Author: Susanta Das

  • Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে! বিশ্বের মার্কামারা জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে এই টাকা। জঙ্গিদের এই তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত হামাস, তালিবান এবং আল কায়েদাও। ঘটনাটিকে মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা ‘জাতীয় লজ্জা’ এবং ‘মার্কিন করদাতাদের সঙ্গে বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন (Joe Biden)।

    অর্থ সাহায্যে উদ্বেগ (Joe Biden)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (USAID) মাধ্যমে বিলি করা বৈদেশিক সাহায্য খরচ হয়েছে ওই খাতে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি হয়। শিরোনাম ছিল ‘আমেরিকা লাস্ট: কীভাবে বিদেশি সাহায্য সারা বিশ্বে মার্কিন স্বার্থকে দুর্বল করেছে’। ইউএসএআইডি কীভাবে করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল শুনানির। এই শুনানিতে প্রতিনিধি টিম বারচেট এবং মার্জোরি টেলর গ্রিন ইজরায়েলের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দেওয়া ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে!

    বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বারচেট বলেন, “করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সরকার অন্ধভাবে কোটি কোটি ডলার সেই অঞ্চলে পাঠাচ্ছে, যা আদতে একটি জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অবমাননাকর ব্যাপার। এই প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে যে আমাদের সাহায্য সেই লোকরাই অপব্যবহার করছে, যারা আমেরিকা ও ইজরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।” এক্সপার্ট উইটনেস রোমান সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন, “শিথিল তদারকি এবং জরুরি অনুমোদনের কারণে ইউএসএআইডি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে গিয়েছে।”

    কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “‘জরুরি ব্যবহার’ বিধানের কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, গাজার দিকে পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন সাহায্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে গিয়েছে। এটি অযৌক্তিক। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হামাসের টিকে থাকায় ইন্ধন জুগিয়েছে।” বারচেট বলেন, “বাইডেন প্রশাসন এখনও আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছে। এই অর্থের প্রধান উপভোক্তা তালিবান এবং আল কায়েদা।”

    তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়

    এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন (Joe Biden), “প্রতি সপ্তাহে চার্টার জেটের মাধ্যমে আফগানিস্তানে করদাতাদের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই নগদ অর্থ এরপর তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়, যারা তাদের অংশ কেটে নেওয়ার পর বাকি অর্থ এনজিওগুলির মধ্যে বিলি করে। এই এনজিওগুলি পরে তালিবানকে ‘কর’ দিতে বাধ্য হয়, যা আদতে জঙ্গি শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।” রোমানও বলেন, “আমাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যেখানে মার্কিন সহায়তা পরোক্ষভাবে সোমালিয়ার আল-শাবাব, সুদানের হামজি নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লা, কাতাইব হিজবুল্লা এবং সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শামকে সমর্থন করেছে।” তিনি বলেন, “ইউএসএইড কার্যত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠনগুলোর জন্য একটি নগদ অর্থের পাইপলাইন হয়ে উঠেছে।” গ্রিনের অভিযোগের আঙুল আবার ইউক্রেনের দিকে।

    “আমরা একে দুর্নীতি বলি”

    তিনি জানান, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইউএসএইড (USAID) তহবিল ব্যবহার করে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে ইউক্রেনে দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁর ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানি, বুরিসমার বোর্ডে ছিলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন বাইডেন (Joe Biden) হুমকি দেন যে শোকিনকে বরখাস্ত না করলে ১ বিলিয়ন ডলার ইউএসএআইডি অনুদান আটকে দেওয়া হবে। এটা সব ভিডিওতে ধরা আছে।” সাক্ষী প্রিমোরাক বলেন, “আমরা একে দুর্নীতি বলি।”

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা করে গ্রিন বলেন, “ইউএসএআইডি-প্রণোদিত শাসন পরিবর্তনের সবচেয়ে বিস্তৃত উদাহরণগুলোর একটি হল বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করা।” তিনি বলেন, “আমেরিকাকে নিরাপদ করার পরিবর্তে ইউএসএআইডির অর্থ শেষ পর্যন্ত এমন কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যায়, যারা পরবর্তীকালে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় (Joe Biden)।”
    রিপাবলিকান প্রতিনিধি এরিক বার্লিসন বলেন, “এটি আমেরিকান করদাতাদের প্রতি একটি লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা। ইউএসএআইডি (USAID) সম্পূর্ণভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমরা এটা কখনওই মেনে নেব না যে আমেরিকান নাগরিকরা যখন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সংগ্রাম করছেন, তখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের অর্থায়নে।”

  • Chandra Shekhar Azad: আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের আত্মবলিদান দিবস, চেনেন এই দেশপ্রেমিককে?

