Author: pranabjyoti

  • PM Modi: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দেশের অর্থনীতি (Economic Growth)। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল ৭ শতাংশ। সেই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে দেশের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৮.২ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার খুবই উৎসাহজনক এবং সরকার সংস্কার আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং প্রতিটি নাগরিকের অনায়াস জীবনযাপনকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ চালিয়ে যাবে।” জানা গিয়েছে, শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি জিএসটির হার হ্রাসের ফলে সাধারণ মানুষ বেশি কেনাকাটা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত এই দু’টি কারণেই আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

    জিডিপির এই বৃদ্ধি (PM Modi)

    বিগত ছ’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপির এই বৃদ্ধি দেখা যায়নি। এর ঠিক আগের ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। অথচ এক বছর আগেও এই সময় বৃদ্ধি হয়েছিল ৫.৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি হয়েছিল ৮.৪ শতাংশ (PM Modi)।  এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি হয়েছে ৮.২ শতাংশ। আমাদের উন্নয়নমূখী নীতি এবং স্কংস্কারকেই প্রতিফলিত করছে এই ফল। এটি দেশবাসীর কঠিন পরিশ্রমেরও প্রমাণ। তাঁদের উদ্যোগকেও প্রতিফলিত করে।” তিনি বলেন, “এটি আমাদের সরকার সংস্কারকে আরও এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি নাগরিকের জীবন-যাপনের মানোন্নয়ন নিশ্চিত (Economic Growth) করতে কাজ চালিয়ে যাবে। আমাদের সরকার সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাবে। শক্তিশালী করবে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনযাত্রার মান (PM Modi)।”

    কী বললেন অর্থমন্ত্রী সীতারামন

    জিডিপির বৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ হওয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “আজ প্রকাশিত জিডিপি অনুমানগুলি ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং অর্থনীতির গতিশীলতা প্রদর্শন করে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ।” সীতারামন বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ, যা ভারতের অবস্থানকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বর্তমান অর্থবর্ষে প্রথম ছ’মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার নথিবদ্ধ হয়েছিল ৮ শতাংশ।” তিনি বলেন, “এই প্রবৃদ্ধি এসেছে ধারাবাহিক আর্থিক সংযম, লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক সরকারি বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে। এটি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে এবং অনায়াস করেছে ব্যবসা করার প্রক্রিয়া (PM Modi)।” এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লেখেন, “বিভিন্ন উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকও ধারাবাহিক অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং বিস্তৃতভিত্তিক ভোগ বৃদ্ধির দিকে নির্দেশ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এই প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সাহায্য করে এমন সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Economic Growth)।”

    কী বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “জিডিপির এই পরিসংখ্যান নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বের ফল। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এই অসাধারণ ফল নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বের প্রতিফলন, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধিকে শক্তিশালী করছে।”  সরকারি তথ্য বলছে, চলতি অর্থবর্ষে ২০২৫-’২৬ এর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের বাস্তব জিডিপি ৮.২ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে গত অর্থবর্ষের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ (PM Modi)।

    ভারতের নামমাত্র জিডিপি

    পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের অধীনে থাকা জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (NSO) জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের মোট জিডিপি ত্রৈমাসিক অনুমান প্রকাশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের নামমাত্র জিডিপি ৮.৭ শতাংশ হারে বেড়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্ষেত্র ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাস্তব জিডিপি বৃদ্ধির হারকে ৮.০ শতাংশের ওপরে উঠতে সাহায্য করেছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে উৎপাদন ৯.১ শতাংশ এবং নির্মাণ ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই প্রান্তিকে স্থির মূল্যে ৭.০ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে। তৃতীয় ক্ষেত্রে আর্থিক, রিয়েল এস্টেট ও পেশাগত পরিষেবা ১০.২ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ক্ষেত্রে স্থির মূল্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে (Economic Growth)। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাত এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ ও অন্যান্য ইউটিলিটি পরিষেবা খাত ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মাঝারি মাত্রার বাস্তব প্রবৃদ্ধি দেখেছে (PM Modi)।

    বাস্তব জিডিপি

    বাস্তব জিডিপি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) ৮.০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় বেশি। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের বাস্তব জিডিপি ৭.৮ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের অর্থবর্ষের একই সময়ের ৬.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রান্তিকে ভারতের নামমাত্র জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ‘বিকশিত ভারতে’র লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে, ভারতের প্রায় দশ থেকে বিশ বছর ধরে গড়ে ৮ শতাংশের মতো স্থির মূল্যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে (PM Modi)।

  • Mumbai: ২৬/১১ হামলার ১৭ বছর পূর্ণ, সেদিন মুম্বইয়ে ঠিক কী ঘটেছিল? ফিরে দেখা

    Mumbai: ২৬/১১ হামলার ১৭ বছর পূর্ণ, সেদিন মুম্বইয়ে ঠিক কী ঘটেছিল? ফিরে দেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ বছর পূর্ণ হল পাক-মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা (LeT)-এর জঙ্গিদের দ্বারা ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বইয়ে (Mumbai) তাণ্ডব চালানোর। এই ঘটনা ঘটেছিল ২৬ নভেম্বর, ২০০৮ সালে। ঘটনাটি ২৬/১১ নামে পরিচিত। ওই জঙ্গি হামলায় ১০ জন জঙ্গির (Terror Attacks) একটি দল সারা দেশ এবং বিশ্বে তীব্র ধাক্কা দিয়েছিল। জঙ্গিরা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে সমুদ্রপথে মুম্বই শহরে ঢুকেছিল। চার দিনের মধ্যে তারা শহরের ব্যস্ততম এলাকায় ১৬৬ জনকে হত্যা করেছিল, জখম করেছিল ৩০০ জনকে।

    হামলার টার্গেটস্থল (Mumbai)

