Author: ishika-banerjee

  • Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল আনবে ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর। দু’দিনের ভারত সফরে এসে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন (Modi-Ursula Meeting)। চিনের আগ্রাসী অর্থনীতি ও একচেটিয়া উৎপাদননীতিকে ঠেকাতেই দিল্লির সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের। শুক্রবার দু’দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা।

    মোদি-উরসুলা বৈঠক

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে উরসুলা বলেন, ‘‘আমরা ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’’ ইইউ-র কাছে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার (Modi-Ursula Meeting) বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএনইসি) নির্মাণ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করা হবে।’’ ওই করিডর নির্মিত হলে বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর উরসুলা জানান, চলতি বছরের শেষেই দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হতে পারে। অন্য দিকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘দু’পক্ষই বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি ভৌগোলিক বাণিজ্যের মানচিত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনার অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’’

    ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল

    এই প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় কমিশনের (EC) প্রেসিডেন্ট উরসুলা সহ ২২ জন কমিশনার রয়েছেন। এটি হল ২০১৯ সালে গঠিত ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম বাইরের সফর এবং প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ভারত সফর করছেন ইউরোপীয় কমিশনাররা। ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের তৃতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। এই আবহে কমিশনারদের এই সফর ভারত-ইউরোপ সম্পর্কে নতুন এক যুগের সূচনা করবে, বলে অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    বর্তমানে জোগানের শৃঙ্খলে চিন-নির্ভরতা উদ্বেগের কারণ পশ্চিমের দেশগুলির। তাদের সেই উদ্বেগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি। ১০-১৪ মার্চ ব্রাসেলসে হবে ভারত-ইইউ-এর বাণিজ্য বৈঠক হবে। তার আগে গাড়ি, ওয়াইন-সহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাতে দিল্লিকে অনুরোধ করবে ইউরোপীয় কমিশন। ভারতও চাইছে নিজ শর্তে ইউরোপের সদস্য দেশগুলিতে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ বাড়াতে।

    বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন উরসুলা। তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি কথা হয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়েও। নয়াদিল্লি পৌঁছে উরসুলা তাঁর সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন, ‘আমার প্রতিনিধিদের (কমিশনার) নিয়ে দিল্লির মাটি ছুঁলাম। সংঘাত এবং প্রবল প্রতিযোগিতার এই কালখণ্ডে প্রয়োজন হয় বিশ্বস্ত বন্ধুর। ইউরোপের ক্ষেত্রে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার। এই অংশীদারি কীভাবে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে আমাদের।’

    সম্পর্কের গভীরতা

    ভারত ১৯৬২ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটির (যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৩ সালে এক যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণা এবং ১৯৯৪ সালের সহযোগিতা চুক্তি ভারত-ইউরোপ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। এখনও পর্যন্ত ১৫টি ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথম সম্মেলনটি ২০০০ সালে লিসবনে হয়েছিল। ২০০৪ সালে হেগে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সম্মেলনে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ভন ডার লায়েন ভারত সফর করেন এবং রাইসিনা সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

    বৈঠক ও উদ্যোগ

    ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে “ভারত-ইউরোপীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ২০২৫ এর রোডম্যাপ” গৃহীত হয়। ২০২১ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে একটি মুক্ত বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই ভারত ও ইউরোপের দেশগুলি এক সম্মতিতে পৌঁছেছে, যা পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারত-ইউরোপীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল (TTC) ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাণিজ্য, নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত সমন্বয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। টিটিসি-এর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক ২০২৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

    ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) প্রায় ১৫ বছর ধরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে গড়ে তুলেছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ভারতীয় রফতানি ছিল ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা

    চিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সালে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোঅপারেশন চুক্তির আওতায় এই সহযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং (HPC) এবং ২০২৩ সালে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণায় সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

    সবুজ শক্তির সমাধান

    ভারত-ইউরোপীয় (India-Europe Partnership) সবুজ হাইড্রোজেন সহযোগিতা উদ্যোগের আওতায়, ভারত ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় হাইড্রোজেন সপ্তাহে একমাত্র অংশীদার দেশ ছিল। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ভারতীয় হাইড্রোজেন প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    জনগণ ও জনগণের সম্পর্ক

    ভারত-ইউরোপীয় সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হল জনগণের সম্পর্ক। ইউরোপে ভারতীয় মহল সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্র, গবেষক এবং দক্ষ পেশাজীবী রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লু কার্ডের শীর্ষ প্রাপক ছিল ভারতীয় পেশাজীবীরা।

