Author: ishika-banerjee

  • Mark Zuckerberg: স্মার্টফোনের দিন শেষ! আসছে স্মার্ট চশমা, দাবি জুকেরবার্গের

    Mark Zuckerberg: স্মার্টফোনের দিন শেষ! আসছে স্মার্ট চশমা, দাবি জুকেরবার্গের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন দশক ধরে স্মার্টফোন আধুনিক জীবনে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। সাধারণ যোগাযোগের উপকরণ থেকে শক্তিশালী ডিভাইসে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। কর্মজগত থেকে বিনোদন সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এই মুঠোফোন। তবে, এর যুগ শেষ হতে চলেছে। এমনই দাবি করলেন মার্ক জুকেরবার্গ (Mark Zuckerberg)। তাঁর মতে, আগামী দশকের মধ্যে স্মার্টফোনের জায়গা দখল করবে স্মার্ট চশমা। যা হবে মানুষের প্রধান ডিজিটাল তথ্য প্রবেশের মাধ্যম।

    স্মার্টফোনের সমাপ্তি

    প্রযুক্তির প্রগতির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের ধরণও একেবারে বদলে যেতে পারে, বলে অভিমত জুকেরবার্গের। স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে থাকলেও, তার প্রভাব এবার কিছুটা হালকা হতে পারে। স্ক্রিন ক্লান্তি, অবিরাম নোটিফিকেশন এবং হাতে ধরে রাখা ডিভাইসের উপর নির্ভরশীলতা ক্রমশ বিরক্তিকর হয়ে উঠছে, তাই হ্যান্ডস-ফ্রি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ধারণাটি এখন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরবর্তী উদ্ভাবন স্মার্টফোনের উন্নতির ব্যাপারে নয়, বরং সেটিকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে হবে। জুকেরবার্গ এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করেন, যেখানে মানুষ কোনও ডিভাইস বের না করেই ডিজিটাল কনটেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। স্মার্টফোনের জায়গায় আসবে স্মার্ট চশমা।

    স্মার্ট চশমার উত্থান

    এটি আর শুধু একটি দূর কল্পনা নয়। মেটা এবং অ্যাপল ইতিমধ্যেই অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির প্রতি তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। অ্যাপলের ভিশন প্রো তাদের স্মার্টফোনের পরবর্তী যুগে যাওয়ার সংকল্পের নিদর্শন, যখন মেটা মূলধারায় স্মার্ট চশমা চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ধারণাটি হলো, ফোনের স্ক্রিনে তাকানোর পরিবর্তে, ডিজিটাল তথ্য বাস্তব জগতের সাথে একীভূত হয়ে বাস্তব সময়ে প্রদর্শিত হবে। স্মার্টফোনের পরিবর্তে স্মার্ট চশমা আসার মূল কারণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি। স্মার্ট চশমা শুধুমাত্র তথ্য প্রদর্শন করবে না, তারা হবে একটি বুদ্ধিমান ব্যক্তিগত সহকারী, যা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে সাড়া দিতে সক্ষম।

     

     

  • PM Modi In France: মোদিকে আলিঙ্গন ম্যাক্রঁ-র, প্যারিসে ট্রাম্পের ডেপুটির সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi In France: মোদিকে আলিঙ্গন ম্যাক্রঁ-র, প্যারিসে ট্রাম্পের ডেপুটির সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বন্ধুর উষ্ণ আলিঙ্গন। প্যারিসে (PM Modi In France) এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হওয়া সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার ফ্রান্স গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi meets Macron)। তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। সেই সাক্ষাতের কথা জানিয়ে মোদি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘প্যারিসে বন্ধু তথা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে দেখা করে খুশি হয়েছি।’’ পাশাপাশি মোদি লিখেছেন, ‘প্যারিসে অভ্যর্থনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে!’ ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা যেভাবে ভালবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের প্রবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ’!