    হামলার টার্গেটস্থলগুলি খুব সুচিন্তিতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল, যাতে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি করা যায়। এর মধ্যে ছিল,  তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, নরিম্যান হাউজে অবস্থিত ইহুদি কেন্দ্র, কামা হাসপাতাল, মেট্রো সিনেমা এবং লিওপোল্ড ক্যাফে।  কারণ এই জায়গাগুলোয় বিদেশিরা এবং মুম্বইয়ের কর্মজীবী মানুষের প্রচুর জনসমাগম হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার রেখে যাওয়া ক্ষত আজও সেই সব মানুষকে তাড়া করে ফিরছে, যাঁরা সেই ভয়াবহ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। লিওপোল্ড ক্যাফে এবং নরিম্যান হাউজের গুলির দাগ, শহিদ সহকারী উপ-পরিদর্শক তুকারাম ওম্বলের স্মৃতির মূর্তি, যিনি একমাত্র জীবিত ধরা পড়া পাক জঙ্গি মহম্মদ আজমল আমির কাসভকে ধরতে গিয়ে প্রাণ বলি দিয়েছিলেন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের এই রাস্তাগুলি আজও সেই নৃশংস জঙ্গি হামলার স্মৃতি জাগিয়ে রেখেছে (Terror Attacks)।

    লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি নিহত

    ন’জন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি নিহত হয়েছিল, গ্রেফতার করা হয়েছিল কাসভকে। ২০১০ সালের মে মাসে কাসভকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দু’বছর পরে পুনের একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা যুক্ত কারাগারে ফাঁসি দেওয়া (Mumbai) হয় কাসভকে। ২৬/১১ হামলা বিশেষ করে এই বছরের ১০ নভেম্বর দিল্লি বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বিষয়ে শেখা শিক্ষার একটি স্মারক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, এনএসজি মুম্বই আজ, বুধবার গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় ‘নেভারএভার’ থিমে একটি স্মরণসভা ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে, ২৬/১১ হামলার শহিদ, জীবিত এবং সকল ভুক্তভোগীদের শ্রদ্ধা জানাতে। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের সম্মিলিত সংকল্পকে পুনর্ব্যক্ত করে যে এমন কোনও ঘটনা আর কখনও ঘটতে দেওয়া যাবে না।

    বিশেষ স্মারক অঞ্চল

    জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ স্মারক অঞ্চল তৈরি করা হবে যেখানে বীরদের এবং সকল শহিদদের ছবি ও নাম প্রদর্শিত হবে, ফুলেল শ্রদ্ধা এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে সম্মান জানানো হবে এবং ‘লিভিং মেমরিয়াল’ নামে একটি নতুন ধারণা উপস্থাপন করা হবে, যা শ্রদ্ধা নিবেদনের মোমবাতির মোম দিয়ে তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়াও, মুম্বইয়ের ১১টি কলেজ এবং ২৬টি স্কুলে ‘নেভারএভার’ থিমের আওতায় শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ করানো হবে, যা শান্তি, সতর্কতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তরুণ প্রজন্মের অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করবে (Mumbai)।

    গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া

    এদিন রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া সাজানো হবে তিরঙ্গা রঙের আলোয়। সেখানেও আলোকিত (Terror Attacks) হয়ে থাকবে ‘নেভারএভার’ শব্দটি। এদিকে, এনআইএ (NIA) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রী তাহাউর রানা-সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে নতুন করে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। সূত্রের খবর, এটি করা হয়েছে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ট্রিটি (MLAT) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবর মাসে। রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের পর তার জিজ্ঞাসাবাদের কয়েক মাস পর এই অতিরিক্ত প্রশ্নগুলি তোলা হয়েছে, যা ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র তদন্তে আরও অগ্রগতি আনতে সাহায্য করতে পারে।

    জঙ্গিদের নিকেশ অভিযান

    সেদিন জঙ্গিদের নিকেশ করতে ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চালানো হয়েছিল অপারেশন (Mumbai)। অপারেশনে যোগ দিয়েছিল এনএসজি কমান্ডো, মেরিন কমান্ডো এবং পুলিশ। সেই দৃশ্যের লাইভ টেলিকাস্ট দেখেছিল তামাম বিশ্ব। বুধবার মুম্বই হামলার ১৭ বছর পূর্তিতে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “২৬/১১-এর ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ সকল সাহসী সেনা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। দেশ তাঁদের সাহস এবং ত্যাগের কথা কোনও দিনও ভুলবে না।” এত বছর পেরিয়ে গেলেও (Terror Attacks) আজও অধরা মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ডরা। একইভাবে আজও খোলা হাওয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে সন্ত্রাসবাদের সেই আতঙ্ক। প্রতিটি ২৬/১১ যেন সেই আতঙ্ককে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে যায় (Mumbai)।

  • X Twitter Location Feature: কংগ্রেসের বহু অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান সহ বিদেশ থেকে! দেখাচ্ছে এক্স-এর লোকেশন ফিচার

    X Twitter Location Feature: কংগ্রেসের বহু অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান সহ বিদেশ থেকে! দেখাচ্ছে এক্স-এর লোকেশন ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্টের (X Twitter Location Feature) অবস্থান প্রকাশ করার নতুন ফিচার চালু হওয়ায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ভারতজুড়ে। এর ফলে দেখা গিয়েছে যে অনেক রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় অ্যাকাউন্ট, বিশেষত মোদি-বিরোধী ও কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে (Political Controversy)। বিষয়টিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিজেপি দাবি করেছে যে, বিপুল সংখ্যক কংগ্রেসপন্থী এবং হিন্দু-বিরোধী এক্স অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে। উদাহরণস্বরূপ, কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরার অ্যাকাউন্টে উল্লেখ রয়েছে সেটি আমেরিকা-ভিত্তিক। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে দেখা যাচ্ছে এটি আয়ারল্যান্ড-ভিত্তিক। সরকারবিরোধী বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টকেও ভারতের বাইরের বলে দেখানো হচ্ছে, যার বেশিরভাগেরই লোকেশন হিসেবে দেখানো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অংশ।

    কংগ্রেসকে বিঁধছে বিজেপি (X Twitter Location Feature)

