Author: Susanta Das

  • Dowry: দাবি মতো পণ না পেয়ে তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন

    Dowry: দাবি মতো পণ না পেয়ে তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবি মতো পণের (Dowry) টাকা ও গাড়ি না পেয়ে এক মহিলাকে এইচআইভি (এডস রোগ) (HIV) ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুরে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। মামলা দায়ের করা হয়েছে গাঙ্গোহ থানায়। জেলা পুলিশ সুপার সাগর জৈন জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    মোটা অঙ্কের পণের দাবি (Dowry)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিদ্বারের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন গাঙ্গোহ এলাকার এক ব্যক্তি। পণ বাবদ দিয়েছিলেন একটি গাড়ি, নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং বেশ কয়েক লাখ টাকার গয়না। এতে অবশ্য সন্তুষ্ট হয়নি ওই ব্যক্তির মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা একটি স্করপিও গাড়ি এবং নগদ ২৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন

    পণ বাবদ এত দাবি আর মেটাতে পারবেন না বলে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই তরুণীর বাবা। অভিযোগ, এর পরেই শুরু হয় ওই তরুণীর ওপর নিত্য অত্যাচার। প্রতিদিন মারধর করার পাশাপাশি একদিন ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামের লোকজন বসে সমস্যা মিটিয়ে দেন। বিষয়টি তখনকার মতো ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগ, এর পরেই ওই তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এইচআইভি ইনজেকশন দিয়ে দেয়। নির্যাতিতাকে জোর করে কিছু ওষুধও খাওয়ানো হয়। ওষুধ এবং ইনজেকশনের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বধূ।

    ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন ওই তরুণীর পরিবার (Dowry)। সেখানেই ধরা পড়ে নির্যাতিতার এইচআইভি সংক্রমণ। পরীক্ষা করা হয় ওই তরুণীর স্বামীকেও। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের নির্দেশে, গাঙ্গোহ থানা (Uttar Pradesh) সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে শুরু করেছে তদন্ত (Dowry)।

  • Pulwama Attack: পুলওয়ামা হামলার ৬ বছর, শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    Pulwama Attack: পুলওয়ামা হামলার ৬ বছর, শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে উদযাপিত হয়। তবে ভারতবাসীর ক্ষেত্রে এই দিনটি এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ছয় বছর আগে আজকের দিনেই, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama Attack) এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন বীর সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। সেই কারণে, আমাদের দেশে এই দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। আজকের দিনে সেই পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের স্মরণ করে শহিদদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘২০১৯ সালে পুলওয়ামায় যে সাহসী বীরদের হারিয়েছি, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা। তাঁদের আত্মত্যাগ এবং জাতির প্রতি তাঁদের অটল নিবেদন আগামী প্রজন্ম কখনও ভুলবে না।’’

    ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি (Pulwama Attack)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কনভয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ওই জঙ্গি সংগঠন আত্মঘাতী হামলা চালায়। কনভয়ে ৭৮টি গাড়ি ছিল এবং ২,৫০০-এর বেশি সিআরপিএফ সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন এবং আরও অনেকেই আহত হন। এই হামলা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়।

    প্রত্যেক নাগরিক প্রতিবছর শ্রদ্ধা জানান এই দিনটিতে

    প্রসঙ্গত, প্রতিবছর এই দিনেই প্রত্যেক দেশবাসী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশবাসী তাঁদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে (Pulwama Attack)। ভালোবাসার এই দিনে, দেশের রক্ষাকর্তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোই প্রকৃত দেশপ্রেমের প্রতিফলন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুলওয়ামার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায়। এই এয়ার স্ট্রাইকে বহু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়। মারা যায় শয়ে শয়ে জঙ্গি। যদিও এই অভিযানে সাফল্যের পরও পুলওয়ামার (Pulwama Attack) ক্ষত আজও রয়ে গিয়েছে দেশবাসীর মনে।

  • Rajiv kumar: সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার, নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে? বৈঠক সোমবার