    প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ

    ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করছে, বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম যৌথ নৌযান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) একসাথে কাজ করছে, যেমন চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য-এল-ওয়ান মিশনে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশনের সফররত এক কর্তা বলেন, ‘‘ভারত বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতি। সেখানে ছোট-বড় কৃষিজীবী মানুষ ও উদ্যোগ রয়েছে। এটি আমাদের চুক্তিতে প্রতিফলিত হবে। কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি আগ্রহী। তবে চুক্তি যা-ই হোক, ভারসাম্য থাকা জরুরি। যেমন গাড়ি, ওয়াইন এবং স্পিরিটের মতো পণ্যের উপর ভারতের শুল্ক অনেক বেশি। ইইউ এই শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাষ্ট্রগোষ্ঠী হিসেবে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী ইইউ। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১২,৬০০ কোটি ডলার। এক দশকে বেড়েছে ৯০%।

  • Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ‘তমাল’ পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে ভারতে আসা এটাই হবে শেষ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal)। রাবণ-পুত্র মেঘনাদের (ইন্দ্রজিৎ) মতোই আড়ালে থেকে শত্রুর উপর প্রাণঘাতী আঘাত হানতে দক্ষ তমাল। ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ইয়নটার শিপইয়ার্ডে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ‘স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট’গুলির অন্যতম তমাল।

    রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌসেনায় (Indian Navy) যোগ দিয়ে সমুদ্রযুদ্ধের মহড়ায় যোগ দেবে আইএনএস তমাল। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৬ সালের সমঝোতা এবং ২০১৮ সালে সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী আইএনএস তলোয়ার শ্রেণির চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal) বানাচ্ছে রাশিয়া। চুক্তির মোট অঙ্ক ২৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা)। এই তালিকার প্রথমটি, আইএনএস তুষিল ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিয়েছে। এ বার পালা আইএনএস তমালের। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা এবং যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এখন রাশিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার ২০০ জন অফিসার এবং কর্মী।

    কী কী অস্ত্রে সমৃদ্ধ তমাল

    ৩০ ‘নট’ গতিবেগ সম্পন্ন তমাল একটানা ৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। ব্রহ্মস সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আইএনএস তমালে (Stealth Frigate Tamal) থাকছে বিমানবিধ্বংসী কামান। পাশাপাশি থাকছে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পিডো। এ ছাড়া দু’টি রুশ কামোভ-২৮ এবং কামোভ-৩১ হেলিকপ্টার থাকছে, যা শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি হামলার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাশিয়ায় এখন যুদ্ধজাহাজ তমালের ট্রায়াল চলছে। বিশেষ করে এর জন্য ২০০ জন ভারতীয় নৌসেনা সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। এই ট্রায়াল চলবে প্রায় ৬ সপ্তাহ। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তমালকে ভারতে আনার জন্য প্রস্তুত করা হবে।

  • National Science Day 2025: বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য! জেনে নিন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের ইতিহাস

    National Science Day 2025: বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য! জেনে নিন জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতে অত্যন্ত উৎসাহ ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025)। ভৌত বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ভারতীয় বিজ্ঞানী সিভি রামন আবিষ্কৃত রামন এফেক্টের আবিষ্কারকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই এই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থী, বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের অনুপ্রাণিত করা হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য। এই দিনটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব বোঝার এবং সমাজে এর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ দেয়।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025) উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হল বিজ্ঞানের গুরুত্ব এবং এর প্রয়োগের বার্তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এটি প্রতি বছর ভারত প্রধান বিজ্ঞান উৎসব হিসেবে পালিত হয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা। মানবজাতির কল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যবহার করা। বিজ্ঞানের উন্নয়ন এবং নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারে নাগরিকদের উৎসাহিত করাই হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের লক্ষ্য। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর ন্যাশনাল সায়েন্স ডে উদযাপিত হয়। মূলত দেশের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও রিসার্চ ল্যাবরেটরিগুলিতে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। জনগনের উদ্দেশে ভাষণ, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, বিজ্ঞানের সিনেমা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও ডিবেট ও কুইজের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম

    ২০২৫ সালের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের (National Science Day 2025) থিম হল বৈজ্ঞানিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলির উপর ভিত্তি তৈরি করা। এই থিমটি বিজ্ঞান এবং সমাজের মধ্যে সংযোগ জোরদার করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। প্রতি বছর নতুন থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। বৈজ্ঞানিক সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং সমাজে বিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরার জন্য তৈরি করা হয় সেই বছরের থিম। এই বছরের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হল ‘উন্নত ভারতের বিজ্ঞান উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের জন্য ভারতীয় যুবসমাজের ক্ষমতায়ন’।

    প্রথম কবে পালন করা হয়

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2025) প্রথমবার পালন করা হয় ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এই দিনে, স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন, যিনি সিভি রামন নামে পরিচিত, ‘রমন এফেক্ট’ আবিষ্কার করেছিলেন৷ রামন এফেক্ট আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে। রামন এফেক্ট আবিষ্কারকে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    সিভি রামন ওরফে স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন

    স্যর চন্দ্রসেখর ভেঙ্কট রামন ছিলেন একজন পদার্থবিদ। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি ১৯১৭ সালে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন ৷ ১৯২৮ সালে তিনি রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। এই কারণে ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৩৩ সালে তিনি বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স তৈরি করেন। সেখানকার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব সামলান। ১৯৪৭ সালে তাঁকে রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে, ভারতের সর্বচ্চ নাগরিক সম্মান, ভারত রত্নে ভূষিত করা হয় সিভি রামনকে।

    রামন এফেক্ট আবিষ্কার

    ফোটন কণার অস্থিতিস্থাপক বিকিরণকে বলা হয় রামন এফেক্ট। আলো যখন কোনও স্বচ্ছ পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন সেটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিবর্তনের ব্যখ্যা দেয় এই রামন এফেক্ট। অর্থাৎ সহজ কথায়, আলো ভেঙে যে বিচ্ছুরণ ঘটে, তারই ব্যখ্যা রামন এফেক্ট। ১৯২১ সালে জাহাজে চেপে ইউরোপ যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের জলে নীল আলোর বিচ্ছুরণ দেখে তাঁর মধ্যে কৌতুহল জাগে ৷ সেটির কারণ খঁজতে গিয়েই ল্যাবরেটরিতে বসে তিনি মার্কারি ল্যাম্প ও বরফের টুকরো দিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষার ফল ‘রামন এফেক্ট বা রামন ক্রিয়া’ আবিষ্কার৷ দীর্ঘ সাত বছরের গবেষণার পর ১৯২৮ সালে কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’-এ এই আবিষ্কারটি করেছিলেন সি ভি রামন।

    বিজ্ঞানী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সম্প্রতি, জাতীয় বিজ্ঞান দিবসকে (National Science Day 2025) স্মরণ করে দেশবাসীকে ‘এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী’ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাকাশে ভারতের সাফল্যের কথা শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে। মোদি বলেন, ‘‘ইসরো একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে আমাদের অর্জনের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তা উৎক্ষেপণ যান তৈরি করা হোক, কিংবা বিভিন্ন ভারতীয় মহাকাশযানের সাফল্য।’’ তার পরই মোদি প্রত্যেক দেশবাসীকে ‘এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী’ হওয়ার কথা বলেছেন। বছরের যে কোনও দিনই তা হতে পারে। সেই নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন বিজ্ঞানমূলক কাজের অংশ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা এসএসএলভি (SSLV) তৈরিতে দুটি সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইসরোকে সাহায্য করবে আদানি গ্রুপের একটি সংস্থাও। এর মধ্য দিয়েই গৌতম আদানি গ্লোবাল স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করবেন। এর ফলে আদানি (Gautam Adani) গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে।

    স্পেস সেক্টরে ভারতীয় বাজার তৈরির চেষ্টা

    ২০২৩ সালে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের সফল উৎক্ষেপণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই রকেট উৎপাদনের জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। আর এর পিছনে সরকারের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল ভারতের স্পেস সেক্টরের বাণিজ্যিকরণ করা। মনে করা হচ্ছে, সরকারের এটা ছিল বেসরকারিকরণের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। সরকার আশা করেছিল স্পেস সেক্টরের কিছুটা বেসরকারিকরণ হলে ভারতীয় সংস্থাগুলো এই সেক্টরে গোটা বিশ্বের বাজার আরও দ্রুত ধরতে পারবে। আর তাতে আখেরে লাভ হবে আমাদের দেশের অর্থনীতিরই। এই এসএসএলভির উৎপাদনের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রায় ২০টি বেসরকারি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই দায়িত্ব পেয়েছে ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি। যার মধ্যে রয়েছে ভারত ডায়নামিক্স ও হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এছাড়া তৃতীয় সংস্থা হিসাবে এই রকেট উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস। আর এই সংস্থাতেই অংশীদারিত্ব রয়েছে আদানি গ্রুপের অধীনস্ত সংস্থা আদানি ডিফেন্স সিস্টেমের।

    আদানির কৌশলগত পদক্ষেপ

    আদানি গ্রুপ (Gautam Adani) ভারতীয় স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (SSLV) তৈরির জন্য তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দুটি প্রতিযোগী হল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড (BDL) এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। যদি আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসকে চুক্তি প্রদান করা হয়, তবে তাদের সহযোগী আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস এর সাথে মিলে তারা এই পরবর্তী প্রজন্মের লঞ্চ ভেহিকেলগুলি দেশে তৈরি করার দায়িত্ব নেবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্বাচিত কোম্পানিকে ইসরোকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে দুটি এসএসএলভি লঞ্চ সফলভাবে সম্পাদনের জন্য ২৪ মাসের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি এই প্রকল্পে আদানি গ্রুপ সফল হয়, তবে এটি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈচিত্র্য আনবে। আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। এবার এক্ষেত্রে কাজ করলে আদানি গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে প্রবেশের সুযোগ পাবে। এর ফলে ভারতের গ্লোবাল স্পেস প্লেয়ার হিসেবে অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

    এসএসএলভি কি?

