতে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল আনসারি। পাকিস্তানে পালানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু তার আগেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।

    কীভাবে ভারতে প্রবেশ করে আনসারুল

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাতারে ট্যাক্সিচালকের কাজ করত আনসারি। সেই সময় পাক ‘হ্যান্ডলার’-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। কাতার থেকে তার পর পাকিস্তানে যায় আনসারি। সেখানে চরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তাকে ভারতে পাঠায় আইএসআই। জেরায় আনসারি জানিয়েছে, কোথায় কোথায় তাদের জাল বিছিয়ে রেখেছে আইএসআই। তা-ই নয়, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলি পাকিস্তানে পাচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। আনসারির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথি এবং ‘ডিজিটাল ডিভাইস’-এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।

    রাঁচিতে ধৃত আনসারুলের সঙ্গী 

    আনসারিকে জেরা করে আরও এক সন্দেহভাজন আখলাক আজমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাঁচি থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজমই আনসারিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জোগাড়ে মদত দিত। দু’জনের মোবাইলে পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ভারতের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় পাক-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং তাদের লজিস্টিক সহায়তা প্রদানকারী স্লিপার সেল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ করে চলেছেন গোয়েন্দারা। এই গোটা চক্রের সঙ্গে পাক হাইকমিশনের আধিকারিক মুজাম্মিল এবং এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশও যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই দানিশ এবং পাক হাইকমিশনের অন্যান্য আধিকারিকরা যে ভারতে গুপ্তচর বা এজেন্ট নিয়োগ করছিল, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আনসারি এবং আজমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট ফাইল করেছে দিল্লি পুলিশ।

    পাক-চরের খোঁজে অপারেশন মীরজাফর

    ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি। দেশের বাইরের শত্রুদের শায়েস্তা করেছে সেনা। গোয়েন্দাদের নজরে এবার দেশের ভিতরে থাকা শত্রুরা। যেমন- ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিরানি মালহোত্রা। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন মীরজাফর’। খুঁজে বের করা হয় একের পর এক বিভীষণদের। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত থেকে অনেকেই পাকিস্তানে তথ্য পাঠিয়েছে। দিল্লির পাকিস্তানি দূতাবাস থেকেও এই চরদের সাহায্য করা হয়৷ দিল্লি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ-সহ আরও কিছু রাজ্যে পাক চর রয়েছে বলেও সন্দেহ ৷ পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন পাক চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছয় পাক চরকে।

    ‘হানি ট্র্যাপ’ থেকে ‘মানি ট্র্যাপ’

    হরিয়ানার হিসার থেকে গ্রেফতার করা হয় ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিরানি মালহোত্রাকে ৷ ক্যাথল থেকে দেবেন্দ্র সিং ধিলোঁ-কে ৷ নুহ্ থেকে গ্রেফতার আরমান এবং তারিফ ৷ পঞ্চকুলা থেকেও একজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পাঞ্জাব থেকে এখনও পর্যন্ত আট পাক চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাতিন্ডা সেনা ছাউনি থেকে মুচি সুনীল কুমার এবং দর্জি রকাব ৷ অমৃতসর থেকে পলক মসিহ্ এবং সুরজ মসিহ্ ৷ মালের কোটলা থেকে গাজালা এবং ইয়ামিন ৷ গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং এবং করণবীর সিং৷ ‘হানি ট্র্যাপ’ থেকে ‘মানি ট্র্যাপ’। ভারতের ভিতরের খবর জানতে নানা কৌশল নেয় পাকিস্তান। গোয়েন্দাদের দাবি, ধৃতরা পাক যোগের কথা স্বীকার করেছে। ভারতের বিভিন্ন বিমানঘাঁটি এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য তারা পাকিস্তানে পাচার করেছে। এর জন্য টাকা পেয়েছে।

  • Himanta Biswa Sarma: “ভারতে হামলার কথা ভাবার আগে বাংলাদেশকে বহুবার পুনর্জন্ম নিতে হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “ভারতে হামলার কথা ভাবার আগে বাংলাদেশকে বহুবার পুনর্জন্ম নিতে হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের একটি ‘চিকেন নেকে’র উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে বাংলাদেশের দুটি ‘চিকেন নেক’ দখল করে নেওয়া হবে। দেশের অখণ্ডতা নিয়ে কখনওই আপস করা হবে না বলে স্পষ্ট জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের শক্তি। বিশ্বের কোনও দেশের এই ভুল ধারনায় থাকা উচিত নয় যে তারা ভারতের চিকেন নেক দখল করতে পারবে।”

