Author: ishika-banerjee

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ফের তাঁর মুকুটে নয়া পালক। এবার দক্ষিণ-পশ্চিম অফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। পাঁচ দেশ সফরের অন্তিম পর্যায়ে বুধবার নামিবিয়ায় (Namibia) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এটি তাঁর প্রথম নামিবিয়া সফর। সেই দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনেও ভাষণ দেন মোদি (PM Modi in Namibia)। প্রায় আধ ঘণ্টার সেই ভাষণের পরে, সেখানকার সাংসদরা নিজেদের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদনও জানান।

    নামিবিয়ায় সর্বোচ্চ সম্মান

    নামিবিয়ায় (PM Modi in Namibia) সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ব্রাজিলের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। আর নামিবিয়ায় তিনি পেলেন সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অব দ্য মোস্ট অ্যানসিয়েন্ট ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিস’ (Order of the Most Ancient Welwitschia Mirabilis)। বুধবার, মোদির হাতে এই সম্মান তুলে দেন নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো নন্দী-নদাইতওয়াহ (Netumbo Nandi-Ndaitwah)। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা পায় নামিবিয়া। ১৯৯৫ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। অসামান্য কাজ, পরিষেবা ও নেতৃত্বের জন্য সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নামিবিয়ার এক জনপ্রিয় মরুভূমির গাছ ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিসের নামেই ওই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে। এই নিয়ে মোদির ঝুলিতে এল ২৭টি আন্তর্জাতিক সম্মান।

    নামিবিয়ান ড্রাম বাজান মোদি

    ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার আফ্রিকার দেশটিতে যান নমো (PM Modi in Namibia)। উইন্ডহোক-এর হোসিয়া কুটাকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে মোদিকে স্বাগত জানান নামিবিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রী সেলমা আশিপালা-মুসাভ্যি। এক হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তে মোদি স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নামিবিয়ান ড্রাম বাজান, যা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে নামিবিয়ায় অভ্যর্থনা জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর

    এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো বৈঠকে বসেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এই দুটি দেশ চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নামিবিয়ায় একটি উদ্যোগ বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগ সহনশীল পরিকাঠামোর জন্য গঠিত জোট (CDRI)-এর আওতায় একটি কাঠামো এবং গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স-এর অংশ হিসেবে একটি কাঠামো। কূটনৈতিক মহল মনে করছে ভারত-নামিবিয়া (India-Namibia Relation) সম্পর্কে নতুন গতি আনবে এই পদক্ষেপ।

    হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক

    নামিবিয়া (India-Namibia Relation) বিশ্বের অন্যতম বড় হীরে উৎপাদক দেশ, আর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরে পালিশ শিল্পের কেন্দ্র। তাই দুই দেশের সম্পর্ক হবে হীরের মতো উজ্জ্বল। নামিবিয়ার সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নামিবিয়ার সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন গণতন্ত্র এবং নামিবিয়া ও ভারতের মধ্যে একাধিক বিষয়ে মিল থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব সময়ের দ্বারা পরীক্ষিত এবং মূল্যবোধ ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্নের দ্বারা সংযুক্ত। আগামী সময়েও, আমরা নিবিড় ভাবে কাজ করে যাব এবং উন্নয়নের পথে একসঙ্গে হাঁটব।

    সংসদে চিতা প্রসঙ্গ

    ভারতকে (India-Namibia Relation) উপহার হিসেবে চিতা দিয়েছিল নামিবিয়া। সেখানকার সংসদে দেওয়া ভাষণে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই চিতাকে ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং নামিবিয়ার মধ্যে সহযোগিতা, সংরক্ষণ এবং করুণার এক শক্তিশালী ইতিহাস রয়েছে। আপনারা আমাদের দেশে চিতা পুনঃপ্রবর্তনে সাহায্য করেছিলেন। আপনাদের উপহারের জন্য আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ।’ এখন ওই চিতাগুলি ভালো আছে এবং তাদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির সফরের গুরুত্ব