    স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) হলো একটি খরচ সাশ্রয়ী রকেট যা ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) দ্বারা তৈরি হয়েছে। এটি ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চের জন্য বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তৈরি। এই এসএসএলভি ৫০০ কেজি বা ১ হাজার ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত ভরের স্যাটেলাইটকে লোয়ার আর্থ অর্বিট বা এলইও-তে প্রতিস্থাপন করতে পারে। যোগাযোগ, আবহাওয়া পূর্বাভাস, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি নানা কাজে স্মল স্যাটেলাইটগুলি সাহায্য করে।

    ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ

    মহাকাশের দৌড়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভারতীয় সংস্থা ইসরো পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে। কম খরচে মহাকাশে নিখুঁতভাবে স্যাটেলাইট পাঠানো সংস্থাগুলোর তালিকায় ক্রমাগত উপরের দিকে উঠে এসেছে ইসরো। আর এবার তারা এসএসএলভি (SSLV) বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল উৎপাদনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। কিন্তু সেদিক থেকে দেখতে গেলে, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এখনও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য  বেসরকারি সংস্থার নাম উঠে আসেনি। তবে এবার গৌতম আদানির সংস্থা এসএসএলভি তৈরিতে সাহায্য করলে ভারতেও মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি ছায়া পড়বে। একই সঙ্গে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ জানানোর পথে ধীরে ধীরে পা ফেলতে পারবেন গৌতম আদানি।

  • Godhra Massacre: গোধরা-কাণ্ডের ২৩ বছর পূর্ণ, ফিরে দেখা স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক গণহত্যা

    Godhra Massacre: গোধরা-কাণ্ডের ২৩ বছর পূর্ণ, ফিরে দেখা স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক গণহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ অভিশপ্ত ২৭ ফেব্রুয়ারি। আজ থেকে ঠিক ২৩ বছর আগে, ২০০২ সালের এই দিনে, গুজরাটের গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের (Godhra Massacre) চারটি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অগ্নিকান্ডের ফলে ওই ট্রেনের ঝলসে যাওয়া এস৬ কামরায় থাকা ৫৯ হিন্দু যাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর গুজরাট সরকার নিযুক্ত নানাবতী কমিশন ঘটনার তদন্ত করে জানায়, ট্রেনের কামরায় আগুন লেগে যায়নি, লাগানো হয়েছে। সংঘ পরিবার দাবি করে, ট্রেনে অগ্নিদগ্ধদের অধিকাংশই অযোধ্যা থেকে ফিরতি করসেবক। এই ঘটনার পরই গুজরাটের একটা বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সাম্প্রদায়িক হিংসা।

    গোধরা গণহত্যাকে স্মরণ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ২৩ বছর আগে এই দিনে, গুজরাটের গোধরায় (Godhra Massacre) স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা হিন্দু করসেবকদের (ভগবান রামের ভক্তদের) নিয়ে গুজরাটে ফেরা সবরমতী এক্সপ্রেসে একদল মুসলিম জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরুষ, মহিলা এবং শিশু-সহ ৫৯ জন নিরীহ করসেবক এই আগুনে পুড়ে মারা যান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) করসেবকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তাদের ত্যাগকে অভিবাদন জানায় এবং ভারতকে নাড়িয়ে দেওয়া ‘ভয়াবহ ঘটনা’ স্মরণ করে। ভিএইচপি এই ঘটনাকে স্মরণ করে সোশ্যাল সাইটে বার্তা দেয়। তাঁদের কথায়, ‘‘২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২, এই দিনে, অযোধ্যা থেকে গুজরাটে যাওয়া ৫৯ জন রামভক্তকে ইসলামিক সন্ত্রাসীরা জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলে। শহীদ শ্রী রামভক্ত করসেবকদের প্রতি লক্ষ লক্ষ প্রণাম!’’

