Author: pranabjyoti

  • PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন। এখন সব দলের কর্তব্য হল তাদের কর্মীদের সক্রিয় করে ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার কাজে লাগানো”। শুক্রবার বিহারে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএর বিপুল জয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এসআইআর চালু হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে অ-বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের শাসক দল। গেল গেল রব তুলে আমজনতাকে খেপিয়েও দিয়েছিল কোনও কোনও রাজ্যের শাসক দল। বিহারে নির্বাচন হয়েছিল দু’দফায়।

    এমওয়াই সূত্র (PM Modi)

    উচ্চ ভোটদানের হারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণ একটি নয়া সূত্র দিয়েছেন – এমওয়াই (MY), মহিলা এবং যুবা।” এই ফর্মুলা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারের কিছু দল তোষণের জন্য এমওয়াই ফর্মুলা তৈরি করেছিল। কিন্তু আজকের এই জয় একটি নতুন, ইতিবাচক এমওয়াই ফর্মুলা দিয়েছে, আর সেটি হল মহিলা এবং যুবা। আজ বিহার দেশের সেই সব রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে যুবকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, এবং এর মধ্যে রয়েছে সকল ধর্ম ও সকল জাতির যুবসমাজ। তাদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের আশা এবং তাদের স্বপ্ন জঙ্গলরাজের লোকদের পুরানো সাম্প্রদায়িক এমওয়াই ফর্মুলাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

    মহাগঠবন্ধন পর্যুদস্ত

    আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনকে পর্যুদস্ত করে বিজেপি ৯০টি আসনে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ প্রায় ৮৪টি আসন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জনগণ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বিহার নির্বাচনে জঙ্গলরাজ এবং কাটা সরকার সম্পর্কে কথা বলতাম, তখন আরজেডি কোনও আপত্তি তুলত না। তবে এতে কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়েছিল। আজ আমি আবারও বলতে চাই যে কাটা সরকার আর কখনও বিহারে ফিরে আসবে না। বিহারের মানুষ বিকশিত বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আগে নকশাল-প্রভাবিত এলাকায় ভোটগ্রহণ বিকেল (BJP) ৩টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এখন মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছেন। রেকর্ড পরিমাণে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখায় আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”

  • Bihar Assembly Election 2025: রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল বিহার, এনডিএ জমানায় শেষ ‘জঙ্গলরাজ’!

    Bihar Assembly Election 2025: রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল বিহার, এনডিএ জমানায় শেষ ‘জঙ্গলরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতীশ কুমারের জমানায় জঙ্গলরাজের অবসান বিহারে (Bihar Assembly Election 2025)। এ রাজ্যে শেষ কবে গোলাগুলি, বুথদখল ছাড়া নির্বাচন হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না বিহারের প্রবীণ বাসিন্দারাও। তবে এবার হল (Violence)। ২০২৫ সালের নির্বাচন রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে স্থাপন করল নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। দু’দফায় ভোট হয়েছে রাজ্যে, তবে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি, হয়নি পুনর্নিবাচনও। কয়েক দশক ধরে চলে আসা রক্তাক্ত নির্বাচনের বিপ্রতীপ ছবিই দেখা গেল এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে।

    কংগ্রেস জমানায় রক্তারক্তিকাণ্ড (Bihar Assembly Election 2025)

    স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরে যাওয়া যাক আটের দশকে। ১৯৮৫ সালে রাজ্যে  নির্বাচনের সময় মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের। পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ১৫৬টি বুথে। সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের চন্দ্রশেখর সিং। ওই নির্বাচনের পর রাজ্যের হাল ধরেন কংগ্রেসেরই বিন্দেশ্বরী দুবে। এর ঠিক পাঁচ বছর পরে ১৯৯০ সালে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, সেই ভোটে রক্ত ঝরেছিল আরও অনেক বেশি। সেবার নির্বাচনী হিংসার বলি হয়েছিলেন ৮৭ জন। সেবারই পালাবদল ঘটেছিল বিহারে। কংগ্রেসের জগন্নাথ মিশ্রর হাত থেকে বিহারের রাজপাটের রশি যায় আরজেডির লালু প্রসাদ যাদবের হাতে।

    নজিরবিহীন হিংসা

    পরের বিধানসভা নির্বাচনের ছবিটা আরও করুণ। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষন নজিরবিহীন হিংসা ও নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগে চার-চার বার স্থগিত করে দিয়েছিলেন বিহারের নির্বাচন। পরে দু’বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেন লালু (Bihar Assembly Election 2025)। তাঁর পরে ওই আসনে বসেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ২০০৫ সালেও। সেবার হিংসা ও বিশৃঙ্খলার কারণে পুনর্নির্বাচন হয় ৬৬০টি বুথে। ক্ষমতায় আসেন জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয় ৬ নভেম্বর, তার পরের দফার ভোট হয় ১১ তারিখে। এই দু’দফার ভোটেই মেলেনি (Violence) কোনও হিংসার খবর, প্রয়োজন হয়নি পুনর্নির্বাচনেরও (Bihar Assembly Election 2025)।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) ঝড়ে বিহারে (Bihar Assembly Election 2025) কুপোকাত আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে উঠে এল বামেরা। লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর আরজেডি নেমে গেল তিন নম্বরে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ২০৮টি। তেজস্বীর দল এগিয়ে রয়েছে ৪১টি আসনে। এনডিএ যে ২০৮টি আসনে জয় পেতে চলেছে, তার মধ্যে পদ্মের একার ঝুলিতেই পড়েছে ৯০টিরও বেশি আসন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের হাতে যেতে চলেছে ৮১টি আসনের রাশ।

    উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি (Bihar Assembly Election 2025)

    বিহারের গেরুয়া ঝড়ে যারপরনাই উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিহারে গেরুয়া ঝড়। এবার পালা বাংলার। এসআইআর দিয়ে শুদ্ধ ভোটার তালিকায় ভোটে জিতবে বিজেপি। একদম চিন্তা করবেন না, বিহারে এসআইআরের পরে ভোট হয়েছে। অপশাসনের তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলাকে পরিষ্কার করবে বিজেপি।” প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের গলায়ও। তিনিও বলেন, “বিহারে জয়ের পথে আমরা, এবার পালা বাংলার।” চলতি বছরই নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে চালাচ্ছে এসআইআর কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নান্দীমুখ হয়েছিল বিহারে। তার পরেই এনডিএর বিপুল জয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    কুর্সি ধরে রাখার লড়াই

    কেবল এসআইআর নয়, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার আরও একটি কারণে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নীতীশ কুমারের এই রাজ্য। নীতীশের নেতৃত্বে এ রাজ্যে এনডিএ লড়লেও, তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের ময়দানে নামে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগটবন্ধন। নীতীশের কাছে এই নির্বাচন ছিল ২০ বছরের কুর্সি ধরে রাখার লড়াই। আর তেজস্বীর লড়াই ছিল বিহারের মসনদে বসা। নির্বাচন হওয়ার পরেই যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনীতির অন্দরমহলে, সেটি হল তেজস্বী কি পারবেন নীতীশকে মাত দিতে? নাকি ক্ষমতা ধরে রাখবে বিহারে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন ফেরানো ‘সুশাসন বাবু’? নীতীশ জমানায় বিহারে যে সুশাসন ফিরেছে তার হাতে গরম প্রমাণ তো এই বিধানসভা নির্বাচনই। এ রাজ্যের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়নি। লাঠালাঠি-হানাহানির কোনও খবরও মেলেনি কোথাও (NDA)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে বিহারবাসী ভোট দিয়েছেন দু’হাত উপুড় করে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, একের পর এক আসনে এগিয়ে চলেছে এনডিএ। এনডিএর জয়ের লেখচিত্র যেমন তরতরিয়ে (Bihar Assembly Election 2025) ওপর দিকে উঠছে, ঠিক তেমনিই দ্রুত নীচে নামছে মহাগটবন্ধনের জয়ের গ্রাফ। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি ছাপিয়ে গিয়েছিল নীতীশের জেডিইউকে। সেবার ১১৫টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল নীতীশের দল, জয়ী হয়েছিল মাত্র ৪৩টি আসনে। আর ১১০টি আসনে লড়ে ৭৪টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনার ফল অনুযায়ী, ২০৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। আর মহাগটবন্ধনের ঝুলিতে পড়তে চলেছে মাত্র ৩৬টি আসন। গেরুয়া ঝড়ে পায়ের তলায় মাটিই খুঁজে পায়নি কংগ্রেস। তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র একটি আসনে। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসকে ডুবন্ত নৌকার সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল) নিজেও ডুবছেন, জোটসঙ্গীদেরও ডোবাচ্ছেন। তিনি সব সময় অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলে বেড়ান। আমার মনে হয়, তিনি সব বোমা নিজের দল এবং জোটসঙ্গীদের ওপরই ফাটিয়েছেন। অন্তত ভোটের ফল তো তা-ই বলছে (Bihar Assembly Election 2025)।”

    মহাগটবন্ধন ভূপতিত

    এদিকে, বিহারে মহাগটবন্ধন ভূপতিত হতেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের শোচনীয় হালে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের রায় যে এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে, তা ভীষণভাবে (NDA) স্পষ্ট। এটি হতাশাজনক। যদি শেষ পর্যন্ত এটিই চূড়ান্ত ফল হয়, তা হলে আমাদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আত্মসমালোচনা বলতে আমি শুধু এ বিষয়ে বসে চিন্তাভাবনা করার কথা বলছি না। কৌশলগত দিক থেকে বার্তা দেওয়ার দিক থেকে এবং সাংগঠনিক দিক থেকে আমাদের কী ভুল হয়েছে, তাও দেখতে হবে।” থারুর বলেন, “আমি বিহার ভোটে প্রচার করিনি। আমাকে প্রচার করার জন্য ডাকাও হয়নি। তাই আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য দিতে পারব না (Bihar Assembly Election 2025)। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোথায় ভুল হয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের দলের নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত।”

    পিন্ডি চটকাল ইন্ডির!

