Author: Susanta Das

  • World COPD Day: ৬ কোটির বেশি ভারতীয় আক্রান্ত! চার মন্ত্রেই কাবু হবে সিওপিডি!

    World COPD Day: ৬ কোটির বেশি ভারতীয় আক্রান্ত! চার মন্ত্রেই কাবু হবে সিওপিডি!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রবীণ থেকে শিশু, সব প্রজন্মের বাড়ছে ভোগান্তি। জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। অনেক সময়েই ফুসফুস, শ্বাসনালীর সমস্যা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে, যে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। আর এই সব হয়রানির নেপথ্যে রয়েছে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। বড়দের পাশপাশি শিশুরাও এই রোগের শিকার হচ্ছে। জীবনভর নানান হয়রানিও ভোগ করতে হচ্ছে। আজ বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ওয়ার্ল্ড ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস ডে! আর সেই উপলক্ষে সপ্তাহ জুড়ে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালা এবং সচেতনা কর্মসূচি চলছে। যেখানে সিওপিডি মোকাবিলার পাঠ শেখানোর পাশপাশি, কেন এই রোগের দাপট বাড়ছে সে নিয়েও সচেতনতা চলছে।

    কেন ভারতে সিওপিডি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৬ কোটি মানুষ সিওপিডি-তে আক্রান্ত। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগের জেরে মানুষের জীবন যাপনের মান কমছে। অধিকাংশ আক্রান্ত বছর ভর ভোগান্তির শিকার হন। ঋতু পরিবর্তনের সময় তাঁরা শ্বাসকষ্টে ভোগেন। এর ফলে তাদের নানান সমস্যা হয়। স্বাভাবিক কাজের ক্ষতি হয়। প্রবীণদের পাশপাশি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে শিশুদের মধ্যে সিওপিডি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।

    কেন সিওপিডি ভারতে বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সিওপিডি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোট সিওপিডি আক্রান্তের ৫০ শতাংশের রোগের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বায়ু দূষণের জেরেই এই সমস্যা হচ্ছে। অক্সিজেনের তুলনায় বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক উপাদান বেড়ে যাওয়ার ফলেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

    এছাড়া সিওপিডি আক্রান্ত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ধূমপানের অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত ধূমপানে অভ্যস্ত। এই অভ্যাস ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর ফলে সিওপিডি হতে পারে। এছাড়াও বংশানুক্রমিক কারণেও এই রোগ হতে পারে। পরিবারের কেউ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে।

    কোন চার মন্ত্রে সিওপিডি রুখতে পারবেন?

    সচেতনতা!

    সিওপিডি রুখতে প্রথম পদক্ষেপ হল সচেতনতা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ মোকাবিলা করার জন্য রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পাশপাশি পরিবেশ সম্পর্কেও‌ সচেতনা জরুরি। প্রত্যেক এলাকায় গাছ লাগানো জরুরি। যতটা সম্ভব ধুলো ধোঁয়া থেকে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। তাছাড়া উৎসব উদযাপন মানেই পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকা। এই ধরনের সচেতনা বোধ বাড়লে সিওপিডি-র দাপট কমবে। আবার আক্রান্তদের ভোগান্তিও কমবে।

    সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু!

    শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হলে কখনোই সেটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই রোগ মোকাবিলার জন্য সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ধারাবাহিক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া দরকার।‌ যাতে ফুসফুসের বেশি ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই ঠিকমতো চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হলো‌ সিওপিডি মোকাবিলার অন্যতম অস্ত্র!

    পুষ্টি!

    যে কোনও রোগ মোকাবিলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পুষ্টি! আক্রান্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলে রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার নিয়মিত পর্যাপ্ত পুষ্টি শরীর পেলে, নতুন রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না। তাই সিওপিডি মোকাবিলাতেও পুষ্টি খুব জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত আদা, এলাচের মতো মশলা রান্নায় ব্যবহার করা উচিত। এই মশলাগুলো শ্বাসনালীর সংক্রমন রুখতে সাহায্য করে। আবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল‌ যেমন লেবু, বেরি এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার জলের সঙ্গে নিয়মিত তুলসী পাতা ভিজিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমে। কারণ এগুলো যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

    যোগাভ্যাস!