    মোদি-ম্যাক্রঁ সাক্ষাত

    ম্যাক্রঁর আমন্ত্রণে ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন মোদি (PM Modi In France) । আজ, মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সম্মেলনটি হবে ফ্রান্সে। ২০২৩ সালে এই সম্মেলন শুরু হয় ব্রিটেনে। ২০২৪ সালে এই আসর বসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ বার আয়োজিত হচ্ছে ফ্রান্সে। সেই সম্মেলনেই থাকবেন মোদি। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হল এআই প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এআই সম্মেলন ছাড়াও ফ্রান্স সফরে বেশ কয়েকটি উচ্চস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন মোদি। এ ছাড়াও ম্যাক্রঁর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার কথা আছে তাঁর। ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত অংশীদারি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। বুধবার মোদি এবং ম্যাক্রঁ— দু’জনে মার্সেইতে মাজারগুয়েস যুদ্ধের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করবেন। যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মোদি (Modi meets Macron)।

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ

    ফ্রান্সের মাটিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মোদি (PM Modi In France) । সোমবার, প্যারিসে বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের ফাঁকে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর পোস্ট করা একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জেডি ভান্সের সঙ্গে করমর্দন করছেন মোদি। মার্কিন নির্বাচনে রিপালিকানদের জয়ের জন্যে ভান্সকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকেই ১২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Aligarh Muslim University: চিকেনের পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি! আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়

    Aligarh Muslim University: চিকেনের পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি! আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেনের বদলে দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হবে গরুর মাংসের বিরিয়ানি। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) স্যার শাহ সুলেমান হলে এমন নোটিশ ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। তবে কেন এমন নোটিশ তা নিয়েই তদন্তের দাবি তুলেছে হিন্দু ছাত্ররা।

    নোটিশে কী ছিল

    কলেজ কর্তৃপক্ষ (AMU Beef Biryani Row) অনুমোদিত নোটিশে পরিস্কার লেখা রয়েছে, “রবিবারের মধ্যাহ্নভোজের মেনু পরিবর্তন করা হয়েছে এবং চাহিদা মতো মুরগির বিরিয়ানির বদলে গরুর মাংসের বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে।” এমন নোটিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। হিন্দু ছাত্ররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ

    এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh Muslim University) কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। টাইপিংয়ের ভুল বলেও জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘পুরো বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি নোটিশটির বৈধতা নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুই সিনিয়র ছাত্রকেই দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, “আমাদের নামে ভুয়ো নোটিশ জারি করার জন্য দুই সিনিয়র ছাত্রকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলা হবে।”

    সমালোচনা বিজেপির

    এই ঘটনাটির তীব্র সমালোনা করেছেন, বিজেপি নেতা এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) প্রাক্তনী নিশীথ শর্মা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইঙ্গিত দেয় যে, কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ করতে উৎসাহিত করছে।’ তাঁর কথায়, এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা লজ্জাজনক। স্যার শাহ সুলেমান হলে চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে বলে একটি নোটিশ প্রচার করা হয়। নোটিশটি প্রকাশ্যে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং এটি সিনিয়র ফুড কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়, প্রশাসন মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে এবং শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ ধামাচাপা দিচ্ছে।

  • 2024 yr4: হিরোশিমার থেকে শক্তি বেশি ১০ গুণ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু

    2024 yr4: হিরোশিমার থেকে শক্তি বেশি ১০ গুণ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল বড় এক গ্রহাণু। হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার থেকে ১০০ গুণ বেশি এর শক্তি। ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামে ওই বিশাল অ্যাস্টেরয়েড ২ ডিসেম্বর ২০৩২-এ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নাসা-অর্থিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে অ্যাস্টেরয়েড ২০২৪ ওয়াইআর৪ আবিষ্কার করে। প্রথমে এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল ১.২%, তবে সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী এটি ২.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কত বড় এই গ্রহাণু