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল যে জোট গঠন করেছিল, সেই ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিহারে মহাগটবন্ধন পরাভূত হতেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের সাফ কথা, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত (NDA)। এনডিএ ঝড়ে বিহারে কাবু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টিও। এই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-ই মমতার দলকে গত বিধানসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দিয়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। সেই ‘কিং-মেকারে’র দলই স্বভূমিতে (পিকে বিহারেরই বাসিন্দা) স্বখাত সলিলে। নিজের রাজ্যেই খাতা খুলতে পারেনি পিকের দল। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় পিকে মমতার দলকে জেতাতে কতটা সফল হবে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।

    রেকর্ড ভাঙল এনডিএ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে এনডিএ ভেঙে দিয়েছে নিজেই নিজের রেকর্ড (Bihar Assembly Election 2025)। ২০১০ সালের তারা পেয়েছিল ২০৬টি আসন। এবার এদিন বিকেল পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ২০৮টি কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট হয়েছে ১১ নভেম্বর। সব মিলিয়ে দু’দফায় ভোটদানের হার ছিল ৬৭.১৩ শতাংশ। বেশিরভাগ এক্সিট পোলে এনডিএর ক্লিন সুইপের পূর্বাভাস মিললেও, আরজেডির তেজস্বী যাদব সেই ভবিষ্যদ্বাণী উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছিলেন, মহাজোট বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গড়বে। যদিও সেই আশা আপাতত দূরঅস্ত।

    পতনের পথে তেজস্বী

    এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিজের গড় রাঘোপুর আসনে পিছিয়ে পড়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর পাশাপাশি হারতে চলেছেন লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও। আরজেডি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন লালু। তার পরেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নেমে পড়েন লড়াইয়ের ময়দানেও। মহুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হন তেজপ্রতাপ স্বয়ং। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি নেমে গিয়েছেন চতুর্থ স্থানে (Bihar Assembly Election 2025)। এদিকে, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমেই কিস্তিমাত করে দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। আলিনগর কেন্দ্রে জিততে চলেছেন (NDA) তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই!

    এনডিএর জয়জয়কারের ছবি সামনে আসতেই রাজধানী পাটনায় নীতীশ কুমারের কার্যালয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি। সেলিব্রেশনে মেতেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, বিহারে দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। গত বারের চেয়ে এবার আরজেডির শক্তি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এদিন সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদি-শাহ জুটি

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বিজেপির হয়ে বাজিমাত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জুটি। বিজেপির এই দুই সৈনিক যেসব জায়গায়ই প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই পদ্মের রমরমা। এঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত (Bihar Assembly Election 2025) দিয়েছেন নীতীশের দলের নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে বিহার ফের এনডিএর (NDA) দখলে।

  • Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) আগেই জড়িয়েছে পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্কের নাম (Ukase Turkiye)। জানা গিয়েছে, ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্কের কোনও এক হ্যান্ডলারের অঙ্গুলিহেলনেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত ভারতে থাকা চিকিৎসক-জঙ্গিরা। এই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পেয়েছেন একটি কোডনেম। সূত্রের খবর, ‘উকাসা’ নামে এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে, যে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিদের নিয়ে তৈরি মডিউল পরিচালনা করত। এই মডিউলের নেতা ছিল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-শিক্ষক উমর উন নবি। জানা গিয়েছে, ভারতে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল তুরস্কে বসেই।

    উকাসা (Ukase Turkiye)

    গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর হ্যান্ডলার এবং দিল্লি মডিউলের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে এই উকাসা। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ২০২২ সালে তুরস্কে এই হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ই উমর ও তার সঙ্গীরা তুরস্কে গিয়েছিল। তারা গিয়েছিল ওই বছরেরেই মার্চ মাসে। সেই সময় প্রায় দু’সপ্তাহ আঙ্কারায় ছিল সে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপ। প্রথমে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করা হলেও, পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিগন্যাল ও সেশনের মতো অ্যাপ। তদন্তকারীদের ধারণা, উকাসা নামের এই হ্যান্ডলার চিকিৎসক-জঙ্গিদের তালিম দিয়েছিল, কীভাবে গোপনে ফোনালাপ করতে হয়, কীভাবেই বা এড়িয়ে চলতে হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তুরস্কের এই হ্যান্ডলারই মডিউলের কাজকর্ম ঠিক করে দিত, যাবতীয় নির্দেশও দিত ওই হ্যান্ডলাররা। উকাসার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজতে এবং আরও কোনও যোগাযোগের সূত্র পেতে বিদেশি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছেন গোয়েন্দারা (Delhi Blast)।

    পুলিশের স্ক্যানারে আরও এক চিকিৎসক

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে আরও এক চিকিৎসকও। এই চিকিৎসক আর কেউ নয়, সে হল গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠির দাদা মুজাফফর। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসক মেডিক্যাল টেরর মডিউলের বিদেশি যোগসূত্র ও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এই মুজাফফর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার এই বাসিন্দা ভারতে মূল মডিউল ও তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করত। গত অগাস্টে সে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে (Ukase Turkiye)। এখন সে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে কাজ করছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তার হদিশ পেতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে চাইছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেজন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে তারা।

    ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, তুরস্কের হ্যান্ডলার উকাসা আদতে একটি সাংকেতিক নাম। এক আধিকারিক জানান, আরবি ভাষায় ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ হল ‘মাকড়সা’। পরিচয় গোপন করে বিদেশে বসে থেকে নাশকতা, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত এবং মৌলবাদী কাজকর্মে ইন্ধন জোগাত এই উকাসা (Delhi Blast)। এই উকাসার সঙ্গে দেখা করতেই তুরস্কে গিয়েছিল মুজাফফরও। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসে অপারেশন ও ফান্ডিংয়ের রুটম্যাপ ঠিক করা হয়। অনুমান, সেখানেই কষে নেওয়া হয়েছিল লালকেল্লায় বিস্ফোরণের মতো একাধিক বড় নাশকতার ছক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (Ukase Turkiye) মুজাফফর। ভাইয়ের সঙ্গে উমর, মুজাম্মিল সাকিল ও মৌলবি ইরফানের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সে-ই। একের পর এক সহযোগীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উমরকে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল মুজাফফর। ছিল, পুলওয়ামার ধাঁচে নাশকতার নির্দেশও।

    স্লিপার সেলে নিয়োগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উকাসাই উমরদের পরিচালনা করত। কীভাবে স্লিপার সেলে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবেই বা ডিজিটাল তথ্য লোপাট করতে হবে, সেই সবই চিকিৎসক-জঙ্গিদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিল তুরস্কের ওই হ্যান্ডলার। তদন্তকারীদের অনুমান, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের যে ছক কষা হয়েছিল এবং সেই হামলার জন্য যে জঙ্গি মডিউল তৈরি করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে উকাসার বড় ভূমিকা রয়েছে। তদন্তকারীরা উকাসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এই হ্যান্ডলারের কোনও যোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কীভাবে চিকিৎসক মডিউলকে উকাসা পরিচালনা (Delhi Blast) করছিল, এই উকাসা আসলে কে বা কারা, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই গাড়িতেই ছিল চিকিৎসক-জঙ্গি উমর। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে। আধিকারিকদের সন্দেহ, নিখোঁজ হওয়া গাড়িটিতে লুকানো থাকতে পারে বিস্ফোরক (Ukase Turkiye)।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) এবার উঠে এল আরও একজনের নাম। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকি। বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রধান তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জনও, একজন শাহিন সাঈদ এবং অন্যজন মুজাম্মিল শাকিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।

    প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকির (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, সিদ্দিকির বিস্তৃত কর্পোরেট নেটওয়ার্ক রয়েছে। ৭.৫ কোটি টাকার প্রতারণার একটি পুরানো মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকি ও তাঁর এক সহযোগীর। তিন বছর জেলও খেটেছিলেন তাঁরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা মহম্মদ রাজি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সব প্রতারণার অভিযোগ, যার মধ্যে ৭.৫ কোটি টাকার মামলাটিও রয়েছে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, শাকিলকে নিয়োগের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। নতুন নিয়োগ ও যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব।

    ন’টি কোম্পানির বোর্ডে সিদ্দিকি!

    মধ্যপ্রদেশের মহৌতে জন্ম সিদ্দিকির। বর্তমানে (Delhi Blast) তিনি রয়েছেন ন’টি কোম্পানির বোর্ডে। এগুলি সবই আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপ তত্ত্বাবধান করে। এই ন’টি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা, সফটওয়্যার, আর্থিক পরিষেবা এবং জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এদের অধিকাংশেরই ঠিকানা একই, দিল্লির একটি ভবন। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বেশিরভাগই ২০১৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। পরে সেগুলিতে ঝাঁপ পড়ে যায়। যদিও আল-ফালাহ মেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন সাফল্যের মুখ দেখে। এটি ১৯৯৭ সালে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পথ চলা শুরু করে। বর্তমানে ৭৮ একর জমির ওপর চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

    আল-ফালাহ ভবনটি আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অফিস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের জেরে যে পুরানো ফৌজদারি মামলাটি ফের সামনে এসেছে, সেটি দায়ের করা হয়েছিল দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায়। অভিযোগকারীর দাবি, সিদ্দিকি ও তাঁর সহযোগীরা ভুয়ো বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছিলেন। তাঁরা বিনিয়োগকারীদের আল-ফালাহ কোম্পানির আমানতে টাকা রাখতে রাজি করান। পরে জাল নথি তৈরি করে দেখানো হয় যে এই আমানতগুলি শেয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে (Al Falah University)। এভাবে সংগৃহীত ৭.৫ কোটি টাকার তহবিল অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় ফের মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের (Babri Masjid Demolition) বদলা নিতে জঙ্গিরা ৬ ডিসেম্বর দিল্লি ও তার আশপাশে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানোর নীল নকশা ছকেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন জঙ্গি মডিউলই এই পরিকল্পনা করেছিল। চক্রের কয়েকজন চাঁই আগেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় ভেস্তে যায় জঙ্গিদের যাবতীয় প্ল্যান। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ঘটানো হয় বিস্ফোরণ।

