Author: pranabjyoti

  • Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর এপ্রিলে মুর্শিদাবাদে যে হিংসার (Murshidabad Riot) ঘটনা ঘটেছিল, তা কোনও আকস্মিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল না, ছিল সুপরিকল্পিত একটি হিংসার ঘটনা (Radical NGOs)। গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে এই হিংসা সংঘটিত হলেও, এর নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র– চরমপন্থী উসকানি, রাজনৈতিক মদত এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার এক জটিল মিশ্রণ। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন মুর্শিদাবাদ’ নামক অনুসন্ধান এক বিরাট গোপন চরমপন্থী নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করেছে, যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন, ছায়া এনজিও এবং প্ররোচিত যুব বাহিনীকে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে।

    এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা (Murshidabad Riot)

    জানা গিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা, যেখানে ধর্মীয় নেতারা ছিলেন মতাদর্শগত কারখানার ভূমিকায় আর পুলিশ-প্রশাসন ছিল হয় সহযোগী, নয় ঠুঁটো। এই সব কিছুর কেন্দ্রে ছিল কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যারা সব কিছু পরিচালনা করেছে। ঘটনার সূত্রপাত ১০ এপ্রিল। এদিন শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এসএসসি রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ছদ্মবেশে একটি পরিকল্পিত বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। দ্রুত সেটাই মোড় নেয় ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত ইস্যুর দিকে। ১১ এপ্রিল এটিই ধারণ করে দাঙ্গার রূপ। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, একই যুবক দল যারা হাতে লাঠি এবং প্রচারপত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা দুই আন্দোলনেই উপস্থিত ছিল। ১১ এপ্রিল পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল জমায়েত। এই জমায়েতের মাঝে ছিল একটি ব্যানার, যাতে লেখা, ‘সমস্ত এনজিও একজোট’। কিন্তু আদতে পুরো ফ্রন্টটি পরিচালিত হচ্ছিল মূলত দুটি সংগঠনের মাধ্যমে – ‘সময়ের আলোর বাতি’ এবং ‘গোল্ডেন স্টার গ্রুপ’। এই সংগঠনগুলি নিজেদের গোষ্ঠী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করলেও, সেগুলির বিরুদ্ধে উগ্র মতাদর্শ প্রচার এবং সংঘবদ্ধ আন্দোলনের অভিযোগ উঠেছে।

    ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘পলাতক’

    এই হিংসার মূল চাঁই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হল কাওসার, মোস্তাকিন এবং রাজেশ শেখ। পুলিশের খাতায় তাদের পলাতক দেখানো হলেও, স্থানীয়দের দাবি (Murshidabad Riot), দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তারা ‘পলাতক’ (Radical NGOs)। জানা গিয়েছে, রাজেশ শেখ তৃণমূল যুব ব্লক কমিটির পরিচিত সদস্য। পিএফআই (PFI) এবং এসডিপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে এক এসডিপিআই প্রার্থীর পক্ষে তিনি প্রচারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বশির শেখ, যিনি এক সময় সিমির (SIMI) সদস্য ছিলেন, তাঁকেও এই বিক্ষোভের প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত

    স্থানীয় ডিআইবির ইনসপেক্টর রাজীব গোপন ক্যামেরায় তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করে বলেন, “হ্যাঁ, ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত (Murshidabad Riot)। তবে ওরা পলাতক।” এই হিংসায় জুতে দেওয়া হয়েছিল নাবালকদেরও। একাধিক নাবালকের দাবি, কাওসার ও মোস্তাকিন তাদের ডেকে পাঠাত এবং প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দিত। ‘ওয়াকফ’ শব্দের অর্থ না জানলেও, তাদের বলা হত ঘরে আগুন লাগাতে এবং পাথর ছুড়তে। তাদের বোঝানো হত, তাদের ধর্ম বিপন্ন। তাদের মধ্যে একজন বলে, “ওরা বলেছিল হিন্দুরা আমাদের ধর্মকে গালাগালি দিচ্ছে। সবাই যাচ্ছিল, তাই আমিও গেলাম।” ছেলেটির দাবি, তারা যখন হিন্দু-অধ্যুষিত ঘোষ পাড়ার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল এবং হেনস্থার শিকার হয়েছিল, তখন স্থানীয় পুলিশই তাদের পাল্টা জবাব দিতে বলেছিল (Murshidabad Riot)।

