Author: pranabjyoti

  • Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” সোমবার নিউ ইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের পর কথাগুলি বলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। অস্থির অংশীদারিত্বকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ওই বৈঠকে বসেছিলেন রুবিও এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Rubio Jaishankar Meet)। এই বৈঠকেরই দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa Row) জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের ফি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেও রুবিও-র এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Rubio Jaishankar Meet)

    রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। কারণ এই গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া হারে মার্কিন শুল্ক আরোপিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে দুই নেতাই আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বার্তা তুলে ধরতে আগ্রহী ছিল।

    ভারত মার্কিন সম্পর্ক

    এদিন বৈঠক শেষে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রুবিও বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” তিনি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে নয়াদিল্লির অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, “কোয়াডের মাধ্যমেও একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” ফের একবার ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার কথার উল্লেখ করে বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “আমাদের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় (Rubio Jaishankar Meet) অন্তর্ভুক্ত ছিল। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতি আনতে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা যোগাযোগ বজায় রাখব।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভিসা ঘোষণা

    শুক্রবার ভিসা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তামাম বিশ্বে, বিশেষত ভারতে। কারণ এইচ-১বি ভিসার সব চেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ ভারত। গত বছর যেখানে মোট অনুমোদনের ৭১ শতাংশ ভারত পেয়েছিল, সেখানে চিন পেয়েছিল ১২ শতাংশেরও নীচে। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া  এই ফি ভারতীয় আইটি পরিষেবা (H 1B Visa Row) দানকারীদের ব্যয় অত্যধিক বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ তারা এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল (Rubio Jaishankar Meet)।

    শুল্ক বিবাদ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই আঘাতটি দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। গত জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরে আবারও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে। শুধু তাই নয়, সেই তেল বিক্রিও করছে ভারত। স্রেফ এই কারণ দর্শিয়েই চুপ করে যাননি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারিও দেন  যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে মাশুল গুণতে হবে নয়াদিল্লিকে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক আরোপের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার ওপর প্রভাব পড়ে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে উভয় পক্ষই ফের আলোচনায় বসেছিল। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একে ইতিবাচক আলোচনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি একটি চুক্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে (H 1B Visa Row)।

    কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত

    নানান বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। জুলাই মাসে রুবিও এবং জয়শঙ্কর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াডের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। সোমবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, যা শুল্কবিরোধ বাড়ার পর প্রথম, তার উদ্দেশ্যই ছিল এই বার্তা দেওয়া যে দুই দেশের সহযোগিতা এখনও অটুট রয়েছে (Rubio Jaishankar Meet)।

    প্রসঙ্গত, শুল্কবিতর্কে থমকে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই। দিন কয়েক আগেই বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি এসেছিল আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল। সোমবার ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আমেরিকার গিয়েছেন (H 1B Visa Row)। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই পথ আরও মসৃণ করতেই ফের ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা (Rubio Jaishankar Meet)।

  • Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষের অবসান শেষে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। এই দেবীপক্ষেই বাংলায় দেবীমূর্তির (Durga Puja) আবরণ উন্মোচন করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চতুর্থীর দিন দুপুরের মধ্যে কলকাতায় আসবেন শাহ। তার পরে শহরের দু’টি নামী পুজোর উদ্বোধনে যোগ দেবেন তিনি। একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো, অন্যটি ইজেডসিসির দুর্গাপুজো। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো নামেই বিখ্যাত।

    থিমের অভিনবত্ব সজল ঘোষের পুজোয় (Amit Shah)

    থিমের অভিনবত্বের কারণেই ফি বছর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে সজল ঘোষের পুজো। কখনও অযোধ্যার রামমন্দির, কখনও আবার দিল্লির লালকেল্লা করে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন তিনি। এবার এই পুজোর থিম হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। মূলত এই থিমেরই উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই পুজো এবার পা দিল ৯০ বছরে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করে শাহ (Amit Shah) যাবেন ইজেডসিসির পুজোর উদ্বোধন করতে। এই পুজোর আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামের এক সংগঠন। এই পুজো শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। তিনি তখন ছিলেন বিজেপিতে। পরে তৃণমূলেই ফিরে যান দলবদলু মুকুল। পুজো হয়েছিল তার পরের বছরও। পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের হচ্ছে সেই পুজোর আয়োজন। খুঁটিপুজোর দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপ উদ্বোধনেও যাবেন শাহ

    বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি মণ্ডপ উদ্বোধনেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সেটি কোন মণ্ডপ কিংবা উদ্যোক্তাই বা কারা, সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পদ্ম-নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রটি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর লাগোয়া এলাকায়, তা নিশ্চিত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এ বছর তড়িঘড়ি করে পিতৃপক্ষেই ‘হিজাব’ পরে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন মমতা। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার (Durga Puja) শাহকে এনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিমের উদ্বোধন করিয়ে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে চাইছে পদ্মশিবির (Amit Shah)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (POK) খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করার প্রয়োজনও পড়বে না। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছেন সেখানকার মানুষই।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Rajnath Singh)

    দু’দিনের সফরে রবিবার মরক্কোয় গিয়েছেন রাজনাথ। সেখানে তিনি দেখা করেন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাঁচ বছর আগে আমি কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে আমাদের আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই। ওটা এমনিতেই আমাদের হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই বলবেন, আমরা ভারতের অংশ। ওই দিন আসতে চলেছে।” রাজনাথ বলেন, “সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের কাছে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।”

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    ভারত বরাবরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গত বছর এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, “পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) কখনওই ভারতের বাইরের অংশ ছিল না। সেটি এই দেশের অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি রেজোলিউশন রয়েছে, যাতে বলা আছে, পিওকে ভারতেরই অংশ। এখন অন্যের কাছে পিওকের নিয়ন্ত্রণ কী করে গেল, তা আলোচনার বিষয়।”

    কী বললেন রাজনাথ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালানোর সময় পিওকে দখলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। বিভিন্ন বিরোধী দলের বহু নেতা সমালোচনা করেছিলেন এই বলে যে ভারত একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার পরেও যখন ভারতের প্রাধান্য ছিল, তখন কেন্দ্র কেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল। তাঁদের দাবি ছিল, তখন পাকিস্তান অধিকৃত ভূখণ্ড দখল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল।”

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    প্রসঙ্গত (Rajnath Singh), মরক্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেরেশিদে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমসের নয়া উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন করবেন। এখানে হুইলড আর্মার্ড প্ল্যাটফর্ম ৮*৮ তৈরি হবে। এটি আফ্রিকায় ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাজনাথ মরক্কোর নয়া (POK) উৎপাদন কেন্দ্রটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য, এটি ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মরক্কো সফরের প্রথম ঘটনা। তিনি মরক্কোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেলতিফ লৌদিয়ির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।

    মউ স্বাক্ষর

    রাজনাথের এই সফরে ভারত ও মরক্কো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও প্রসারিত ও গভীর করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেবে, যার মধ্যে থাকবে বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও শিল্পখাতের সংযোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি নিয়মিতভাবে কাসাব্লাঙ্কা বন্দরে নোঙর করছে। এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “চাইলে আমরা (পাকিস্তানের) যে কোনও সেনাঘাঁটি বা লোকালয়ে হানা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। ভারতকে আমরা নীতিবিচ্যুত হতে দিইনি।” পহলেগাঁওয়ে ধর্ম পরিচয় জেনে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমরা কাউকে ধর্ম পরিচয়ের জন্য হত্যা করিনি। হত্যা করেছি তাদের কাজকর্মের জন্য।” অপারেশন সিঁদুর ফের যে কোনও দিন শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “ভারত যে কোনও সময় অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরু করতে পারে। পাকিস্তান যদি জঙ্গি হামলা চালানোর বা অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানোর সাহস দেখায়, তাহলে ভারত আবারও অপারেশন সিঁদুর শুরু করতে দ্বিধা করবে না (POK)।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, মিলছে না প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। বেহাল দশা শিক্ষা ব্যবস্থার। তার ওপর চাপানো হয়েছে মোটা অঙ্কের কর। তাই তাঁরা পাক সরকারের শাসনে থাকতে রাজি নন (Rajnath Singh)।

  • Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি (Navratri) উৎসব। হিন্দু চান্দ্র-সূর্য ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে সূচনা হয় নবরাত্রি উৎসবের। শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দিন। এই উৎসব পালিত (RSS) হবে ঘটস্থাপন, ব্রত, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ, উপোস এবং আঞ্চলিক রীতিনীতি মেনে।

    হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ (Navratri)

    নবরাত্রি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ – একটি আচার, একটি দর্শন এবং কর্মে আহ্বান। ন’রাত ধরে হিন্দুরা মা দুর্গা, মা চণ্ডী এবং মা ভবানীর উপাসনা করেন। এর মাধ্যমেই আহ্বান করা হয় সেই চিরন্তন শক্তিকে, যা সমাজকে পরাধীনতা ও নৈতিক অধঃপতন থেকে রক্ষা করেছে। এই আহ্বান আধ্যাত্মিক এবং অস্তিত্বময় উভয়ই। এটি মনে করিয়ে দেয় যে পরিচয়, সাহস এবং ধর্মকে সচেতনভাবে রক্ষা করতে হবে এবং কাজে প্রতিফলিত করতে হবে।

    হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা

    গত এক হাজার বছরের ভারতীয় ইতিহাস প্রমাণ করে মুঘল আক্রমণ থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন পর্যন্ত, এবং আধুনিক যুগে মতাদর্শগত আক্রমণ থেকে সাংস্কৃতিক বিকৃতি পর্যন্ত হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে। তা সত্ত্বেও হিন্দু পরিচয়ের সূত্র কখনও ছিন্ন হয়নি। রাজা ও ঋষি উভয়েই দেবীর আহ্বান করেছেন সম্মিলিত চেতনায় শক্তি জাগ্রত করতে। এই শক্তিই রক্ষা করেছেন মহারানা প্রতাপের মেবারের সার্বভৌমত্ব, প্রাণিত করেছেন গুরু গোবিন্দ সিংজি খালসাকে। এই শক্তির সাহায্যেই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আত্মমর্যাদা ও ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছেন। এসব কাজ কেবল যুদ্ধজয়ের ঘটনা নয়, বরং সভ্যতার স্থিতিশীলতা, নৈতিক সাহস এবং ধর্মনির্ভর জাতীয়তাবাদের ঘোষণাপত্র।

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে আরএসএসের পদক্ষেপ

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে গত ১০০ বছর ধরে এর চারা গাছে নিত্য জল দিয়ে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএস (RSS)। তাদের লক্ষ্য শুধু সমাজকে সুসংগঠিত করা নয়, বরং হিন্দু সভ্যতার চিরন্তন শক্তিকে পুনর্জাগরণ করা – শৃঙ্খলা, নৈতিক সাহস, সাংস্কৃতিক আত্মসচেতনতা এবং সমষ্টিগত পরিচয় (Navratri)। এটাই হিন্দু জাতীয়তাবাদের মূল সত্তা। এটি একটি দৃঢ়, আত্মসচেতন এবং নৈতিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত চেতনা, যা আক্রমণাত্মক না হয়ে বা আপোস না করেই নিজের পরিচয়কে রক্ষা ও উদযাপন করে চলেছে। এ বছরের নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরএসএস প্রতি বিজয়া দশমীতে মা ভারতীকে আহ্বান করেছে শক্তি, সাহস ও ধর্মীয় কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে।