    কী ঘটেছিল গোধরায়

    ২০০২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, শ্রী রাম জন্মভূমিতে পূর্ণাহুতি মহাযজ্ঞে অংশগ্রহণের পর শত শত তীর্থযাত্রী অযোধ্যা থেকে গুজরাটের উদ্দেশে রওনা হয় সবরমতী এক্সপ্রেসে (Godhra Massacre)। দুই দিন পর, ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে, ট্রেনটি গোধরা স্টেশনে সকাল ৭:৪৩ মিনিটে পৌঁছায়। ট্রেনটি যখন যাত্রা শুরু করে, তখন কেউ একজন জরুরি চেন টেনে দেয়, যার ফলে ট্রেনটি সিগন্যাল ফালিয়ার কাছে থামে। সিগন্যাল ফালিয়া একটি মুসলিম-অধ্যুষিত বস্তি এলাকা যা উগ্রপন্থীদের জন্য কুখ্যাত। সাম্প্রদায়িক হিংসা এখানে প্রতিদিনের ঘটনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই, প্রায় ২০০০ লোকের একটি সুসংগঠিত জনতা, পাথর, পেট্রল এবং অগ্নিসংযোগকারী পদার্থে সজ্জিত হয়ে ট্রেনটিতে ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। যাত্রীদের পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য পাথর নিক্ষেপ করা হয়, অন্যদিকে পেট্রলে ভেজা কাপড় ব্যবহার করে ট্রেনের এস-৬ কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের শিখা দ্রুত কোচটিকে গ্রাস করে। এই কোচে আটকে পড়েন ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী। যারা ট্রেনের কামরাতেই জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে ২৭ জন মহিলা এবং ১০ জন শিশু ছিল।

    গণহত্যাকে চাপা দেয় তৎকালীন মিডিয়া

    গুজরাট পুলিশের সহকারী মহাপরিচালক জে মহাপাত্রের মতে, আক্রমণকারীরা অনেক আগেই পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করে রেখেছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি আকস্মিক সংঘর্ষ নয় বরং একটি পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কোচের ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া একজন মুসলিম ব্যক্তিকে অগ্নিসংযোগকারী বলে সন্দেহ করা হয়। যিনি আক্রমণ চালানোর সময় আগুনে আটকা পড়েছিলেন। আক্রমণের ভয়াবহ প্রকৃতি সত্ত্বেও, মূলধারার মিডিয়াগুলি দ্রুত ঘটনা থেকে ফোকাস সরিয়ে নেয়। হিন্দুদের আক্রমণকারী এবং মুসলিমদের শিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অপরাধীদের প্রকাশ করার পরিবর্তে, গোধরা ট্রেন পোড়ানোর ঘটনাকে ছোট করে দেখানো হয়। বিশ্বব্যাপী মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে গণহত্যাকে উপেক্ষা করে গুজরাটে পরবর্তী দাঙ্গাকে “মুসলিম গণহত্যা” হিসেবে চিত্রিত করে। এর ফলে জীবন্ত পুড়ে যাওয়া ৫৯ জন হিন্দুর স্মৃতি মুছে ফেলতে সক্রিয় হয়ে যায় সেই সময়ের মূলধারার মিডিয়াগুলি।

    আইনি তদন্তে সত্য উদঘাটন

    বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, কমিউনিস্ট ইতিহাসবিদ এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলি গোধরা হামলার ঘটনাকে গুজরাটের (Godhra Massacre) তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগের আড়ালে ঢেকে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। মিডিয়ার চিত্রায়নের বিপরীতে, আইনি তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্ত দল (SIT) নিশ্চিত করেছে যে গোধরা ট্রেনে আগুন লাগানো ছিল উগ্র ইসলামী উপাদানগুলির দ্বারা পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতার কাজ। ট্রেনে আগুন ধরানোর এই ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর মধ্যে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। তাদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, আর বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। এরপর ২০১৭ সালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখলেও, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।

  • NASM-SR Missile: ডিআরডিও-র মুকুটে নয়া পালক, প্রথম নেভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

    NASM-SR Missile: ডিআরডিও-র মুকুটে নয়া পালক, প্রথম নেভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO) দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্পপাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের (NASM-SR Missile) সফল পরীক্ষা করল। বুধবার ভারতীয় নৌসেনার হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ওড়িশার উপকূলে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) চাঁদিপুর থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিও, নৌসেনা এবং শিল্প জগতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    এই প্রকল্পেরশুরু

    বছর দেড়েক আগে নৌসেনার ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে প্রথম এনএএসএম-এসআর (NASM-SR Missile) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত নিশ্চিত করতে ‘টার্মিনাল গাইডেন্স’-এর জন্য একটি দেশীয় ইমেজিং ইনফ্রা-রেড (আইআইআর) চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে নরেন্দ্র মোদি সরকার যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেই ‘লক্ষ্য’ অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব কী?

    এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্রটিতে (NASM-SR Missile) রয়েছে ম্যান-ইন-লুপ বৈশিষ্ট্য। এর ফলে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে একেবারে শেষ মুহূর্তে দিশা পরিবর্তন করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। যার জেরে এটি আরও মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ডিআরডিও (DRDO) সূত্রে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিয়ারিং-অনলি লক-অন আফটার লঞ্চ মোডে উৎক্ষেপণ করা হয়। যে কোনও একটি লক্ষ্যকে বেছে নেওয়ার জন্য কাছাকাছি বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ছিল। পরীক্ষার সময়ে প্রথমে নির্দিষ্ট অনুসন্ধান পরে একটি বড় লক্ষ্যবস্তুকে নিশ্চিত করা হয়। পরে টার্মিনাল পর্যায়ে, পাইলট একটি ছোট লুকনো লক্ষ্যবস্তুকে ফাইনাল লক্ষ্য হিসাবে বেছে নেয়। মিসাইল তবু নির্ভুলভাবে সেই ছোট লক্ষ্যে আঘাত হেনে ধ্বংস করে দেয়।

    এই ক্ষেপণাস্ত্রে কী কী সিস্টেম রয়েছে?

    মিড-কোর্স গাইডেন্সের জন্য দেশীয় ফাইবার অপটিক জাইরোস্কোপ ভিত্তিক ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) এবং রেডিও অল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র (NASM-SR Missile) তৈরিতে। এছাড়াও, এটি সমন্বিত অ্যাভিওনিক্স মডিউল, ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল অ্যাকুয়েটর এবং অ্যারোডাইনামিক এবং জেট ভ্যান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে থার্মাল ব্যাটারি, পিসিবি ওয়ারহেড এবং সলিড প্রপালশন সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে ইন-লাইন ইজেক্টেবল বুস্টার এবং লং-বার্ন সাসটেইনার রয়েছে। এই মিসাইলটি ডিআরডিও (DRDO), রিসার্চ সেন্টার ইমারত (Research Centre Imarat, RCI), ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি (DRDL), হাই এনার্জি মেটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরি (HEMRL) এবং টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি (TBRL) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।

  • ICC Champions Trophy: জাদু জাদরানের! আফগান ঝড়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের

    ICC Champions Trophy: জাদু জাদরানের! আফগান ঝড়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) থেকে বিদায় নিল ইংল্যান্ড। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৮ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল আফগানিস্তান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের (Ibrahim Zadran) রেকর্ড ইনিংসে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করলেন জাদরান। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বাধিক। সেঞ্চুরি করে ভারতীয় সংস্কৃতিকেও সম্মান জানালেন আফগান ক্রিকেটার ইব্রাহিম জাদরান। শতরানের পর ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে দুই হাত এক করে নমস্কারের ভঙ্গিতে উৎসবে ভাসেন। জাদরানের এই ছবি সোশাল সাইটে ভাইরাল।

    আফগানদের দাপট

    এক দিনের বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (ICC Champions Trophy) হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড। আফগানদের এই জয়ের গায়ে ‘অঘটন’ তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বার বার অঘটন হয় না। সাদা বলের বড় প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের ধারাবাহিক সাফল্য ক্রিকেট বিশ্বকে আর চমকে দেয় না। পুলকিত করে। বুধবার লাহোরের বাইশ গজে ম্যাচের শুরুটা ভাল হয়নি আফগানিস্তানের। ৩৭ রানের মধ্যে তিন উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। গুরবাজ (৬), সেদিকুল্লা অটল (৪) এবং রহমত শাহ (৪) অল্প রান করে আউট হয়ে যান। সেখান থেকে ইনিংস গড়ার কাজটা করেন জাদরান এবং অধিনায়ক শাহিদি। তাঁরা ১০৩ রানের জুটি গড়েন। প্রথমে ব্যাট করে হশমতুল্লা শাহিদির দল ৭ উইকেটে ৩২৫ রান করে। ইব্রাহিম জাদরানের নজির গড়া ১৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে জস বাটলারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আফগানরা। জবাবে ইংল্যান্ড করল ৪৯.৫ ওভারে ৩১৭। ৮ রানে হারায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে তৃতীয় দল হিসাবে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। কাজে এল না জো রুটের ১২০ রানের লড়াকু ইনিংস।