    বিগত এক দশকে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) একের পর এক দেশ সফর করেছেন। পেয়েছেন একাধিক দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর যখন ভারত সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল, তখন দুই ভিন্ন মহাদেশে গিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রাপ্তি কূটনৈতিকভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর বিশেষ করে আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোর বর্তমানে ১-১। লর্ডস টেস্ট জিতলেই সিরিজে এগিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে লর্ডস টেস্টটা চ্যালেঞ্জিং করতে ইংল্যান্ডের অস্ত্র সবুজ পিচ। অনুশীলনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লর্ডসে পিচের উপর সবুজ আস্তরণ। এক নজরে দেখলে মাঠ আর পিচের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হবে। তবে, বুধবার খেলার আগের দিন সকালে কিছুটা ঘাস ছাঁটা হল লর্ডসের। আসলে এজবাস্টনে যশপ্রীত বুমরা ছাড়া ভারতীয় পেস ব‌্যাটারি যেভাবে ইংল‌্যান্ড ব‌্যাটিংকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, তাতে ব্রেন্ডন ম‌্যাকালামের টিম পুরোপুরি সবুজ উইকেট খেলার সাহস মনে হয় না দেখাবে। তবে একটা কথা ঠিক, লর্ডসের উইকেট পেসারদের অনেক বেশি সাহায‌্য করবে। সেটাই ভারতীয় পেসারদের আরও তাতিয়ে দিচ্ছে।

    লর্ডসে জয়ের আশা

    সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লর্ডসের মাটিতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নামবে ভারতীয় দল। পরিসংখ্যান বলছে, এখানে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে দুইটিতে। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইবে গৌতম গম্ভীরের ছাত্ররা। তৃতীয় টেস্টের আগে সবচেয়ে বড় খবর হল অভিজ্ঞ পেসার বুমরা ফিরছেন একাদশে। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন যে বুমরা লর্ডস টেস্ট খেলবেন। বুমরার ফিরে আসা দলের বোলিং ইউনিটে নতুন গতি ও ধার যোগ করবে নিঃসন্দেহে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বল হাতে দারুণ লড়াই করেছেন মহম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ, তবে বুমরার মতো ম্যাচ উইনার বোলারের প্রত্যাবর্তন যেকোনো দলের জন্য বিশাল স্বস্তির। বুমরা ফিরলে একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।

    ইংল্যান্ডের দলে পরিবর্তন

    অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দলেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই তারকা পেসার জোফরা আর্চার ও গাস অ্যাটকিনসন দলে ফিরছেন। দুর্বল বোলিং আক্রমণ তাদের প্রথম দুই টেস্টে ব্যাকফুটে রেখেছিল। আর্চার ও অ্যাটকিনসন ফিরলে দলে ভারসাম্য আসবে। তারা ব্রাইডন কার্সে ও জশ টাংয়ের জায়গা নিতে পারেন। বিকল্প হিসেবে ক্রিস ওকসকে বাদ দিয়ে জশ টাংকে রাখা হতে পারে। ব্যাটিং লাইনআপেও পরিবর্তন হতে পারে—ফর্মহীন জ্যাক ক্রলি’র জায়গায় ঢুকতে পারেন জ্যাকব বেথেল।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, কে এল রাহুল, করুণ নায়ার, শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ

    ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: বেন ডাকেট, জ্যাকব বেথেল, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজে (Kasba Case) গণধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ‘দাদাগিরি’-র ছবি। আবার বিভিন্ন কলেজে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই আবহে মঙ্গলবার ‘ভাইপো গ্যাং’-র তালিকা প্রকাশ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, কসবার ল কলেজের মতো রাজ্যের প্রতিটি কলেজেই ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সদস্যরা সক্রিয়, যারা শাসকদলের ছত্রছায়ায় মেয়েদের উপর নির্যাতন এবং টাকা তোলার মতো অপরাধে যুক্ত।

    কারা রয়েছে তালিকায়

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, যোগ্যরা সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সব ছাত্ররা ভাইপোর হয়ে টাকা তোলার কাজ করে। মনোজিত মিশ্রের মতো বহু ছাত্রী নির্যাতনকারী আজ কলেজ চত্বরে ক্ষমতার রক্ষাকবচ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের নাম প্রকাশ করলাম। ইচ্ছে করলে আরও ১,০০০ জনের তালিকা দিতে পারি। সেই প্রস্তুতিও চলছে।’’ সেইসব ছবিতে তৃণমূল ও টিএমসিপি-র কোন কোন নেতা-নেত্রী কোথায় চাকরি পেয়েছেন সেসব তুলে ধরেন শুভেন্দু। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা। যিনি বর্তমানে অশিক্ষক কর্মী। আবার টিএমসিপি নেত্রী শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজের কর্মী। আশুতোষ কলেজের টিএমসিপি-র প্রাক্তন জিএস উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জিএস লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নাসির বাগানি সোনারপুর কলেজের কর্মী।