    শতবর্ষে আরএসএস

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করবে আরএসএস। এটি হিন্দু সভ্যতা রক্ষায়, পরিচয়, মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদ সংরক্ষণে এক শতাব্দীর নিবেদিত সেবার প্রতীক। এই শতবার্ষিকী আমাদের প্রাণবন্তভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে শক্তির চিরন্তন দর্শন হল সত্যকে রক্ষা করা, অত্যাচারের বিরোধিতা করা এবং শুভের দ্বারা অশুভের জয় নিশ্চিত করা – চিরকালীন ও প্রতিটি প্রজন্মে জীবন্ত। নবরাত্রি নিজেই শক্তিবোধের এক গভীর পাঠ। এটি অন্তর্নিহিত ও সামষ্টিক শক্তির জাগরণ। শৈলপুত্রী থেকে সিদ্ধিদাত্রী পর্যন্ত দেবীর ন’টি রূপ শুধু আধ্যাত্মিক গুণের প্রতীকই নন, বরং সাহস, প্রজ্ঞা ও কর্মের বাস্তব নীতিরও প্রতিফলন। নির্ভীক কালরাত্রি শেখান যে অন্ধকার, অজ্ঞতা ও অন্যায়কে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কল্যাণময়ী মহাগৌরী শেখান ন্যায়, পবিত্রতা ও শৃঙ্খলাই মজবুত কোনও শক্তির ভিত্তি। এই প্রতীকগুলির মাধ্যমে নবরাত্রি এক সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রমে রূপান্তরিত হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে টিকে থাকা, আত্মসম্মান ও পরিচয় রক্ষার জন্য অন্তরের শক্তি যেমন প্রয়োজন, তেমনি অপরিহার্য জগতের সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততাও (Navratri)।

    মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব

    বিজয়া দশমী দেবীর মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব। এটি হল সেই প্রতীক যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি যুগে যখনই হিন্দু সমাজ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তখনই সে বিজয়ী হয়েছে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পরিচয়ের সংরক্ষণ এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা সাহস, কর্ম এবং ঐক্যের থেকে অবিচ্ছেদ্য। যে শক্তি এক সময় ঐতিহাসিক যোদ্ধাদের প্রাণিত করেছিল, সেই একই শক্তিই আজ সমাজকে প্রাণিত করছে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে, জাতীয় আত্মসম্মানে এবং নৈতিক স্পষ্টতায় (RSS)। আধুনিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হিন্দু পরিচয় এবং জাতীয়তাবাদ চাপের মুখে রয়েছে। কখনও অভ্যন্তরীণ বিভাজন, কখনও বা বহিরাগত বর্ণনার জেরে। তবুও, নবরাত্রির আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো আমাদের স্থিতিশীলতার একটি বার্তা দেয়। সেটি হল শক্তির আহ্বান, নৈতিক সাহসের বিকাশ, ধর্মের মাধ্যমে ঐক্য, এবং সত্য রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ।

    হিন্দু জাতীয়তাবাদ

    অতএব, হিন্দু জাতীয়তাবাদ কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সভ্যতাগত, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক। এটি ঘোষণা করে (RSS) যে, যে জাতি তার শেকড়, তার ধর্ম এবং তার শক্তিকে জানে, তাকে কখনও দমন করা, বিকৃত করা বা মুছে ফেলা যায় না (Navratri)।

  • GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর উপহার দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন নয়া জিএসটি কাঠামো (New GST Structure)। ২২ সেপ্টেম্বর দেবীপক্ষ থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল নয়া পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) (GST 2)। এতদিন জিএসটির স্তর ছিল চারটি – ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নয়া ব্যবস্থায় বাতিল করা হয়েছে ১২ এবং ২৮ শতাংশের স্তর। তাই আজ, সোমবার থেকে সমস্ত পণ্যের ওপর জিএসটি থাকবে ৫ কিংবা ১৮ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এদিন থেকেই কমে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দামই। প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কর ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেটাই এবার চালু হচ্ছে এদিন থেকে।

    আজ থেকেই কমছে দাম (GST 2)

    সোমবার থেকেই নবরাত্রি উৎসবে মেতেছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। জিএসটি সংস্কারের ফলে উৎসবের মরশুমে আমআদমির হেঁশেলে স্বস্তি ফিরবে তো বটেই, অনেকটা ছাড় মিলবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মায় সাজসজ্জার মতো সরঞ্জামেও। রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া জিএসটি ব্যবস্থার কথা দেশবাসীকে মনেও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আগেই জিএসটি সংস্কারকে দ্বিগুণ দীপাবলি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, জিএসটি বদলের ক্ষেত্রে সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আর পুরানো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। যদি কোনও পণ্য পুরনো স্টকের হয় এবং এমআরপি বেশি লেখা থাকে, তাও স্টিকার বসিয়ে নয়া দামই নিতে হবে।

