Author: pranabjyoti

  • Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Trump Modi) আমেরিকা সফর খুব ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Trump Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি এটা আমার পুরো জীবন ধরে করে আসছি, তাই আমার কিছু রেফারেন্স পয়েন্ট আছে এবং তুলনামূলক মূল্যায়নের জন্য কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বলব, আমার মনে হয়েছে, সফরটি খুব ভালো হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “লোকেরা জানে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন খুব শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তিনি সেই জাতীয়তাবোধকে বিকিরণ করেন।”

    ট্রাম্প-প্রশস্তি

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী। আমার মনে হয় অনেকভাবে জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সম্মান করেন। তাঁরা খুব স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। তাঁরা তাঁদের দেশের জন্য কাজ করেন, ট্রাম্প স্বীকার করেন যে মোদি ভারতের জন্য কাজ করছেন, মোদিও স্বীকার করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার জন্য কাজ করছেন (Trump Modi)।” জয়শঙ্কর বলেন, “আমি অনুভব করেছিলাম… রসায়নটি (মোদি-ট্রাম্পের) ভালো ছিল। আবারও, ট্রাম্প কিছুটা অস্বাভাবিক, বিশ্বে অনেক অন্যান্য নেতা রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক ইতিহাস নেই। কিন্তু মোদিজির ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়। তিনি (ট্রাম্প) ভারতে দুর্দান্ত একটি সফর করেছিলেন, যা তিনি মনে রেখেছিলেন।”

    জয়শঙ্কর এদিন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের ওপর একটি ছবির বইয়ের উল্লেখ করেন। বলেন, “তাঁকে জানানো হয়েছিল যে ট্রাম্প নিজেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছবি বেছে নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ছবিই ছিল ভারত সম্পর্কে।এতে ২০২০ সালে তাঁর সফরের সময় আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টের একটি ছবিও ছিল।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনে হয় আমেরিকার স্বার্থ সম্পর্কে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তিনি কী চান এবং আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে কী চান। আমাদেরও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরাও আমেরিকার সঙ্গে সুযোগ এবং চাহিদা নিয়ে কথা বলছি (S Jaishankar)। তাই আমি মনে করি, এ নিয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং আমি বলতেই পারি, এটি খুব ভালো মনোভাব, আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে (Trump Modi)।”

  • RSS: “আরএসএস বটবৃক্ষের মতো, আমার মতো লাখো মানুষকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    RSS: “আরএসএস বটবৃক্ষের মতো, আমার মতো লাখো মানুষকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএস (RSS) বটগাছের মতো। আমার মতো লাখ লাখ মানুষকে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্ধুব্ধ করেছে।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। শুক্রবার দিল্লিতে তিন দিন ব্যাপী ৯৮তম অখিল ভারতীয় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি আরএসএসকে তুলনা করেন বটবৃক্ষের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই সংগঠন (আরএসএস) ভারতের মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক পবিত্র সাংস্কৃতিক অনুশীলন করে আসছে।” প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং এনসিপি (এসপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (RSS)

    প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, আরএসএসের জন্যই তিনি মারাঠি সংস্কৃতি ও ভাষার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের মাটিতেই মারাঠিভাষী এক মহাপুরুষ একশো বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন। আজ তা বটবৃক্ষের মতো শতবর্ষ পালন করছে। বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সংস্কার যজ্ঞ চালাচ্ছে। এ নিয়ে গর্ব বোধ করতে হবে।”

    আরএসএস-স্তুতি

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মতো লাখো মানুষকে (RSS) দেশের জন্য বাঁচার প্রেরণা জুগিয়েছে আরএসএস।” তিনি বলেন, “এই সম্মেলন এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের অভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে, যখন পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাই হোলকারের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে, এবং বাবাসাহেব অম্বেডকরের প্রচেষ্টায় গঠিত সংবিধান তার ৭৫তম বছরে পদার্পণ করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা এই গর্বও অনুভব করব যে মহারাষ্ট্রের মাটিতেই এক মহান মারাঠি ভাষাভাষী ব্যক্তি ১০০ বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন।” তিনি বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ আরএসএসের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার শিক্ষা পেয়েছে।” মারাঠি ভাষার ক্লাসিক্যাল ভাষার মর্যাদা পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা (PM Modi) করছিলেন। আমি একে আমার জীবনের একটি মহান মাইলফলক বলে মনে করি (RSS)।”

  • Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) চুক্তির বিধানের অধীনে রাজ্যের ১.৬৬ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Intruders) অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে। বুধবার অসম বিধানসভায় এ কথা জানান অসম চুক্তি বাস্তবায়ন মন্ত্রী অতুল বরা।

    কী বললেন মন্ত্রী?(Assam)

    কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩১ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৭০ জন অসমে প্রবেশ করেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর অসমে ঢুকেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। এটি হচ্ছে নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য অসম চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমা। এর পরেই মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত অসম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১১৫ জনকে অনুপ্রবেশকারীকে।

    অবৈধ অভিবাসন

    ঐতিহাসিকভাবে, অসম প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি দশকের পর দশক ধরে রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অভিবাসন রাজ্যের একাধিক জেলার জনসংখ্যার গঠনও পরিবর্তন করেছে। প্রসঙ্গত, অসম (Assam) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৮৫ সালে, ছ’বছরের অভিবাসনবিরোধী অসম আন্দোলনের পর। অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই চুক্তি।

    চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর পরে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি নাগরিক ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আগতদের ভোটাধিকার দশ বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৭১-এর পরে আসা অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, “চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১.৬৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হলেও, বহিষ্কারের সংখ্যা মোট চিহ্নিত অভিবাসীর তুলনায় নগণ্য।” অসমের বিভিন্ন আদি সংগঠন, বিশেষ করে অসম ছাত্র সংস্থা (AASU) মনে করে যে রাজ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এদিকে, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP) অসম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে (Bangladeshi Intruders)। একে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছে (Assam)।

  • Donald Trump: ভারতের ভোটে টাকা ঢেলে মোদিকে হারাতে চেয়েছিলেন বাইডেন! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারতের ভোটে টাকা ঢেলে মোদিকে হারাতে চেয়েছিলেন বাইডেন! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের অছিলায় ভারতের বুকে ছুরি মারতে চেয়েছিল আমেরিকা? ভারতে (India) ২১ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করে কি ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বাইডেন প্রশাসন? এমনই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতারা। পদ্ম-পার্টির নেতাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, প্রকারান্তরে তা স্বীকার করে নিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।

    ইউএসএইডের মাধ্যমে আমেরিকার খরচ (Donald Trump)

    সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের হার বাড়াতে ইউএসএইডের মাধ্যমে আমেরিকা খরচ করেছে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (সংক্ষেপে ডোগে) এমনতর দাবি করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। এই আবহে আমেরিকার করদাতাদের এই টাকা খরচ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মাস্ক। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশিত ট্রাম্পের এক ভাষণের ভিডিওতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমাদের কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমার মনে হয় ওরা (বাইডেন প্রশাসন— যারা অর্থায়ন করেছিল) অন্য কাউকে ভোটে জেতাতে চাইছিল। আমাদের এই বিষয়টি ভারত সরকারকে জানাতে হবে। এটা বিশাল বড় ব্রেকথ্রু। রাশিয়া আমাদের দেশের নির্বাচনের সময় ২ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছিল বিজ্ঞাপনে। সেটাই তো কত বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছিল। আর এটা তো ২১ মিলিয়ন ডলার!”

    অমিত মালব্যর পোস্ট

    প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছিলেন, “ভোটের হার বৃদ্ধি করতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ? এটা নিশ্চিতভাবে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। এর থেকে কারা লাভবান হচ্ছে? নিশ্চিতভাবে শাসক দল তো নয়।” পদ্ম-সাংসদ মহেশ জেঠমালানির দাবি (India), প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টির সঙ্গে এ নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন ইউএসএইডের প্রাক্তন ভারতীয় প্রধান বীণা রেড্ডি। এ নিয়ে নাকি যাবতীয় নির্দেশও দিতেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ফরাসি সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াপার্টের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বিজেপি আগেই অভিযোগ করেছিল, ওপেন সোস্যাইটি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ওসিসিআরপির মতো প্রক্সির মাধ্যমে (Donald Trump) ভারত নিয়ে ভুয়ো প্রচার করছিলেন জর্জ সরোস। এনিয়ে বাইডেন জমানায় বিজেপি একটি দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নিশানা করেছিল গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন ট্রাম্প