    কেন এই হাল

    শাসকদলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “ প্রত্যেক কলেজে একটা করে মনোজিত রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা আজ তলানিতে ঠেকেছে। প্রশাসন সব জেনেও নিশ্চুপ, কারণ এরা সকলেই ‘ভাইপোর’ লোক। অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ রুমগুলোকে নোংরামির জায়গায় পরিণত করেছে। এক শ্রেণির প্রিন্সিপ্যাল ভয়ে কিছু বলেন না। আরেকদল অযোগ্য হয়ে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছে। তাই শাসকদলের ছাত্রদের চটাতে চায় না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আজ যে ৫০ জনের তালিকা দেওয়া হল তারা প্রত্যেকেই অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে। যার জন্য যোগ্যরা বঞ্চিত। সিপিএমের আমলেও বড়ো বড়ো ক্যাডারারও এভাবে যোগদান করেছে। সেই তালিকাও প্রকাশ করব। প্রথমে ক্যাজুয়াল ঢুকিয়ে দেয় তারপর কাজ দেখিয়ে রেগুলার করে দেয়।’’ এই তালিকায় ২-৪ জন অধ্যাপকও আছেন, যাদের জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢুকিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    পুলিশই সমস্যা

    একই দিনে কসবা ধর্ষণকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার ও বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং জানান, ‘‘এটাই প্রথম দেখলাম, নির্যাতিতার এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দিয়ে ‘এম. জে.’ লেখা হয়েছে। পুলিশ নিজের মতো করে অভিযোগ বদলে দিচ্ছে। যেখানে অভিযোগই পালটে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে?’’ পুলিশকে নিশানা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মূল সমস্যা পুলিশ। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে সব কিছুর সমাধান হবে।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক

    আগামী ৯ অগস্ট তিলোত্তমাকে খুনের এক বছর পূর্ণ। ওইদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওইদিন ২ জায়গা থেকে লাখ খানেক লোক আসবে। বাস আটকালে, ট্রেনে লোক আসবে। সাঁতরাগাছি থেকে লোক আসবে। সেদিন তিলোত্তমার সেন্টিমেন্টে ও তাঁর বাবার আহ্বানে ভিড় করবে মানুষ।” তিলোত্তমার খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জড়াবেন না। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট রোজ মনিটরিং করেছে আরজি কর মামলা। সিবিআই নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারে না। অভিজিৎ সরকারের ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের লড়াই দেখেছি। বাধ্য হয়েছে পরেশ পালের নাম ঢোকাতে। এখানেও সিবিআই বাধ্য হবে। ১৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে আবার আরজি করের শুনানি রয়েছে। কেউ শিথিলতা দেখলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।”

    উত্তরকন্যা অভিযান

    আগামী ২১ জুলাই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে। ওইদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ রয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উত্তরকন্য়া অভিযানের অনুমতি দেবে না আমি জানি। দুটো কারণ, ২১ জুলাই কোথাও কোনও কিছু হোক এই সরকার চায় না। আমাদের কর্মসূচির কাছে ওদের ২১ জুলাই যদি ফ্লপ হয়ে যায়, তাই এটা করতে চায় না। মহামান্য আদালত অনুমতি দিলে কলকাতা থেকে ৬০০ কিমি দূরে কর্মসূচি সফল হবে।”

     

     

     

     

     

  • India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মোড়। ভারত ও ব্রাজিল (India-Brazil Relation) আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ করে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও পাশে থাকবে ভারতের ব্রাজিল। মঙ্গলবার, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে বৈঠকের পরে এই কথাই জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবদানের কথা মেনে নেন লুলা। তাই মোদিকে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অফ দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করা হয়।

    সন্ত্রাসের বিরোধিতায় পাশাপাশি

    পাকিস্তান এবং চিনের নাম না করেই ব্রাজিল থেকে দুই দেশকে বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং ব্রাজিল দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ এবং যারা এই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে তাদের বিরোধিতা করছে।’ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরে, সাংবাদিক সম্মেলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একই রকম। এই ক্ষেত্রে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছি। এই ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতির কোনও জায়গা নেই।’ এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওে জঙ্গি হামলার পরে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ব্রাজিল। এই জন্য এ দিন আবার সেই দেশের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান মোদি।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি

    দুই দেশের (India-Brazil Relation) প্রতিনিধিদের মধ্যে এ দিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং ওষুধ, মহাকাশ, খাদ্য এবং জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সুপার কম্পিউটার, ডিজিটাল সহযোগিতার মতন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাঁরা। এ দিন একাধিক চুক্তিতেও স্বাক্ষর করছে ভারত এবং ব্রাজিল। দুই দেশের মধ্যে শক্তি, কৃষি, ডিজিটাল রূপান্তর এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধসহ মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    ভারত-ব্রাজিল রঙিন সম্পর্ক

    ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক (India-Brazil Relation) নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদি বলেন, “আমরা চাই ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক রঙিন কার্নিভালের মতো, ফুটবলের মতো আবেগময় এবং সাম্বার মতো হৃদয়স্পর্শী – ভিসা কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনের দরকার নেই!” তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পর্যটক, শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উভয় নেতা সম্মত হন যে, সমস্ত বিরোধ আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। মোদি বলেন, “ভারত-ব্রাজিল অংশীদারিত্ব বিশ্ব স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।” প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। সেটিকে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। পাশাপাশি শক্তি খাতে সহযোগিতাও বাড়ছে। মোদি বলেন, “পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি দুই দেশেরই অগ্রাধিকার। আজকের এই চুক্তি আমাদের সবুজ লক্ষ্যে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।” প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসঙ্গে মোদি জানান, “আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের মধ্যে গভীর আস্থা ও বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও যৌথভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে।”

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক

    দুই দেশ (India-Brazil Relation) এখন ব্রাজিলে ভারতের ইউপিআই (Unified Payments Interface) চালু করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান মোদি। তিনি বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অভিজ্ঞতা ব্রাজিলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।” মোদি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সুপারকম্পিউটিং ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়ছে, যা দুই দেশের মানব-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের প্রতিফলন। কৃষি গবেষণা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসারের ক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারত-ব্রাজিল সমন্বয় প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “দুটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের সহযোগিতা শুধু গ্লোবাল সাউথের জন্য নয়, গোটা মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময়ে আমাদের যৌথ দায়িত্ব এই অঞ্চলের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা।” মোদি-লুলার এই বৈঠক ভারত-ব্রাজিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    সম্মানিত মোদি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রাজিলের (PM Modi in Brazil) সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অব দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অব দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করল সে দেশের সরকার। ভারত-ব্রাজিলের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এই সম্মান প্রদান করেন। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এটি মোদির ২৬তম আন্তর্জাতিক সম্মান।

     

     

     

     

     

     

  • Shubhanshu Shukla: “আমি তোমাদের পথ দেখাব”, আইএসএস থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: “আমি তোমাদের পথ দেখাব”, আইএসএস থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মহাশূন্যের পরিবেশ ও জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ মিশনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) গিয়েছেন শুভাংশু। সেখান থেকে মঙ্গলবার সরাসরি হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে ইসরোর উত্তর-পূর্ব মহাকাশ প্রয়োগ কেন্দ্র (NESAC)-এর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্লা বলেন, “আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিবেশ অনন্য। এখানে মাইক্রোগ্রাভিটি ও অতিরিক্ত রেডিয়েশনের কারণে সবকিছুই আলাদা।”

    ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করলেন শুভাংশু

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ছাত্রদের মহাকাশচারী হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, “আমি নিশ্চিত, ভারতের বহু ছাত্র ভবিষ্যতে মহাকাশচারী হবে। হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ প্রথম ভারতীয় হয়ে চাঁদের মাটিতে পা রাখবে। আমি ফিরে এসে তোমাদের সবাইকে পথ দেখাব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সকল সম্ভাব্য সমস্যার জন্য প্রশিক্ষিত হই। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়। এখানে সূর্যালোকের ওপর আমাদের দৈনন্দিন কাজ নির্ভর করে না।” মহাশূন্য যাত্রার শুরুর কিছু অসুবিধার কথাও অকপটে জানান শুক্লা। তাঁর কথায়, “শুরুতে কিছুটা স্পেস সিকনেস হয়েছিল, তবে তার জন্য ওষুধ রয়েছে”। তিনি আরও জানান, “আইএসএস-এ অনেক রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহৃত হয়।”

    ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোই লক্ষ্য

    এই আলাপচারিতার জন্য একটি বিশেষ টেলিব্রিজ স্থাপন করা হয়। এটি আয়োজন করে অ্যামেচার রেডিও অন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ARISS)। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত বিষয়ে আগ্রহ বাড়ানোই লক্ষ্য। এর আগে ৪ জুলাই, শুভাংশু শুক্লা বেঙ্গালুরুর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে ছাত্রদের সঙ্গে এমনই একটি আলাপচারিতায় অংশ নেন। অনেক হ্যাম রেডিও উৎসাহী নির্ধারিত ফ্রিকোয়েন্সিতে যুক্ত হয়ে এই কথোপকথনে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, হ্যাম রেডিও বা অ্যামেচার রেডিও একটি অলাভজনক রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরিচালনা করে থাকেন এবং এটি দুর্যোগকালীন সময়ে প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হলে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত।

    ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধানের সঙ্গেও ফোনে কথা বললেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। সেখান থেকে ইসরো চেয়ারম্যান ড. ভি নারায়ণনের সঙ্গেও কথা বললেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই টেলিফোনিক কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল শুক্লার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর এবং মিশনের অধীনে বর্তমানে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি চলছে, তা নিয়ে আলোচনা। ইসরো চেয়ারম্যান এই সমস্ত পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে নথিভুক্ত করার উপর জোর দেন। তিনি জানান, এই গবেষণাগুলির ফলাফল আগামী দিনে ভারতের মহাকাশ অভিযান, বিশেষ করে গগনযান কর্মসূচির অগ্রগতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই টেলিফোনিক কলে ছিলেন ইসরোর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাও। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর ড. উন্নিকৃষন নায়ার, লিকুইড প্রপালশন সিস্টেমস সেন্টারের ডিরেক্টর এম মোহন এবং ইসরো ইনশিয়াল সিস্টেমস ইউনিটের ডিরেক্টর পদ্মকুমার ই এস। তাঁরা শুভাংশুর সঙ্গে নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও মিশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

    পৃথিবীতে সূর্যোদয় কেমন দেখায়

    মহাকাশ থেকে ভারতে তাঁর মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছিলেন শুভাংশু। মহাকাশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সূর্যোদয় কেমন দেখায়, তা মা-কে ভিডিয়ো কল করে দেখান শুভাংশু। গত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দিকে রওনা দিয়েছিলেন শুভাংশু ও তিন মহাকাশচারী। ১৪ দিনের মিশনে তাঁদের হাতে অনেক কাজ। ফসল উৎপাদন থেকে গবেষণা, বিভিন্ন কাজেই বিগত ৯ দিন ধরে ব্যস্ত তারা। যদি তাদের এই গবেষণা সফল হয়, তবে মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় দিক খুলে যেতে পারে। এর আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন শুভাংশু। তখন তিনি জানিয়েছিলেন মহাকাশে এসে তাঁর প্রথম অনুভূতিই হয়েছিল যে মহাকাশ থেকে কোনও দেশের সীমান্ত দেখা যায় না। পৃথিবী এক। মহাকাশ থেকে ভারত মানচিত্রের থেকেও বেশি বড় দেখায়।

    কেমন দেখায় পৃথিবী

    অন্ধকারের মাঝে ঘন নীল রঙের একটি গোলক। উপরে ভাসছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জানলা থেকে এমনই দৃশ্যের ছবিও পাঠিয়েছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। এটাই নাকি পৃথিবী! সে ছবিতে অবশ্য দেশবিদেশের সীমারেখা, স্থল, সমুদ্র— কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। মহাকাশ থেকে নাকি এমনই দেখতে লাগে পৃথিবীকে। নাসার অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই ভারতের প্রথম নভশ্চর, যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ পা রেখেছেন। শুভাংশু ভারতের ভবিষ্যতের ‘গগনযাত্রী’ও।

  • PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। ঘানা, ত্রিনিদাদ-টোবাগো, আর্জেন্টিনা ঘুরে পৌছে গিয়েছেন ব্রাজিলে। যোগ দিয়েছেন ব্রিকস সম্মেলনে। দেখা হল। কথা হল। ব্রিকস বৈঠকে একসঙ্গে কথাবার্তা বললেন রাষ্ট্রনেতারা। কখনও বা নরেন্দ্র মোদি আলাদা ভাবে মুখোমুখি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। গুরুগম্ভীর কথাবার্তা যেমন ছিল, তেমনই ছিল সৌজন্যের প্রীতি বিনিময়, কিছু ব্যক্তিগত আদানপ্রদানও। প্রীতির সঙ্গে উপহারও ছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে যাননি মোদি। ভারতীয় রীতি মেনে বিভিন্ন দেশের নেতার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশেষ উপহার। প্রতিটি উপহারই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।