    Rajiv kumar: সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার, নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে? বৈঠক সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। যদিও নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (New Chief Election Commissioner) কে হবেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বিহারে। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম ও কেরলে। সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হবে খুব শীঘ্রই। গোটা নির্বাচন সামলাবেন কোন ব্যক্তি তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সোমবার বৈঠকে বসবে কমিটি, উপস্থিত থাকবেন মোদি

    এ দিনই খবর সামনে আসে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। আগামী মঙ্গলবার তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার কে হবেন, তা নিয়ে আগামী সোমবারই বৈঠক বসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল, লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নাম বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে (New Chief Election Commissioner) ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০২৩ সালের শেষের দিকে কর্নাটক, তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ব্যবস্থাপনাও তিনি করেছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। সেই ভোট পর্ব মিটতেই নিজের দায়িত্ব শেষ করলেন নির্বাচন কমিশনার। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন রাজীব কুমার। সে সময়ই তিনি বলেছিলেন যে অবসর গ্রহণের পর ৪-৫ মাস হিমালয়ে কাটাবেন।

  • PM Modi: বিশ্বের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধের দর্শন, বললেন মোদি

    PM Modi: বিশ্বের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধের দর্শন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুদ্ধের মধ্যম পথ অনুসরণের শিক্ষা এবং চরমপন্থা পরিহার করার দর্শন বিশ্বব্যাপী বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক সংঘাতের মূল কারণ হল চরমপন্থী অবস্থান গ্রহণ করা। এর পরিবর্তে উচিত একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।”

    বুদ্ধের শরণ (Samvad Programme)

    বর্তমানে দুদিনের (Samvad Programme) সফরে আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই থাইল্যান্ডে আয়োজিত সংঘাত পরিহারের লক্ষ্যে বৈশ্বিক হিন্দু-বৌদ্ধ উদ্যোগ ‘সংবাদ’-এর চতুর্থ সংস্করণের ভিডিও ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ফের শরণ নিলেন বুদ্ধের। তিনি বলেন, “এশিয়ার ধম্ম-ভিত্তিক ঐতিহ্য পরিবেশগত সংকটের সমাধান দিতে পারে যা বর্তমানে বিশ্বকে বিপর্যস্ত করছে। হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, শিন্তোবাদ এবং অন্যান্য এশীয় ঐতিহ্য মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে শেখায়। এগুলি নিজেকে প্রকৃতি থেকে আলাদা কিছু মনে করে না, বরং প্রকৃতিরই অংশ হিসেবে দেখে।”

    থাইল্যান্ড প্রশস্তি

    থাইল্যান্ডের আতিথেয়তা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রশংসা করে মোদি (PM Modi) বলেন, “এটি এশিয়ার যৌথ দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর উদাহরণ।” ভারত ও থাইল্যান্ডের দুহাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রামায়ণ ও রামাকিয়েন উভয় দেশকে সংযুক্ত করে এবং ভগবান বুদ্ধের প্রতি তাদের সম্মিলিত শ্রদ্ধা তাদের একত্রিত করে।”

    বুদ্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংযমের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক, যা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা দেয়।” তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী খাতে প্রাণবন্ত অংশীদারিত্বের কথার উল্লেখ করেন। বলেন, “ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ও থাইল্যান্ডের ‘অ্যাক্ট ওয়েস্ট’ নীতি পরস্পরের পরিপূরক।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংঘাতের আর একটি কারণ হল অন্যদের মৌলিকভাবে ভিন্ন হিসেবে দেখা। এই পার্থক্য দূরত্ব সৃষ্টি করে। আর এই দূরত্ব বিভেদের রূপ নিতে পারে। এর প্রতিকারে, তিনি ধম্মপদ থেকে একটি শ্লোক উদ্ধৃত করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে সবাই যন্ত্রণা ও মৃত্যুকে ভয় (Samvad Programme) পায়।” তিনি বলেন, “ভগবান বুদ্ধের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভারত সরকারের নীতিগুলির প্রতিফলনে দেখা যায় (PM Modi)।”

  • Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! বন্ধু মোদির (PM Modi) ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। তার প্রমাণ মিলল মোদি-ট্রাম্পের বৈঠকে। প্রত্যাশিতভাবেই ওই বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পড়শি দেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যে আমেরিকার কোনও গোপন ভূমিকা নেই, তাও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    আমেরিকা সফরে মোদি (Donald Trump)

    ফ্রান্স সফর সেরে দুদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হোয়াইট হাউসে আসেন মোদি (Donald Trump)। সেখানেই হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রত্যাশিতভাবেই সেই বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। ওই বৈঠকেই ট্রাম্প বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। বহু বছর ধরে এই চেষ্টা চলছে। আমি এ সংক্রান্ত খবরাখবর পড়ছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারটা আমি মোদির ওপরই ছাড়তে চাই।”

    কী বললেন ভারতের বিদেশ সচিব

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী, অবস্থান ট্রাম্পকে জানিয়েছেন মোদি। নিজের উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা ওদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল আলোচনা করতে পারব। কিন্তু আপাতত ওখানকার পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে কথা বলছেন।”

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লিকে। হাসিনা সংক্রান্ত নথিপত্রও ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে ভারতে। এর পরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ির বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে দেয় উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডিতে হাসিনার সুধা সদনেও। হাসিনার কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় জনতার একাংশ। ইউনূস ও তাঁর সরকারের উপদেষ্টারা অবশ্য বারবার দাবি করছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত। কয়েকটা জায়গায় অশান্তি হলেও, আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি সমাল দিচ্ছে। ভারতের উদ্বেগপ্রকাশকে অনভিপ্রেত বলছে ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার মোদির (PM Modi) ওপরই ছাড়লেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে বিদেশি ইন্ধন, ঠান্ডা করতেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মণিপুরে লাগাতার অশান্তি জিইয়ে রাখতে সেখানকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ইন্ধন জোগাচ্ছিল বিদেশি শক্তি। নির্বাচিত সরকার থাকলে ওই বিদ্রোহীদের দমন করা যায় না। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur) জারি করে মণিপুরের রাশ হাতে নিতে চাইল সরকার।

  • Daily Horoscope 14 February 2025: বাড়িতে অতিথি সমাগম হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 14 February 2025: বাড়িতে অতিথি সমাগম হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারেন।

    ২) গর্ভবতী মহিলাদের আজ অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

    ৩) প্রিয়জনদের কাছ থেকে আজ আপনি উপহার পেতে পারেন।

     

    বৃষ

    ১) সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন আজ।

    ২) প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) প্রিয়জনদের সঙ্গে আজ অবশ্যই কিছুটা সময় কাটান।

     

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) সজ্জন ব্যক্তির সান্নিধ্যে সুখ।

     

    কর্কট

    ১) দূরে ভ্রমণ না করাই ভাল।

    ২) সমাজে মর্যাদা লাভ হতে পারে।

    ৩) কারও চিকিৎসার কাজে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) পরিশ্রম বৃদ্ধিতে শারীরিক অসুস্থতার যোগ।

    ২) মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) পিতার সঙ্গে অর্থ নিয়ে তর্ক।

     

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির যোগ।

    ২) সন্তানদের কাজে সাহায্য করতে হতে পারে।

    ৩) ব্যবসায় নতুন কর্মী নিয়োগ করার আগে ভালো করে নজর দিন।

    তুলা

    ১) বাসস্থান কেনাবেচার পরিকল্পনা এখন বন্ধ রাখুন।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ বাধতে পারে।

    ৩) ছোটখাটো আঘাত লাগতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বুদ্ধির বলে শত্রুর মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।

    ২) বাড়িতে অতিথি সমাগম হতে পারে।

    ৩) দিনের শেষভাগে সম্মানপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ধনু

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়বে।

    ২) কেনাবেচা করার জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) খুব দরকারি কাজ থাকলে দুপুরের পরে করুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সন্তানদের চাকরির খবরে আনন্দ লাভ।