    নিয়মিত যোগাভ্যাস শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যোগাযোগ শরীরে যেমন রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো করতে সাহায্য করে। তেমনি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হাঁপানি কিংবা ফুসফুসঘটিত যেকোনও রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Blast: আত্মঘাতী হামলার পক্ষে ব্যাখ্যা, রয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের ইঙ্গিতও! উমরের শেষ ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে

    Delhi Blast: আত্মঘাতী হামলার পক্ষে ব্যাখ্যা, রয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের ইঙ্গিতও! উমরের শেষ ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণ যে নাশকতামূলক হামলা, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। তবে, এই হামলা আত্মঘাতী হামলা নাকি দুর্ঘটনাবশত ঘটে যাওয়া, সেই নিয়ে দুই তত্ত্বের মধ্যে দোটানায় ছিলেন তদন্তকারীরা। একপক্ষের মতে, এটা ছিল আত্মঘাতী হামলাই। কারণ, আত্মঘাতী জঙ্গি-ডাক্তার উমর জানত কী হতে চলেছে। অন্য তত্ত্ব ছিল, বিস্ফোরক সরাতে গিয়ে স্পর্শকাতর বিস্ফোরক-ঠাসা গাড়িতে আচমকাই ঘর্ষণের ফলে ঘটে যায় বিস্ফোরণ। কিন্তু, সব জল্পনার অবসান। দিল্লি বিস্ফোরণ আদতে একটি আত্মঘাতী হামলা। আর এমনই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে খোদ আত্মঘাতী জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবির একটি পুরনো ভিডিও থেকে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি-ডাক্তার উমরে নবির ভিডিও …

    সম্প্রতি, নবি উমরের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। সূত্রের খবর, এটাই উমরের শেষ ভিডিও। দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই এই ভিডিও নিজে শ্যুট করে উমর। সেখানে তাকে আত্মাঘাতী হামলার স্বপক্ষে বলতে দেখা গিয়েছে। এমনকি, দিল্লি হামলার সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলেছে ওই ভিডিওয়। উমরকে আত্মঘাতী বোমা হামলার পক্ষে যুক্তি দিতে শোনা গিয়েছে। ভিডিওতে তাকে স্পষ্ট ইংরেজি ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘আত্মঘাতী বোমা হামলা নিয়ে বোঝার ভুল রয়েছে…।’ উমরকে ওই ভিডিওতে এমনও দাবি করতে দেখা যায় যে, এটা (আত্মাঘাতী হামলা) নাকি শহিদ হওয়ার সমান। এই ধরনের হামলাকে সমর্থনযোগ্য কাজ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে সে। শুধু আত্মঘাতী হামলার স্বপক্ষে সওয়াল করাই নয়। দিল্লি বিস্ফোরণের স্পষ্ট ইঙ্গিত উঠে এসেছে উমরের ভিডিও-বার্তা থেকে। যেখানে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যখন আপনি জেনে যান ঠিক কখন, কোথায় আপনার মৃত্যু হবে…’’।

    আত্মঘাতী হামলার তত্ত্বকেই সিলমোহর

    মৃত জঙ্গি-ডাক্তার উমর উন নবির নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ভিডিও দিল্লি বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলার তত্ত্বকেই সিলমোহর দিল। স্পষ্ট হল, সঙ্গীরা ধরা পড়ায় মরিয়া হয়ে তড়িঘড়ি এই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল উমর। পুলিশ ও এনআইএ-র দাবি, দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানো কোনও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্ত। হামলার আগে ভিডিও বার্তা রেকর্ড করা সেই পরিকল্পনারই অংশ। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ভিডিওটি ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর তৈরি করা হয়েছে। কীভাবে উমর এই পথে জড়িয়ে পড়ে, তা জানতে তার পুরনো যোগাযোগ ও অনলাইন কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উগ্রপন্থী প্রচারমূলক কন্টেন্ট দেখত এবং গোপনে তা প্রচারও করত।

    বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ

    তদন্তকারীদের মতে, যে কোনও নাশকতার কার্যকলাপের পিছনে দীর্ঘদিন ধরে চলে মগজধোলাই। বোঝানো হয় যে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হওয়াটা ভালো। এভাবেই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদেরও নাশকতার কার্যকলাপে টেনে আনা হয়। ভিডিও দেখে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে উমর সকলের মগজধোলাই করছে। গোয়েন্দারা বলেন, ভিডিওটি স্পষ্ট করে দেয় যে, হামলা করার আগে থেকেই উমর তা নিয়ে অত্যন্ত দৃঢ় ছিল এবং সমাজের সামনে নিজের কাজকে সঠিক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছিল। তাই স্পষ্টতই এই ভিডিও এখন দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে উঠেছে।

  • Delhi Blast: শুধু আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নয়, হামাসের ধাঁচে ভারতে ড্রোন-রকেট হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! দাবি এনআইএর