    বর্তমানে, নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি হাজার হাজার অ্যাস্টেরয়েড পর্যবেক্ষণ করছে। তবে ২০২৪ ওয়াইআর৪ একমাত্র অ্যাস্টেরয়েড যার সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১%-এর বেশি। এটি বর্তমানে টোরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেলে ৩ নম্বরে রয়েছে। এই স্কেলটি ০ থেকে ১০ পর্যন্ত, যেখানে ০ মানে কোন বিপদ নেই এবং ১০ মানে সভ্যতা শেষের সম্ভাবনা হতে পারে। এর আগের যে অ্যাস্টেরয়েডটি এই স্কেলে বেশি রেটিং পেয়েছিল, তা পরবর্তীতে ক্ষতিকর নয় বলে জানা যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অ্যাস্টরয়েডের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা ১.৮% থেকে ২.৩% হতে পারে। এই অ্যাস্টরয়েডের সাইজ প্রায় ৩০০ ফুট (৯০মিটার) পর্যন্ত হতে পারে। যে সাইজের অ্যাস্টরয়েড আসছে তা পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে একটি পুরো শহরকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে৷ ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়া তুঙ্গুস্কাতে যে অ্যাস্টরয়েড পড়েছিল এই গ্রহাণুর সাইজটিও সেইটার মতোই বড়৷

    সম্ভাব্য প্রভাব এবং ধ্বংসযজ্ঞ

    যদি ২০২৪ ওয়াইআর৪ পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে বিস্ফোরণের শক্তি ১৫ মেগাটন টিএনটি-এর সমান হবে, যা হিরোশিমা বোমার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। সংঘর্ষের ক্ষেত্র থেকে ৫.৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক প্রভাব অনুভূত হবে। আরো বেশি ধ্বংস ৮.৮ কিলোমিটার এলাকায় হতে পারে, এবং মৃত্যু ঘটতে পারে ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত। লন্ডনে সরাসরি আঘাত হানলে, ওয়েস্টমিনস্টার থেকে ক্রোয়ডন পর্যন্ত পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। ম্যানচেস্টার, বেলফাস্ট, অথবা এডিনবরা শহরেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে। এমনকি ছোট শহরগুলোও কয়েক মাইল জুড়ে বিধ্বস্ত হবে। তবে,বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এখনও সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম। পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই জলাশয়, তাই সাগরের উপর আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে অনেক অ্যাস্টেরয়েডের সংঘর্ষের ঝুঁকি কমে গিয়েছে হিসেব-নিকেশের মাধ্যমে।

  • India’s Quantum Leap: চন্দ্রযান, ভ্যাকসিনের হাত ধরে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

    India’s Quantum Leap: চন্দ্রযান, ভ্যাকসিনের হাত ধরে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাকসিন ও চন্দ্রযান এর সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের বিজ্ঞানের অগ্রগতির (India’s Quantum Leap) কথা তুলে ধরেছে। রবিবার দিল্লিতে “বিজ্ঞান ভারতী”-এর নতুন অফিস ভবন উদ্বোধন করে এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি বলেন, ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ‘ভ্যাকসিন’ ও ‘চন্দ্রযান’-এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করেন না, বরং তা শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত সম্পদ ও সরকারি-বেসরকারি খাতের মধ্যে দেশে বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করেন।

    চন্দ্রযানের সাফল্য

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) বলেন, ‘ভারতের বৈজ্ঞানিক (India’s Quantum Leap) মেধা ও প্রতিভা সবসময়ই ছিল, তবে যে বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল তা ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় সংকল্প এবং অগ্রাধিকার, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।’ তিনি ‘বিজ্ঞান ভারতী’-কে অনুরোধ করেন, ইনস্পেস ও বিআরএসি’র মতো সফল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর চাঁদ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী প্রকল্পেরও সময় জানান কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চন্দ্রযান-৪ নতুন লক্ষ্য নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। চাঁদের মাটি থেকে সেখানকার পাথরের নমুনা সংগ্রহ করাই হবে পরবর্তী অভিযানের লক্ষ্য। ২০২৭ সালে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করা হবে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    ভ্যাকসিন নিয়ে সবার আগে