    বাংলাদেশকে বার্তা হিমন্তর

    ভারতে শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক নিয়ে বিগত দিনে বারংবার বিতর্ক উসকে দিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরে লালমনিরহাটে চিনা সাহায্যে বায়ুসেনা ঘাঁটি নির্মাণের খবরে সেই বিতর্ক আরও বেড়েছে। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে (Himanta Biswa Sarma)। তারই জবাবে বাংলাদেশকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন হিমন্ত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এই করিডর নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করছে, কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলা দরকার। তাদের দুটি চিকেন নেক রয়েছে, আর আমাদের একটি। তাদের মেঘালয়তে একটা চিকেন নেক। আর একটা চিকেন নেক চট্টগ্রাম বন্দরের ওখানে। যদি তারা আমাদের করিডর নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করে, তাহলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।” ভৌগোলিক তুলনা টেনে তিনি বলেন, “মেঘালয় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যে করিডরটি রয়েছে, তা আমাদের শিলিগুড়ি করিডরের থেকেও সংকীর্ণ। আমাদের পক্ষে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।”

    কেন এই হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    সম্প্রতি শিলং থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত ১৬৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি হাইওয়ে নির্মাণে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। যা অসম সহ উত্তরপূর্বের পরিবহণ ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন আনবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর মানুষ বুঝেছে যে ভারত কতটা শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমি পরমাণু শক্তির বিষয়টা না হয় বাদই দিলাম। বাংলাদেশ যদি ভারতে হামলা করার কথাও ভাবে তাহলে তার আগে তাদের একাধিকবার পুনর্জন্ম নিতে হবে। আর বাংলাদেশকে এত গুরুত্ব দিয়ে কথা বলার কিছু নেই। ওরা খুবই ছোট একটা দেশ। ভারতের সঙ্গে তাদের তুলনা নেই।” সাম্প্রতিক সময়ে চিনে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে। ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিকে ‘ল্যান্ডলকড’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে বাংলাদেশকে সাগরের ‘গার্ডিয়ান’ বলে অভিহিত করেছিলেন ইউনূস। তাঁর এহেন মন্তব্য ভালো চোখে নেয়নি ভারত।

  • Indian Maritime security: জ্বালানি ও সামুদ্রিক নিরাপত্তায় ৮৫,০০০ কোটির পরিকল্পনা! দেশে তৈরি ১১২টি তেলবাহী জাহাজ কিনবে ভারত

    Indian Maritime security: জ্বালানি ও সামুদ্রিক নিরাপত্তায় ৮৫,০০০ কোটির পরিকল্পনা! দেশে তৈরি ১১২টি তেলবাহী জাহাজ কিনবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগোতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার দেশে তৈরি তেল ট্যাঙ্কার কিনতে চলেছে ভারত। ২০৪০ সালের মধ্যে ১১২টি তেল ট্যাঙ্কার কেনার জন্য প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে সরকার। বিদেশি নৌবহরের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে তেল সরবরাহ সুরক্ষিত (Indian Maritime security) করার জন্যই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “মেক ইন ইন্ডিয়া” (Make in India) উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই বিনিয়োগ ভারতের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    ধাপে ধাপে কেনা হবে ট্যাঙ্কার

    বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পুরনো ট্যাঙ্কার ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে। তবে এবার এই নির্ভরতা কাটাতে এবং নিজস্ব ট্যাঙ্কার বহর গড়ে তুলতে চাইছে পেট্রোলিয়াম ও জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রক। প্রথম ধাপে ৭৯টি ট্যাঙ্কার কেনা হবে, যার মধ্যে ৩০টি হবে মিডিয়াম রেঞ্জ ক্যাটেগরির। চলতি মাসেই প্রথম ধাপে ১০টি ট্যাঙ্কারের অর্ডার দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে শুধুমাত্র ভারতে নির্মিত জাহাজকেই বিবেচনা করা হবে। তবে বিদেশি কোম্পানির সহযোগিতায় জাহাজ নির্মিত হলেও আপত্তি নেই কেন্দ্রের। ভারতের সবচেয়ে বড় দেশীয় ট্যাঙ্কার এমটি মহর্ষি পরশুরাম – যার দৈর্ঘ্য ২৩৮ মিটার ও ডেডওয়েট টনেজ ৯৩,৩৩২।