    সস্তা হচ্ছে এই সব জিনিস

    এবার দেখে নেওয়া যাক এদিন থেকে কমছে কোন কোন জিনিসের দাম। বাড়ছেই (GST 2) বা কোন কোন পণ্যের দাম। নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় দুধ, ছানা, পনির, রুটি এবং পাউরুটির মতো পণ্যে এখন আর কোনও কর দিতে হবে না (New GST Structure)। কারণ এই সব পণ্য কিনলে জিএসটি দিতে হত ৫ শতাংশ। সোমবার থেকে এগুলি কিনলে আর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। জিএসটি মুক্ত হচ্ছে পেন্সিল, শার্পনার, ছবি আঁকার রং, খাতা, মানচিত্র, চার্ট এবং গ্লোবের মতো প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম। জিএসটি দিতে হবে না জীবনবিমা এবং যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও।

    দাম কমছে এসবেরও

    দাম কমছে কনডেন্সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, পশুচর্বি, সসেজ, প্রিজার্ভড বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডলস, স্প্যাগোটি, চিজ এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যেরও। এতদিন এসব জিনিস কিনলে জিএসটি দিতে হত ১২ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। সস্তা হচ্ছে (GST 2) বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম-সহ অন্যান্য ফলও। কারণ এসব ক্ষেত্রেও জিএসটির হার কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিয়েই কেনা যাবে জ্যাম, জেলি, মাশরুম, ইস্ট, সর্ষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতল। এতদিন এগুলি কিনতেই দিতে হত ১২ শতাংশ জিএসটি। সস্তা হচ্ছে মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম এবং জিলেটিনও। ২২ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত এগুলি কিনতে গেলে গুণতে হত ১৮ শতাংশ জিএসটি (New GST Structure)। এখন তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে একাধিক জীবনদায়ী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, থার্মোমিটার, অক্সিজেন এবং গ্লুকোমিটার কিনলে। ২২ তারিখ থেকেই যাতে দাম কমে, তা নিশ্চিত করতে মূল্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফার্মেসিগুলিতে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িতেও জিএসটি নেওয়া হবে ৫ শতাংশ।

    সস্তায় মিলবে এই সব জিনিসও

    দাম কমছে (GST 2) টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং রেফ্রিজারেটরেরও। এতদিন এগুলি কিনতে গেলে জিএসটি দিতে হত ২৮ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ। ১৮ শতাংশ জিএসটি গুণতে হবে ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসির নীচে বাইকের দাম। ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে জুতো, জামাকাপড়, টুথপেস্ট, ব্রাশ, ট্যালকম পাউডার, শেভিং ক্রিম, চুলের তেল, সাবান, বাসনকোসন, ছাতা, বাইসাইকেল এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনতে গেলে। খরচ কমবে স্পা, জিম, যোগব্যায়াম কেন্দ্র এবং বিভিন্ন হেলথ ক্লাবের। দাম কমছে সিমেন্ট, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সার ট্রাক্টরের সরঞ্জাম এবং সেলাই মেশিনেরও (New GST Structure)।

    দাম বাড়ছে যে সব জিনিসের

    এদিকে, দাম (GST 2) বাড়ছে বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিংকার, পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বন যুক্ত পানীয়, সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের। এসব কিনতে গেলে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি।

  • Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী শিবিরে কি তাহলে শেষমেশ ভাঙন ধরল? মাওবাদীদের মুখপাত্র ও পলিটব্যুরো সদস্য (Maoist Leader) অভয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে অস্ত্র সমর্পণ এবং শান্তি আলোচনা শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসায় মাও-শিবিরে ফাটল ধরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। দিন কয়েক আগেই একটি চিঠি এবং একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে (Abhays Call For Surrender)। এগুলি আসল বলেই নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে সিপিআই মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটি ওই ঘোষণা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এটি দলের সরকারি অবস্থান নয়, অভয়ের ব্যক্তিগত মতামত। এই প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ফাটল ধরেছে মাওবাদীদের সংগঠনে। প্রকাশ্যে এসেছে অন্য একটি বিবৃতিও। এটি নাকি মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটির মুখপাত্র জগনের লেখা।