    ৩) আইনজীবীদের সামনে শুভ সময়।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুর সঙ্গে বিবাদ।

    ২) ধর্মালোচনায় সুনাম অর্জন করবেন।

    ৩) বাড়তি উপার্জন হতে পারে।

    মীন

    ১) সঙ্গীতশিল্পীদের শুভ সময়।

    ২) চাকরিতে বদলির সম্ভাবনা।

    ৩) ব্যবসায় জট ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Somnath Shivling: মামুদের ভাঙা সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ভাঙা অংশ সংরক্ষণ করবেন ধর্মগুরু রবিশংকর

    Somnath Shivling: মামুদের ভাঙা সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ভাঙা অংশ সংরক্ষণ করবেন ধর্মগুরু রবিশংকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতে হিন্দুদের পীঠস্থান সোমনাথ মন্দিরের (Somnath Shivling) শিবলিঙ্গকে ভেঙে চুরমার করেছিলেন গজনির সুলতান মামুদ। সেই ভাঙা জ্যোতির্লিঙ্গগুলি দীর্ঘদিন ধরেই সংরক্ষিত হয়েছিল। বর্তমানে সেই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলি নিজের কাছে রাখতে চলেছেন ভারতবর্ষের অন্যতম আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবি শংকর। জানা গিয়েছে, গজনির সুলতান মামুদ ওই জ্যোতির্লিঙ্গকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার পরে সেই ভাঙা অংশগুলি ছিল অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণদের কাছে। বিগত ২১ বছর ধরে এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলি ছিল সীতারাম শাস্ত্রী নামের এক অগ্নিহোত্রী পুরোহিতের কাছে এবং তিনি দেখাশোনা করেছিলেন এগুলি। সীতারাম শাস্ত্রী এগুলিকে হস্তান্তর করে দেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের (Sri Sri Ravishankar) হাতে।

    কী বললেন সীতারাম শাস্ত্রী?

    সীতারাম শাস্ত্রী জানিয়েছেন (Somnath Shivling), তাঁরা দুই প্রজন্ম ধরে এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলিকে সংরক্ষণ করে আসছেন। শাস্ত্রীর কাকা জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলিকে সীতারাম শাস্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেছিলেন বলে জানা যায়। সীতারাম শাস্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি একুশ বছর আগেই মূর্তিগুলিকে পেয়েছিলাম। এর আগে আমার কাকা এগুলোকে নিজের কাছে রেখেছিলেন। তিনি আমাকে এই মূর্তিগুলিকে দিয়েছিলেন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন এর মধ্যে অন্তত দুটি মূর্তি যেন গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরে তুমি স্থাপন করবে। সোমনাথ শাস্ত্রী জানিয়েছেন এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলির বয়স হাজার বছর হয়ে গেছে। প্রায় আমার কাকা তাঁর গুরু প্রবীন্দ্র সরস্বতীর কাছ থেকে এগুলি পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আমার কাকার কাছ থেকে এগুলি আমি পাই।’’

    কী বললেন শ্রী শ্রী রবিশংকর (Somnath Shivling)

    অন্যদিকে শ্রী শ্রী রবিশংকর এই বিষয়গুলির ওপরে বলেন, ‘‘সীতারাম শাস্ত্রীর কাকা তাঁর গুরু পরবেন্দ্র সরস্বতীর কাছ থেকে শিবলিঙ্গের অংশগুলি পেয়েছেন। ১০০ বছর আগে এই শিবলিঙ্গের অংশগুলি পেয়েছিলেন তিনি। তখন কাঞ্চির শংকরাচার্যের কাছে তিনি এগুলি নিয়ে যান। শংকরাচার্য তাঁকে বলেছিলেন যে সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গ পবিত্র হতে ১০০ বছর সময় লাগবে। তাই তিনি সেই সময় পর্যন্ত অংশগুলিকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’ জানা যায়, এক হাজার বছর আগেই শিবলিঙ্গটিকে ধ্বংস করেন গজনির সুলতান মামুদ এবং সোমনাথ মন্দিরের (Somnath Shivling) প্রবেশের সময় মামুদ পঞ্চাশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। মন্দিরে সমস্ত জিনিসপত্র গজনির সুলতান লুট করেছিলেন এবং শিবলিঙ্গকে ধ্বংস করেছিলেন।