    এই বিষয়টিই কংগ্রেসকে বেঁধার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিজেপির। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর দাবি (X Twitter Location Feature), এই ধরনের কাজ-কারবার একটি বিশ্বব্যাপী যৌথ অপারেশন, যার উদ্দেশ্যই হল ভারতের সামাজিক আলোচনাকে প্রভাবিত করা এবং ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া। এক্সে তিনি লিখেছেন, “অনেক প্রো-কংগ্রেস, অ্যান্টি-হিন্দু এবং বিভাজনমূলক জাতিভিত্তিক হ্যান্ডেল আসলে ভারত থেকে পরিচালিতই হচ্ছে না। অনেকগুলি পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে চালানো হচ্ছে। পরিচয় গোপন রাখার জন্য প্রায় সবাই বহুবার তাদের ইউজারনেম বদলেছে।” তিনি বলেন, “এটি কী দেখায়? ভারতের সামাজিক পরিসরকে প্রভাবিত করা, ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনকে আরও গভীর করার জন্য একটি সর্বাত্মক বৈশ্বিক পরিকল্পনা। ভারতের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র এখন উন্মোচিত হয়েছে (Political Controversy)।”

    “অ্যাবাউট দিস অ্যাকাউন্ট”

    নয়া এই ফিচারটি স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য এক্সের প্রচেষ্টার অংশ। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই প্ল্যাটফর্মটিকে ভুয়ো তথ্য ও বিভ্রান্তির উৎস হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এখন, “অ্যাবাউট দিস অ্যাকাউন্ট” বিভাগে একটি সাধারণ ক্লিকের মাধ্যমেই যে কেউ দেখতে পারবেন, কোন দেশে অ্যাকাউন্টটি অবস্থিত, কতবার ব্যবহারকারীর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এবং কোন জায়গা থেকে এক্স অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে। বিজেপি নেতারা জানান, বেশ কিছু উদাহরণ সরকারের এই দাবিকে সমর্থন করে যে বহু এক্স হ্যান্ডেল, যেগুলি আগে সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন বা এখন প্রত্যাহার করা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে উসকে দিয়েছিল, সেগুলি বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছিল (X Twitter Location Feature)।

    বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা বিজেপি নেত্রী প্রীতি গান্ধী বলেন, “একই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) বিরোধী আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন এবং ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গার সময়, যেখানে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো, আন্দোলনে উস্কানি দেওয়া এবং বিকৃত ভিডিও ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, “এখন পরিস্থিতির পচন এত গভীরে গিয়েছে যে কংগ্রেসের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলগুলিও বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। যখন দল-অনুমোদিত অ্যাকাউন্টগুলিতেই বিদেশি লগইনের চিহ্ন দেখা যায়, তখন এটি আরও বড় প্রশ্ন তোলে। কংগ্রেসের ডিজিটাল বার্তাগুলি ঠিক কে তৈরি করছে (Political Controversy)?”

    ‘দিয়া শর্মা’-‘যশিতা নাগপাল’ – এরা কারা

    সম্প্রতি আরও একটি বিস্ময়কর ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি হল জনৈক ‘দিয়া শর্মা’ এবং ‘যশিতা নাগপাল’ নামের দুটি অ্যাকাউন্ট। এগুলি পাকিস্তান-ভিত্তিক বলে খবর। এই দুটি অ্যাকাউন্টেই বিজেপি এবং সরকারের সমালোচনামূলক পোস্ট ছিল। মঙ্গলবার দেখা যায় ‘দিয়া শর্মা’র অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করা হয়েছে। ‘যশিতা নাগপাল’, যে নিজেকে রাজনৈতিক সাংবাদিক বলে দাবি করে, একটি পোস্টে জানায়, তাকে শুধু কংগ্রেসই নয়, অন্যান্য দলও নিয়োগ করেছিল (X Twitter Location Feature)। পোস্টে বলা হয়, “আমাকে শুধু কংগ্রেস নয়, ভারতের অন্য রাজনৈতিক দলও কয়েক মাস আগে তাদের প্রচারের কাজে লাগিয়েছিল। ভাগ্যিস, আমি যেসব অ্যাকাউন্ট বর্তমানে ব্যবহার করছি তাদের লোকেশন ঠিক সময়ে পাল্টে দিয়েছিলাম।”

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্য একটি পোস্টে মালব্য বলেন, “এটি নতুন যুগের কংগ্রেস সমর্থকদের কাজ, যারা এখন জানা যাচ্ছে যে তারা মূলত পাকিস্তান বা বাংলাদেশি উৎসের।” তিনি বলেন, “এই হ্যান্ডেলগুলি হয় আইএসআই-যুক্ত সংগঠন, যারা ভারত-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, অথবা সীমান্তের ওপার থেকে আসা ব্যক্তিরা, যারা কংগ্রেস সমর্থনের ছদ্মবেশে নিয়মিতভাবে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ ছড়ায়।” তিনি বলেন, “এই সমর্থন আসলে ভারতীয় নয়—এটি বট নেটওয়ার্ক, এজেন্সি এবং সীমান্ত-পারের কার্যক্রমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এটি প্রকৃত ভোটারদের প্রতিফলিত করে না (Political Controversy)।” কেবল ভারত নয়, আমেরিকায়ও ঝড় তুলেছে এই ইস্যু। এই জাতীয় আরও বহু অ্যাকাউন্ট আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে বলেও খবর (X Twitter Location Feature)।

  • Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং চিন একে বারবার অস্বীকার করলেও কখনও এই সত্য বদলাতে পারবে না। মঙ্গলবার চিনের সাংহাই বিমানবন্দরে হয়রানি করা হয় এক ভারতীয় মহিলাকে। তিনি আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে থাকেন ব্রিটেনে। সেখান (Randhir Jaiswal) থেকে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে (Shanghai Airport) তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং। যদিও ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের অবস্থান। জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের দ্বারা বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজ্য।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (Randhir Jaiswal)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি দেখেছি, যা একজন ভারতীয় নাগরিককে অযৌক্তিকভাবে আটক করার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলা অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং তিনি জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট করছিলেন।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ – এটি একটি স্বয়ংস্পষ্ট সত্য। চিনের পক্ষ থেকে যতই অস্বীকার করা হোক না কেন, এই অখণ্ড বাস্তবতা পরিবর্তিত হবে না।”

    ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি

    তিনি জানান,  ভারত ওই মহিলাকে আটক করার বিষয়ে চিনের কাছে (Randhir Jaiswal) জোরালোভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। জয়সওয়ালের মতে, চিন এখনও পর্যন্ত তাদের এই পদক্ষেপের কোনও কারণ জানায়নি। এটি আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মের বিরোধী। তিনি মনে করিয়ে দেন, চিনের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী সব দেশের যাত্রীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি দেওয়া হয়, এবং এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংহাই বিমান বন্দরে ট্রানজিট করার সময় পেমা ওয়াংজম থংডক নামের অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও (Randhir Jaiswal), আটকানো হয় তাঁকে। বিমানবন্দরে যেসব চিনা আধিকারিক ছিলেন, তাঁরা পেমাকে বলেছিলেন, তাঁর কাছে রয়েছে ভারতের পাসপোর্ট, চিনের নয়। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। এর (Shanghai Airport) পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। সাফ জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লির অবস্থান।

  • Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি খুন”, অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি খুন।” মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে ইয়ট ভ্রমণের সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর বাহান্নর গায়ক-সুরকার জুবিনের। প্রথমে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছিল রহস্যজনক দুর্ঘটনা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে আরও গুরুতর তথ্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ (Himanta Biswa Sarma)

    বিরোধী দলের আনা স্থগিতাদেশ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অসম পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এটি ছিল একেবারে সোজাসাপ্টা খুন।” তাঁর দাবি, একজন ব্যক্তি সরাসরি জুবিন গর্গকে হত্যা করেছে এবং আরও কয়েকজন এ কাজে তাকে সহায়তা করেছে। তাঁর মতে, এখন চার থেকে পাঁচজনকে এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

    সিট গড়ল রাজ্য সরকার

    উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন গর্গ । তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অসমজুড়ে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়। দাবি জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। এর পাশাপাশি, কী ঘটেছিল তা যাচাই করতে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়ার নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয় (Himanta Biswa Sarma)। সিট তদন্ত শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই জুবিনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন, এনইআইএফ সংগঠক শ্যামকানু মহন্ত, গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, তাঁর দুই ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমিত প্রভ মহন্ত, এবং তাঁর এক আত্মীয় সন্দীপন গর্গ, যিনি অসম পুলিশের একজন প্রবীণ আধিকারিক (Zubeen Garg)। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী – নন্দেশ্বর বরা এবং প্রবীন বৈশ্যকেও। কারণ তদন্তকারীরা তাদের ব্যাঙ্কের হিসেব থেকে ১.১ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিট খুব শীঘ্রই একটি চার্জশিট জমা দেবে। গর্গকে হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য রাজ্যবাসীকে হতবাক করবে (Himanta Biswa Sarma)।”

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) চিনের অংশ। এই দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে ড্রাগনের দেশ। তবে শি জিনপিংয়ের দেশের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই ছিল, আছে এবং থাকবেও (Shanghai Airport)। তবে ভারত এবং চিনের এই দোটানার মধ্যে পড়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হল অরুণাচল প্রদেশের এই মহিলাকে।

    ১৮ ঘণ্টা আটকে, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের (Arunachal Pradesh)

    আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা ওই মহিলা বর্তমানে থাকেন ব্রিটেনে। ২১ নভেম্বর সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার নাম প্রেমা ওয়াংজম থংডক। বিমানবন্দরে থাকা কয়েকজন চিনা আধিকারিক দাবি করেন, তাঁর পাসপোর্টটি ভারতীয়। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের। ওই আধিকারিকরা জানান, এটি অবৈধ। কারণ ওই প্রদেশ চিনের অংশ। খবরটি দ্রুত পৌঁছে যায় ভারতীয় কর্তাদের কানে। সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাঁরা। তীব্র প্রতিবাদ জানান চিনা কর্তৃপক্ষের কাছে। সাংহাইয়ে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি উত্থাপন করে এবং প্রেমাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য দেয়।

    অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা

    প্রেমা অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলার রূপা এলাকার বাসিন্দা। গত ১৪ বছর ধরে কর্মসূত্রে ব্রিটেনে বসবাস করছেন তিনি। ঘটনার দিন লন্ডন থেকে জাপানে যাচ্ছিলেন তিনি (Arunachal Pradesh)। এর মধ্যে সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানান, নিরাপত্তা তল্লাশির সময় চিনা ইমিগ্রেশনের এক আধিকারিক তাঁকে (Shanghai Airport) আলাদা করে ডেকে নেন। তিনি যখন তাঁকে আটকে রাখার কারণ জানতে চান, তখন ওই আধিকারিক জানান যে তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট ‘অবৈধ’। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। প্রেমা বলেন, “আমি যখন তাঁদের প্রশ্ন করতে চেষ্টা করলাম এবং জানতে চাইলাম সমস্যাটা কী, তাঁরা বললেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ নয়’। তাঁরা আমায় উপহাস করতে শুরু করল। তাঁরা বলতে লাগল, ‘তোমার চিনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা উচিত। তুমি চিনা, ভারতীয় নও’”। তিনি বলেন, “এর আগে আমি কোনও সমস্যা ছাড়াই সাংহাই হয়ে ট্রানজিট করেছি। আমি অনেকক্ষণ আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, পারিনি।” ভারতীয় ওই মহিলা বলেন, “লন্ডন থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করার পর আমায় ১৮ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় (Arunachal Pradesh)। তারা আমার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় এবং আমায় বের হতে দেয়নি। আমি খাবারও পাইনি। চিনে গুগল নেই, তাই কোনও তথ্যও পেতে পারছিলাম না। তারা আমায় জাপানে যেতে দিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও আমার বৈধ জাপানি ভিসা ছিল। তারা জোর করে বলে যে আমায় হয় ব্রিটেনে ফিরে যেতে হবে, নয়তো ভারতে যেতে হবে।”