    Chandra Shekhar Azad: আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের আত্মবলিদান দিবস, চেনেন এই দেশপ্রেমিককে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandra Shekhar Azad)। তিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা রাম প্রসাদ বিসমিলের ফাঁসির সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি হয় রোশন সিং, রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী এবং আশফাকুল্লা খানের। এরপর আজাদ হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনকে বদলে করেন হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (HSRA)। তাঁর নির্ভীক নেতৃত্ব (Death Anniversary) এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যে অবিচল প্রতিশ্রুতি তাঁকে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

    বিশ্বাসঘাতকতার শিকার (Death Anniversary)

    ১৯৩১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদের আলফ্রেড পার্কে (বর্তমানে আজাদ পার্ক) এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেন ঠিক করেছিলেন তিনি। যদিও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন আজাদ। পার্কে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ পুলিশ ঘিরে ফেলে তাঁকে। তীব্র গুলির লড়াই হয়। দুজন ব্রিটিশ অফিসার জখম হন। গুলিবিদ্ধ হন আজাদও। সঙ্গে সঙ্গেই শহিদ হন তিনি। আজাদ অঙ্গীকার করেছিলেন, কখনওই ব্রিটিশদের হাতে জীবিত অবস্থায় ধরা দেবেন না। সেই ইচ্ছে পূরণ হয় তাঁর। এভাবে শহিদ হয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমর হয়ে রয়ে গেলেন আজাদ।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    চন্দ্রশেখর আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘মাতৃভূমির অপরাজেয় সন্তান চন্দ্রশেখর আজাদ তাঁর জীবনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্বের কোনও সীমা নেই।’’ তিনি লেখেন, “আজাদজির আত্মত্যাগ, যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে তরুণদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করে ব্রিটিশ সরকারের নিদ্রা ভঙ্গ করেছিলেন, স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গকে এক মহান শিখায় পরিণত করেছিলেন (Chandra Shekhar Azad)। অমর শহিদ ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদকে তাঁর শহিদ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।”

    আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শ্রদ্ধা জানান আজাদকে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। লেখেন, “ভারত মায়ের অমর সন্তান, মহান বিপ্লবী এবং সাহসী শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের ত্যাগ স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন শক্তি দিয়েছিল। তাঁর সাহসিকতার কাহিনি ভারতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসে এক স্বর্ণালী অধ্যায়, যা প্রতিটি ভারতীয়র মধ্যে দেশপ্রেমের আগুন জাগিয়ে রাখবে। আজ তাঁর শহিদ দিবসে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!”

    বিজেপি জাতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “অমর শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের শহিদ দিবসে, যিনি মাতৃভূমির জন্য নিজের সব কিছু উৎসর্গ (Death Anniversary) করেছিলেন, সেই অতুলনীয় সাহস ও ত্যাগের নায়কের প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই (Chandra Shekhar Azad)।”

  • PM Modi: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

    PM Modi: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’-এ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (PM Modi)। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে সিলমোহর দেওয়া হল সংশোধিত ওয়াকফ বিলে (Waqf Amendment Bill)। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবিত একাধিক সংশোধনের পর বিলটি আসে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য। সেই বিলই অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে পাসের জন্য সংসদে সংশোধিত বিলটি পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ শুরু হবে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব।

    যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ (PM Modi)

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বাধীন যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) সুপারিশ করা বেশিরভাগ পরিবর্তনই অন্তর্ভুক্ত করেছে সংশোধনী বিলে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বন্দর বিলের সঙ্গে এই বিলটিও অনুমোদিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনের বাকি অংশে সরকারের আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কার্যসূচির অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে এই বিলটিকে। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, ওয়াকফ হল মুসলমানদের উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি সম্পত্তি। এই সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার নিয়ম নেই। ওয়াকফ সম্পত্তির সিংহভাগই মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও অনাথ আশ্রম তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    প্যানেল অনুমোদন

    জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি প্যানেল অনুমোদন করে এই বিলটি (PM Modi)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সদস্যদের প্রস্তাবিত ১৪টি পরিবর্তন গ্রহণ করে। যৌথ সংসদীয় কমিটির ৬৫৫ পাতার রিপোর্টটি সংসদের উভয় কক্ষে জমা দেওয়া হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্যানেলের বিরোধী দলের সাংসদদের অভিযোগ, তাদের ভিন্নমত নোটের কিছু অংশ জমা দেওয়া নথি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের এমনতর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনের অধিকার ছিল কমিটির ওপর অপবাদ দেওয়ার অংশগুলি সরিয়ে ফেলার। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যে নোটগুলি নিয়ে মতদ্বৈততা রয়েছে, সেগুলি তাদের আসল রূপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সব মিলিয়ে মোট ৬৬টি সংশোধনীর প্রস্তাব জমা পড়েছিল।

    এনডিএর সাংসদরা

    এর মধ্যে শাসক জোট এনডিএর সাংসদরা দিয়েছিলেন ২৩টি। আর বিরোধী দলের সাংসদরা দিয়েছিলেন ৪৪টি। কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, “৪৪টি সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। ছ’মাস ব্যাপী বিশদ আলোচনার সময় আমরা সব সদস্যের (Waqf Amendment Bill) কাছ থেকে সংশোধনী চেয়েছিলাম। এটি ছিল আমাদের চূড়ান্ত বৈঠক। ১৪টি সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে গ্রহণ করেছে কমিটি (PM Modi)।” বিলটি ওয়াকফ আইনগুলিতে ৪৪টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলি দেশে মুসলিম ধর্মীয় দাতব্য সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার নিয়ম নির্ধারণ করে। জানা গিয়েছে, বিরোধী দলের সংশোধনীগুলি প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর কারণ হল কমিটির সদস্যরা দলীয় লাইনে ভোট দিয়েছেন। এই কমিটিতে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলের মোট ১৬ জন সাংসদ রয়েছেন। আর বিরোধী দলের সাংসদ রয়েছেন মাত্র ১০ জন।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    গত বছরের অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠায়। কারণ এই বিলের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষ আপত্তি তোলে। এই বিলটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির একটি প্রস্তাব তৈরি করে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ ওয়াকফ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল করার প্রস্তাব দেয়। এগুলি ওয়াকফ বোর্ডগুলির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বর্তমান আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে সমর্থন করে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ওয়াকফ সংস্থাগুলিতে মুসলিম নারীদের এবং অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়টিও (PM Modi)।

    জেলার কালেক্টরের ক্ষমতা

    সংশোধিত বিলটি জেলার কালেক্টরকে এই ক্ষমতা দেয় যে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ নাকি সরকারি, সে বিষয়ে কোথাও কোনও বিরোধ দেখা দিলে, তা নিষ্পত্তি করবেন। বিলটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে সংশোধন আনার প্রস্তাব দেয়। এবং অ-মুসলিম প্রধান এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তাকে নিয়োগের অনুমতি দেয়। বিরোধীদের মতে, এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফ বোর্ডগুলির ইচ্ছে মতো কর্তৃত্ব হ্রাস করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বর্তমানে যে ওয়াকফ আইন চালু রয়েছে, সেই আইন বোর্ডগুলিকে বাধ্যতামূলক যাচাই ছাড়াই যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে দাবি করার সুযোগ দেয়।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-কে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি, ডেভেলপমেন্ট তথা উমিদ বিলে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সংশোধনী প্রস্তাবে যৌথ সংসদীয় কমিটি জানায়, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের (Waqf Amendment Bill) উদ্দেশ্য ওয়াকফ বোর্ডের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি ও সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ (PM Modi)।

  • PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি। ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত (Israel Ambassador) রেউভেন আজার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “গত বছরের ৭ অক্টোবর জঙ্গি সংগঠন হামাসের দ্বারা ইজরায়েলে জঙ্গি হামলার পরে তিনিই প্রথম ফোন করেছিলেন।” আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত দেড় বছর ধরে ইজরায়েলের পাশে ছিলেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মোদির বন্ধুত্বকে অত্যন্ত মূল্য দেন। ভবিষ্যতে ভারত ও ইজরায়েল অনেক বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করবে।”