    ত্রিনিদাদা ও টোবাগোয় মোদির উপহার

    নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিনিদাদা ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসরকে মোট দু’টি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। প্রথমটি হল অযোধ্যার সরযূ নদীর জল। এই নদীর উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সেই পবিত্র নদীর জল একটি কলসি ভরে তা ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে বিহার-যোগ। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর পরিবার একেবারে বিহারের বক্সার এলাকার মানুষ ছিলেন। এক কথায় ‘ভারত কি বেটি’ তিনি। কলস হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা, কল্যাণ এবং আধ্যাত্মিক অনুগ্রহের প্রতীক। এই কলসি ছাড়াও শুদ্ধতা, ধর্ম, ও সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর হাতে রামমন্দিরের একটি ছোট প্রতিরূপও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আর্জেনটিনায় মোদির উপহার

    এই ত্রিনিদাদ সফর সেরে, মোদি যান মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi in Foreign Tour)। বৈঠক শেষে সৌজন্য ও বন্ধুত্বের খাতিরে তাঁকে একটি উপহার দেন মোদি। আর্জেটিনার প্রেসিডেন্টকে রাজস্থানে তৈরি হওয়া সিংহের মূর্তি দিয়েছেন তিনি। একখণ্ড ফুকসাইট পাথরের উপর হাতে খোদাই করা রুপোর সিংহ, সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক। মোদির উপহারের তালিকা থেকে বাদ পড়েন না উপ-রাষ্ট্রপতিও। আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়াররুয়েলকে এক টুকরো বিহারের ছোঁয়া দিয়ে আসেন তিনি। তাঁর হাতে তুলে দেন মধুবনী শিল্প দ্বারা তৈরি সূর্যের ছবি। সূর্যকে জীবনের শক্তি ও ইতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এটি ঘিরে থাকা ফুলেল মোটিফ মিথিলার মধুবনী শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।

    ঘানায় মোদির উপহার

    পঞ্চ দেশীয় সফরে সবার প্রথম ঘানায় গিয়েছিলেন মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। সেখানে ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামার জন্য কর্নাটকে তৈরি বিদরি শিল্পের একটি ফুলদানি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দস্তা-তামা দিয়ে এই ফুলদানিগুলি তৈরি হয় কর্নাটকের প্রান্তিক এলাকায়। যার মূল উপাদান বিদরি শিল্প। ভারতের এক টুকরো শিল্পের অংশকেই আপাতত ঘানার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা ঘটান তিনি। শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়। তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি রুপোর কাজ করা হাতব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। যা ওড়িশার কটকের তারাকাশি হস্তশিল্পের প্রতীক। গত ৫০০ বছর ধরে রুপো দিয়ে নানা রকম সামগ্রী তৈরি হয় কটকের একটি গ্রামে। মোদির দেওয়া উপহারে রয়ে গেল সেই চিহ্নটাও। এছাড়াও, ঘানার উপরাষ্ট্রপতির জন্য কাশ্মীর থেকে বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি বিখ্যাত পাশমিনা শাল দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসাবে দিয়ে এসেছেন মোদি। ঘানার সংসদের অধ্যক্ষকে বাংলায় তৈরি হওয়া শ্বেতপাথরের হাতি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-লুলা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) সোমবার রাতে রিও ডি জেনেইরোতে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ১৯৬৮ সালের পর এটি প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসিলিয়া সফর। এই রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন, যেখানে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে ভারত-ব্রাজিল কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসারের উপর জোর দেওয়া হবে। ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০০৬ সাল থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে, এবং এই সফর এই সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। মোদির ব্রাজিল সফর ভারতের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, এবং এই সফরে নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর শেষে মোদি ৯ জুলাই নামিবিয়া যাবেন।

  • Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাতের বৃষ্টিতেই (Weather Update) জলমগ্ন কলকাতা। বিপর্যস্ত শহরের স্বাভাবিক জীবন। উত্তর-থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার গোড়ালি পর্যন্ত জল। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জল জমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে।

    জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাফলে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু অনেক ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন গলিপথগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতেই এত জল জমা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরবাসীর মনে। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত

    রাজ্যে এই মুহূর্তে বর্ষার (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাবাতাস অত্যন্ত সক্রিয়। সেই সঙ্গে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দু’টি অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতাতে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। এর ফলে শিয়ালদহ মেইন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমতে শুরু করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    কতদিন পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি

    দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে উত্তরবঙ্গে। একই অবস্থা বজায় থাকবে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিকিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় আজ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শনিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

     

  • PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    PM Modi at BRICS: “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলে না”, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থায় গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল বিশ্বের আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at BRICS)। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরে অনুষ্ঠিত ১৭তম ব্রিকস (BRICS)  শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিশের শতকে তৈরি হওয়া বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে আজকের দিনে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। যেসব দেশ আজকের বিশ্ব অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে, তাদের কোনও জায়গা নেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। এটা শুধু প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন নয়, বরং বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতার প্রশ্নও বটে।”