    ওঁদের আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক

    প্রেমা বলেন, “ওঁদের আচরণ ছিল অত্যন্ত অপমানজনক এবং সন্দেহজনক, ইমিগ্রেশন স্টাফদের যেমন, তেমনই আচরণ করেছেন এয়ারলাইন স্টাফরাও। আমি সাংহাই এবং বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করি। এক ঘণ্টার মধ্যেই (Shanghai Airport) ভারতীয় কর্তারা বিমানবন্দরে এসে আমায় কিছু খাবার দেন। তাঁদের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেন এবং আমায় দেশ থেকে বের হতে সাহায্য করেন। এটি ছিল দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার একটা লড়াই। কিন্তু আমি এখন খুশি যে এখন আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি (Arunachal Pradesh)।”

    ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় কর্তারা

    জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর প্রেমা একটি ফোন এবং তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনে থাকা তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন। তাঁরা তাঁকে সাংহাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে সাহায্য করেন। ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তারা এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছন এবং তাঁকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহায্য করেন। অরুণাচল প্রদেশের ওই মহিলা বলেন, “আমি কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে, সেখান থেকে ছ’জন কর্তা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিমানবন্দরে এসে আমায় খাবার দেন। তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন যেন আমায় জাপানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু চিনা আধিকারিকরা তা কোনওভাবেই মানেনি। তাঁরা জোর করেছিলেন যে আমি যেন শুধু চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমেই দেশ ছাড়ার টিকিট বুক করি। শেষ পর্যন্ত আমি তাইল্যান্ডে ট্রানজিট-সহ ভারতের ফ্লাইট বুক করি, এবং এখন তাইল্যান্ডেই থেকে কাজ করছি।” প্রেমা বলেন, “অনেক বছর ব্রিটেনে থাকার পরেও আমি আমার ভারতীয় পাসপোর্ট (Shanghai Airport) ছাড়িনি। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং নিজের দেশেই বিদেশি হতে চাই না (Arunachal Pradesh)।”

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরের শিখরে উড়ল ধর্মধ্বজা, আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরের শিখরে উড়ল ধর্মধ্বজা, আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিবাহ পঞ্চমী’র শুভক্ষণে ধ্বজা (Dharma Dhwaj) উড়ল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) চূড়ায়। এই বিবাহ পঞ্চমীতেই মিলন হয়েছিল শ্রী রাম ও মা সীতার। অভিজিৎ মুহূর্তে সম্পন্ন হয় আচার। ২৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার মন্দিরের শিখরে ধ্বজারোহণ সম্পন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরএসএসের সরকার্যবাহ মোহন ভাগবত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং হাজার হাজার ভক্ত। এদিন প্রধানমন্ত্রী এবং ভাগবত যখন যৌথভাবে ১৯১ ফুট উঁচু শিখরের ওপর ১০ ফুট উচ্চতা ও ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সমকোণী ত্রিভুজাকৃতির ধর্ম-ধ্বজা উন্মোচন করলেন, তখনই শঙ্খধ্বনিতে ভরে উঠল চারদিক, হল ঘণ্টাধ্বনিও, অযোধ্যা মুখরিত হল জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে। গেরুয়া রংয়ের এই ধ্বজাটি একাধিক অর্থ বহন করে। এটি দীপ্তিময় সূর্য ভগবান রামের সূর্যবংশীয় বংশধারা এবং তাঁর অটল প্রভাকে নির্দেশ করে, ঋষি কশ্যপের সৃষ্ট হাইব্রিড কোভিদার বৃক্ষ প্রাচীন জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রতীক এবং ওঁ চিহ্ন চিরন্তন আধ্যাত্মিক সত্তা এবং সনাতন ঐতিহ্যের মৌলিক দর্শন তথা রামরাজ্যের চেতনার প্রতিফলন।

    ধর্ম–ধ্বজ উত্তোলন (Ram Mandir)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ধর্ম–ধ্বজ উত্তোলন শুধু স্থাপত্যগত সমাপ্তির চিহ্ন নয়, বরং এটি ঐক্য, সহনশীলতা ও সভ্যতাগত গৌরবের পুনরুত্থানের উদ্‌যাপনকারী এক সাংস্কৃতিক ঘোষণা। এদিন অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী রামলালার গর্ভগৃহে প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি সপ্তমন্দির পরিদর্শন করেন, যেখানে মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, মহর্ষি বাল্মীকি, দেবী অহল্যা, নিষাদরাজ গুহ এবং মাতা শবরীকে উৎসর্গীকৃত মন্দিরসগুলি রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী নিয়ে যান শেষাবতার মন্দিরে। অযোধ্যার প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতেই গিয়েছিলেন তিনি। ত্রিবর্ণ পতাকা নাড়ানো ভক্তদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে, মন্দিরের দিকে অগ্রসর হওয়া (Dharma Dhwaj) প্রধানমন্ত্রীর রোডশোটি জাতীয় ও আধ্যাত্মিক ঐক্যের এক উজ্জ্বল প্রদর্শনীতে (Ram Mandir) পরিণত হয়।

    অনন্য স্থাপত্যশৈলী

    অযোধ্যার এই রাম মন্দির ভারতের বহুবর্ণের মন্দির-পরম্পরার এক অনন্য স্থাপত্যশৈলী ও প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই মন্দিরের নাগরা শৈলীর শিখর উত্তর ভারতের প্রাচীন মন্দির স্থাপত্যের প্রতিনিধিত্ব করে। মন্দিরকে ঘিরে থাকা ৮০০ মিটার দীর্ঘ প্রাচীরে দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্যের নান্দনিকতা যুক্ত হয়েছে, যা ভারতের সাংস্কৃতিক মিলনকে প্রতিফলিত করে। মন্দিরের দেয়ালে বাল্মীকি রামায়ণের ৮৭টি নিপুণভাবে খোদিত শিলাচিত্র অঙ্কিত রয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে ৭৯টি ব্রোঞ্জনির্মিত সাংস্কৃতিক দৃশ্য স্থাপন করা হয়েছে, যা ভারতীয় সভ্যতার এক বিস্তৃত মুক্ত-আকাশ গ্যালারি তৈরিতে সাহায্য করে। এই মনোমুগ্ধকর স্থাপত্যশৈলী রাম মন্দিরকে কেবল একটি উপাসনাস্থলেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং এটিকে এক জীবন্ত ভারতীয় ঐতিহ্যের জাদুঘরে পরিণত করেছে।