    বেআইনি এনজিওর রমরমা

    সরকারি খাতা অনুযায়ী, শামসেরগঞ্জে মাত্র ১৮টি এনজিও রয়েছে (Radical NGOs)। যদিও বাস্তব চিত্র হল এলাকায় রয়েছে কয়েক ডজন এনজিও। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই সংগঠনগুলি মূলত চরমপন্থী চিন্তার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে, কোনওরকম নজরদারি ছাড়াই অর্থ আসছে এবং সর্বোপরি, সমাজকল্যাণের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে সরকারি নজরদারি। স্থানীয় দুই ইমাম স্বীকার করেছেন, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক তাদের কাছে এসে মসজিদের মাইকে ওয়াকফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানাতে বলেছিল। শুক্রবারের নমাজের ঠিক আগেই এটা করতে বলেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সর্বোচ্চ জমায়েত।

    বাংলাদেশি ইসলামি বক্তার ভাষণে ইন্ধন!

    মুর্শিদাবাদে যেদিন দাঙ্গা হয়, তার ঠিক পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশি এক ইসলামি বক্তা শামসেরগঞ্জে একটি জলসায় ভাষণ দেন। তার পর থেকেই স্থানীয় হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক কনটেন্ট (Murshidabad Riot)। একটি ভিডিওতে মুসলমানদের হাতে ‘বন্দুক তুলে নিতে’ বলা হয়। আর একটি পোস্টে বলা হয় ‘শিশুদের সামনে পাঠাও’। এসডিপিআই, জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং জামাত-এ-আহলে হাদিসের সাহিত্য এবং বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা ওয়াকফ সংক্রান্ত বর্ণনাকে কেন্দ্র করে জ্বলা ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। রাজীব স্বীকার করেন, “এখানে স্লিপার সেল সক্রিয় আছে। মাদ্রাসার ভিতরে উগ্রপন্থা ছড়ানো হচ্ছে। তবে জলসায় কী হয়, তা আমরা জানি না (Radical NGOs)।”

    জেলা কর্মকর্তারা গোপনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, রাজেশের মতো কয়েকজন উগ্রপন্থী রাজনৈতিক রক্ষাকবচ ধারণ করেন। এক প্রবীণ তদন্তকারী বলেন, “এখানে নথিভুক্ত নয় এমন এনজিওগুলি তো কেবল নীচুস্তরের মুখপাত্র। আসল খেলুড়েরা বসে থাকেন ক্ষমতার আসনে, থাকেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে (Murshidabad Riot)।”

  • Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর ২০১৯ ও ২০২৪ সালেও তিনিই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। সোমবার হল মোদি সরকারের (Modi Govt) ১১ বর্ষ পূর্তি। এদিনই মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, সুসংহত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে মোদি সরকার একগুচ্ছ সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি পরিবর্তন করেছে। বিজেপির তরফে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের উন্নয়নের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

    ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সরকারের এই কর্মসূচি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্বদেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্পক্ষেত্রে নয়া গতি এনেছে। এটি বিধিনিষেধ সহজতর করেছে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় সব চেয়ে আকর্ষণীয় উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’য় রূপান্তর আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক শিল্পক্ষেত্রে ভারতের আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Modi Govt)

    ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেয়।২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩২.৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী, এবং প্রায় অর্ধেক ঋণ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির লোকজনকে। সর্বোচ্চ ঋণ বিলি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে (BJP)।