    বুধবার রাতে সৌদি আরবের উদ্যোগে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত এফআইআই প্রায়োরিটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “কী প্রয়োজন ছিল ভারতীয় ভোটারদের উৎসাহ দিতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করার? আমার সন্দেহ বাইডেন প্রশাসন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল। তারা হয়তো চেয়েছিল অন্য কেউ ভোটে জিতুক। এই বিষয়টি আমরা ভারত সরকারকেও জানাব।” দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসে সরকারের অপব্যয় কমাতে উদ্যোগী হন ট্রাম্প। তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি নামে একটি নয়া দফতর খুলেছেন। এই দফতরেরই মাথায় বসানো হয়েছে টেসলা কর্তা ইলন মাস্ককে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, ভারতীয়দের নির্বাচনে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। কিন্তু এবার থেকে সেই টাকা আর দেওয়া হবে না।

    ‘ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা’

    ভারতের পাশাপাশি অনুদান বন্ধ করা হবে অন্যান্য দেশেরও। এর সমর্থনেই নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের করদাতাদের ২১ মিলিয়ন ডলার কেন আমরা ভারতকে দেব?” সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী (India), বিশ্বের নানা প্রান্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশকেও দেওয়া হত ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সেই অর্থও বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। কেবল ভারত বা বাংলাদেশই নয়, মোজাম্বিক, মালি, নেপাল, সার্বিয়া, কম্বোডিয়ার মতো নানা দেশকে নানা খাতে দেওয়া অনুদানের অর্থও বন্ধ করার কথাও জানিয়েছেন মাস্ক।

    ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও চড়া শুল্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন করদাতাদের টাকা ভারতের ভোট করানোর জন্য বরাদ্দ হওয়া উচিত নয়। কারণ, ভারতের প্রচুর টাকা আছে। আর বিশ্বের অন্যতম চড়া শুল্কের দেশ ভারত।” ট্রাম্প আরও বলেন, “ভারতের জন্য আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও আমার শ্রদ্ধা আছে। দুদিন আগেই তিনি এদেশে সফর করে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও, ভারতে ভোট করাতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান অযৌক্তিক বলেই মনে হয় (India)! তাই আর নয় (Donald Trump)।”

  • Delhi New CM: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ রেখা গুপ্তর, চিনুন বিজেপির এই নেত্রীকে

    Delhi New CM: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ রেখা গুপ্তর, চিনুন বিজেপির এই নেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন বিজেপির রেখা গুপ্ত (Delhi New CM)। আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান (Rekha Gupta)। বুধ-সন্ধ্যায় বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম ঘোষণা করেন রেখার।

    রেখা এবারই প্রথম বিধায়ক (Delhi New CM)

    বছর পঞ্চাশের রেখা এবারই প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শালিমার বাগ কেন্দ্রের বিধায়ক। ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপের বন্দনা কুমারীকে। রেখা হলেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে ওই পদে বসেছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আপের অতিশী।

    হরিয়ানায় জন্ম রেখার

    ১৯৭৪ সালের ১৭ জুলাই হরিয়ানার জুলানায় জন্ম রেখার। দিল্লির দৌলত রাম কলেজ থেকে বিকম পাশ করেন। পরে মিরাটের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি লাভ করেন। আরএসএসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ৩২ বছরের। ১৯৯২ সালে তিনি যখন দৌলত রাম কলেজে ছিলেন, তখন তিনি এবিভিপি করতেন। ১৯৯৫-৯৫ সালে তিনি ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদক। তার পরের বছরই হন সভাপতি (Rekha Gupta)।

    বিজেপিতে যোগ ২০০২ সালে

    ২০০২ সালে রেখা (Delhi New CM) যোগ দেন বিজেপিতে। দলের যুব শাখার জাতীয় সম্পাদক হন। মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মহিলা শাখার দায়িত্বেও ছিলেন রেখা। হয়েছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতিও। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে রেখা দিল্লি পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে কাউন্সিলর হন। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন শালিমার বাগের কাউন্সিলর। ছিলেন নাগরিক সংস্থার নারী কল্যাণ ও শিশু উন্নয়ন কমিটির প্রধান। ২০০৭ সালে দিল্লির পুরভোটে রেখা প্রথমবার উত্তর পিতমপুরা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি তিনবারের কাউন্সিলর এবং দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র (Delhi New CM)। ২০২২ সালের পুরভোটে রেখাকে আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও সেবার জিততে পারেননি রেখা।