    Delhi Blast: শুধু আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নয়, হামাসের ধাঁচে ভারতে ড্রোন-রকেট হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! দাবি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে বিরাট চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। শুধুমাত্র গাড়ি বা আত্মঘাতী হামলাই নয়, ভারতের বুকে রীতিমতো হামাসের ধাঁচে ড্রোন ও রকেট হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র ছিল জঙ্গিদের! যার মাত্রা এতটাই বড় ছিল যে তার সামনে লালকেল্লার বিস্ফোরণ নমুনা মাত্র! এমনটাই আভাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার, জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে আত্মঘাতী জঙ্গি উমর-উল নবি ওরফে উমর মহম্মদের অন্যতম সহযোগী জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কতটা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা ছিল ‘হোয়াইট কলার মডিউল’-এর জঙ্গিদের। একেবারে হামাসের কায়দায় ভারতকে আকাশ থেকে ঝাঁঝরা করে দিতে চেয়েছিল তারা।

    প্রযুক্তিগত সহায়তা দিত দানিশ

    এনআইএ-এর (NIA) দাবি, দানিশ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিত সন্ত্রাসী মডিউলকে। ড্রোনকে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য পরিবর্তন করার পাশাপাশি, ছোট আকারের রকেট তৈরিরও চেষ্টা চালিয়েছিল সে। বড় ব্যাটারি বসিয়ে ভারী বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম ড্রোন তৈরি করাই ছিল তার প্রধান দায়িত্ব, বলে সূত্রের দাবি। তদন্তকারীদের দাবি, সন্ত্রাসী চক্রটির লক্ষ্য ছিল— ১১ নভেম্বরের হামলার আগে আরও বড় মাত্রার ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো।

    হামাসের ইজরায়েল আক্রমণের ধাঁচে হামলা!

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনাটি অনেকটাই মেলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইজরায়েল আক্রমণের মডেলের সঙ্গে, যেখানে ড্রোনই ছিল মূল আঘাত হানার উপায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই মডিউলের পরিকল্পনা ছিল জনবহুল এলাকায় অস্ত্রবহ ড্রোন উড়িয়ে সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া সহ বহু অঞ্চলে এমন কৌশল ব্যবহার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি – যা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই মডিউলও।

    ড্রোন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত দানিশ!

    তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র উমেশের সঙ্গে মিলে দিল্লি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেননি উমেশ, তাঁকেও আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। কাশ্মীরের এক মসজিদে উমরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দানিশের। দিনে দিনে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্বের সুযোগে দানিশের মগজধোলাই করেছিলেন উমর!তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দানিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল ছোট অস্ত্রযুক্ত ড্রোন তৈরির কাজে, যা তাকে এই মডিউলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিণত করেছিল।

    দিল্লি হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী দানিশ

    এই দানিশ ওরফে বিলাল ওয়ানিকে চারদিন আগেই আটক করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তিনদিন ধরে জেরা করার পর, তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যেই, ছেলের কুকীর্তির কথা জেনে, অপমানে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হন পেশায় ড্রাই ফ্রুট বিক্রেতা দানিশের বাবা। বর্তমানে দানিশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে এনআইএ। দিল্লি হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রীও ছিল এই দানিশ। প্রসঙ্গত, রবিবারই উমরের সহযোগী তথা এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী আমির রশিদ আলি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গোয়ান্দাদের জালে ধরা পড়ে দানিশ।

    এনআইএ-র লক্ষ্য

    দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে দেশজুড়ে তল্লাশি চলছে। একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত চলার কারণে দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় রেখে চলেছে এনআইএ। তদন্তকারীদের এখন অগ্রাধিকার হল হামলার পেছনের নেটওয়ার্কটি খুঁজে বের করা। এনআইএ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা। এনআইএ জানিয়েছে, ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাসী মডিউলটি বহু দিক থেকে ছক কষছিল এবং সে সব সূত্র ধরে তদন্ত এগোচ্ছে। পাশাপাশি, কোথা টাকা এসেছিল, তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। যে কেউ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কর্মকর্তাদের ধারণা, তদন্ত এগোলে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

  • Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    Mother of Satan TATP: বিস্ফোরণ ঘটাতে ‘শয়তানের মা’ টিএটিপি ব্যবহার উমরদের! কতটা শক্তিশালী এই বিস্ফোরক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০ জনের বেশি জখম হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও জোরকদমে এগোচ্ছে তদন্ত৷ আটক করা হচ্ছে ফরিদাবাদ ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর (Doctors Module) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের৷ এবার দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বিস্ফোরক নিয়ে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য৷ লালকেল্লায় বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort Blast) ঘটাতে ‘শয়তানের মা’-কে (Mother of Satan TATP) ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে। এখনও গোটা বিষয়টি ফরেন্সিক পরীক্ষার আওতায় রয়েছে তবে, তদন্তকারীদের অনুমান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড বা টিএটিপি (TATP), যা ‘মাদার অফ স্যাটান’ নামেও কুখ্যাত।

    কী এই ‘মাদার অফ স্যাটান’ টিএটিপি?

    ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Triacetone Triperoxide) বা টিএটিপি আদতে এটি একটি ভয়ঙ্কর রকমের স্পর্শকাতর রাসায়নিক, যা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে বিক্রিয়ায় প্রবল বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখন জঙ্গিরা বোমা তৈরিতে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে। ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারঅক্সাইড (Mother of Satan TATP) কেবল তাপের কারণে ফেটে যেতে পারে। এর জন্য কোনও ডেটোনেটর প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ঝাঁকুনি কিংবা সূর্যের উত্তাপেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। টিএটিপি দিয়ে শক্তিশালী আইইডি বানানো যেতে পারে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এখন এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। চলছে নানা ফরেন্সিক পরীক্ষা।

    জইশের পছন্দের বিস্ফোরক টিএটিপি?

    বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, টিএটিপি-র (TATP) সামান্য ঘর্ষণ, চাপ, তাপমাত্রার বদল, যে কোনও কিছুতেই ট্রাইমার অস্থিতিশীল হয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যে কারণে, উচ্চক্ষমতাশীল এই বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ পছন্দের। ২০১৫ সালে প্যারিস, ২০১৬ সালে বার্সেলোনা ও ব্রাসেলস, এবং ২০১৭ সালে ম্যাঞ্চেস্টার বিস্ফোরণে টিএটিপি (Mother of Satan TATP) ব্যবহৃত হয়েছিল। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, উমর সম্ভবত এই টিএটিপি-র বিষয়ে জানতেন না। গাড়িতে টিএটিপি ঠাসা অবস্থায় তাঁকে লালকেল্লার কাছে পৌঁছতে বলে মডিউলের মাথারা। অস্থির প্রকৃতির বিস্ফোরক হওয়ায় সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আবার আরও একটি তত্ত্বের মতে, উমর আগে থেকেই জানত এই রাসায়নিক কতটা অস্থির। তা সত্ত্বেও সে ওই গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল চাঁদনি চকের পাশের সেই জনবহুল এলাকায়।

    উমরের হাতে টিএটিপি এল কী করে?

    অত্যন্ত জটিল এই বিস্ফোরক (Mother of Satan TATP) কোথা থেকে হাতে পেলেন উমর, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিএটিপি তৈরি করতে লাগে একাধিক উপাদান। সেগুলো উমর কোথা থেকে সংগ্রহ করল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কি বড় কোনও মডিউল তাকে সাহায্য করছিল? রাসায়নিক মেশানোর কাজে আরও কেউ কি যুক্ত ছিল (Delhi Red Fort Blast)? উমরের ডিজিটাল ট্রেইল, ফোন রেকর্ড, চলাচলের নথি সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Winter Season: শীতে আরাম পেতে ঘন ঘন কফি খাচ্ছেন? বাড়াতে পারে বিপদ, দাবি পুষ্টিবিদদের

    Winter Season: শীতে আরাম পেতে ঘন ঘন কফি খাচ্ছেন? বাড়াতে পারে বিপদ, দাবি পুষ্টিবিদদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় কড়া নাড়ছে শীত! ভোরে কমছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় অনেকেই বাড়তি আরাম পেতে সকাল-সন্ধ্যে ঘনঘন কফিতে চুমুক দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতেই বাড়তে পারে বিপদ। তাঁদের পরামর্শ, ঘন ঘন কফি শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। বরং কফিতে বদলে চুমুক দেওয়া হোক বিকল্প ঘরোয়া পানীয়তে। বিশেষত ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের সমস্যা থাকলে কফি বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    কেন ঘনঘন কফি বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে?

    হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠতে পারে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে সাময়িক আরামের জন্য দিনে চার-পাঁচ বার কফি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিন হৃদস্পন্দন অনিয়মিত করতে পারে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের বিপদ আরও বাড়ে। তাই বারবার কফি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

    হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে!

    খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাস খুব বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খালি পেটে কফি খেলে পেট ও বুক জ্বালা করতে পারে। শরীরে ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি করে। এর ফলে অন্ত্র, পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    অনিদ্রা একাধিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে রাখে। তাই কফি খেলে ঘুম পায় না।‌ এতে অনিদ্রার ঝুঁকি তৈরি হয়। যার জেরে মানসিক চাপ বাড়ে। শরীর বেশি ক্লান্ত বোধ করে।

    কফির বিকল্প কোন পানীয়তে ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কফির বিকল্প কিছু ঘরোয়া পানীয় শীতের আবহাওয়ায় আরামদায়ক। আবার তাতে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব কম হয়। তাঁদের পরামর্শ বারবার কফির পরিবর্তে খাওয়া যেতে পারে তুলসী ও পুদিনার সরবৎ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে তুলসী পাতা এবং পুদিনা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পানীয় হিসাবে এটা স্বাস্থ্যকর। আবার পুদিনা সুন্দর গন্ধ দেওয়ার পাশপাশি হজম শক্তি বাড়ায়। শীতে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য পুদিনা খুব উপকারি। তাছাড়া সর্দি-কাশি মোকাবিলায় তুলসী পাতার বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে শীতের অন্যান্য ভোগান্তিও কমবে।

    টমেটোর স্যুপ শীতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সমৃদ্ধ টমেটো‌ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই টমেটো স্যুপ খেলে শরীর ভালো থাকবে। আবার গরম স্যুপ শরীরে আরাম দেবে। পাশপাশি গরম জলে আদা, দারচিনি আর এলাচ ফুটিয়ে তারপরে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদা, দারচিনি এবং এলাচ শরীরে নানান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমায়। আবার লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই এই মিশ্রণ খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kartik Puja 2025: রবিবার দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    Kartik Puja 2025: রবিবার দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মেটার পর এবার বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের পরবর্তী উৎসব হল কার্তিক পুজো। ১৬ নভেম্বর শনিবার পালিত হতে চলেছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2025)। প্রতি বছর কার্তিক সংক্রান্তি, অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিনে পালিত হয় কার্তিক পুজো। আমাদের রাজ্যে হেমন্তকালের দেখা মেলে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য। এই হেমন্তকালে যে কয়েকটি উৎসব হয়, তার মধ্যে অন্যতম কার্তিক পুজো।

    কেন বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয়?

    নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক (Kartik Puja 2025) রেখে এসেছে, এমন বন্ধু আমাদের পরিচিত মহলে নিশ্চয়ই রয়েছে। স্বয়ং মহাদেব-পুত্র তাঁদের বাড়িতে এসেছেন বলে কথা! গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে তাই প্রচলিত নিয়ম মেনে পরপর চার বছর এই পুজো করতে হয়। কিন্তু বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর কেন রাখা হয়? নিছক মজার উদ্দেশ্যেই নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর রাখা হয় না। এর মধ্যে লোকাচার রয়েছে। কী সেই লোকাচার? তা হল, নবদম্পতির কোলে যেন কার্তিকের মতো পুত্র আসে। কিন্তু হঠাৎ কার্তিকের মতো পুত্রের আকাঙ্খাই কেন? পৌরাণিক মতে, মা দুর্গা এবং মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। এই পৌরাণিক দেবতা অত্যন্ত বীর ও সাহসী। তিনি সুদর্শন ও বলিষ্ঠ চেহারার অধিকারী।

    সাহসী, সুদর্শন পুত্রসন্তান লাভের আশা

    প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো (Kartik Puja 2025) করলে পুত্রসন্তান লাভ হয়। তাঁর মতো সাহসী ও সুদর্শন সন্তান লাভ করতেই অনেক নববিবাহিত দম্পতি কার্তিক পুজো করে থাকেন। এই কারণে আমাদের রাজ্যে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে কার্তিক ফেলে আসার প্রথা রয়েছে। পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই সাধারণত এই কাজ করে থাকেন। সেই কার্তিক তুলে এনে বাড়িতে পুজো করার রীতি রয়েছে। কার্তিকের আরাধনা করলে সাংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় এবং আয় বৃদ্ধি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল লাভ হয় বলে মনে করা হয়। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনা করলে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলেও অনেকে মনে করেন। পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক ঠাকুর চিরকুমার। দক্ষিণ ভারতে মুরুগান নামে কার্তিকের যে রূপের উপাসনা করা হয়, সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী।

    বাংলায় কার্তিক পুজো বেশ জনপ্রিয়

    বাংলায় কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2025) প্রায় সর্বত্রই হয়। এর মধ্যে হুগলির বাঁশবেড়িয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কার্তিক পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই দুই জায়গায় কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতেন লাখ লাখ মানুষ। সুসজ্জিত আলোর মালা, মণ্ডপসজ্জার কারুকার্য, বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীদের বিশালাকার প্রতিমার সঙ্গে থাকে নানা রকমের বাজনা।

    ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক পুজো শুরু

    চলতি বছরে কাটোয়ার একাধিক পুজোমণ্ডপে আগের দিন থেকেই প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিউ আপনজন, জনকল্যাণের মতো ক্লাবগুলিতে এবারও থিমের পুজো লক্ষ্য করা যাবে। কাটোয়ার কার্তিক পুজো রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় কার্তিক লড়াই নামে। ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক পুজোর (Kartik Puja 2025) সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়াতেও কার্তিক পুজোর বেশ ধুমধাম চোখে পড়ছে। যেমন, চলতি বছরে ৪৮ বর্ষে পদার্পণ করছে বাঁশবেড়িয়ায় অনির্বাণের জামাই কার্তিক পুজো। বিগত বছরগুলিতে একের পর এক দারুণ থিম নিয়ে এসেছে এই অনির্বাণ। আর এবার তাদের থিম নয়া সংসদ ভবন।

  • Janjatiya Gaurav Divas: আজ জনজাতি গৌরব দিবস, ফিরে দেখা বিরসা মুন্ডার ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস

    Janjatiya Gaurav Divas: আজ জনজাতি গৌরব দিবস, ফিরে দেখা বিরসা মুন্ডার ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খুন্তি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উলিহাতু। মেরেকটে আড়াইশো পরিবারের বাস গ্রামে। মোট জনসংখ্যা ১,১২৬। এমন গ্রামের সংখ্যা ভারতে নেহাত কম নয়। গুনতে গেলে কয়েক লাখে থামতে হবে। তবে হঠাৎ উলিহাতু নিয়ে আলোচনা কেন? কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই গ্রামে? উত্তর হল, ছোট্ট প্রত্যন্ত এই গ্রাম এক দেশ বিখ্যাত যোদ্ধার জন্মভূমি। যাঁকে তার অনুগামীরা ‘ধরতি আবা’ বলতেন। অর্থাৎ কিনা স্বয়ং ভগবান (Janjatiya Gaurav Divas)। যাঁকে দমানোর জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মাঠে নামতে হয়েছিল। তিনি মুন্ডা বিদ্রোহের অবিসংবাদী নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Birth Anniversary)। মুন্ডা শব্দটি সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার প্রকৃত অর্থ ‘গ্রাম প্রধান’।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল (Janjatiya Gaurav Divas)। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে (Janjatiya Gaurav Divas)। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি (Janjatiya Gaurav Divas)। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে (Birsa Munda Birth Anniversary) হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা।

    বিরসার জন্মদিন ‘জনজাতি গৌরব দিবস’

    ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিসগড়, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাতে আজও পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ বিরসা মুন্ডাকে ‘ভগবান বিরসা মান্দা’ হিসাবে পুজো করে থাকেন। এমন একজন ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্ব যিনি তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার কেন্দ্র ,- যিনি ভারতের সম্পদ, তিনি ব্রাত্য থেকেছে বরাবর। তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। স্বাধীনতার পর থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েক বছর আগে ‘মন কি বাতে’, ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র দুঃসাহসিক গল্প স্মরণ করেন এবং ঘোষণা করেন, তাঁর জন্ম-জয়ন্তী (Birsa Munda Birth Anniversary), প্রতি বছর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ (Janjatiya Gaurav Divas) হিসাবে উদযাপন করা হবে।

  • Diabetes: বয়ঃসন্ধিকালে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের তালিকায় প্রথম সারিতে ভারত! বলছে আইসিএমআর রিপোর্ট

    Diabetes: বয়ঃসন্ধিকালে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের তালিকায় প্রথম সারিতে ভারত! বলছে আইসিএমআর রিপোর্ট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রৌঢ়দের মধ্যে রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত তিন বছরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বয়সের বেড়াজাল পেরিয়ে ডায়াবেটিস এখন বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা হয়ে উঠছে। যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রোগ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা জরুরি। না হলে সুস্থ জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠবে।

    কোন পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-র তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা প্রায় ৯৬ হাজার ছেলেমেয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ভারতে টাইপ-টু ডায়াবেটিসের দাপটও বাড়ছে। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবন‌ যাপনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। ওই পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের ডায়াবেটিস আক্রান্তের নিরিখে ভারত প্রথম সারিতেই রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বিপুল ভাবে বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কেন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিসের দাপট বাড়ছে?

    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে মূলত দুই ধরনের ডায়াবেটিসের দাপট দেখা যায়। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ব্যবস্থার জেরেই এই সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ে ইনসুলিন হরমোন তৈরির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। তার জেরেই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বংশানুক্রমিক ডায়াবেটিস আক্রান্তের সমস্যা থাকলে, পরিবারের শিশুরা এই রোগের শিকার হয়।

    তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টাইপ-টু ডায়াবেটিস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত পাঁচ বছরে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে টাইট-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্যাভাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে ব্যাপক হারে ওবেসিটি দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়াচ্ছে।

    বয়ঃসন্ধিকালে ডায়াবেটিসের প্রকোপ কেন বাড়তি উদ্বেগজনক?