    বিমুদ্রাকরণ

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কালো টাকা সাদা করতে, জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে (Modi Govt) এবং ডিজিটাল লেনদেনে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এর ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ এবং অগ্রিম কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। ‘অপারেশন ক্লিন মানি’র মাধ্যমে ১৮ লাখ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অবৈধ আয়ের সন্ধান মিলেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

    জিএসটি

    ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হওয়া জিএসটি বিভিন্ন পরোক্ষ করের পরিবর্তে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে। এটি করের বাধা দূর করেছে, ইনপুট ক্রেডিটের সুবিধা এনেছে এবং আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যকে উন্নত করেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ পৌঁছেছে ২০.১৮ লাখ কোটি টাকায়, যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই সংস্কার কর দেওয়া সহজ করেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করেছে।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ইউপিআই

    বিএইচআইএম, আধার এবং ইউপিআইয়ের মতো উদ্যোগগুলি ভারতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ইউপিআই মাসে ১৭৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করেছে, যার আর্থিক মূল্য ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পেমেন্টে ইউপিআইয়ের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা ডিজিটাল ফিনান্সে ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে (BJP)।

    আয়ুষ্মান ভারত

    ২০১৮ সালে শুরু (Modi Govt) হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PM-JAY) প্রতি পরিবারে সেকেন্ডারি ও তৃতীয় স্তরের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৬.৯ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় সমান নাগরিকত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্য মজবুত হয়েছে।

    উরি, বালাকোট, অপারেশন সিঁদুর ও ব্ল্যাক ফরেস্ট  

    ২০১৬ সালে উরির হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় মোদি সরকার। ২০২৫ সালে হয় অপারেশন সিঁদুর। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানে দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও মহিলা অফিসারদের নেতৃত্বের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়, যা আদতে আত্মনির্ভরতা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট (BJP)। ২১ দিন ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ১০,০০০-এর বেশি কর্মী অংশ নেন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদী ঘাঁটি ও তাদের নেতৃত্ব কাঠামো ধ্বংস করতে। অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়, যাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও (বাসবরাজু)-এর মতো শীর্ষ নেতাও (Modi Govt)।

    আত্মনির্ভর ভারত

    কোভিড অতিমারী-উত্তর পর্বে শুরু হওয়া আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের লক্ষ্য হল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বিশেষ করে এমএসএমইদের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাফল্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা রফতানি ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২১,০৮৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ গুণ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৪,৩১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩১৯ কোটি টাকায়।

    অগ্নিপথ স্কিম

    ২০২২ সালের জুনে চালু হওয়া অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে রাখা হয়। এই স্কিমটি শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং বার্ষিক ৪.৭৬ লক্ষ টাকা বেতন, ১১.৭১ লক্ষ টাকা ‘সেবা নিধি’ এক্সিট প্যাকেজ এবং ৪৮ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেয়। প্রতিরক্ষা সেবার বাইরেও এটি যুবকদের ভবিষ্যতের (BJP) কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জনেও সহায়তা করে। অপারেশন সিঁদুরে এই অগ্নিবীরদের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন (Modi Govt)।

    সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

    কিছু যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বহু প্রতীক্ষিত একটি সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প বারাণসীর মন্দির চত্বরে এক নতুন রূপ এনে দিয়েছে, আর মহাকাল লোক করিডর উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দিরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই সমস্ত উদ্যোগই ঐতিহ্য ও আধুনিক পরিকাঠামোর এক অসাধারণ সমন্বয়, যা ধর্মীয় পর্যটন ও সভ্যতাগত গর্বকে উৎসাহিত করছে। এই যুগান্তকারী কীর্তিগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবং বৈদেশিক নীতিতেও নিজস্ব ছাপ রেখেছে। এমনই একটি সাফল্য হল ভারতে (BJP) সফলভাবে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও, নানা সময় বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত মানবিক সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে ভারত অর্জন করেছে বিশ্বনেতার সম্মান (Modi Govt)।

  • PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর (Operation Sindoor) মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত।” সোমবার গুজরাটে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম নিজের রাজ্য গুজরাটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দাহোদের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি খানিকক্ষণ হাঁটলেন স্মৃতির সরণী বেয়ে। গুজরাটবাসীকে অভিবাদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ২৬ মে। ২০১৪ সালে এই দিনেই আমি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। প্রথমে গুজরাটের মানুষ আমায় আশীর্বাদ করেন, তারপর কোটি কোটি ভারতীয় আমায় আশীর্বাদ করেন।”

    গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শুরু হয়েছে রোড-শো দিয়ে। এক কিলোমিটার পথ রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে ঢল নামে জনতার। গুজরাটবাসী অভিবাদন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রতিনমস্কার জানান তিনিও। এই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারও। প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। কুরেশি ভাদোদরার বাসিন্দা। এদিনের রোড-শোয়ে উপস্থিত ছিলেন সোফিয়ার বাবা-মা, ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি এবং বোন শায়না সুনসারাও। সোফিয়ার মা হালিমা কুরেশি বলেন, “আমরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি। সবাই এক সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তিনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো আমাদের কর্তব্য।” তিনি বলেন, “সোফিয়া কেবল আমাদের মেয়ে নয়, ও আমাদের দেশের মেয়ে (PM Modi)।”

    অপারেশন সিঁদুর কেন?  

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিন্তা করুন, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, তারপর কী আর ভারত চুপ করে বসে থাকতে পারে? কী, মোদি কি চুপ করে বসে থাকতে পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত। তাই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতীয়দের সংস্কৃতি এবং আমাদের অনুভূতির প্রকাশ। সন্ত্রাসবাদীরা ১৪০ কোটি ভারতীয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তাই মোদি সেটাই করেছে, যার জন্য দেশবাসী আমায় প্রধান সেবকের দায়িত্ব দিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অকল্পনীয় ও অভূতপূর্ব। দেশ কয়েক দশকের পুরানো শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন (PM Modi)।”

  • NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের খেয়ে, তথ্য জোগাচ্ছিলেন পাকিস্তানকে (Espionage Racket)। এই অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের এক জওয়ানকে। ধৃত জওয়ানের নাম মোতিরাম জাট। অভিযোগ, মোতিরাম পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারের কাছে ভারতের বেশ কিছু (NIA) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে। সে পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। যদিও দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তুলে ৬ জুন পর্যন্ত তাকে হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে (NIA)

    সিআরপিএফ সূত্রে খবর, সাব ইন্সপেক্টর পদে থাকা মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অবাধ বিচরণ দেখে সন্দেহ হয় তার সিনিয়রদের। তার পরেই মোতিরামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআরপিএফের কর্তারা। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। গ্রেফতার করা হয় ইউএপিএ আইনে। সিআরপিএফের এক কর্তা জানান, ধৃত জওয়ান সিআরপিএফের আইন এবং প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। গত ২১ মে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে।

    পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছিল মোতিরাম। এজন্য সে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের কাছ থেকে টাকাও নিত বলে অভিযোগ। গত দু’বছরে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু ক্লাসিফায়েড ইনফর্মেশন সে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ এনআইএ বিচারক চন্দরজিৎ সিং বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ কেবল দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবন সম্পর্কেও গভীর আশঙ্কা তৈরি করে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে এই কাজ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।”

    প্রসঙ্গত, গত (NIA) ২৪ মে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর নানা তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে গুজরাটের কচ্ছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল নামে একজনকে। গুজরাট এটিএস সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য পাক গোয়েন্দাদের কাছ থেকে মোটা টাকাও পেত সে। প্রসঙ্গত, মে মাসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় (Espionage Racket) তল্লাশি চালিয়ে ১৯ জন পাক চরের হদিশ মিলেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাও (NIA)।

    এদিকে, রাজস্থানের ডিগ শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাশেম নামে একজনকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন কাশেম পাকিস্তানে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছিল। এই অপারেশনের কিছুদিন আগেই সে পাকিস্তান ঘুরে এসেছিল বলেও অভিযোগ।