    সচিন ভক্ত জাদরান

    গত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে আফগানিস্তান। এশিয়া থেকে নতুন শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে তারা। লড়াকু মনোভাব, হার-না-মানা লড়াই এবং ক্রিকেটবিশ্বের ‘দৈত্য’ দেশগুলিকে হারিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে একের পর এক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ইব্রাহিম জাদরান। ইংল্যান্ডের তারকা বোলারদের পিটিয়ে যিনি বুধবার ১৭৭ রান করেছেন। ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ম্যাচ জেতানো ৮৭ রান এখনও সমর্থকদের মুখে মুখে ঘোরে। বিশ্বকাপের আসরেই জাদরানের সঙ্গ কথাহয় তাঁর স্বপ্নের ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের। আফগানিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে আলাদা করে জাদরানে কিছু পরামর্শ দেন সচিন। তার পরেই সেই ম্যাচে শতরান করেন আফগান তারকা। ১৪৩ বলে ১২৯ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচের পর জাদরান বলেছিলেন, “সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলাম। নিজের ক্রিকেটজীবনের কথা শুনিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে দলের সবাইকে বলেছিলাম, আজ সচিনের মতো ব্যাট করব। সেটাই করেছি।” এদিনও ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে ইব্রাহিম বলেন, “আত্মবিশ্বাস ও শৃঙ্খলার কারণে এই রান করেছি। আমি খেলার আগে কোচদের অনেক পরামর্শ নিই। রাশিদ খানের সাথে কথা বলি। রাশিদ অনেক পরামর্শ দেন। নেটে অতিরিক্ত সময় কাটাই। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। মাথায় শুধু একটাই ভাবনা, দলকে জেতাতে হবে। তাছাড়া কিছুই ভাবিনি। প্রথমে ৪০ রান পর্যন্ত টার্গেট করেছিলাম। তারপর থেকে ৫০, ৬০, ৭০ এই ভাবে এগোতে থাকি। তাতেই সাফল্য এসেছে।”

  • Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব হবে মাত্র ৩০ মিনিটে! দিল্লি থেকে জয়পুর বা বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছতে লাগবে মাত্র আধ ঘণ্টা। ভারতের প্রথম ‘হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক’ (Hyperloop Test Track) পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সহায়তায় এই ট্র্যাক বানিয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras)।

    দ্রুত হাইপারলুপ তৈরির চেষ্টা

    রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে তা ৪২২ মিটার লম্বা। এই ট্র্যাক দিয়ে গেলে কমপক্ষে ৩৫০ কিলোমিটার পথ ৩০ মিনিট বা তার কমে অতিক্রম করা সম্ভব। এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, হাইপারলুপ দিয়ে দিল্লি থেকে জয়পুর (দুরত্ব মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার) যেতে মাত্র আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। ইতিমধ্যে এই প্রজেক্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দু-দফায় ১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে আইআইটি মাদ্রাজকে। আরও এক দফায় এই টাকা দিতে ইচ্ছুক ভারতীয় রেল মন্ত্রক। আসলে খুব দ্রুত এই হাইপারলুপ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে চাইছে তাঁরা।

    হাইপারলুপ ট্রেন কী

    হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং মাল বহনের জন্য উচ্চগতির পরিবহন ব্যবস্থা। একটি হাইপারলুপ ট্রেন একটি ভ্যাকুয়াম ক্যাপসুল টিউবের মধ্যে দিয়ে চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিমি। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে টিউবের মধ্যে কোনও বাতাস থাকে না। ফলে ট্রেনটির সামনের দিকে এগোতে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না। তাই অতি দ্রুত ট্রেন এগিয়ে যেতে পারে। তাই একে বলে হাইপারলুপ ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো হাইপারলুপ ট্রেনের একাধিক কামরা নেই, মাত্র একটি কামরা থাকে। মূলত বিদ্যুতেই চলে এই অত্য়াধুনিক অতিগতিসম্পন্ন এই ট্রেন।

  • India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল সাইট থেকে ঢাকার অলিগলি— বাংলাদেশে এখন ভারত-বিদ্বেষ (India Bangladesh Relation) চূড়ান্ত। যে ভারতের হাত ধরে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই ভারত-বৈরিতা এখনকার বাংলাদেশ সরকারের বৈশিষ্ট্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। কিন্তু ভারত ছাড়া বাংলাদেশ যে কতটা অচল, তা স্পষ্ট হল বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Railway) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যে। জানা গিয়েছে, অর্থ সংকটের কারণে বাংলাদেশে রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থমকে রয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, ভারত সরকার ছ’বছর আগে এইসব প্রকল্পের জন্য ঋণ (Loan) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। এর ফলে, প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হয়নি।

    কেন সাহায্য করবে ভারত?

    ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয় বছর আগে বাংলাদেশ রেলের একাধিক প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু আজ অবধি সেই টাকা পায়নি ঢাকা। এর ফলে ওই প্রকল্পগুলির কাজ থমকে গিয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক বার নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। যদিও পালটা প্রশ্ন উঠছে, হাসিনা পরবর্তী সময়ে যে ভারতকে কথায় কথায় বিষোদগার করছে মহম্মদ ইউনূস সরকার এবং পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি, কোন ভরসায় তাদের অর্থসাহায্য করবে ভারত?