    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এই রোগ দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এই রোগের প্রকোপ থাকলে পরবর্তী সময়ে নানান শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস হৃদরোগ, কিডনির সমস্যার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার সমস্যাও তৈরি করে। শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি করতে পারে। আবার ডায়াবেটিস শরীরকে বাড়তি ক্লান্ত করে দেয়। তাই পড়াশোনা এবং খেলার ক্ষেত্রেও শিশুর স্বাভাবিক ছন্দপতন হতে পারে। তাই কম বয়সে ডায়াবেটিসের প্রকোপ উদ্বেগজনক। শিশুকাল থেকে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিলে তরুণ বয়সে কর্মক্ষমতা বাধার মুখে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিরিশ পেরনোর আগেই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের সমস্যার মতো জটিল স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে।

    সন্তানের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি কী?

    দেশজুড়ে কৈশোর কালের উপরে ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে পারে সচেতনতা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক রচনা মজুমদার জানান, কৈশোর কালে ডায়াবেটিস মোকাবিলার মূল অস্ত্র খাদ্যাভাস।‌ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কলকাতার আরেক এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সুজয় ঘোষ জানান, কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই বহু ছেলেমেয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যার ফলে শরীরে নানান হরমোনঘটিত ভারসাম্যের অভাব দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ছে। বাড়ির তৈরি ঘরোয়া ফ্রেশ খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেই এই রোগের প্রকোপ মোকাবিলা সহজ হয়। ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন-র তরফেও জানানো‌ হচ্ছে, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য প্রথম থেকেই কোন পদক্ষেপ নিতে হবে, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে এই সচেতনতার অভাব রয়েছে। শিশুরা যার ফল‌ ভোগ করছে।

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ফল ও সব্জি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন। শিশুদের সকালের জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবার মানেই প্যাকেটজাত চটজলদি খাবার নয়। বরং বাড়িতে তৈরি রুটি, সব্জি, ডাল নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। অধিকাংশ শিশু প্রয়োজনীয় সব্জি, ফল খায় না। তার পরিবর্তে প্যাকেটজাত এমন কিছু খাবার খায়, যার কোনো পুষ্টিগুণ নেই। তাতে নানান রাসায়নিক দেওয়া থাকে। ফলে শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার পায় না। এর ফলে শরীরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে। ওজন বাড়ে। যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘরোয়া খাবার খাওয়ার পাশপাশি শারীরিক কসরত জরুরি। ছোটো থেকেই যোগাভ্যাস কিংবা অন্যান্য শারীরিক কসরতে অভ্যস্থ হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই নিত্যনতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন ডাক্তার উমর মহম্মদ কট্টরপন্থী ডাক্তারদের এক গোপন নেটওয়ার্কের অংশ ছিল। সে তার কার্যকলাপ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে চালাত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জইশ পরিচালিত দু’টি এনক্রিপটেড টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমেই মগজধোলাই শুরু হয়েছিল এই চিকিৎসকদের গ্রুপের৷

    এক জোড়া টেলিগ্রাম গ্রুপ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ‘ফারজানাদন-ই-দারুল উলুম’ নামক একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করা হত মগজধোলাইয়ের জন্য। উমর বিন খাতাব নামক এক ব্যক্তি এই টেলিগ্রাম গ্রুপ চালাত। উমর পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের এই চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে, টেলিগ্রামে ‘র‍্যাডিক্যাল ডক্টর্স গ্রুপ’ নামে একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। এতে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার আদিল রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী উমর মহম্মদও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য।

    পাকিস্তান থেকে অপারেট হত

    পাকিস্তান থেকে জইশের অপারেটিভ হিসাবে কাজ করত এই চ্যানেলগুলি। এই টেলিগ্রাম সেন্টারগুলিই প্রকৃতপক্ষে ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর নার্ভ সেন্টার ছিল৷ তদন্তে উঠে এসেছে, ভারতে নাশকতা ছড়িয়ে দেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছিল মূলত দু’জনের হাত ধরে৷ একজন দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত উমর এবং অন্যজন কাশ্মীরের এক ধর্মগুরু মৌলবি ইরফান আহমেদ ওয়াঘা৷ জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের সঙ্গে সোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান আহমেদের কথা শুরু হয়েছিল টেলিগ্রামের মাধ্যমে।