    স্বাস্থ্য খাতে ভারতের (India’s Quantum Leap) উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি জানান, একসময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব না থাকলেও এখন দেশটি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে। তিনি ভারতের সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উদাহরণ দেন, যেমন মহামারীর সময় প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি, প্রথম দেশীয় এইচপিভি ভ্যাকসিনের উন্নয়ন এবং মহাকাশ প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি। তিনি দেশের জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন।

  • Pariksha Pe Charcha: স্ট্রেস সামলাতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ টিপস মোদির

    Pariksha Pe Charcha: স্ট্রেস সামলাতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ টিপস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার আগে (Pariksha Pe Charcha) ছাত্রছাত্রীদের চ্যালেঞ্জ নিতে বললেও চাপ না-নেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মোদির অষ্টম বার্ষিক ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ সম্প্রচারিত হয় সোমবার ৷ আজ,১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সিবিএসসি দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৷ আর আইসিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৷ তার আগে শারীরিক পুষ্টি, চাপ আয়ত্ত করা এবং নেতৃত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    পরীক্ষা পে চর্চা

    জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা (Pariksha Pe Charcha) দিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভীতি কাটাতে, উৎসাহ দিতে প্রতিবছরই পরীক্ষা পে চর্চা করেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির পরীক্ষা পে চর্চার PPC 2025) এবার অষ্টম সংস্করণ। পরীক্ষা পে চর্চায় প্রতি বছরের মতোই প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিলেন ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রশ্নের। এই বছর ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মোদির সেশন। “পরীক্ষা পে চর্চা”য় রেজিস্টার করিয়েছেন, ৩.৩০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। থাকছেন ২০.৭১ লক্ষ শিক্ষক । সাড়ে ৫ লক্ষ অভিভাবকও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    ব্যাটারের মতো ফোকাস

    পরীক্ষার আগে ফোকাস বাড়াতে ক্রিকেট ম্যাচের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখান ব্যাটারের টোটকা। পরীক্ষার সময়ে হই-হট্টগোলের মাঝে নিজের ফোকাস যাতে না নড়ে তার জন্য মোদি তুলে ধরেন ক্রিকেট মাঠে ব্যাটারের উদাহরণ। তিনি বলেন, সারা স্টেডিয়ামের চিৎকার সব কিছুর মাঝেও ব্যাটারের ফোকাস থাকে শুধু বলের উপর। সে আর কিছু শুনতে পায় না। পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থীদের এরকমই মনযোগ দিতে হবে। মোদির কথায়, চিন্তা-উদ্বেগ ভুলে শুধু পরীক্ষাতেই নয়, জীবনেও হতে হবে ওয়ারিয়র অর্থাৎ যোদ্ধা।

    প্রকৃতির মাঝে থাকা ও শরীর চর্চা

    পরীক্ষার চাপ সামলে সুস্থ থাকতে পড়ুয়াদের প্রকৃতির মাঝে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতি আমাদের চাপ কমাতে সাহায্য করে। সূর্যোদয়ের পরেই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে লম্বা নিঃশ্বাস নিলে অনেকটাই কমে মানসিক চাপ।’ এছাড়া পড়ার ফাঁকে নিয়মিত শরীর চর্চারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সময়ের সঠিক ব্যবহার

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় সময়ের সঠিক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। সময়কে কাজে লাগানোর কৌশলটা ঠিক করার উপর জোর দিতে বললেন পড়ুয়াদের। পরীক্ষার হলে কীভাবে সময়টাকে ভাগ করে নেবে, কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ে নিজেকে উজাড় করে দেবে, তার মহড়া নিতে হবে আগে থেকেই। রণকৌশল ঠিক করে নিতে হবে আগে থেকেই।

    পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে উৎসাহ

    পরীক্ষার (Pariksha Pe Charcha) প্রয়োজনীয়তা তো আছেই। তবে প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি জোর দিলেন, সিলেবাসভিত্তিক পরীক্ষা আর জীবনের সত্যিকারের শিক্ষাটা আলাদা। সেটা গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।শিক্ষার্থীদের কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে হবে না, জ্ঞান অর্জনের উপর মনোনিবেশ করা দরকার, মনে করেন মোদি। পরীক্ষার সিলেবাসের বাইরে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপেও উৎসাহ জোগান প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির টিপস, পড়াশোনা তো আছেই, কিন্তু শিশুদের বিশেষ আগ্রহের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদের পছন্দ খুঁজে বের করার স্বাধীনতা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, শিক্ষার্থীদের কেবল বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় এবং তাদের শখের দিকটিও নজর দিতে হবে। কারণ তা শিশুর সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে।

    রিল নয় প্রযুক্তির সাহায্য

    পড়ুয়াদের রিল দেখার বিষয়েও সাবধান করেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল না দেখে পড়ুয়ারা যদি সে সময়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করেন তা হলে উপকার হবে। এ ছাড়া নিজেদের লক্ষ্য স্থির রাখতে রোজ একটা কাগজে পড়ুয়াদের উচিত নিজের পরিকল্পনা লিখে রাখা এবং দিন শেষে কতটুকু বাস্তবায়ন হল তা টিক চিহ্ন দিয়ে মার্কিং করা।

    বাবা-মা-শিক্ষককে টিপস

    পড়ুয়াদের সঙ্গে সঙ্গে এদিন বাবা-মা ও শিক্ষকদের উদ্দেশেও বিশেষ টিপস প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। পরীক্ষা বলে পড়ুয়াদের বাড়তি চাপ না দেওয়ার পরামর্শ। শুধু পড়ার বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলে হবে না। নিজেদের ভালো লাগার কাজও পড়ুয়াদের করতে দেওয়া উচিত। তাতে শারীরিক-মানসিক বিকাশ কোনওটাই আটকাবে না। মোদি ছাত্রছাত্রীদের বলেন ‘জ্ঞান’ এবং পরীক্ষা দু’টি ভিন্ন জিনিস। পরীক্ষাকে জীবনের সর্বস্ব হিসেবে দেখা উচিত নয়। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কোনও কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়।

    পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষম আহার

    ভালো করে পরীক্ষা দিতে সুষম খাদ্য খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার বলে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। খাবার খাওয়ার সময়ে যেমন চিবিয়ে ভালো করে খেতে হবে তেমনি আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম না দিলে শরীর-মন তরতাজা হবে না। ফলে পরীক্ষার সময়ে পড়ুয়াদের মনসংযোগে সমস্যা হতে পারে।

  • Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে জিতে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দিল্লি জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। অবশেষে ২০২৫, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ফের দিল্লির বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়। এই জয়কে ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভোটারদের প্রণাম মোদির

    দিল্লিবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘জনশক্তি সবার উপরে। মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ায় আমরা সম্মানিত।’’ দিল্লিতে বিজেপির জয়ের জন্য সেখানকার ভোটারদের প্রণাম জানান মোদি। তার পরেই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘দিল্লির উন্নয়নে আমরা কোনও রকম ফাঁক রাখব না। দিল্লিবাসীর জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ ‘বিকশিত ভারত’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে দিল্লি, জানান মোদি। একই সঙ্গে দিল্লিতে জয়ের জন্য বিজেপি কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান। মোদি মনে করেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এই জয় সম্ভব হত না। দিল্লির বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি, বললেন শাহ

    এই নির্বাচনের আগে ইস্তাহারে ঢালাও আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। মহিলাদের জন্য ভাতা থেকে শুরু করে, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য ভাতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এককালীন ভাতা থেকে শুরু করে সুলভে খাবার পাওয়ার জন্য ৫ টাকার ক্যান্টিন চালুর আশ্বাসও ছিল বিজেপির ইস্তাহারে। দিল্লিতে বিজেপির জয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও পোস্টে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লিবাসীর হৃদয়ে। ভোটাররা কেজরিওয়ালের শিসমহল ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা প্রতিশ্রুতি রাখে না, তাদের শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি। এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