    কেন এই পদক্ষেপ

    দেশের (Indian Maritime security) অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভারত আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তার অপরিশোধিত তেল শোধন ক্ষমতা ২৫০ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করতে চায়। ভারতের অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি। তাই নিজস্ব ট্যাঙ্কার বহর থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নিজস্ব অয়েল ট্যাঙ্কার থাকলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয়ভাবে তৈরি ট্যাঙ্কারের অংশীদারিত্ব ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ৬৯ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

    আত্মনির্ভর ভারতই লক্ষ্য সরকারের

    ভারত চায় আগামী দিনে একটি “মেড ইন ইন্ডিয়া” নৌবহর গড়ে তুলতে। চলতি বছর বাজেটে সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক পরিবহণ খাতের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো এবং বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিকল্পনায় শুধুমাত্র তেল নয়, কয়লা, সার ও ইস্পাত পরিবহণের জন্যও জাহাজ নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশে জাহাজ নির্মাণের জন্য জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলছে সরকার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচডি হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে কেরালার কোচিতে একটি নতুন জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া, স্যামসাং হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ও জাপানের এনওয়াইকে লাইনের সঙ্গেও জাহাজ নির্মাণে ভারতীয় অংশীদারিত্বে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

  • India Pakistan Conflicts: জ্যোতিকে জেরা করেই সন্ধান! আরও এক পাক কুটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    India Pakistan Conflicts: জ্যোতিকে জেরা করেই সন্ধান! আরও এক পাক কুটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) হাই-কমিশনের আরও এক আধিকারিককে ফের বহিষ্কার করল কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় পাক আধিকারিককে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভারত ৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ভারত ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘তাঁর সরকারি মর্যাদার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ওই পাক কর্তা।’ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ‘চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্স’কে সতর্ক-বার্তা

    বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পাক হাইকমিশনের ‘চার্জ দ্যাফেয়ার’কে তলব করা হয় এবং তাঁর হাতে সরকারি ভাবে একটি ডিমার্শে ধরানো হয়। তাঁকে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সতর্কও করা হয়েছে। যাতে আর কোনও পাকিস্তানি কূটনীতিক ভারতে থাকাকালীন তাঁদের কূটনৈতিক পরিচয়ের সুবিধার অপব্যবহার না করেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পাকিস্তান হাইকমিশনের ‘চার্জ দ্যাফেয়ার’কে। এই নিয়ে গত দশদিনে পাক হাইকমিশনের দু’জন কর্তাকে তাদের কূটনৈতিক পরিচয়ের সুবিধা নিয়ে ভারত-বিরোধী (India Pakistan Conflicts) কাজে জড়িত থাকার দায়ে পার্সোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করা হল। এর আগে গত ১৩ মে পাক হাই-কমিশনের আরেক আধিকারিক দানিশকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

    জ্যোতিকে জেরা করেই মিলল হদিশ!

    গত ১৩ মে পাক কূটনীতিকে বহিষ্কারের তিন দিন পরে ১৭ মে হরিয়ানার হিসার থেকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে৷ তার সঙ্গে পাক হাই কমিশনের আধিকারিক আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসে৷ অভিযোগ, ইউটিউবার জ্যোতি তার চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরির অছিলায় পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) গিয়েছিল৷ সেখানে পাক আধিকারিক দানিশের সূত্রে পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়৷ জ্যোতি ভারতের সংবেদশীল গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করত বলে অভিযোগ করেছেন তদন্তকারীরা৷ জ্যোতি মালহোত্রাকে বর্তমানে জেরা করছে হরিয়ানা পুলিশ। তাকে জেরা করেই কি পাকিস্তানি হাইকমিশনে কূটনীতিকের পোশাক পরে বসে থাকা আরও গুপ্তচরের সন্ধান পাওয়া গেল? এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ পাক হাই কমিশনে বসেই ভারতের নানা প্রান্তে গুপ্তচর নিয়োগ করত আইএসআই এজেন্টরা।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পড়ানো হবে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায়, তুলে ধরা হবে ভারতীয় সেনার বিজয়গাথা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পড়ানো হবে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায়, তুলে ধরা হবে ভারতীয় সেনার বিজয়গাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) ঘটনা জানবে স্কুলের পড়ুয়ারাও। উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলিতে পড়ানো হবে অপারেশন সিঁদুরের ঘটনা। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। সে রাজ্যের নথিভুক্ত অন্তত ৪৫০টি মাদ্রাসার সিলেবাসে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পড়ানো হবে। আলিয়া (ইন্টারমিডিয়েট) লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হবে এই বিষয়টি। সেই মতো সিলেবাসে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন এই অধ্যায়টি পড়ানো হবে মাদ্রাসায় (Uttarakhand Madrasas Board)।