  • Sri Lanka: লবণ সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, সাহায্যের হাত বাড়াল মোদির ভারত

    Sri Lanka: লবণ সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, সাহায্যের হাত বাড়াল মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লবণ সংকটে (Salt Crisis) দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই অতি প্রয়োজনীয় বস্তুটির জন্য হাহাকার চারদিকে। যার ফলে গত কয়েক দিনে শ্রীলঙ্কায় নুনের দাম বেড়ে গিয়েছে তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে সমুদ্রতীটে জমে থাকা নুন ধুয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির কারণেই খাবারযোগ্য এই খনিজ পদার্থটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রান্নাঘরের অতিপ্রয়োজনীয় এই উপকরণটির চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। জোগান কম হওয়ায় নুনের দাম কেজি প্রতি বেড়ি গিয়েছে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মজুতদার ও কালোবাজারিরা নুনের জোগান কমিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    নুন আমদানিতে দেরি (Sri Lanka)

    নুন উৎপাদনকারীদের সংগঠনের মতে, শ্রীলঙ্কা সরকারের ৩০ হাজার মেট্রিক টন আয়োডিনযুক্ত নুন আমদানিতে দেরি হওয়ায় সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। উল্লেখ্য যে, শ্রীলঙ্কা বছরে প্রয়োজনীয় মোট নুনের ২৩ শতাংশ নিজেই উৎপাদন করে।পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার কারণে সংঘাত বেঁধেছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সেই সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) জানিয়েছিল, তারা কোনও দেশকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার জন্য তাদের ভূমি ও জলসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে না।

    বন্ধুত্বের প্রতিদান ভারতের 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই কারণেই ভারত তার এই প্রতিবেশী দেশটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। ভারতের তরফে শ্রীলঙ্কায় ৩ হাজার ৫০ মেট্রিক টন নুনের একটি চালানও ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। এই চালানের মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন নুন (Salt Crisis) উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সরবরাহ করেছে। বাকি ২৫০ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছ থেকে (Sri Lanka)।

    মাত্র দু’বছর আগেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রবল ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়ে দেশটি। সেই সময় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। আরও একবার সেই ভারতই পাশে দাঁড়াচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রের (Sri Lanka)।

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

  • Constitution Murder Day: ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে, সিদ্ধান্ত এনডিএ-র বৈঠকে

    Constitution Murder Day: ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে, সিদ্ধান্ত এনডিএ-র বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা (Emergency) ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। অতীতের সেই কালো অধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিতে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। এবার সেই দিনটি স্মরণ করে নয়া ঘোষণা করল এনডিএ। জোটের তরফে এই মর্মে ঘোষণা করা হয়, এবার থেকে ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কী লিখলেন অমিত শাহ? (Constitution Murder Day)

    তিনি লিখেছেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মানসিকতায় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনা কারণে কারাগারে ঢোকানো হয় এবং সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ওই কালো দিন ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। বিশেষ এই দিনে সেই সব মানুষের অবদানকে স্মরণ করা হবে যারা ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার কারণে অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যারা স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতন সত্ত্বেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। সংবিধান হত্যা দিবস গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এবং প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করবে। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।”

    সংবিধান হত্যা দিবস

    ২৫ মে নয়াদিল্লিতে এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী পালনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় (Constitution Murder Day)। ২০২৪ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল যে, ২৫ জুন প্রতিবছর সংবিধান হত্যা দিবস (Emergency) হিসেবে স্মরণ করা হবে, যেটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। জরুরি অবস্থা চলাকালীন দেশবাসীর মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিত করা হয়েছিল এবং কঠোর সেন্সরশিপ জারি করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক মতপার্থক্য দমন করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা। এদিকে, রবিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেন। এই বৈঠকের শেষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়। একটি হল ‘অপারেশন সিন্দুরে’র জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করা এবং অন্যটি হল জাতিভিত্তিক জনগণনার উদ্যোগকে সমর্থন করা।