    দিল্লিতে উন্নয়নের গ্যারান্টি

    ৫ ফেব্রুয়ারি হয় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার হল ফলপ্রকাশ। সকাল থেকে ফল বেরনো শুরু হতেই এগিয়ে যায় বিজেপি। তারপর যত সময় এগিয়েছে, ততই ব্যবধান বাড়িয়েছে বিজেপি। শেষ আপডেট অনুযায়ী, দিল্লিতে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আপ জিতেছে ২২টি আসনে। একমাত্র আতিশি মারলেনা ছাড়া আপ-এর প্রথম সারির সব নেতাই হেরেছেন। বিজেপি প্রার্থী পরবেশ ভার্মার কাছে হেরে গিয়েছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার রাজধানীতেও মোদি-ম্যাজিক, উন্নয়নের গ্যারান্টি!

  • Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    Delhi Assembly Election: দিল্লিতে বিজেপির জয়ে আরএসএস-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নেপথ্যে থেকে কী কী কাজ করেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিবাসীর মন জিতে নিল বিজেপি। ২৭ বছর পর ফের রাজধানীতে গেরুয়া ঝড়। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসতে চলেছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির এই জয়ের পিছনে বড় অবদান রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয় ছিল আরএসএস। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার না করলেও আরএসএস ১০০ শতাংশ ভোটদানের প্রচার করে দিল্লিতে। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএসের নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লিতে আরএসএস-এর প্রচার

    দিল্লিতে বিপুল ব্যবধানে বিজেপিকে জেতাতে আরএসএস চেষ্টার কসুর করেনি। গণেশ উৎসব, দুর্গা নবরাত্রি, কোজাগরী থেকে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবকে কেন্দ্র করে মহল্লায় জমায়েত করেছে আরএসএস। সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠন মাঠে নেমেছে। আরএসএস স্বয়ংসেবকেরা সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের, তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে। তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচার একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    দিল্লিতে মানুষকে একজোট করার বার্তা

    ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপ ২০১৩ সালে দিল্লিতে শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং ২০১৫ সাল থেকে শাসন চলতে থাকে। তবে কেজরিওয়াল ও অতীশী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে। জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেন আরএসএস-এর কর্মীরা। তাঁরা মানুষের সামনে বিজেপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শকে তুলে ধরেন। দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো। যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভার আয়োজন করেছিল আরএসএস। যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী বলেন, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তাঁরা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম। কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।” মানুষের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্লিন ইমেজও তুলে ধরেন সঙ্ঘের সদস্যরা।

  • DeepSeek: বিপদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা! চিনা ‘ডিপসিক’-কে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সহ বহু দেশ

    DeepSeek: বিপদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা! চিনা ‘ডিপসিক’-কে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সহ বহু দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মপ্রকাশেই সারা পৃথিবী জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল চিনা স্টার্ট আপ এআই সংস্থা ডিপসিক (DeepSeek)। কম দামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেল ‘ডিপসিক-আর১’ তৈরি করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে সংস্থাটি। তবে, এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকারি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এসেছে ‘ডিপসিক-আর১’-এর উপর। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই চিনা স্টার্ট আপ সংস্থাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কয়েকটি দেশের সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও।

    কেন নিষিদ্ধ ডিপসিক

    তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ মনে করছে চিনা স্টার্ট আপ সংস্থার তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ইটালি, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশের গোপনীয়তা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলি ডিপসিক অ্যাপের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    ভারতের আশঙ্কা