    রেখা বৈশ্য সম্প্রদায়ের

    রেখাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি। রেখা বৈশ্য সম্প্রদায়ের। দিল্লির একটি বড় অংশের ভোটার এই সম্প্রদায়ের। দিল্লি একাধিক নারী মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের ১৫ বছরের শাসনকাল অন্যতম। বছর ২৭ আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ। দিল্লির শেষ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কালকাজির বিধায়ক আতিশী। তিনি মাত্র পাঁচ মাস ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ নেত্রীকে।

    রেখাকেই বেছে নিল বিজেপি

    রেখাকে মুখ্যমন্ত্রী (Delhi New CM) পদে বেছে নিতে বুধবার বৈঠকে বসে গেরুয়া শিবিরের সংসদীয় বোর্ড। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ওমপ্রকাশ ধনখড় হবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। ওই দুই পর্যবেক্ষক বুধবার সন্ধেয় দিল্লির বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। পরিষদীয় দলের বৈঠকেই পরিষদীয় দলের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় শালিমার বাগের বিধায়কের নাম। এদিন সন্ধেয় নাম ঘোষণার পরেই বিজেপি বিধায়করা রওনা দিয়েছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপালের বাসভবনের উদ্দেশে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের দাবি জানান রেখা। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, দিল্লির জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Rekha Gupta) তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী।

    রেখাকে শুভেচ্ছা বিজেপির

    রাজধানীর চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দিল্লি বিজেপি। সেখানে লেখা হয়েছে, “দিল্লি বিজেপির নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য শ্রীমতি রেখা গুপ্তজিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস যে আপনার নেতৃত্বে রাজ্য এগিয়ে যাবে।” উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে পরবেশ শর্মাকে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। পরবেশ জানান, নারী সশক্তিকরণের লক্ষ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রেখাকে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে।

    রেখার শাশুড়ির প্রতিক্রিয়া

    আদরের বউমা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন শুনে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রেখার শাশুড়ি। তিনি বলেন, “চমকেগা নাম রেখা গুপ্ত, চমকেগা দিল্লি।” বউমাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি বলেন, “রাজনীতির পাশাপাশি বউমা ঘরের কাজটাও নিপুণ হাতে সামলান।” স্ত্রীর সাফল্যে গর্বিত রেখার স্বামী মণীশও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখার নাম ঘোষণা হতেই খুশিতে মেতে ওঠেন তাঁর পড়শিরা। তা দেখে রেখার শাশুড়ি বলেন, “আশপাশে দেখ একেবারে উৎসবের মেজাজ (Rekha Gupta)। বিয়েবাড়ির চেয়েও বেশি আনন্দ এখানে। সবাই আনন্দে নাচছে, লাফাচ্ছে। চারদিকে কেবলই খুশির হাওয়া (Delhi New CM)।”

  • PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। বিজেপির (BJP) দাবি, তাঁর মিস্টার ক্লিন ইমেজ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দক্ষতার জেরে আপ দুর্গে বিজেপির ধস নামানো হয়েছে অনায়াস। এ সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কল্যাণে। সেই কারণেই ফের প্রধানমন্ত্রীকেই নির্বাচনী প্রচারে চাইছেন চলতি বছর যে দুই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে, সেখানকার নেতা-কর্মীরা। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। এই দুই রাজ্যেই চলতি মাসেই দুটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর ভোট রয়েছে অসমে। সেখানেও একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাগলপুরে জনসভা (PM Modi)

    ২৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের পূর্বাঞ্চলের ভাগলপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই তাঁর অসম সফরেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে পদ্ম শিবির। বিহারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর অসমে ভোট হবে এক বছর পরে। সম্ভবত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম সফরে যাবেন। যেখানে তিনি উদ্বোধন করবেন নতুন পামবান সেতুর। এই সেতু রামেশ্বরম দ্বীপ শহরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে।

    ভিড় টানতে শুরু সলতে পাকানোর কাজ

    গত এক দশক ধরে অসমের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, নীতীশ মাঝেমধ্যেই শিবির বদলে বিপাকে ফেলে গেরুয়া শিবিরকে। তাই বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে সে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাগলপুরে নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অসমেও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সে রাজ্যে নির্বাচন হবে আগামী বছর, তবুও এখন থেকেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন অসমের বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনসভায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় টানতে জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন এই দুই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই।