    আজাদ কাশ্মীর থেকে গ্লোবাল জিহাদ

    সূত্র অনুযায়ী, প্রথমে কাশ্মীরের ‘আজাদি’, কাশ্মীরিদের উপরে দমনের মতো কথা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল কথোপকথন৷ ক্রমে তা বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যায়৷ গ্লোবাল জিহাদ-এ পরিণত হয় আলোচনা। সেখানে মহজধোলাই পর্ব থেকে হাতেনাতে কাজে লেগে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া শুরু হতে থাকে৷ গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়, কাজে লাগানো হয়৷ সারা ভারতে ছড়িয়ে ‘প্রফেশনাল কাজের’ আড়ালে স্লিপার সেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়৷

    এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে কথোপকথন

    বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ডাক্তাররা টেলিগ্রাম চ্যানেলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলত। টেলিগ্রাম চ্যানেলের কথোপকথন এনক্রিপ্টেড হওয়ার কারণেই সম্ভবত এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে কতজন যুক্ত ছিল এবং তাদের মধ্যে কী কী আলোচনা চলছিল। যদি সদস্য সংখ্যা এবং কথোপকথন ডিকোড করা সম্ভব হয়, তাহলে অনেক বড় এবং চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে পারে।

    তুরস্ক ট্রিপেই সন্ত্রাসী মডিউল তৈরি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্রুপের হ্যান্ডলাররা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিল তুরস্কে। মুজাম্মিল ও উমরকে ডেকে পাঠানো হয় সেখানে। মনে করা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে, জইশ-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও হ্যান্ডলারের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের তুরস্ক সফর নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, তুরস্ক ট্রিপেই গোটা সন্ত্রাসবাদী মডিউল তৈরি ও হামলার ছক কষা হয়েছিল। তুরস্ক থেকে ফেরার পরই এরা ভারতে নিজেদের গতিবিধি বাড়ায়। ডাঃ মুজাম্মিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন। ডাঃ আদিলের পোস্টিং সাহারানপুরে হয়।

  • Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি-বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) কী ধরনের রাসয়নিক বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় সঠিকভাবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ‘মিলিটারি-গ্রেড’ (Military Grade Explosives) বা সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। যে বিস্ফোরক সেনা জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, তাই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার?

    একইসঙ্গে তদন্তকারীরা এও জানাচ্ছেন, সম্ভবত ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast)। তদন্তকারীদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে নুমনা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে একটি অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটের মতো কোনও রায়াসনিক হতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরকের (Military Grade Explosives) প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য মেলেনি। ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে সুস্পষ্ট হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে আই-২০ গাড়ির টায়ার, চেসিস, সিজিসি সিলিন্ডার, বনেটের অংশ এবং বিভিন্ন অবশেষ। ল্যাবরেটরিতে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্ভবত পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট বা সংক্ষেপে পিইটিএন (PETN), সেমটেক্স (SEMTEX) বা আরডিএক্স (RDX)-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল ওই গাড়িতে।

    পিইটিএন, সেমটেক্স, আরডিএক্স

    পিইটিএন অত্যন্ত শক্তিশালী রাসায়নিক (Military Grade Explosives)। অল্প পরিমাণের সাহায্যেই বড় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, এর বর্ণহীন স্ফটিক আকৃতির জন্য একে সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। পিইটিএন শক বা তাপের অধীনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে, অতিরিক্ত ধাতব টুকরোর প্রয়োজন হয় না। বিস্ফোরক থেকে প্রাপ্ত বিস্ফোরণ শক্তি একটি যানবাহন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এর উচ্চ ক্ষমতা এবং কম সনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে, সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে এটি বহুল ব্যবহৃত।

    সেমটেক্স ও আরডিএক্স-ও সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক (Military Grade Explosives), যা সন্ত্রাসী হামলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত। এগুলির কোনও ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণে পেলেট কিংবা শার্পনেল প্রয়োজন হয় না। তদন্তে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটরের সম্ভাব্য ব্যবহারেরও ইঙ্গিত মিলেছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশ্রিত জ্বালানি (ANFO) তেল এবং ডিটোনেটর ব্যবহারের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এটি আইইডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।

    ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক ঠিক কী?

    কী এই ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক (Military Grade Explosives), যা সেনা ব্যবহার করে থাকে? কতটা শক্তিশালী? ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক সাধারণত, সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়। সেনার মানদণ্ড ও প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন হয়। জওয়ানরা তা যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা মিশনে ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের শক্তি অনেক বেশি। কার্যকারিতা রীতিমতো ভয়াবহ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশেই ‘সামরিক মানের’ বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সেনাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট কিছু সরকারি সংস্থাই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

    এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই রাসায়নিক এল জঙ্গিদের হাতে? এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

LinkedIn
Share