    কবে থেকে, কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়ানো হবে

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন পর্ষদের (Uttarakhand Madrasas Board) চেয়ারম্যান মুফতি শামুন কাশমি। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলমানদের একটি প্রতিনিধি দল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে দেখা করার পর অপারেশন সিঁদুরের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাশমি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে আমরা তাঁর সঙ্গে রয়েছি। ১৪০ কোটি মানুষের দেশ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।’ তিনি জানান অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে পাঠ্যক্রমে এই অভিযানটি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতা এবং দেশের প্রতি তাঁদের নিষ্ঠার অনুপ্রেরণামূলক গল্প। উত্তরাখণ্ডজুড়ে ৪৫১টি নিবন্ধিত মাদ্রাসায় ৫০,০০০ এরও বেশি পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পড়ানো হবে। দ্রুতই উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসাগুলির পাঠ্যক্রমে এই অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ক্লাসে অপারেশন সিঁদুর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করে ‘অপবিত্র দেশ’ বলে উল্লেখ করেন কাশমি। তিনি বলেন, ‘যেভাবে পাকিস্তানের জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে, নিরস্ত্র পর্যটকদের হত্যা করেছে, তার জন্য তাদেরকে একটি শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন ছিল।’

    শল্যচিকিৎসকের মতো নির্ভুল

    ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) সময়ে দক্ষ শল্যচিকিৎসকের মতো নির্ভুল ভাবে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। মঙ্গলবার কে এন মেমোরিয়াল হাসপাতালের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের ভাষণে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনী শল্যচিকিৎসকদের মতোই নিখুঁত কাজ করেছে। এক জন শল্যচিকিৎসক রোগীর কোন জায়গায় সমস্যা, সেটা বুঝে ছুরিকাঁচি চালান। ভারতীয় বাহিনীও একই কাজ করেছে। সন্ত্রাসবাদের শিকড়ে নির্ভুল ভাবে আঘাত করেছে তারা।”

  • Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ভিক্ষা চাইছে আইএমএফের কাছে, বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত পাক নাগরিকেরা! গত ১৬ মাসে সৌদি আরব ৫,০৩৩ জন পাকিস্তানি (Pakistan) ভিক্ষুককে বিতাড়িত করেছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জাতীয় পরিষদে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকেও শত শত পাকিস্তানি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয়েছে। নকভি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) থেকে মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রধান কারণ—বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়া।

    পাকিস্তানিদের নিয়ে বিরক্ত পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলিই

    কিন্তু কেন এ ভাবে পাক নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি? এর মূল কারণ, ভিক্ষাবৃত্তি! তেমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে। ‘পাকিস্তানি (Pakistan) তাড়াও’ নীতি গ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সবার উপরে রয়েছে সৌদি আরব। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তালিকায় এর পরে রয়েছে ইরাক (২৪৭ জন)। অন্য দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পাক নাগরিকদের ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কাছে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা নিয়ম কঠোর করেছে। সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৫৮ জন পাক নাগরিককে। রিপোর্টে উঠে এসেছে, পাকিস্তানিরা তীর্থযাত্রার নামে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করছেন। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে কেউ ফিরে আসছেন, তো কেউ সেখানেই রয়ে যাচ্ছেন পাকাপাকি ভাবে। আর তাতেই তিতিবিরক্ত সে দেশগুলির প্রশাসন। সে কারণেই খুঁজে খুঁজে পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি।

    পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন

    পাকিস্তানিদের (Pakistan) বিদেশে গিয়ে ‘ভিক্ষা-প্রেম’-এর বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায় ২০২৩ সালে। সে বছর প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিষয়ে সেনেটের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই উদ্বেগের কথা উঠে আসে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বাজা আসিফ বলেন, “এটা খুব লজ্জার। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এখন বিদেশে পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।” তাঁর মতে, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ পাকিস্তানে কোনও না কোনওভাবে ভিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা বছরে আনুমানিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি করছে। পাকিস্তানের যেকোনও অঞ্চলে ভিক্ষুক পাওয়া যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শেয়ার করা তথ্য থেকে দেখা যায় যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যক্তিরা এই প্রবণতার সঙ্গে জড়িত। যেমন, সিন্ধ প্রদেশ থেকে ২,৭৯৫ জন, পাক পাঞ্জাব থেকে ১,৪৩৭ জন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ১,০০২ জন, বালোচিস্তান থেকে ১২৫ জন এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ৩৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাদ নেই রাজধানী ইসলামাবাদও। এখানকার ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি

    রিপোর্ট অনুসারে, বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক। অনেকে হজ, উমরা কিংবা জিয়ারতের ভিসায় বিদেশে যান, কিন্তু পরে সেখানেই ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। পাকিস্তানের এই অবস্থাকে কটাক্ষ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সম্প্রতি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এখন দেশটির নাম শুনলেই ভিক্ষার ছবি চোখে ভেসে ওঠে।”

    নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশ

    গত বছরও একটি রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে, পাকিস্তানের (Pakistan)  শ্রমিক এবং কর্মীদের কাজ দিতে চাইছে না পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি। পাকিস্তানি নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলা নিয়েও সতর্কতা জারি করেছিল তারা। এমনকি, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি ইসলামাবাদকে চিঠি পাঠিয়ে নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশও দিয়েছিল সে সময়। প্রবাসী পাকিস্তানিদের সচিব সেনেট কমিটিকে সে সময় জানিয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, কাতার এবং কুয়েত চাইছে না, পাকিস্তানি কর্মীরা তাদের দেশে গিয়ে কাজ করুন।

    সমাজমাধ্যমে হাসির রোল

    সম্প্রতি প্রকাশিত এই তথ্য পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় বিশ্বের দরবারে আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সে দেশের জনগণেরই সমালোচনার মুখে পড়েছে পাক সরকার। হাসির রোলও উঠেছে সমাজমাধ্যমে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লেখেন, “পাকিস্তানি ভিখারি—ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রের আসল বিজনেস মডেল। একজন আইএমএফ-এ ভিক্ষা করে, অন্যরা বিশ্বজুড়ে।” আরেকজন লেখেন, “পাকিস্তান অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে যে ২০২৪ সালেই ৫ হাজারের বেশি ভিখারিকে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।” আরেকজন ব্যবহারকারী লেখেন, “পাকিস্তানে মাদ্রাসা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও, ভিক্ষুক তৈরির জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক কোচিং সেন্টার নেই। তবুও দেশটি বিশ্বজুড়ে ‘ভিক্ষার জন্য’ পরিচিত।”

  • Pak Spy Jyoti Malhotra: দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার, কীভাবে পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগ? জেরায় সব বলল জ্যোতি

    Pak Spy Jyoti Malhotra: দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার, কীভাবে পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগ? জেরায় সব বলল জ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারত-বিরোধী তথ্য পাচারের কথা স্বীকার করল জ্যোতি মালহোত্রা (Pak Spy Jyoti Malhotra)। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় জ্যোতি জানিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। একইসঙ্গে পাকিস্তানের হাই কমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথাও স্বীকার করেছে সে। তবে দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার করার জন্য সে অনুতপ্ত নয়, বলেও জানিয়েছে জ্যোতি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একেবারে ‘শান্ত’ থেকেছে সে। তার চোখে মুখে অনুশোচনার কোন ছাপ পর্যন্ত নেই বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র।

    জ্যোতিকে জেরায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

    পুলিশি জেরায় জ্যোতি (Pak Spy Jyoti Malhotra) জানিয়েছে, ‘ট্রাভেল উইথ জো’ নামে ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিল সে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন পড়েছিল। সেই ভিসা জোগাড় করতেই পাকিস্তান হাই কমিশনে গিয়েছিল জ্যোতি। সে সময়ে দানিশ ওরফে এহসার দারের সঙ্গে আলাপ হয় তার। ভারত-পাক সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে গত ১৩ মে দানিশকে পাক হাই কমিশন থেকে বহিষ্কার করে ভারত। জ্যোতি জানিয়েছে, দানিশের সাহায্যেই দু’বার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল সে। সেখানে দানিশের পরিচিত আলি হাসান তার থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল। এই আলি হাসান জ্যোতিকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে আলাপ করাতে নিয়ে যায়। সেখানে শাকির এবং রানা শেহবাজের সঙ্গে পরিচয় হয় বলে স্বীকার করে জ্যোতি। শাকিরের নম্বর ‘জট রন্ধওয়া’ নামে সেভ করেছিল জ্যোতি। যাতে কোনওভাবেই কেউ তাকে সন্দেহ করতে না পারে। ভারতে আসার পর হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপ চ্যাটে পাক গুপ্তচর এজেন্টদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ করতে শুরু করে জ্যোতি। তবে গ্রেফতারির আশঙ্কায় জ্যোতি সমস্ত চ্যাট ডিলিট করে দেয়। সেই চ্যাটগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় তদন্তকারীরা। সেগুলি উদ্ধার হলে বিস্ফোরক তথ্য সামনে উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোনও অনুশোচনা নেই জ্যোতির

    অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে জ্যোতির (Pak Spy Jyoti Malhotra) বিরুদ্ধে। পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্বীকারের পরও জ্যোতি তদন্তকারীদের বলে, “আমার কোনও অনুশোচনা নেই।” তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, “জ্যোতি মনে করে সে কোনও ভুল করেননি। সে বিশ্বাস করে যে যা করেছে তা ন্যায্য।” তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্তে জানতে পেরেছে জ্যোতি তিনজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তার কোনরকমের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক সিনিয়র অফিসারের কথায়, “আমরা খতিয়ে দেখছি যে তার পহেলগাঁও ভ্রমণের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির কোনও যোগসূত্র ছিল কিনা অথবা সেই সময় কোনও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল বা অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল কিনা”। বর্তমানে জ্যোতি পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল তাকে জেরা করছে। তদন্তকারীরা আরও তথ্যের জন্য তার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, আর্থিক লেনদেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ট্রাভেল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার হিসার আদালতে পেশ করা হবে জ্যোতি মালহোত্রাকে।

  • Amir Hamza: পাকভূমে আক্রান্ত লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা! গুরুতর অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি

    Amir Hamza: পাকভূমে আক্রান্ত লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা! গুরুতর অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর আহত অবস্থায় লাহোরের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) সহ প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা (Amir Hamza)। নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছে ভারতের হিটলিস্টে থাকা এই জঙ্গি। তবে কীভাবে হামজা আহত হল তা স্পষ্ট নয়। প্রথমে খবর আসে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে। পরে জানা যায়, ‘রহস্যজনক’ভাবে পড়ে গিয়েছে। তবে গুরুতর আহত হয়েছে হামজা। তিনদিন আগে পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল লস্কর জঙ্গি আবু সইফুল্লা। এরপর আরও এক শীর্ষ লস্কর জঙ্গি আহত হওয়ায় রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।

    হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা

    লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা (Amir Hamza)। যে ১৭ জন মিলে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হামজা। সংগঠনের প্রধান আদর্শবাদী হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলাচ্ছে। লস্করের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও ছিল একসময়। হাফিজের নির্দেশে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখত হামজা। পাকিস্তানের (Pakistan) পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা এই আমির হামজা। ২০১২ সালে একে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে আমেরিকা। মার্কিন গোয়েন্দারা জানায়, লস্করের যে সেবা সংস্থা, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল হামজা। পাশাপাশি, লস্করের ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টেরও মাথায় ছিল সে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, লস্করের প্রচারিত পত্রিকাগুলির সম্পাদক হামজা নিজের বাড়িতেই মঙ্গলবার গুরুতর আহত হয়। এরপর আইএসআই-এর নিরাপত্তায় লাহোরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

    কে এই হামজা

    আফগানিস্তান যুদ্ধে একসময় সশস্ত্র যোদ্ধার ভূমিকায় ছিল হামজা (Amir Hamza)। সেই সময় আফগান মুজাহিদিনের অংশ ছিল সে। সেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে হামজা। পরবর্তীতে হাফিজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে। রিপোর্ট বলছে, ২০০০ সাল নাগাদ ভারতে ব্যাপকভাব সক্রিয় ছিল এই সন্ত্রাসবাদী। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে জঙ্গি হামলায় সইফুল্লার সহযোগী ছিল হামজা। ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লস্করের (Lashkar-e-Taiba) প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর দায়িত্ব ছিল এর উপর। ২০১৮ সালে লস্কর এবং জামাত-উদ-দাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরই হাফিজের কথায় ‘জইশ-ই-মানকাফা’ নামে নতুন এক সংগঠন তৈরি করে হামজা। এই ঘটনায় অনেকের অনুমান ছিল, হয়ত লস্করে ভাঙন ধরেছে। যদিও পরে জানা যায় গোটাটাই ছিল মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার এক পন্থা।

LinkedIn
Share