    নাড্ডার বক্তব্য

    বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুরে’র জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা বিভিন্ন নেতাদের দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আজ আমাদের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। দুটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে (Emergency)। প্রথমটি ছিল অপারেশন সিঁদুর নিয়ে, যা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল এবং এতে আমাদের সেনাবাহিনীর কাজ এবং তাদের সাহসিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে (Constitution Murder Day)।” নাড্ডা বলেন, “আজ বৈঠকে জাতিভিত্তিক জনগণনা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। সবাই এতে সম্মতি দিয়েছেন এবং মোদিজির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন ও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, আমরা জাতিভিত্তিক রাজনীতি করি না। বরং যাঁরা বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শোষিত, তাঁদের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে চাই। এটি সমাজের জন্য একান্ত প্রয়োজন।”

    গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ

    এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এটি রাজ্য-স্তরে সুশাসনের কার্যকরী পদ্ধতি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। উপস্থিত নেতারা ছত্তিশগড় সরকারের উন্নয়ন মডেল এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলিও নিয়ে আলোচনা করেন। এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে (Emergency) ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের বস্তার অলিম্পিকস এবং বস্তার পাণ্ডুম নিয়ে প্রেজেন্টেশন প্রধানমন্ত্রী ও বৈঠকে অন্যান্য অংশগ্রহণকারী মুখ্যমন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে (Constitution Murder Day)।

  • OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হয় ইসলামিক কো-অপারেশন সংস্থার বৈঠক (OIC)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান (Pakistan) কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে। যদিও তা ব্যর্থ হয়। এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হল ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিন। এই তিন মুসলিম দেশই পাকিস্তানের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। যার ফলে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সেটি। আয়োজক দেশ ছিল ইন্দোনেশিয়া।

    ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা (OIC)

    ইসলামিক এই দেশটি পাকিস্তানের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার নীতিতে বিশ্বাসী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ইন্দোনেশিয়া। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ওআইসির মঞ্চকে কোনও সদস্য রাষ্ট্রকে টার্গেট করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় না। ইন্দোনেশিয়ার এই অবস্থানকে সমর্থন করে মিশর এবং বাহরিনও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিনের এই অবস্থান ভারতের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিফলন।

    চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র

    জাকার্তা সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে প্যালেস্তাইন ও গাজায় চলা পরিস্থিতির কড়া নিন্দা করা হয়। যদিও ভারতের প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে সংযমী ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় মুখ পুড়লেও (OIC) স্বদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, তাদের অবস্থান ওআইসি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হলেও, ইসলামাবাদ নিজের দেশে তাদের কলঙ্কিত ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন আদায়ের জন্য ওআইসির দিকে দীর্ঘদিন ধরে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী দেশগুলির মধ্যে এই বিষয়ে অনীহা ক্রমেই বাড়ছে যে তারা নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে এই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হতে দিতে চাইছে না। অনেক দেশ এখন আদর্শগত সংহতির চেয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও কৌশলগত সহযোগিতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তার জেরেই বারবার বিশ্ব দরবারে মুখ পুড়ছে ইসলামাবাদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওআইসি পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রস্তাব আটকে যাওয়া ইসলামাবাদের (Pakistan) একটি বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা। নয়াদিল্লির কাছে এটি একটি বড় সাফল্য, যা মুসলিম বিশ্বের ভেতরে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক অবস্থানগুলির ইঙ্গিত দেয় (OIC)।

  • Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সামনে এল খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket) করার উদ্বেগজনক ঘটনা। রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কাওরধার আদর্শ নগর এলাকায়। অভিযোগ, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের বিশ্বাস, নিরাময় ও দানের নাম করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা উপজাতি ও বঞ্চিত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। খ্রিস্টান মিশনারিদের এহেন কার্যকলাপে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    গোপনে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket)