    প্রধানমন্ত্রী ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তি প্রদান করবেন। তিনি এদিন কিছু কৃষককে সম্মানিতও করবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ভাগলপুরে একটি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেবেন অসমের উদ্দেশে। দুদিনের সফরে অসম যাবেন তিনি। সেখানে তিনি ‘অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০’ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন (BJP)। সারুসজাই স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণও দেবেন। এই অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে একটি বিশাল ঝুমুর নৃত্য পরিবেশিত হবে (PM Modi)।

  • Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    Golwalkar: আজ আরএসএসের ‘গুরুজি’র জন্মদিন, চিনে নিন এই মহান দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি। শ্রী মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের (Golwalkar) জন্মদিন। যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কাছে ‘গুরুজি’ মানে শুধুই তিনি। তিনি ডক্টর কেশব বালিরাম হেডগেওয়ারের পর দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক। তাঁর ৩৩ বছরের কার্যকালে, বিশেষ করে স্বাধীনতার পরে সংঘকে বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিতে পরিণত করেছিলেন তিনিই। আজ তাঁর ১১৯তম জন্মদিন।

    “গুরুজি” (Golwalkar)

    ১৯০৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নাগপুরের কাছে রামটেক নামে একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুরুজি। তিনি ছিলেন পরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে একমাত্র জীবিত সন্তান। তিনি বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মহান জাতীয়তাবাদী নেতা শ্রী মদন মোহন মালব্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি প্রাণীবিদ্যা পড়াতে শুরু করেন। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। স্নেহভরে তাঁকে “গুরুজি” নামে ডাকতে শুরু করেন তাঁরা। সেই থেকে তিনি গুরুজি নামেই পরিচিত।

    সংঘচালক

    ১৯৩২ সালে হেডগেওয়ার গুরুজিকে বিএইচইউয়ের সংঘচালক হিসেবে নিয়োগ করেন। ১৯৩৬ সালে গুরুজি আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে বাংলার সারগাছিতে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী অখণ্ডানন্দের সেবা করেন দুবছর ধরে। ১৯৪০ সালে হেডগেওয়ারের মৃত্যু হলে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে গুরুজি (RSS) সংঘের সরসংঘচালক (Golwalkar) পদ গ্রহণ করেন। গুরুজির ওপর ছিল গুরু দায়িত্ব। প্রথমত, তাঁকে আরএসএসকে একটি শক্তিশালী ক্যাডার-ভিত্তিক সংগঠনে পরিণত করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে নিজেকেও এমন একটি সংগঠন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করতে হয়েছে। অনেকেই তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন সদস্য ছিলেন। তবে গুরুজি তাঁর দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একজন দক্ষ নেতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন।

    জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা

    দেশ ভাগের সময় সমস্যা শুরু হয় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে। পাকিস্তান কাশ্মীরকে তাদের মুকুটের রত্ন হিসেবে দেখেছিল। কারণ আক্ষরিক অর্থেই কাশ্মীর “ভূস্বর্গ”। ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, “লৌহপুরুষ” সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ও তাঁর সচিব ভি.পি. মেননের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ৫০০-রও বেশি দেশীয় রাজ্যকে ভারতে একীভূত করা হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরের বিষয়টি নিজে সামলাতে চেয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে তিনি তা (Golwalkar) আরও জটিল করে তুলেছিলেন।

    হরি সিংকে রাজি করালেন গুরুজি

    দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার হিন্দু রাজা তিনি। মহম্মদ আলি জিন্না জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজাকে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শেখ আবদুল্লার চাপ। তিনি নেহরুর সমর্থন পাচ্ছিলেন। তখনই কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বিদ্রোহের প্রস্তুতির জন্য রাজ্যে ব্যাপকভাবে অস্ত্র পাচার করা হয়। লর্ড মাউন্টব্যাটেন স্বয়ং কাশ্মীরে গিয়ে হরি সিংকে পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে, সেই সময় কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী আরসি কাক হরি সিংকে স্বাধীন থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই সব কিছু মহারাজা হরি সিংকে বিভ্রান্ত করে তোলে। তিনি এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। তাঁর সামনে তখন মাত্র তিনটি বিকল্প পথ খোলা ছিল। এক, হয় তাঁকে পাকিস্তানে যোগ দিতে হবে, দুই, নয় তাঁকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে এবং তিন, তা না হলে তাঁকে স্বাধীন থাকতে হবে। হরি সিং পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তিনি ভারতের সঙ্গেও যুক্ত হতে চাননি। কারণ তিনি নেহরুর মনোভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নেহরু শেখ আবদুল্লাকে সমর্থন করতেন। হরি সিং স্বাধীনও থাকতে পারেননি। কারণ (RSS) তিনি পাকিস্তানের আগ্রাসনের আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর কাছে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল (Golwalkar) না।