    ভারতও দেশের সরকারি তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য চ্যাটজিপিটি, ডিপসিকের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে তাদের অধীনে থাকা অফিসের কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রে ব্যবহার না করার নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। এই অ্যাপগুলি থেকে সরকারি নথি ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা করছে দিল্লি। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা সব অফিসের কর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মন্ত্রকের আশঙ্কা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে কোনও অ্যাপ অফিসের যন্ত্রে ব্যবহার করা হলে সরকারি গোপন নথি এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই অ্যাপগুলি গোপনীয় তথ্য এবং নথির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

    প্রথম বন্ধকরে ইটালি

    ডিপসিককে নিষিদ্ধ করার কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল ইটালি। ইটালিতে গুগ্‌ল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরগুলি থেকে চিনা স্টার্ট অ্যাপের চ্যাটবট অ্যাপটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিপিএ) ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। চিনা সংস্থাটি কীভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য স‌ংরক্ষণ বা পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়। তথ্য ব্যবস্থাপনা ও গোপনীয়তা নীতি নিয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ডিপসিককে ২০ দিন সময়ও দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিপসিকের প্রাথমিক ব্যাখ্যা যথেষ্ট ছিল না।

    জাতীয় তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাইওয়ান

    ডিপসিকের (DeepSeek) চ্যাটবটকে ‘জাতীয় তথ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ উল্লেখ করে তাইওয়ানের ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি সংস্থাগুলিকে এই এআইয়ের ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। তাইওয়ান সরকারের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিপসিকের মালিকানা একটি চিনা সংস্থার হাতে রয়েছে। সরকারি মন্ত্রক এই সংস্থাটির কৃত্রিম মেধার সাহায্য নিলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য পড়শি দেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে তাইওয়ান সরকার। সমস্ত সরকারি দফতর, স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ যাবতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।

    অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি সিস্টেমে বন্ধ

    নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি কর্মীদের বেজিঙের স্টার্টআপের এই এআই প্ল্যাটফর্মটি ইনস্টল এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি সিস্টেম থেকে ওই অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েব পরিষেবা সরিয়ে দিতে বাধ্যতামূলক ভাবে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রয়টার্স জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র সরকারি মহলে জারি করা হয়েছে। দেশের বেসরকারি নাগরিকদের জন্য এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়।

    চিন্তিত আমেরিকাও

    ডিপসিকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে ইতিমধ্যেই আতশকাচের নীচে ফেলে দেখছে আমেরিকাও। নৌবাহিনীর তরফে একটি ইমেলে জানানো হয়েছে, সেনার প্রতিটি সদস্যকে ডিপসিকের সমস্ত রকম পরিষেবা ব্যবহার না করার উপর কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নৌবাহিনী তাদের কর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তাঁদের আশঙ্কা, ডিপসিকের মাধ্যমে গোপনীয় তথ্য চিন করায়ত্ত করতে পারে। এ ছাড়া সেনাকর্তারা খতিয়ে দেখছেন অ্যাপটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে কি না।

    ভারতের উদ্যো

    বেশিরভাগ দেশ এআই সরকারি সংস্থায় নিষিদ্ধ করায়, ভারতও সেই পথেই হেঁটেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অলটম্যান। ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। বৈঠকের পরে অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডলে জানান,  ‘এআই ভিত্তিক পরিকাঠামোর অঙ্গ— জিপিইউ, মডেল এবং অ্যাপ নিয়ে আমাদের নীতি বিষয়ে স্যাম অলটম্যানের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হল। এই তিনটি ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।’ এরপরই ডিপসিকের বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।

  • PM Modi: সোমবারই ২ দিনের ফ্রান্স সফরে মোদি, এআই সম্মেলনে যোগ, মাক্রঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক

    PM Modi: সোমবারই ২ দিনের ফ্রান্স সফরে মোদি, এআই সম্মেলনে যোগ, মাক্রঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স (France) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi)। সোমবার অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামিট (AI) ৷ সেই এ আই সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই ভালো। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁর (Emmanuel Macron)।