  • PM Modi: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ‘বন্ধু’ তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

    PM Modi: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ‘বন্ধু’ তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হয়েছেন তুলসী গাবার্ড (Tulsi Gabbard)। প্রসঙ্গত, আমেরিকার আইনসভায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্যও ছিলেন তুলসি। সেসময় তিনি ভগবত গীতায় হাত রেখে শপথগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। তুলসী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু বলেই পরিচিত। ক্ষমতায় ফিরে গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে তুলসীকে মনোনীত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা সফরে গিয়ে সেই তুলসীর সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি দুজনের বৈঠকেই ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তুলসীর পরিচয় বহুদিনের। আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হাউডি মোদি অনুষ্ঠানের সময়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তুলসীর। তুলসী এরপর থেকেই ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পান আমেরিকায়। এবার আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান হয়েই ‘বন্ধু’ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তুলসি।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী লিখলেন মোদি (PM Modi)?

    তুলসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা হল। এই গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। ওয়াশিংটন ডিসিতে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। ভারত-আমেরিকার মজবুত বন্ধুত্ব নিয়ে কথা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী দিনে যাতে এই বন্ধন আরও মজবুত হয় সেনিয়ে আমরা একমত হয়েছি। তুলসী সব সময়ই দুদেশের বন্ধুত্বের পক্ষেই কথা বলেছেন।’’

    এক সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতেই ছিলেন তুলসী

    জানা যায়, এক সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতেই ছিলেন তুলসী। ২০২০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে সামিলও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। তার পর বাইডেন সরকার ও দলীয় সহকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ সামনে আনেন তিনি। বাইডেনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ছিল, বর্তমান সরকার প্রতিটি ইস্যুতে বর্ণ বিচার করে কাজ করে। শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে ইন্ধন জোগায়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ‘যুদ্ধবাজ ও বর্ণবিদ্বেষী’ বলেও তোপ দেগেছিলেন।

  • Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC Registration)। তারপর থেকে এনিয়ে সারা রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নিয়মে কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে সংক্রান্ত সবকিছু জানতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলিতে প্রবেশ করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিন্ন অভিন্ন অনুযায়ী একত্রবাসের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মে বদল আনা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রি করার পরে পরে লিভ-ইন করা যাবে উত্তরাখণ্ডে।

    সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যাপক ভিড়

    এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে সে রাজ্যের মানুষ ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছেন সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পোর্টালে যাঁরা প্রবেশ করছেন এই সংখ্যা ব্যাপক। ২৭ জানুয়ারি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১,০০৬ জন এই পোর্টালে প্রবেশ করেছেন এবং তাঁরা নিজেদের বিবাহকে রেজিস্ট্রি করেছেন।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে সমস্ত মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছিলেন, তাঁরাও বর্তমানে বুঝতে পারছেন যে এই নিয়ম বিধির আমাদের রাজ্যের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আইন কারও বিরুদ্ধে আনিনি, কাউকে হয়রানি করতেও আনিনি। এই আইন আনা হয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) জনগণের সুবিধার জন্য।

    প্রতিদিন ওয়েবসাইটে শত শত মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন

    প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউসিসি পোর্টালে গিয়ে নিজের বিবাহকে নিবন্ধন করিয়েছেন। তারপর থেকেই প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ তাঁদের বিবাহ নিবন্ধন করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালে কোনওরকমের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয় কেউ নিবন্ধন করেনি বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে দেখার পরেই গুজরাতে বিজেপির সরকার কমিটি তৈরি করেছে। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি গুজরাতেও চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।

LinkedIn
Share