    কাশ্মীরের ভারতভুক্তি

    সমস্ত নেতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হরি সিংকে যখন রাজি করানো গেল না, তখন সর্দার প্যাটেল গুরুজিকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে তাঁকে হরি সিংকে রাজি করাতে অনুরোধ করেন। গুরুজি তখনই তাঁর সমস্ত কাজ ফেলে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। গুরুজিই হরি সিংকে ভারতভুক্তিতে সম্মত করান। এই বৈঠকের পর, হরি সিং দিল্লিতে সংযুক্তির প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু, গুরুজি বুঝতে পারলেন যে এই সংযুক্তি সহজ হবে না। তাই, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সকল আরএসএস কর্মীদের নির্দেশ দেন যে তাঁরা যেন কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেন। আরএসএসের কর্মীরা গুরুজির আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।

    পরবর্তীকালে গুরুজি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা সংঘ পরিবারকে আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন এই বলে যে, এই সমস্ত সংগঠনের মূল আদর্শ সব সময় একই থাকবে। সেটি হল আমাদের মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। গুরুজি (RSS) সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী সরসংঘচালক। তিনি তাঁর চিন্তা, নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার মাধ্যমে বহু প্রজন্মের স্বয়ংসেবকদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন (Golwalkar)।

  • Rani Rashmoni: আজ রানি রাসমণির জন্মতিথি, অহল্যাবাঈয়ের সঙ্গে তাঁর মিল কোথায় জানেন?

    Rani Rashmoni: আজ রানি রাসমণির জন্মতিথি, অহল্যাবাঈয়ের সঙ্গে তাঁর মিল কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, রানি রাসমণির (Rani Rashmoni) জন্মতিথি। হিন্দু ধর্ম সংরক্ষণ, সামাজিক সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করা এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ (Ahilyabai Holkar) গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি। তিনিই বাংলার অহল্যাবাঈ হোলকর নামে পরিচিত। সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অবিচল শ্রদ্ধা এবং সমাজ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর ছিল গভীর অন্তর্দৃষ্টি।

    অহল্যাবাঈ হোলকর (Rani Rashmoni)

    এ বছর অহল্যাবাঈ হোলকরের ত্রিশততম জন্মবার্ষিকী। তাঁর সঙ্গে বহু বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে রানি রাসমণির। এই দুই মহিয়সী নারীই হিন্দু ঐতিহ্যের রক্ষক, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ ও প্রাতিষ্ঠানিক দানশীলতার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৭৯৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার কোণা গ্রামে জন্ম রাসমণির। তিনি ছিলেন প্রভাবশালী জমিদার, দক্ষ উদ্যোক্তা ও দূরদর্শী সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন দেবী কালীর ভক্ত। ১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত এই মন্দির নিছকই একটি উপাসনাস্থল নয়, এটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক জাগরণের কেন্দ্রবিন্দুতে।

    রাসমণির প্রতিষ্ঠিত মন্দির

    রাসমণির প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দেবীর নাম ভবতারিণী। এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ। তাঁরই শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায় গঠিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। এই রামকৃষ্ণ মিশনের গভীর প্রভাব আজও বিদ্যমান। এই মিশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো ব্যক্তিত্বদের আজও অনুপ্রাণিত করে চলেছে। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে রাসমণির উত্তরাধিকার আজও আলোচনা ক্ষেত্রে সমান প্রাসঙ্গিক। রাসমণির কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা কেবল ভগবৎ ভক্তির প্রকাশ ছিল না, ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রভাবের বিরুদ্ধে হিন্দু পরিচয়ের এক সুপরিকল্পিত ঘোষণা। এই মন্দির পরবর্তীকালে উদীয়মান জাতীয়তাবাদী চেতনার কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে। এখানে ধর্মীয় পরিচয় আত্মশাসনের চেতনার সঙ্গে যুক্ত হয়। এটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের আদর্শ পূর্বসূরি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    রাসমণির অবদান