    প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ (Delhi Blast)

    সোমবারের প্রাণঘাতী ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন সাধারণ মানুষ। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মডিউলটি মোট পাঁচটি ধাপে গোটা হামলাটা চালানোর ছক কষেছিল। প্রথম ধাপে জইশ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত সেল তৈরি করা। দ্বিতীয় ধাপে নুহ ও গুরুগ্রাম থেকে আইইডি তৈরির রাসায়নিক, বিস্ফোরক এবং কার্তুজ জোগাড় করা। তৃতীয় ধাপে ছিল আইইডি বানানো এবং সম্ভাব্য হামলার জায়গা রেকি করা। চতুর্থ ধাপে ষড়যন্ত্রীদের পরিকল্পনা ছিল, তৈরি আইইডি, বোমা সদস্যদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। আর সব শেষে ছিল একই সঙ্গে দেশের ৬-৭টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো। যাতে সহজে এই পরিকল্পনার কূল খুঁজে না পাওয়া যায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক ছিল হামলা চালানো হবে অগাস্ট মাসে। কিন্তু প্রস্তুতিপর্বে দেরি হয়ে যাওয়ায় পাল্টে দেওয়া হয় তারিখ। তখনই ঠিক হয়, হামলা হবে ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ভাঙার বর্ষপূর্তিতে।

    বাবরি মসজিদ

    প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয় বাবরি মসজিদ। পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জমি হস্তান্তর হয় রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে। ২০২০ সালে শুরু হয় নতুন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তির পরে পরে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার বহুবার তার লেখা সাপ্তাহিক কলামে অযোধ্যা টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার চায় বাবরি মসজিদ বিতর্ক খুঁচিয়ে ভারতে সম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে। বহু বছর ধরেই তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে (Delhi Blast)। জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই ছক কষেছিল জইশের হোয়াইট কালার মডিউল (Babri Masjid Demolition)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএর জেরায় সে কথা কবুলও করেছে ধৃতরা। তারাও জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    নয়া সিসিটিভি ফুজেট

    এদিকে, লালকেল্লায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সামনে এল নয়া সিসিটিভি ফুজেট। সেই ফুটেজে জঙ্গি চিকিৎসক উমর নবিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের আগে তুর্কমান গেটের কাছে একটি মসজিদ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি চিকিৎসক উমর। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে উমরের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই রয়েছে তুর্কমান গেট মসজিদ। সেই মসজিদেই গিয়েছিল উমর। মসজিদে কিছুটা সময় কাটানোর পর বের হয়ে গিয়েছিল। এখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

    বিস্ফোরণের বিরাট পরিকল্পনা

    ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করে ৬ ডিসেম্বর ওই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে ৪টি গাড়ি (Delhi Blast)। আই-২০ ছাড়াও একটি ব্রেজা, একটি সুইফট ডিজায়ার এবং একটি ফোর্ড ইকো স্পোর্টস কার উদ্ধার করা হয়েছে (Babri Masjid Demolition)। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুরানো, সেকেন্ড বা থার্ড হ্যান্ড গাড়িই বেছে বেছে কেনা হত, যাতে পুলিশের পক্ষে গাড়িগুলি ট্রেস করা কঠিন হয়। হরিয়ানা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গাড়িগুলি কেনা হত।

    একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট (Babri Masjid Demolition) অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খোঁজ নেই প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের (Delhi Blast)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের পর তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। তার পরেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য (Ammonium Nitrate Missing)। ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল তদন্তের অধীনে পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। বাকি চালানটির হদিশ মেলেনি এখনও। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।

    নিখোঁজ বিস্ফোরকের সন্ধানে তল্লাশি (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার এখন প্রধান লক্ষ্যই হল ওই ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সন্ধান ও উদ্ধার করা। এই পরিমাণ বিস্ফোরক যাদের কাছে রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা। এ পর্যন্ত ওই সব সংস্থা বিভিন্ন গোপন আস্তানা থেকে প্রায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। আধিকারিকদের অনুমান, এর কিছু অংশ এখনও অজানা কোনও জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেই হারানো বিস্ফোরকের খোঁজেই দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। বাকি উপাদানটি যেন কোনওভাবেই ব্যবহার না করা যায়, তা ঠেকাতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রাণপণ করছে।”

    ভায়া বাংলাদেশ ও নেপাল 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চালানটি ভারতে এসেছিল বাংলাদেশ ও নেপালের সীমান্ত দিয়ে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা একটি সার কারখানা থেকে এই পদার্থটি চুরি করে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান করে এনেছিল (Ammonium Nitrate Missing)। সূত্রের খবর, মোট ৩,২০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই কারণেই পুরো রুটজুড়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কবার্তা জারি করেছে (Delhi Blast)।

    অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার ছক

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মডিউল উত্তরপ্রদেশের ধর্মীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেমন অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অভিযুক্তদের মধ্যে শাহিন অযোধ্যায় একটি ‘স্লিপার মডিউল’ সক্রিয় করেছিল। এই শহরগুলির পাশাপাশি লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট, সংবিধান ক্লাব, গৌরীশঙ্কর মন্দির, বড় রেলস্টেশন এবং শপিং মলগুলিও তাদের টার্গেটের তালিকায় ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছিল ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই। তাদের লক্ষ্য ছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো।

    উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি

    তদন্তকারীদের মতে, এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Ammonium Nitrate Missing)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ-ও। তার পরেই আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিস্ফোরক কোথায় গেল, তারও সন্ধান করছে এনআইএ (Delhi Blast)।

    কোথায় আরও দুই মহিলা চিকিৎসক

    এদিকে, শাহিন ছাড়াও তদন্তকারীরা খোঁজ করছেন আরও দুই মহিলা চিকিৎসকের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছে তারা। কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে চিকিৎসাও করেছে তারা। তবে এদের আসল উদ্দেশ্য ছিল, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করা। সেই কাজ তারা করেও যাচ্ছিল গোপনে। শাহিন পুলিশের জালে পড়লেও, ওই দুই মহিলা চিকিৎসক অধরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দুই মহিলা চিকিৎসকই আদতে লিঙ্কম্যান। চমকের শেষ এখানেই নয়। গোয়েন্দারা এও জেনেছেন, ইস্তাম্বুল, দোঁহা থেকে তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল ওয়ালেটে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে (Delhi Blast)।

    ধর্ম প্রচারের আড়ালে আসলে যে জইশ এবং লস্করের জঙ্গি চাঁইরা একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছিল, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বাংলাদেশের (Ammonium Nitrate Missing) মাটি ব্যবহার করে দফতর খুলতে চাইছে আইএসআই। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই অনুমতিও দিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, যেহেতু পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে এখন ভারতে ঢোকাটা জঙ্গিদের কাছে দুষ্কর, তাই বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছে জঙ্গিরা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) জঙ্গি হামলাই। বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এমনই (Centre) জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ জানিয়ে দিলেন, সোমবার দিল্লিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা আসলে ছিল ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলাই।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Delhi Blast)

    বুধবার দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুটে যান দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে তিনি দেখা করেন দিল্লি বিস্ফোরণে জখমদের সঙ্গে। এই হাসপাতালে এখনও অন্তত ২০ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এই হামলার নেপথ্যে জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।” হাসপাতাল থেকে ফিরেই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    বৈঠকে নীরবতা পালন

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকের শুরুতেই দু’মিনিট ধরে নীরবতা পালন করা হয়। দিল্লির বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এদিন পালন করা হয় নীরবতা। এরপর কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করা হয় এই হামলার। ঘটনাটিকে দেশ বিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত আক্রমণ বলেও উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেও উল্লেখ করা হয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা। যাঁরা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসাও করা হয়। ওই হামলার পরে পরেই ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠায় বিভিন্ন দেশ। সেজন্য ওই দেশগুলিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় কেন্দ্রের তরফে। অভিযুক্তদের ধরে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    সোমবার বিকেলে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় পার্কিংয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি। কাচ ভেঙে যায় অকুস্থলের আশপাশের বাড়ি এবং দোকানেরও। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিদেশ সফরে, ভুটানে। সেখান থেকে ফিরেই প্রথমে যান হাসপাতালে, তার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই (Delhi Blast) বৈঠক শেষে সোমবারের ওই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে উল্লেখ করল সরকার। দিল্লির ঘটনার নেপথ্যে যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে তাকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই দেগে দেওয়া হল (Centre)।

    বিস্ফোরণের আগে রেকি!

    এদিকে, ঘটনার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই এগিয়েছে তদন্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। তাদের জেরা করে অনেক নতুন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। বুধবারই হরিয়ানার একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত উমর নবির লাল রংয়ের চারচাকার একটি গাড়ি। এই উমরই বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া সাদা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির চালকের আসনে ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণের আগে আগে এই গাড়িটি কোথায় কোথায় ঘুরেছিল, সেদিকেও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, গাড়িটি এর আগে ঘুরেছিল দিল্লির দুই ব্যস্ততম এলাকা কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহার। দিল্লির এই দুই এলাকায় আসার আগে গাড়িটি হরিয়ানাতেই ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে পার্ক করা ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি। এর ঠিক পাশেই রাখা ছিল ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদের গাড়িও। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক মুজাম্মিল হলেও, রেজিস্ট্রেশন ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদের নামে। প্রশ্ন হল, তাহলে কি বিস্ফোরণের আগে রেকি করতেই রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছে (Delhi Blast) গাড়িটি? লালকেল্লা ছাড়াও রাজধানীর অন্য কোথাও কি আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা? যদিও দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে আত্মঘাতী হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি।