    সাতটি রেল প্রকল্প আটকে

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) এই মূহূর্তে সাতটি রেল প্রকল্প রয়েছে যা ভারতের টাকায় হওয়ার কথা। যার মধ্যে রয়েছে খুলনা-দর্শনা রেল লাইন প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ-বগুরা ন্যারো এবং ব্রড গেজ লাইন প্রকল্প। ভারত এখনও ঋণ না দেওয়ায় এই দুই প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি। তবে আরও দুটি প্রকল্পে কাজ চলছে ভারতের ঋণের টাকায়। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-টঙ্গি তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইনের কাজ, ৩৮ শতাংশ এই কাজ এগিয়েছে। সেই সঙ্গে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৫১ শতাংশ। এখানেই শেষ নয়, ভারতের টাকায় বাংলাদেশে খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং আখাউড়া-আগরতলা লাইনের কাজ হওয়ার কথা ছিল। এই কাজ অনেকটা এগোলেও শেষ হয়নি। রেলের কাজের সঙ্গে নিযুক্ত ভারতীয় শ্রমিকরা এখনও ফেরেননি বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না ভারতের টাকাও, তাই মাথায় হাত বাংলাদেশের। প্রকল্পগুলি আদৌ কী ভাবে শেষ হবে সেই নিয়েই চিন্তায় বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া, দিনাজপুর-কাউনিয়া রেলপথের জন্য ভারত ঋণ বরাদ্দ করলেও কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

    ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে

    শেখ হাসিনা পরবর্তী সময় বাংলাদেশে ক্রমাগত ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে। সে দেশের ক্ষমতায় থাকা কিছু নেতা বারবার নয়াদিল্লিকে (India Bangladesh Relation) নিশানা করছেন। কখনও যুদ্ধের জিগির তুলছেন তো কখনও দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জন্য দায়ী করছে ভারতকে। বিষয়গুলি নিয়ে এতদিন ‘চুপ’ থাকলেও সম্প্রতি ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ, তা স্পষ্ট করতে হবে, দ্বিচারিতা চলবে না। একদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস বলছেন, “ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই।” অন্যদিকে তাঁরই সরকারের অন্য়ান্য উপদেষ্টারা নয়াদিল্লিকে নিশানা করছেন। বারবার অসম্মান করছেন। দেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। এভাবে চলতে পারে না বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারতের প্রতি তাদের সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করুক বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হলে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। ভারত-বিরোধী মন্তব্যও বন্ধ করতে হবে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।

    বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজুক বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকা-টঙ্গি এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের জন্য ভারত আদৌ টাকা দেবে কি না, তা জানতে চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারত হয়তো অর্থ বরাদ্দ নাও করতে পারে। আসলে, ঢাকার দ্বিচারিতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক মহলে। যে বাংলাদেশ নিয়মিত ‘ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো অভ্যেস করে ফেলেছে, সেখানে রেল প্রকল্পে অর্থসাহায্য করবে কেন নয়াদিল্লি! এমনকী যেখানে প্রতিবেশী দেশ দখল করারও হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা, সেখানে কোন ভরসায় ফিরবেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা? এই অবস্থায়, বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

  • Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলওয়ামার মতো ফের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terror Attack)। বুধবার দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি জেলায় একটি সেনা ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার একটি ট্রাক জম্মুর রাজৌরি জেলায় সুন্দেরবানি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একদল দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    প্যাট্রলিং-এর সময় গুলি

    গত কয়েক মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চলে, আবার কখনও গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)  বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান করে সেনা। সুন্দেরবানি মাল্লা রোড সংলগ্ন জঙ্গলে ঘেরা এলাকাগুলিতে প্রচুর জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে থাকে। বুধবার সেই এলাকাতেই টহল দিচ্ছিল সেনা। দুপুর একটা নাগাদ একটি জলাশয়ের ধারে পৌঁছয় টহলদারি বাহিনী। সেই সময়েই জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৯ জেএকে ইউনিটের গাড়ি লক্ষ্য করে এক বা দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালটা গুলি চালায় সেনাও।

    টহলদারির খবর পেয়েই গুলি

    প্রাথমিকভাবে সেনার অনুমান, টহলদারির খবর ছিল জঙ্গিদের কাছে। সেই কথা জেনেই তারা গুলি চালিয়েছে সেনার গাড়িতে। তবে হামলার পরে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, পালটা গুলি চালানো হয়েছে সেনার তরফে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী এবং অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে আরও জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে হামলার পর। দিন কয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলেছিল। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বুধবারের হামলাও এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। কারা হামলা চালিয়েছে, সেই তথ্যও অজানা। গুলি চালানোর দায়ও কেউ স্বীকার করেনি এখনও। এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

LinkedIn
Share