    কী লিখলেন জগন (Maoist Leader)

    তিনি অভয়ের অবস্থানের সমালোচনা করেন। জগন লেখেন, “যদি অভয় তাঁর মতামত সঠিক পার্টি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতেন, তবে তিনি উত্তর পেতেন।” তিনি বলেন,  “বরং, এ ধরনের একটি গুরুতর বিষয়কে এভাবে প্রকাশ্যে আনা পার্টির ভেতরে এবং বিপ্লবী শিবিরে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তিনি যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তা আন্দোলনের কাজে আসছে না, বরং তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।” বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মল্লোজুলা ভেনুগোপাল রাও, নিহত শীর্ষ নকশাল নেতা মল্লোজুলা কোটেশ্বর রাওয়ের ভাই, যিনি ‘অভয়’ এবং ‘সোনু’ নামে পরিচিত। তিনি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্য। এগুলি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা।

    অভয়ের চিঠি

    গত ১৫ অগাস্ট লেখা চিঠিতে (Maoist Leader) অভয় অন্যান্য বামপন্থী চিন্তাবিদ, কর্মী এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ও অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকেও মতামত চান। তিনি তাঁদের বলেন, অস্ত্র সমর্পণ প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত যেন ইমেইল বা একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে অভয়ের একটি ছবি-ও যুক্ত ছিল। এর উত্তরে জগন সংঘাতের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “সারা দেশে অসংখ্য বুদ্ধিজীবী, সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে অনেক রাজ্যে সভা-সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জোরালোভাবে কাগার যুদ্ধ অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছে। এর পরেও বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে (Abhays Call For Surrender) যে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, সংবিধান ও আইন অমান্য করে, তারা যে করেই হোক এই নির্মূল অভিযান চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে হামলা আরও বেড়েছে (Maoist Leader)।”

  • Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু (Trump Tariffs) উপেক্ষা করেই চলতি মাসে ভারত ব্যাপকভাবে আমদানি বাড়িয়েছে রাশিয়ান তেলের (Russian Oil)। ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলি প্রতিদিন রাশিয়া থেকে প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনছে। অগাস্টের তুলনায় চলতি মাসে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।

    বাড়তি ছাড় (Trump Tariffs)

    এই বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য রাশিয়ার দেওয়া বাড়তি ছাড়। জুলাই মাসে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ থেকে ২.৫ মার্কিন ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩–৪ ডলার। এর ফলে আগামী মাসগুলিতেও ভারতে যে রাশিয়ান তেলের প্রবাহ বজায় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ান তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। বর্তমানে ভারত ও ব্রাজিল এই দুই দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব চেয়ে বেশি শুল্কের মুখোমুখি, উভয়ের ক্ষেত্রেই এই হারের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। তবুও ভারত এখনও রাশিয়া থেকেই অন্য যে কোনও সরবরাহকারীর তুলনায় বেশি অপরিশোধিত তেল কিনছে। ভারতীয় রিফাইনারিগুলি সরবরাহের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও আফ্রিকান কয়েকটি দেশ থেকেও তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত।

    বাজার দর

    সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজার দর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৮.৪৫ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার ইউরালস প্রকারভেদ, যা ভারত বিপুল পরিমাণে আমদানি করে, তার দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬২.৮৯ মার্কিন ডলার। এর ওপর মস্কো অতিরিক্ত ৩–৪ ডলার ছাড় দিচ্ছে (Russian Oil)। তাই ভারতীয় জীবাশ্ম জ্বালানি কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ব্যারেল প্রতি ৫৮–৫৯ ডলার (Trump Tariffs)। সম্প্রতি ব্রেন্ট ও ইউরালসের বাজার মূল্যের ব্যবধান গড়ে প্রায় ৬ মার্কিন ডলার হয়েছে।
    বর্তমানে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৬৬.৬৮ মার্কিন ডলার, আর ইউরালসের দাম ৬৩.১৯ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার সর্বশেষ দেওয়া ছাড় হিসেব করলে দেখা যায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি প্রতি ব্যারেল মাত্র ৫৯–৬০ মার্কিন ডলারে চুক্তি করছে। এটি রাশিয়ার তেল সরবরাহকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে (Trump Tariffs)।

  • Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পিতৃপক্ষে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করায় মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই একাধিক প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর অভিযোগ, পিতৃপক্ষ চলাকালীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে হিন্দুদের প্রথায় আঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষ হিন্দু চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ১৫ বা ১৬ দিনের একটি সময়কাল। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমেও অনেকে স্মরণ ও সম্মান জানান পিতৃপুরুষদের। এই পিতৃপক্ষ শেষ হয় মহালয়ায়। পরের দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এদিনই শুরু হয় নবরাত্রি উৎসবের।

    রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন (Suvendu Adhikari)

    পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর প্যান্ডেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটি হিন্দু প্রথার ওপর আক্রমণ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ করা হয় না।” তাঁর অভিযোগ, ছ’মাস পরে নির্বাচন। একে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন। বিজেপির এই নেতার দাবি, মমতার প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা (সংখ্যালঘুরা) চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কিছুই পাননি। তিনি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তিনি ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছেন। তিনি দুর্গাপূজার মতো হিন্দু উৎসবকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যা মোটেই ঠিক নয়।”

    ‘হিজাব’ নিয়ে তোপ

    এদিন মমতা উদ্বোধন করেন হাতিবাগান, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির প্যান্ডেলের। হাতিবাগান সর্বজনীন মাতৃ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে যাওয়ার সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। ছাতা না নিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একটি চাদর নিয়ে হিজাবের মতো করে পরে নেন। তৃণমূল নেত্রীর এহেন আচরণেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “হিজাব পরে উনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। এটা সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরায় আঘাত।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা যেহেতু বিভক্ত, সবাই যেহেতু ভোট দিতে যান না, ভোট দিতে গেলেও, অনেকে অনেকভাবে ভোট দেন, ভাগ করেন, একটা বিশেষ মেসেজ দিচ্ছেন (Mamata Banerjee) ৩২-৩৩ শতাংশ ভোটারকে যে, আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, আমি নাস্তিক, নাস্তিক নয়, আমি প্রো-মুসলিম লিগ। ভোটব্যাংককে একজোট করতে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা (Suvendu Adhikari)।”

  • Sabarimala Gold Scandal: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা!

    Sabarimala Gold Scandal: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা (Sabarimala Gold Scandal)। নথিপত্র খতিয়ে দেখে এমনই অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। শবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহের দু’পাশে রয়েছেন দুই দ্বারপাল। এঁদের গা থেকেই খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার আস্তরণ। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটি পাঠানো হয়েছিল চেন্নাইয়ে। এটা করতে গিয়ে মন্দির কমিটি কেরল হাইকোর্টের একটি নির্দেশ অমান্য করে।

    সোনাকাণ্ডে সুস্পষ্ট অসঙ্গতি (Sabarimala Gold Scandal)

    আদালতের নির্দেশ ছিল, সোনা সংক্রান্ত সব কাজ মন্দির প্রাঙ্গণেই করতে হবে। সোনা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেই হাইকোর্ট সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেয়, বোর্ড যেন সেই সোনার আস্তরণ ফিরিয়ে আনে। এর জবাবে বোর্ড আদালতকে জানায় যে সোনা ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে গলানো হয়ে গিয়েছে, আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। পরে বোর্ড এই ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে চেন্নাইয়েই কাজ শেষ করার অনুমতি চায়। আদালত অনুমতি দিলেও নির্দেশ দেয় যে দেবস্বম ভিজিল্যান্স এসপি যেন সরানো সোনার ওজন এবং অন্যান্য বিস্তারিত নথিপত্র আদালতে পেশ করেন। নথিপত্র খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট কয়েকটি সুস্পষ্ট অসঙ্গতি লক্ষ্য করে। রেকর্ড থেকে জানা যায় যে একই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ২০১৯ সালেও করা হয়েছিল। তবে আদালত লক্ষ্য করেছে, সেই সময় ৪২.৮ কিলোগ্রাম সোনা পাঠানো হলেও মেরামতের পরে ফেরত এসেছিল মাত্র ৩৮.২৫৮ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ, হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা (Sabarimala Gold Scandal)।

    সোনার বদলে তামার ফলক!