    উধাও হয়ে গিয়েছিল মহিলা চিকিৎসক

    লালকেল্লার বাইরে বিস্ফোরণের ঠিক আগে লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিন সিদ্দিকি নামে এক মহিলা চিকিৎসককে। তার গাড়িতেও মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Centre)। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহিন ও তার সঙ্গী মুজাম্মিলের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের। কানপুরের জেএসভিএম মেডিক্যাল কলেজে পড়াত শাহিন। ২০১৩ সালে আচমকাই উধাও হয়ে যায়। ২০২১ সালে তাকে বরখাস্ত করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দাদের ধারণা, সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় গায়েব হয়ে গিয়েছিল শাহিন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা শাখা জামাত-উল-মোমিনীনের ভারতের প্রধান করা হয় তাকে। সে কাজ করত মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের সঙ্গে শলা করে। লখনউয়ের যে বাড়িতে শাহিন থাকত, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই পারভেজ আনসারিকেও (Delhi Blast)। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজিদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে ফরিদাবাদের এই হাসপাতালের (Centre)। যদিও বুধবার ওই মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া নয়। ধৃত কিংবা আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই।

  • Bangladesh: হাসিনা সরকারের পতনের নেপথ্যে আমেরিকার ইউএসএআইডির লম্বা হাত, দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর

    Bangladesh: হাসিনা সরকারের পতনের নেপথ্যে আমেরিকার ইউএসএআইডির লম্বা হাত, দাবি বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের নেপথ্যে ছিল ইউএসএআইডি। এমনই বিস্ফোরক তথ্য (Yunus Clinton Nexus) ফাঁস করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ইউএসএআইডি (দ্য ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বশাসিত সংস্থা। এই সংস্থা বিদেশিদের সাহায্য দেয়, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। এর ঘোষিত লক্ষ্যই হল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণতন্ত্রের বিকাশ-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অর্থ দেওয়া।

    মুখোশের আড়ালেই মুখ (Bangladesh)

    এহেন ভালোমানুষি মুখোশের আড়ালেই রয়েছে মুখও। সারা বিশ্বই জানে, এই সাহায্য ও উন্নয়নের অছিলায় ইউএসএআইডিকে ব্যবহার করা হয় বিদেশে মার্কিন প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে। এই সংস্থা মূলত আমেরিকার প্রসারবাদী ও আধিপত্যবাদী স্বার্থ পূরণেই কাজ করে। এই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর সাম্প্রতিক এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি ইউএসএআইডির অতীত ইতিহাস ও তার গোপন উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের দাবি

    রাশিয়ার এক সাংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দাবি করেন, আকস্মিক ও সহিংস ছাত্র আন্দোলন, যার জেরে পতন ঘটেছিল আওয়ামি লিগ সরকারের, তা ছিল ইউএসএইডের পরিকল্পিত ও তাদের দ্বারা পরিচালিত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রাশিয়ার সমালোচনা করেনি, ইউক্রেনকেও প্রকাশ্যে সমর্থন করেনি। বরং মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনায় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ঢাকা একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। যেখানে বহু দেশ আমেরিকার নির্দেশেই রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল, সেখানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করেছে।”

    রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিতে প্রবল লবিং

    মহিবুল বলেন, “রাষ্ট্রসংঘে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। বাংলাদেশকে (Bangladesh) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিতে প্রবল লবিং করা হয়েছিল। আমাদের অবস্থান ছিল, আমরা ভোটদানে বিরত থাকব।” তাঁর দাবি, ঢাকার এই অবস্থানেই ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশে সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষেছিল আমেরিকা (Yunus Clinton Nexus)। তিনি বলেন, “কিছু এনজিওর কাজকর্ম, বিশেষ করে আমেরিকার ইউএসএআইডি বা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট, সেই ২০১৮ সাল থেকে আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছিল।”  প্রাক্তন এই মন্ত্রীর প্রশ্ন, “বাংলাদেশের উন্নয়নে ইউএসএআইডি যে তহবিল বরাদ্দ করেছিল, তা কোথায় ব্যয় হল? কারণ বাংলাদেশের কোনও উন্নয়নই তো চোখে পড়েনি!” তিনি বলেন, “ওই অর্থ গায়েব হয়ে গিয়েছে, ব্যবহার করা হয়েছে ‘রেজিম চেঞ্জ অ্যাক্টিভিটির’ জন্য। ওই অর্থ দিয়েই খুব সূক্ষ্মভাবে অরাজকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, এবং পরবর্তীকালে তা বড়সড় দাঙ্গার রূপ নেয়।”

    মহিবুল চৌধুরী বোমা ফাটিয়েছেন

    এই সাক্ষাৎকারে মহিবুল চৌধুরী কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের মধ্যে যোগসূত্রও রয়েছে। তিনি বলেন, “ক্লিনটন পরিবার এবং অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের মধ্যে বহু পুরানো একটি নেক্সাস রয়েছে। এসব কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। তবে প্রকাশ্যে ছিল না। গোপনে এনজিওগুলিকে অর্থ সাহায্য করা হচ্ছিল। তারা বাংলাদেশে (Bangladesh) সরকার পরিবর্তনে মরিয়া ছিল। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের আড়ালে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং ইউনূসের এই সম্পর্ক আসলে সরকার বদলের গভীরতর প্রচেষ্টারই প্রতিফলন (Yunus Clinton Nexus)।”