    রাসমণির অবদানগুলির (Rani Rashmoni) সঙ্গে মালবার মহিমান্বিত রানি পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ হোলকরের চেষ্টার বিষয়ে একটি সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। অহল্যাবাঈয়ের স্থাপত্য পৃষ্ঠপোষকতার ফলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ, চার ধাম, জ্যোতির্লিঙ্গ ও শক্তিপীঠগুলোর সংস্কার এবং অসংখ্য মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়েছিল। একইভাবে, রানি রাসমণি গঙ্গার তীরে বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট ও নিমতলা ঘাট নির্মাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি মেদিনীপুর থেকে পুরী পর্যন্ত এক বিস্তৃত তীর্থযাত্রার পথ নির্মাণে অর্থায়ন করেছিলেন (Ahilyabai Holkar)।

    দৃঢ়চেতা নারী

    এই দুই দৃঢ়চেতা নারীই বহিরাগত শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন। রানি রাসমণি সাহসিকতার সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনের বাণিজ্যিক কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করেন। ফলে ব্রিটিশ প্রশাসন বাধ্য হয় জেলেদের ওপর ধার্য করা কর প্রত্যাহার করতে। ব্রিটিশরা হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন রাসমণি। তার জেরে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়েছিল হিন্দু ধর্মীয় শোভাযাত্রার অনুমতি দিতে। প্রায় একই ভূমিকা পালন করেছিলেন অহল্যাবাঈও। তিনিও অনুরূপ প্রতিরোধমূলক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তাঁর শাসনব্যবস্থায় স্বদেশি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থায়নের মাধ্যমে হিন্দু সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে আপোস করেননি তিনি।

    অহল্যাবাঈয়ের স্থাপত্য

    অহল্যাবাঈয়ের স্থাপত্য পৃষ্ঠপোষকতার ফলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ হয়েছিল। চার ধাম, জ্যোতির্লিঙ্গ এবং শক্তিপীঠের সংস্কারও করেছিলেন তিনি। দুই নারীই অসম সাহসী। ব্রিটিশদের আরোপিত শাসনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তাঁরা। অহল্যাবাঈ তাঁর প্রশাসনে আদিবাসী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিন্দু সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে জোট বাঁধার পরিবর্তে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা।

    ধর্মীয় অবদান

    ধর্মীয় অবদানের পাশাপাশি (Rani Rashmoni) রাসমণি প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তবে তার শিকড় ছিল গভীরভাবে প্রথাগত মূল্যবোধের মধ্যে প্রোথিত। তিনি বিধবা বিবাহ প্রচারের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছিলেন। বহুবিবাহ প্রথার বিরোধিতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে একটি আবেদনপত্রও পাঠিয়েছিলেন। তাঁর দানশীলতা শিক্ষা ও জনকল্যাণ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরি (বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থাগার) এবং হিন্দু কলেজ (Ahilyabai Holkar) (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়)-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। এই দুই প্রতিষ্ঠানই বাংলার বুদ্ধিবৃত্তিক নবজাগরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাঁর অর্থনৈতিক দক্ষতা, তাঁর বিশাল জমিদারি পরিচালনার ক্ষমতার মাধ্যমেও প্রতিফলিত হয়েছিল। তিনি ঔপনিবেশিক প্রশাসনের দ্বারা সৃষ্ট আইনি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করেছিলেন দক্ষতার সঙ্গে। এসবই তিনি করেছিলেন যাতে তাঁর সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনার জন্য জমি দান করে, তিনি সূক্ষ্মভাবে ব্রিটিশদের বাংলার হিন্দু ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

    রাসমণির প্রভাব

    রানি রাসমণির প্রভাব তাঁর জীবদ্দশার অনেক পরে পর্যন্তও স্থায়ী ছিল। জানবাজারে তাঁর বার্ষিক দুর্গাপূজা উদযাপন ঐতিহ্যবাহী উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। এটিও পরোক্ষে ঔপনিবেশিক প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সেখানে হিন্দু সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি সচেতনভাবে দেশীয় বিনোদনের রূপ, যেমন যাত্রা মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তিনি তৎকালীন অনেক জমিদারের মতো পাশ্চাত্যধর্মী উৎসবকে উৎসাহিত করেননি। এই সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের দাবি তাঁকে ঔপনিবেশিক বাংলার হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।