    আদালত লক্ষ্য করেছে যে, নথি অনুযায়ী ‘তামার ফলক’ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে দেখানো হলেও, বাস্তবে পাঠানো হয়েছিল সোনার ফলক। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা একটি ভুল, যা আসল সত্য গোপন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। আদালত আরও জানিয়েছে, সোনার ফলকগুলি যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই হস্তান্তর ও পরিবহণ করা হয়েছিল এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যাঁরা করছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেবস্বম বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। আদালত আরও জানিয়েছে যে, চেন্নাইয়ের স্মার্ট ক্রিয়েশনসে কাজ শেষ হওয়ার আগে সোনার ফলক পৌঁছতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। আদালত (Kerala High Court) বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে (Sabarimala Gold Scandal)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮–১৯ পর্বে শবরীমালা আন্দোলন চলছিল। ওই সময় কেরল রাজ্য সরকার মন্দিরে বামপন্থী মহিলাদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে মন্দিরকে অপবিত্র করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় হাজার হাজার ভক্ত প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন। ওই বছর মন্দির চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অনুমান, মন্দির পরিচালনাকারী নাস্তিকরা এটিকে মন্দিরের ধন-সম্পদ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবেই দেখেছিল (Sabarimala Gold Scandal)।

  • PMO: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে ‘বিগ ফোর’ কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তুলতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    PMO: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে ‘বিগ ফোর’ কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তুলতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে জনপ্রিয় ‘বিগ ফোর’ (ইওয়াই, ডেলোইটি, কেপিএমজি এবং পিডাব্লুসি) কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। বৈঠকে মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলি হল বিধিনিষেধ সহজীকরণ, কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাগুলির যৌক্তিকীকরণ, যা দেশীয় অডিট এবং কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তুলতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় (Self Reliance)। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল বৈশ্বিক জায়ান্ট কোম্পানিগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং অডিট ও কনসালটেন্সি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়া। একই সঙ্গে এমন বিশ্বমানের ভারতীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেগুলি ‘বিগ ফোর’র সমতুল হবে এবং এর মাধ্যমে ভারত ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অডিট ও কনসালটেন্সি শিল্পে একটি দৃঢ় বৈশ্বিক অবস্থান অর্জন করতে পারবে।

    বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন (PMO)

    এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শক্তিকান্ত দাস। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থমন্ত্রক এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকটি এমন একটি সময়ে হতে যাচ্ছে যখন কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দেশীয় অথচ বিশ্বমানের বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে। এর লক্ষ্য হল, একটি ছাতার মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেখানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কোম্পানি সেক্রেটারি, আইনজীবী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন।

    বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম

    বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এমন বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম তৈরিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল এসব বাধা সহজ করা এবং দেশে বিশ্বমানের অডিট ও কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া। এছাড়াও যেসব অন্তরায় রয়েছে সেগুলিও দূর করার চেষ্টা করা হবে। যেমন বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া, বিভিন্ন পেশাদার পরিষেবার জন্য সিঙ্গল-উইন্ডো লাইসেন্স ও কমপ্লায়েন্স সিস্টেম চালু করা, বৈশ্বিক সহযোগিতার জন্য সহায়তা, পুঁজি সঙ্কট দূরীকরণ এবং অর্থ সংগ্রহের সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি (PMO)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্তত চারটি বড় দেশীয় অডিট ও পরামর্শদানকারী সংস্থা গড়ে তোলা এবং তাদের (Self Reliance) বিকাশে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যেগুলিকে বিশ্বের শীর্ষ আটটি কোম্পানির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে (PMO)।

LinkedIn
Share