    ‘ষড়যন্ত্রে’র ছক

    বাংলাদেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা ও প্রশাসনের অবস্থা নিয়েও গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন হাসিনার এই প্রাক্তন সহকর্মী। তাঁর মতে, দেশটি এখন একদল অভিজাত শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যারা গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধ নয়। তাই বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানিয়েছিলেন, তিনি ‘সাদা চামড়ার মানুষের চাপে’র মুখে পড়েছিলেন এবং তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য ‘ষড়যন্ত্রে’র ছক কষা হচ্ছিল (Bangladesh)।

    বড় দাঙ্গা

    এদিন মহিবুলও বলেন, “২০১৮ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার গড়ার পর থেকেই বাইডেন, ক্লিনটনরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। তখন থেকেই তাঁরা বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাঁর দাবি, সেই সময় দুটি এনজিও থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার এসেছিল, র‍্যাপারদের বেতন দেওয়া হচ্ছিল। সাংস্কৃতিক কর্মী এবং হিজড়া সম্প্রদায়কেও বেতন দেওয়া হচ্ছিল সেই অর্থ থেকে।’ প্রাক্তন এই মন্ত্রীর দাবি, ‘বাইডেন, ক্লিনটন, সোরোসেসের পরিবারগুলির সঙ্গে যোগসাজস ছিল মহম্মদ ইউনূসের। দাঙ্গাবাজদের উদ্দেশ্যপূরণে তাদের সাহায্যও করা হয়েছিল।’ মহিবুলের (Bangladesh) কথায়, “সুনিপুণভাবে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা তৈরি করার ফলে জুলাই মাসের আন্দোলন একটি বড় দাঙ্গায় পরিণত হয়েছিল (Yunus Clinton Nexus)।”

  • Amit Shah: দিল্লি বিস্ফোরণ, আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শাহের

    Amit Shah: দিল্লি বিস্ফোরণ, আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Incident) আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা? বিস্ফোরণের পেছনে কারণই বা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি (Amit Shah)। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে মঙ্গলবার দফায় দফায় তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে বিস্ফোরণের নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি।

    বৈঠকে শাহ (Amit Shah)

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন শাহ। জানিয়েছিলেন, তদন্তে যা উঠে আসবে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। সোমবার রাতেই প্রথমে হাসপাতাল এবং পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কথা বলেন পুলিশের পদস্থ কর্তা ও তদন্তকারীদের সঙ্গে। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। শাহ বুঝিয়ে দেন, বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের আনা হবে তদন্তের আওতায়। মঙ্গলবার দিল্লি বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রায় একই ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

    শাহি বার্তা

    এদিন সকালে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন শাহ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোবিন্দ মোহন, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা তপন ডেকা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা এবং এনআইএর ডিজি সদানন্দ বসন্ত। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরে ফের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন শাহ। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা। পরে শাহ (Amit Shah) স্বয়ং পোস্ট করে দেশবাসীকে জানান বৈঠকের নির্যাস। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এবার দেখবে আমাদের সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রায় সকলেরই হুঁশিয়ারি, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না (Delhi Incident)।”

    তদন্তকারীদের অনুমান

    তদন্তকারীদের অনুমান, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেই গাড়িটিতে কে ছিল, তা এখনও স্পষ্ট করে জানাননি তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের পরে আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু (Amit Shah) করেছেন তদন্তকারীরা। সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত ঘণ্টা তিনেক ধরে লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। গাড়িটিতে নীল-কালো রংয়ের টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সিসিটিভির ওই ফুটেজে। তবে ওই ব্যক্তিটি কে, তা এখনও জানাননি তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সিসি ক্যামেরায় প্রকাশ্যে আসা ফুটেজে দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক চিকিৎসককে। ওই চিকিৎসকের নাম উমর মহম্মদ। তবে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

    বিস্ফোরণের ভয়াবহতা

    প্রসঙ্গত, সোম-সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে ওই হুন্ডাই গাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। জখম হন বহু মানুষ। ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তভার ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতে (Delhi Incident)।এই ঘটনার সূত্র ধরেই কাশ্মীরে নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা বাহিনীও। একাধিক এলাকায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ছ’জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক উমর উন নবির তিন আত্মীয়ও (Amit Shah)। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, উমরই তার মালিক। ফারিদাবাদে ধৃত এক জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখত বলে অনুমান। সেই মডিউল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল কমবেশি ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের দাবি, উমর এখনও নিখোঁজ। সে এই বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। তদন্তকারীদের মতে, লালকেল্লার মতো ঐতিহাসিক জায়গার কাছে এই বিস্ফোরণ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোটা ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর জঙ্গি চক্রান্ত রয়েছে বলেই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।

    উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক

    প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণের দিনই ফরিদাবাদের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ এবং প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি আইআইডি তৈরির রাসায়নিক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত মডিউলের এক চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল। তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল, যা সচরাচর ব্যবহার করা হয় শিল্পক্ষেত্রে (Delhi Incident), জঙ্গিরা তাকে ব্যবহার করে শক্তিশালী বিস্ফোরক হিসেবেই (Amit Shah)।

LinkedIn
Share