    ধ্বজারোহণ পর্ব

    এদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ শুক্ষক্ষণে শুরু হয় ধ্বজারোহণ পর্ব। নীচ থেকে ধীরে ধীরে মন্দিরের শিখরে পৌঁছয় ন্যায়ের এই ধ্বজা। এই পুরো পর্বটা প্রধানমন্ত্রী ধ্বজার দিকে তাকিয়েছিলেন আবেগঘন চোখে। ধ্বজারোহণ পর্ব শেষ হতেই হাতজোড় করে নমস্কার করেন প্রধানমন্ত্রী। ধ্বজার উদ্দেশে নিবেদন করেন পুষ্পার্ঘ্য। এর পরেই ভাষণ দেন তিনি (Dharma Dhwaj)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্ষতে আজ প্রলেপ পড়ল। বহু শতকের যন্ত্রণার অবসান। শতাব্দীর সঙ্কল্প আজ পূর্ণতা পেল। আজ সেই যজ্ঞের সমাপ্তি, যার আগুন জ্বলছিল ৫০০ বছর ধরে। সেই যজ্ঞ এক মুহূর্তের জন্যও বিচ্যুত হয়নি বিশ্বাস থেকে।” তিনি বলেন, “আজ অযোধ্যা শহর ভারতের সাংস্কৃতিক চেতনার আরও এক শীর্ষবিন্দুর সাক্ষী থাকল। আজ সমগ্র ভারত, সমগ্র বিশ্ব, রামনামে (Ram Mandir) আচ্ছন্ন। প্রতিটি রামভক্তের হৃদয়ে রয়েছে অতুলনীয় তৃপ্তি, সীমাহীন কৃতজ্ঞতা, অপরিসীম আনন্দ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অযোধ্যা তথা ভারত এবার অধ্যাত্মবাদ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মহাসঙ্গম দেখবে।” তিনি বলেন, “প্রাণ যায়ে পর বচন না যায়ে…বার্তাও দেবে এই ধর্মধ্বজ। এই নিশান এই বার্তাও দেবে যে এই সমাজ দাঁড়াবে দরিদ্রদের পাশে।”

    রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে। যদিও তখনও মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছিল না। প্রায় দু’বছর পর শেষ হয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ। এই বিষয়টি দ্বিতীয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা বলেও অভিহিত করেছেন (Dharma Dhwaj) পুরোহিতদের একাংশ। কারণ ধ্বজারোহণের পর মন্দিরে ৪৪টি দরজাই ধর্মীয় আচারের জন্য খুলে দেওয়া হবে (Ram Mandir)।

  • Mohan Bhagwat: “গীতা কেবল পড়ার জন্য নয়, বরং জীবনে ধারণ করার জন্য”, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “গীতা কেবল পড়ার জন্য নয়, বরং জীবনে ধারণ করার জন্য”, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গীতা কেবল পড়ার জন্য নয়, বরং জীবনে ধারণ করার জন্য।” উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আয়োজিত গীতা কার্যক্রমে যোগ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এই অনুষ্ঠানে তিনি (RSS) বলেন, “আজ এই অনুষ্ঠান শেষ হলেও আমাদের কর্তব্য এখানেই শেষ হয়ে যায় না। আমরা সবাই এখানে উপস্থিত হয়েছি। কারণ গীতার বার্তা আমাদের আচরণে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। গীতায় মোট ৭০০ শ্লোক রয়েছে। যদি আমরা প্রতিদিন মাত্র দু’টি শ্লোকও পড়ি এবং সেগুলি উপলব্ধি করি এবং তার সারকথা জীবনে প্রয়োগ করি, তাহলে এক বছরের মধ্যেই আমাদের জীবন সত্যিকার অর্থেই ‘গীতাময়’ হয়ে উঠতে পারে।”

    জীবনে অন্তরের শান্তি নেই (Mohan Bhagwat)

    সরসংঘচালক বলেন, “যেমন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুন মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন, আজ জীবনসংগ্রামের ভেতর দিয়ে গোটা বিশ্ব একই ধরনের ভয়, আসক্তি এবং বিভ্রান্তির অভিজ্ঞতা লাভ করছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম ও অবিরাম ছুটে চলার পরেও মানুষ শান্তি, শৃঙ্খলা, তৃপ্তি এবং বিশ্রাম করতে পারছেন না। হাজার বছর আগে যে সংঘাত, রাগ, ও সামাজিক বিকৃতি বর্ণিত হয়েছে, সেগুলি আজও ভিন্ন ভিন্ন রূপে বিদ্যমান।” ভাগবত বলেন, “বস্তুগত ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পেলেও জীবনে অন্তরের শান্তি ও ভারসাম্য অনুপস্থিত। অসংখ্য মানুষ এখন উপলব্ধি করছেন যে এতদিন ধরে তাঁরা যে পথ অনুসরণ করেছেন তা সঠিক ছিল না, তাঁদের প্রকৃত পথের প্রয়োজন। আর সেই পথ নিহিত আছে ভারতের নিত্যজীবন-প্রবাহে এবং শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতার জ্ঞানে, যা যুগ যুগ ধরে বিশ্বকে আনন্দ, শান্তি ও সমন্বয়ের পথ দেখিয়ে এসেছে।”