    রাসমণির উত্তরাধিকার

    রাসমণির উত্তরাধিকারের প্রতিধ্বনি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায় ১৯৯৪ সালে। যখন ভারত সরকার তাঁর সম্মানে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। তবে এই ধরনের প্রতীকী স্বীকৃতির পরেও, গত কয়েক দশকে বাংলার বৃহত্তর ধর্মীয় পরিচয় গভীর সংকটের মুখে পড়েছে। যে অঞ্চল একসময় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহাপুরুষদের লালন করেছিল, সেখানেই (Rani Rashmoni) ধীরে ধীরে তার আধ্যাত্মিক ও জাতীয়তাবাদী চেতনার ক্ষয় পরিলক্ষিত হয়।

    অহল্যাবাঈ হোলকর ও রানি রাসমণি

    অহল্যাবাঈ হোলকর ও রানি রাসমণির ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলি ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিফলন ঘটায়। তাঁদের দৃঢ়তা, ভক্তি এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আধুনিক সমাজে প্রচলিত সেই ভুল ধারণাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে, যা হিন্দু রানি ও নারী নেতৃবৃন্দের প্রভাবকে উপেক্ষা করে। আধুনিকতার স্রোতে আমরা এগিয়ে চললেও, এমন অনন্য ব্যক্তিত্বদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করা আমাদের প্রয়োজন (Ahilyabai Holkar)। কারণ এঁরাই আধ্যাত্মিকতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং শাসনব্যবস্থাকে দক্ষতার সঙ্গে একীভূত করেছিলেন।

    অহল্যাবাঈ হোলকরের ত্রিশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন রানি রাসমণির স্থায়ী উত্তরাধিকার পুনর্মূল্যায়নের এক উপযুক্ত সুযোগ এনে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রতি আমাদের সচেতন করে তোলে। সাংস্কৃতিক গর্ব পুনরুদ্ধার, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং এই অঞ্চলের হিন্দু ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রানি রাসমণির অবিচল (Ahilyabai Holkar) মনোবল আমাদের পথ দেখায়। তাঁর দেখানো পথে হাঁটলে বাংলা আবার তার ধর্মীয় শিকড়ে ফিরে গিয়ে আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের মতে (Rani Rashmoni)।

  • RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নিবিড় প্রচারের সুফল কুড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র হয়েছে পদ্মময়। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পাখির চোখ বিহার। চলতি বছর হওয়ার কথা বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls)। সেখানে বিজেপিকে সাহায্য করতে তাই কোমর বেঁধে নামছেন সংঘের নেতারা।

    দিল্লি জয়ে আরএসএসের ভূমিকা (Bihar Assembly Polls)

    উল্লেখ্য যে, আরএসএসকে জেতাতে দিল্লির প্রতিটি প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি সভা করেছে আরএসএস। বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছে ভোটারদের। বিহারের পাশাপাশি আরএসএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করতে মিশন ত্রিশূল হাতে নিয়েছে আরএসএস। এই মিশনে একটি কৌশল গঠিত হয়েছে তিনটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস (RSS)। শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, আরএসএস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলি হল, গোপান সমীক্ষার মাধ্যমে অসন্তুষ্ট ভোটার ও প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ঠিক করতে সব চেয়ে প্রভাবশালী ইস্যুগুলি নির্ধারণ করা এবং এই ইস্যুগুলির ভিত্তিতে বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা। আরএসএসের এই সমীক্ষা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য আরএসএসের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিহারজুড়ে শাখার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ আরও দৃঢ় করা যায়।

    বিহারে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টার কসুর করছে না আরএসএস। ভালো ফলের জন্য বিহারকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করা হয়েছে। মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে আরএসএসের সভা। সেখানে দুর্বল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করতে একটি ব্যাপক বুথ-স্তরের সমীক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। বিহার এমন একটি রাজ্য যেখানে বিজেপি কখনও এককভাবে সরকার গঠন করেনি। সেই কারণেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস। আরএসএস সক্রিয়ভাবে কৌশলও তৈরি করছে। সেই কৌশল কাজে লাগিয়েই বিহারে (Bihar Assembly Polls) এবার বাজিমাত করতে চাইছে আরএসএস (RSS)।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    মণিপুরের পরিস্থিতি

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উতপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। তার জেরেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur)।

LinkedIn
Share