    পুরাতন কাঠামো পরিবর্তনের আহ্বান

    রিওর আইকনিক মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কারের জন্য জোরালো আবেদন করেন মোদি (PM Modi at BRICS)। তিনি বলেন, “২১ শতকের সফটওয়্যার ২০ শতকের টাইপরাইটারে চলতে পারে না”। এই কটাক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, যেখানে প্রযুক্তি প্রতি সপ্তাহে বদলাচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ বছরেও একবার বদল হয় না— এটা গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সংস্কার শুধুমাত্র প্রতীকী না হয়ে বাস্তবভিত্তিক হওয়া উচিত।

    ব্রিকস কী

    ব্রিকস (BRICS) হল উদীয়মান অর্থনীতির ৫টি দেশের গোষ্ঠী – ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে এতে যোগ দেয়। সম্প্রতি এতে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইরান। ক্রমে এই গোষ্ঠী বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির জোটে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া বাদে সব দেশই উন্নয়নশীল। ব্রিকসের মূল লক্ষ্য হল বিকল্প অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

    গ্লোবাল সাউথ-এর কণ্ঠস্বর

    দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল (PM Modi on Global South) এবং স্বল্প উন্নত দেশগুলির প্রতি ‘বঞ্চনা’ হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করলেন মোদি। যদিও এই দেশগুলি বিশ্ব কূটনীতির ময়দানে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোট বা গোষ্ঠীগুলিতে এই দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “গ্লোবাল সাউথ বহুবার দ্বৈত মানদণ্ডের শিকার হয়েছে। উন্নয়ন, সম্পদের বণ্টন বা নিরাপত্তা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বৈষম্য স্পষ্ট।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যেসব দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, সেগুলো এখনো আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মঞ্চে যথাযথ স্থান পায় না।” তিনি জানান, গ্লোবাল সাউথের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। সরাসরি বলেন, “জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলার অর্থ, উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই দেশগুলিকে বেশির ভাগ সময়েই নামমাত্র কিছু দেওয়া হয়ে থাকে।” মোদির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গোলার্ধের উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে এই বঞ্চনা চলছে। তাঁর কথায়, “গ্লোবাল সাউথকে ছাড়া আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলি যেন এমন একটি মোবাইল ফোন, যার সিম আছে কিন্তু নেটওয়ার্ক নেই।”

    আগামী বছর ভারতে ব্রিকস সম্মেলন

    সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে মোদির  (PM Modi at BRICS) উষ্ণ সাক্ষাত্‍ ও আলিঙ্গন বিশ্ব নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়। “সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শাসন ব্যবস্থার জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা”— এই মূল উদ্দেশ্যে ব্রাজিলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আলোচনা হয় জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শাসনব্যবস্থা, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে। সম্মেলনে মোদি ব্রিকস (BRICS)-কে একটি “সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ও অভিযোজনক্ষম সংগঠন” হিসেবে বর্ণনা করেন। সম্প্রতি ব্রিকস-এর সম্প্রসারণকে স্বাগতও জানান। বলেন, “ব্রিকস সম্প্রসারিত হয়েছে, নতুন বন্ধুরা যোগ দিয়েছেন। এটা প্রমাণ করে, আমরা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারি। এখন একই ইচ্ছাশক্তি দরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং বিশ্ব উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মতো প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্যও।” উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে ভারত ব্রিকস (BRICS)-এর সভাপতিত্ব নিতে চলেছে।

  • India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জয়ের শুভ-মহরৎ শুরু। হেডিংলির প্রতিশোধ বার্মিংহ্যামে নিল শুভমন গিলের ভারত (India vs England)। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল গম্ভীরের ছেলেরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের ফলাফল এখন ১-১। যে এজবাস্টনে ভারত কোনওদিন জিততে পারেনি, সেই স্টেশনে এসেই অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলেন গিল। তিনিই নায়ক, তিনিই অধিনায়ক। ক্যাপ্টেন্স নক-প্রথম ইনিংসে ২৬৯, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১। অধিনায়কোচিত ইনিংসকে সম্মান জানালেন দলের বোলাররা। ১০ উইকেট নিয়ে বুমরাহীন ভারতীয় বোলিংকে ভরসা দিলেন বাংলার আকাশদীপ। ম্যাচের শেষ উইকেটটিও তাঁর দখলে। আর শেষ ক্যাচটিও ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের হাতেই। অনেক ক্যাপ্টেন চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাননি এই মাঠে। অবশেষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন, জয়ের ইতিহাসও গড়লেন শুভমন গিল। রোহিত-বিরাট পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের নয়া আইকন শুভমন।

    সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়

    ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৭২। পঞ্চম ও শেষ দিনে ৫৩৬ রান করলে জিতবে ইংল্যান্ড (India vs England), এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসরা থেমে গেলেন ২৭১ রানে। ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারাল ভারত। এটাই রানের ব্যবধানে টেস্টে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমনেরা। শুধু ভারত নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই প্রথম বার টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০০০ বা তার বেশি রান করেছে ভারত। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান করেছে ভারত। অর্থাৎ, এই টেস্টে মোট ১০১৪ রান করেছে ভারত।

    এজবাস্টনে নজির

    ১৯৬২ সাল থেকে এজবাস্টনে শুরু হয়েছে টেস্ট। কিন্তু প্রথম এশীয় কোনও দলের সেখানে জিততে লাগল ৬৩ বছর। এর আগে এজবাস্টনে ৮টি টেস্ট খেলেছিল ভারত (India vs England)। এর মধ্যে ৭ ম্যাচেই হার। একটি ড্র হয়েছিল। অবশেষে নবম সাক্ষাতে জয়। এই জয়ের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাঠে টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত। ১৯৩২ সালে প্রথম বার টেস্ট খেলা শুরু ভারতের। তার পর ৯৩ বছরে বিশ্বের মোট ৮৫টি মাঠে ম্যাচ খেলেছে ভারত। তার মধ্যে ৬০টি মাঠে জিতেছে তারা। এত দিন ৫৯টি মাঠে জিতেছিল ভারত। তাতে যুক্ত হল এজবাস্টন। এই ৬০টি মাঠের মধ্যে ২৩টি ভারতে। তার মধ্যে চেন্নাইয়ে সবচেয়ে বেশি ১৬টি টেস্ট জিতেছে ভারত। বিদেশের মাটিতে ৩৭টি মাঠে অন্তত একটা হলেও টেস্ট জিতেছে ভারত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জিতেছে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে চার বার টেস্ট জিতেছে ভারতীয় দল। লর্ডসে তারা জিতেছে তিন বার।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    এজবাস্টনে দুই ইনিংসে অসাধারণ খেলে রেকর্ডের পাহাড়ে শুভমন গিল (Shubhman Gill)। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছে ১৬১ রান। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এই টেস্টে ৪৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। এই টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শুভমনই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটার যিনি এক টেস্টের দুই ইনিংসে দ্বিশতরান ও ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেললেন। এর আগে এক টেস্টের দুই ইনিংসে ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছিলেন একমাত্র অ্যালান বর্ডার। ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেটা করেছিলেন বর্ডার। কিন্তু শুভমনের কীর্তি এখনও পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। এশীয় ব্যাটারদের মধ্যে এশিয়ার বাইরে এক টেস্টে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। ছাপিয়ে গিয়েছেন সুনীল গাভাসকরকে। ১৯৭১ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক টেস্টে ৩৪৪ রান করেছিলেন তিনি। শুভমন ভারতের কনিষ্ঠতম অধিনায়ক যিনি বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতেছেন। ২৫ বছর ৩০১ দিনে এই কীর্তি করেছেন তিনি। এর আগে ১৯৭৬ সালে ২৬ বছর ২০২ দিন বয়সে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন।

    ইংল্যান্ডের আকাশে জ্বলল দীপ

    ইংল্যান্ডে (India vs England) ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এক টেস্টে সেরা বল করেছেন আকাশদীপ। এজবাস্টনে দুই ইনিংসে মিলিয়ে ১৮৭ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে ১৯৮৬ সালে এই মাঠেই ১৮৮ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন চেতন শর্মা। ইংল্যান্ডে আর কোনও ভারতীয় বোলারের এক টেস্টে ১০ উইকেটের নজির নেই। বিহারের সাসারামের ছেলে আকাশদীপ। সেই রাজ্যে ক্রিকেটীয় পরিকাঠামো না থাকায় চলে এসেছিলেন কলকাতায়। ক্লাব ক্রিকেটে খেলার পর বাংলার হয়ে রঞ্জিতে ভাল খেলে আইপিএলের চুক্তি আদায় করেছেন। সেখানেও ভাল খেলে ঢুকে গিয়েছেন জাতীয় দলে। লাল বলে অন্য রূপে দেখা যাচ্ছে আকাশদীপকে।

LinkedIn
Share