    স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি বেসরকারি স্কুলের পরিচালক জন থমাস। তিনি ওই স্কুলের চত্বর ব্যবহার করে গোপনে ধর্মান্তরিত করছিলেন। হিন্দু সংগঠনের প্রায় ২৫ জন সদস্য পাশের একটি বাড়িতে হানা দেন। তাঁরাই থমাসের বিরুদ্ধে দরিদ্র বাসিন্দাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তোলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কাওরধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুষ্পেন্দ্র বাঘেল জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে যে প্রার্থনা সভার ছদ্মবেশে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল। পরে জন থমাসকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আরও ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দা পুসাইয়া বাঈ ও পদ্মিনী চন্দ্রবংশী অভিযোগ করেন, জন থমাস অসুস্থ ও দরিদ্র গ্রামবাসীদের নজরে রাখতেন। পরে নিরাময় ও আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের স্কুলে নিয়ে যেতেন। ওখানে ভূত তাড়ানোর রীতিনীতি ও অদ্ভুত আওয়াজে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পদ্মিনী বলেন, “শিশুরা বাইরে বেরোতে ভয় পেত। সব কিছু আমাদের চোখের সামনেই ঘটছিল, অথচ বহুবার অভিযোগ করেও প্রশাসন (Christian Conversion Racket) কিছু করেনি।”

    প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করা একাধিক খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে যে তারা সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। অর্থনৈতিক সাহায্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মাঝে মাঝে সম্পত্তির টোপ দিয়ে, তারা মানুষকে এমনভাবে ধর্মান্তরিত করছে, যাতে তাদের সম্মতি থাকে না। এই ধরনের কাজকর্ম চলে (Chhattisgarh) মানবিক সহায়তার মুখোশ পরে। স্থানীয়রা জন থমাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ এবং প্রতারণামূলক ধর্মান্তর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আরও বৃহৎ অভিযানের দাবি জানিয়েছেন (Christian Conversion Racket)।

  • US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও ভারতের (India) ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চলছে। একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানকে (US Defence Intelligence) কেবল একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে।

    ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট (US Defence Intelligence)

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার “২০২৫ ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট” রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত চিনকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে। সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত সত্ত্বেও পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তা সমস্যা হিসেবে দেখে ভারত সরকার। এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি বিষয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের প্রভাব মোকাবিলা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বে ভূমিকা জোরদারে ভারত, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ভারত যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র বিক্রি ও তথ্য আদান-প্রদান করছে। রিপোর্টটি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দু’টি বিতর্কিত জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারত ও চিন চুক্তিতে পৌঁছালেও সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী বিরোধের মীমাংসা এখনও হয়নি। তবে, এই পদক্ষেপ ২০২০ সালে বেড়ে যাওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে (US Defence Intelligence)।

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (DIA) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০২৫ সালেও “মেড ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগ চালিয়ে যাবে, যাতে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা যায়, সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বেগগুলি হ্রাস করা যায় এবং সামরিক ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ করা যায়। রিপোর্টে পরমাণু সক্ষম অগ্নি-প্রাইম মধ্য-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অগ্নি-৫ এর মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেটলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিক্যাল প্রযুক্তির পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।

    মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। কারণ ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। মোদি সরকারের অধীনে ভারত রাশিয়ায় তৈরি সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় কিছুটা কমালেও, রাশিয়ায় তৈরি ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমানের বড় মজুদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখনও রাশিয়ার খুচরো যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে (US Defence Intelligence)।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখে, কিন্তু পাকিস্তান ভারতকে অস্তিত্বের হুমকি বলে মনে করে। রিপোর্টে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ভারতীয় প্রচলিত সেনা শক্তির ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলার জন্য পাকিস্তান তার সামরিক আধুনিকীকরণ চালিয়ে যাবে, যার মধ্যে থাকবে (India) যুদ্ধক্ষেত্র উপযোগী পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “পাকিস্তান প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিদেশি সরবরাহকারী ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সামগ্রী সংগ্রহ করেছে (US Defence Intelligence)।”

LinkedIn
Share