    এআই-এর প্রতি গুরুত্ব আরোপ

    মাক্রঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্স সফরে এসেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এআই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ সময় তিনি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ) নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ছাড়াও এই এআই সম্মেলন আমেরিকা, চিন এবং উপসাগরীয় দেশগুলিও সঙ্গেও আলোচনার সুযোগ তৈরি করে দেবে। যোগ দেবে আরব দেশগুলিও। ফ্রান্সে আয়োজিত এই এআই সম্মেলন ইউরোপকে ‘নেতৃস্থানীয় এআই মহাদেশ’ হিসেবে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভারত-সহ প্রায় ৯০টি দেশকে এই এআই অ্যাকশন সামিটে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সম্মেলনে, ভুল তথ্য ছড়ানো এবং এআই- এর অপব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এআই সম্মেলনটি প্যারিসের গ্র্যান্ড প্যালেসে অনুষ্ঠিত হবে। এতে একাধিক প্রথম সারির রাষ্ট্রপ্রধান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ (PM Modi in France) এআই সামিটের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, “ফ্রান্স ১১-১২ ফেব্রুয়ারি এআই অ্যাকশন সামিটের আয়োজন করছে। এই সামিট আন্তর্জাতিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে এখানে উপস্থিত থাকবেন, এবং এটি আমাদের আমেরিকা, চিন, ভারত এবং গালফ স্টেটসের মতো বড় দেশগুলির সঙ্গে এআই নিয়ে আলোচনা করতে সাহায্য করবে।”

    এআই অ্যাকশন সামিটে যোগ

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অ্যাকশন সামিটের কো-চেয়ার হিসেবে অংশগ্রহণ ছাড়াও নানা বিষয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। তাঁদের মধ্যে উচ্চস্তরের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে পৌঁছানোর পর, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্যারিসে একটি ভিভিআইপি সামিট ডিনারে অংশগ্রহণ করবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এআই অ্যাকশন সামিটে বৈশ্বিক এআই নীতি নির্ধারণ এবং ভারত-ফ্রান্স সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়া, সফরের দ্বিপাক্ষিক পর্ব ১১ ফেব্রুয়ারির বিকেলে শুরু হবে, যেখানে মোদি এবং মাক্রঁ উভয় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্সেইয়ে যাবেন, যেখানে ভারত একটি নতুন কনসুলেট খুলবে। মার্সেইতে নেতারা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং পরে একটি ব্যক্তিগত ডিনারে মিলিত হবেন।

    কৌশলগত ঘোষণা প্রত্যাশিত

    এই সফরের সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, স্মল মডুলার রিয়াক্টর (এসএমআর) এবং বিমান রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও ওভারহোল (এমআরও) ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা আসতে পারে। তাছাড়া, দুই দেশ এআই নিয়ে একটি ফ্রান্স-ভারত রোডম্যাপও গ্রহণ করতে চলেছে। যা দুই দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে। মোদি-মাক্রঁ (PM Modi in France) আলোচনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইসি), যা তিনটি অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি করবে।

    ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্বাগত

    ফ্রান্স ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিও মনোযোগ দিতে চাইছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০,০০০ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে প্যারিসে স্বাগত জানাতে চান মাক্রঁ। বর্তমানে ফ্রান্সে ১০,০০০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ৷ এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ (PM Modi in France) ফ্রান্সে ইউরোপের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি গবেষণাকেন্দ্র কারাডাশ-এ যাবেন ৷ সেখানে ইন্টান্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর) ঘুরে দেখবেন ৷

    ফ্রান্স সফর শেষে মার্কিন সফর

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ফ্রান্স সফর ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে, তারপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে যাবেন তিনি। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক ৷ এদিন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দু’টি বিদেশ সফরের বিষয়ে জানান ৷ তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদি ১২,১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা সফরে যাবেন ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মার্কিন সফর ৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর প্রথম যে রাষ্ট্রনেতারা আমেরিকায় যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্যতম ৷”

LinkedIn
Share