    গীতা প্রতিবারই নতুন প্রেরণা দেয়

    তিনি বলেন, “গীতা অসংখ্য উপনিষদ ও দর্শনের সার। অর্জুনের মতো দৃঢ়, সাহসী এবং কর্তব্যপরায়ণ মানুষও যখন মোহে পড়ে গেলেন, তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে মূল সত্য, ধর্ম এবং কর্তব্য স্মরণ করিয়ে আবার স্থিতপ্রজ্ঞ করে তুলেছিলেন। গীতার মর্ম সহজ ভাষায় বোঝা প্রয়োজন, যাতে তা জীবনে আত্মস্থ করা যায়। গীতাকে যতবার পড়া বা ভাবা হয়, ততবারই তা নতুন প্রেরণা দেয় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পথ দেখায়।” সরসংঘচালক বলেন, “ভগবান কৃষ্ণের প্রথম উপদেশ হল, সমস্যা থেকে পালিয়ে যেও না, মুখোমুখি হও। “আমি কর্তা”- এই অহংকার লালন কোরো না, কারণ প্রকৃত কর্তা হলেন পরমাত্মা। মৃত্যু অনিবার্য, দেহ সর্বদাই পরিবর্তনশীল।” এর পরেই সংঘপ্রধান বলেন, “গীতা শুধু পড়ার গ্রন্থ নয়, এটি জীবনযাপনের শাস্ত্র। আমরা যদি গীতাকে আচরণের অংশ করি, তবে ভয়, মোহ ও দুর্বলতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারি এবং জীবনকে (RSS) উৎসর্গীকৃত, অর্থপূর্ণ ও সফল করতে পারি। অতি সামান্য কাজও যদি সেবার মনোভাব নিয়ে করা হয়, তাহলে তা-ও মহান বলে গণ্য হয়।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব কেবল গীতার মাধ্যমেই। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করে দেশসেবায় এগিয়ে চলাই আমাদের পরম কর্তব্য, এবং এই পথেই ভারত আবার বিশ্বগুরুর আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে (Mohan Bhagwat)।”

    আদিত্যনাথের বক্তব্য

    এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি বলেন, “ভরতবর্ষে সনাতন ধর্মের প্রতিটি অনুসারীর উচিত গভীর ভক্তিভরে গীতা-র ১৮টি অধ্যায় এবং ৭০০টি শ্লোক পাঠ করা। আমরা কখনও ধর্মকে শুধু উপাসনার পদ্ধতি হিসেবে দেখিনি। আমাদের কাছে ধর্ম হল জীবনযাপনের এক শিল্প। আমরা প্রত্যেক দায়িত্বই ধর্মবোধ নিয়ে পালন করি। আমরা কখনও আমাদের মহত্ত্ব নিয়ে অহংকার করিনি। কোথাও যেন কোনও অন্যায় না ঘটে। আমাদের ভাবনা হওয়া উচিত,  নিজে বাঁচো এবং অন্যকে বাঁচতে দাও। কর্তব্যের জন্যই যুদ্ধ লড়া হয় (RSS)। যেখানে ধর্ম আছে, সেখানে জয় আছে। প্রত্যেকের নিজের ধর্ম অনুযায়ী আচরণ করা উচিত। অধর্মের পথে করা যে কোনও কাজই আমাদের ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যায় (Mohan Bhagwat)।”

    আরএসএসের অবদান

    আদিত্যনাথ বলেন, “যেভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তার শতবর্ষ উদ্‌যাপনকে সামনে রেখে নিজেকে জনমানসে যুক্ত করছে, তা আজ বিশ্বের কাছে কৌতূহল ও বিস্ময়ের বিষয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা এখানে এসে জানতে চান, এখানকার মানুষ কি সংঘের সঙ্গে যুক্ত? আমরা বলি, হ্যাঁ, আমরা স্বয়ংসেবক হিসেবে কাজ করেছি। এই সংগঠন সমাজের প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করেছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করে। যে কোনও বিপর্যস্ত মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলে, প্রতিটি স্বয়ংসেবক তাঁকে নিজের কর্তব্য মনে করে সেবা করেন—জাতি, ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল বা ভাষার কোনও পার্থক্য না করেই, তাঁদের সেবা করা হয়। সেবা কখনও কোনও লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত হয় না। এটাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শিক্ষা (Mohan Bhagwat)।”

  • Suvendu Adhikari: বর-বউয়ের বাবা একই! এসআইআর চালু হতেই প্রকাশ্যে জালিয়াতি

    Suvendu Adhikari: বর-বউয়ের বাবা একই! এসআইআর চালু হতেই প্রকাশ্যে জালিয়াতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সম্পর্কে জামাই। অথচ ভোটার কার্ডে তাঁকে দেখানো হয়েছে ছেলে হিসেবে। আর মেয়ের জৈবিক বাবাও তিনি। যার অর্থ দাঁড়ায়, এই (Suvendu Adhikari) পরিবারে বিয়ে হয়েছে ভাই-বোনের মধ্যেই (SIR)। আজ্ঞে না, বাবার নামের জায়গায় শ্বশুরের নাম দিয়ে দিব্যি বানানো হয়েছে ভোটার কার্ড। এসআরএরের গুঁতোয় এমন ঘটনাই প্রকাশ্যে এল।

    শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে ভোটার কার্ড (Suvendu Adhikari)

    ঘটনাটি খুলে বলা যাক। রাজ্যে এসআইআর চালু হতেই ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা হাকিমপুরের মতো সীমান্ত দিয়ে পিলপিল করে পালাতে শুরু করেছে। এই সময়ই ঝুলি থেকে বের হচ্ছে একের পর এক বেড়াল। তবে শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে ভোটার কার্ড বানানোর জালিয়াতির পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে দীর্ঘ একটি পোস্টও করেছেন শুভেন্দু। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এসআইআরের ধাক্কায় শ্বশুর যখন বাবা’। এর স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে ভোটার তালিকার ছবিও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    স্বামীর বাবা আর স্ত্রীয়ের বাবা একজনই

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভোটার তালিকায় স্বামীর বাবা আর স্ত্রীয়ের বাবা যে একজনই, এসআইআরের দৌলতে তা-ও দেখতে হচ্ছে। যদিও বঙ্গেশ্বরীর রাজত্বে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এসআইআর চালু হওয়ার পরে এ রাজ্যে নিত্য নতুন রঙ্গ তামাশা দেখছে জনগণ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর (Suvendu Adhikari) গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬৫ নম্বর বুথের ভোটার মণিরুজ্জামান মণ্ডল ও আর্জিনা মণ্ডল স্বামী-স্ত্রী। মণিরুজ্জামান ওই বুথেরই তৃণমূল নেতা, আর আর্জিনা আইসিডিএস কর্মী এবং তৃণমূল কর্মী। তাঁদের দু’জনের পিতার নামই মিজানুর মণ্ডল। জানা গিয়েছে, আর্জিনার জন্মদাতা হলেন মিজানুর। ওই বুথটি আবার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসুদেব ঘোষের বুথ। এই বাসুদেবের ছেলেই আবার ওই বুথের বিএলও। মনিরুজ্জামান আবার বাসুদেবের ডানহাত বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ উঠেছে, এই বিএলও-ই কারসাজি করে মণিরুজ্জামান ও মিজানুরকে ম্যাপিংয়ে বাবা ও ছেলে হিসেবে দেখিয়েছেন।” তিনি লেখেন, “দিকে দিকে ভাড়া করা বাবা-মায়ের ছড়াছড়ি (SIR)। সঠিকভাবে এসআইআরের কাজ সম্পন্ন হলে এই ধরনের ভুয়ো ভোটার ধরা পড়বে (Suvendu Adhikari), পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যাও কমে যাবে।”

     

  • BJP: দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেপথ্যে শহুরে নকশালরা!

    BJP: দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেপথ্যে শহুরে নকশালরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ইন্ডিয়া গেট সি-হেক্সাগনে রাজধানী নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদের ঘটনায় দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে (BJP) পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়েছে দু’টি পৃথক থানায় (Urban Naxals)। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম এফআইআরটি দায়ের হয়েছে কর্তব্য পথ থানায়।  ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জন পুরুষ প্রতিবাদকারীকে। দ্বিতীয় এফআইআরটি দায়ের হয়েছে সাংসদ মার্গ থানায়। যেখানে বাকি প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে আগেই জানিয়েছিল যে গতকাল একদল লোক দিল্লি-ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের বায়ুদূষণ নিয়ে ইন্ডিয়া গেটে প্রতিবাদ করেছিল। তারা মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিদমার পোস্টার নিয়ে ঘুরছিল। মাওবাদী এই নেতা সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে।

    পুলিশের দাবি (BJP)

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারা যখন পথ অবরোধ করার চেষ্টা করছিল, তখন পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা পুলিশ কর্মীদের ওপর পেপার স্প্রে ছোড়ে। পুলিশকে আক্রমণও করার চেষ্টা করে। এখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”  যে ২২ জন প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছেন। যদিও তাঁরা গ্রেফতার করা হয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল যে বিক্ষোভকারীদের বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা সরে যায়নি। জনতাকে আটকাতে যে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল, সেগুলিও পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল প্রতিবাদীরা।

    নকশাল নেতার পোস্টার কেন

    রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নকশাল নেতা মদভি হিদমার পোস্টার কেন নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপি নেতা সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেনের দাবি (BJP), প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভকারীরা আসলে (Urban Naxals) নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিশানা করার ছুতো খুঁজছিল। তিনি বলেন, “দিল্লিতে গতকাল যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার জন্য দূষণ ছিল কেবল একটি অজুহাত। তাদের আসল লক্ষ্য ছিল হিদমার এনকাউন্টার নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করা। এরা ‘আরবান নকশাল’, ছদ্মবেশে আসে, এরা ‘প্রটেস্ট জীবী’, যেভাবে হিদমার সমর্থনে স্লোগান উঠেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই দেশে যারা নকশাল ও সন্ত্রাসীদের সমর্থনে আওয়াজ তোলে, তাদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

    “বিশুদ্ধ বাতাস বিক্ষোভ”

    রবিবারের এই ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই, ৯ নভেম্বর ইন্ডিয়া গেটে হয়েছিল “বিশুদ্ধ বাতাস বিক্ষোভ”। তখনও অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছিল। তারা রাজধানীতে “বায়ু জরুরি অবস্থা” মোকাবিলায় অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপ ও কড়া নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিলেন (BJP)। ফি বার শীতকালে ঘন বিষাক্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে দিল্লির আকাশ। যার জেরে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। দিল্লির বেশির ভাগ এলাকার একিউআই ৩০০ থেকে ৪০০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কয়েকটি এলাকায় তো আবার ৪০০–র সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Urban Naxals) একিউআই। সেই কারণে ওই এলাকাগুলি ‘গুরুতর’ শ্রেণিতে পৌঁছে গিয়েছে।

    অমিত মালব্যর দাবি

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর দাবি, প্রতিবাদীদের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “গত এক দশক ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এক আরবান নকশাল, এবং শহরটি বছর বছর দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে থাকলেও বিশুদ্ধ বাতাসের দাবিতে বড় কোনও আন্দোলন দেখা যায়নি।” তিনি আরও লেখেন, “কিন্তু বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ করে ‘অ্যাক্টিভিস্টরা’ দূষণের নামে প্রতিবাদ শুরু করেছে। স্পষ্টতই এসব প্রতিবাদ পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের জন্য নয়, বরং একটি প্রতিক্রিয়াশীল কমিউনিস্ট অ্যাজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত।” একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘও। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা (Urban Naxals) সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু আরবান নকশাল এবং বামপন্থী, ভারত-বিরোধী শক্তিগুলি বিদেশি টুলকিটের মাধ্যমে দেশে ঘৃণা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। নকশাল, মাওবাদী বা সন্ত্রাসবাদী, তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাদের নিরপরাধ মানুষ হত্যা-নির্ভর মতাদর্শ নির্মূল করতেই হবে (BJP)।”

    বিপদের নাম শহুরে নকশাল

    প্রসঙ্গত, শহুরে নকশালরা যে উন্নয়ন বিরোধী, তা ঢের আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, এঁদের পেছনে থাকে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সমর্থনও। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, গুজরাটে নর্মদা নদীর ওপর নির্মিত সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প দীর্ঘকাল ধরে আটকে রেখেছিলেন শহুরে নকশালরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উন্নয়ন বিরোধী কিছু মানুষও। তাঁর তোপ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ (Urban Naxals) থেকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের উন্নয়নে বাধা দেন শহুরে নকশালরা (BJP)।

LinkedIn
Share