    মোদির বন্ধুত্ব আমাদের কাছে মূল্যবান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সাফল্যের প্রতি ইজরায়েল গভীর প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকায়। তাঁর বন্ধুত্ব আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা দেখেছি, ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর তিনিই প্রথম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা দেখেছি, কীভাবে তিনি গত দেড় বছর ধরে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা জানি যে, অনেক বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একরকম। আমরা একইভাবে বিভিন্ন বিষয়কে দেখি। আমাদের চ্যালেঞ্জও অনেকটা একরকম। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আসন্ন বছরগুলিতে আমরা একসঙ্গে আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম হব।” তিনি ভারত ও ভারতের বাইরের নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তাঁরা যেন ইজরায়েলকে সাহায্য করেন। একটি শান্তিপূর্ণ ও হিংসামুক্ত বিশ্ব গঠনের প্রচেষ্টায় এই সাহায্যের প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা (Israel Ambassador) যে, যে কোনও শান্তিপ্রিয় নেতা বা দল, তারা যেখানেই থাকুন না কেন — ভারতে হোক বা ভারতের বাইরে — তাঁরা আমাদের সঙ্গে এই হিংসামুক্ত, উন্নত বিশ্ব গড়ার এই প্রচেষ্টায় যোগ দেবেন।”

    ট্রাম্প ও বাইডেনের তুলনা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নবগঠিত ট্রাম্প সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “ইজরায়েলের পূর্ববর্তী ট্রাম্প শাসনের সঙ্গে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ কথা বলা যায় ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল (PM Modi) আমেরিকা।” ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে আজার বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের কিছু মতবিরোধ ছিল। কারণ তারা রাফাহ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্র ইজরায়েলকে দিতে অস্বীকার করেছিল।” তিনি বলেন, “আমাদের সব সময়ই যে কোনও আমেরিকান প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও ছিল। তবে হামাসের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার সংগ্রামের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কিছু মতবিরোধ ছিল। বাইডেন প্রশাসন আমাদের রাফাহ অভিযান থেকে বিরত থাকতে বলেছিল এবং যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্রও আটকে রেখেছিল (PM Modi)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আস্থা

    বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আজার বলেন, “ইজরায়েল এই প্রশাসনের অধীনে কোনও সীমাবদ্ধতার মুখে পড়বে না। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইজরায়েলকে (Israel Ambassador) আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ভারতের জন্য এফ-৩৫ ফাইটার জেট সরবরাহে ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রশংসাও করেন। বলেন, “উন্নত সামরিক প্রযুক্তি প্রতিপক্ষের ওপর কৌশলগত সুবিধা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ।”

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাসের বৈঠকে উদ্বেগ

    কিছুদিন আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বৈঠকে বসেছিলেন প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেখানে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজনও হাজির ছিল বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আজার। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত জঙ্গি সংগঠনগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে এবং অনেক সময় তারা একে অপরকে সমর্থন করার উপায় খুঁজে পায়। এটি শুধু আমাদের অঞ্চল নয়, অনেক দেশের জন্যই ক্ষতিকারক।” এর পরেই তিনি বলেন, “উদাহরণস্বরূপ, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের এলাকায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। এটি দেখায়, এই জঙ্গি সংগঠনগুলো কীভাবে একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে এবং তারা স্পষ্টতই তাদের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহযোগিতা করছে, যা আমাদের এবং আপনাদের আতঙ্কিত করে।”

    ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আল জাজিরা এবং বিবিসির মতো গণমাধ্যমকে চরমপন্থী ইসলামিদের হয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের গণমাধ্যম অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত করার মূল্যবোধ প্রচার করে সভ্য বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।”

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলেছে প্রায় ১৫ মাস। মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রথমে হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী)। সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি (Israel Ambassador)। এমন আবহে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি (PM Modi)!

  • Kashmir Remarks: ‘‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র যারা…’’, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের একবার ধুয়ে দিল ভারত

    Kashmir Remarks: ‘‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র যারা…’’, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের একবার ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে (Kashmir Remarks) আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের একবার ধুয়ে দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে আবারও একবার চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিল ভারত। সাফ জানিয়ে দিল, জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে যে অভিযোগ পাকিস্তান তুলেছে, তা ভিত্তিহীন (Geneva Meet)। পাকিস্তানের এই অভিযোগ মিথ্যা বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে পাকিস্তানকে ‘ব্যর্থ দেশ’ বলেও দাগিয়ে দেন ভারতের প্রতিনিধি। পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিক সাহায্য-অনুদানে টিকে রয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠক (Kashmir Remarks)

    জেনিভায় চলছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠক। বৃহস্পতিবার সেখানেই পাক প্রতিনিধির ভিত্তিহীন দাবির জবাবে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। তাই অন্য কাউকে জ্ঞান দেওয়ার জায়গায় নেই তারা।” এটা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছু নয় বলেও জানিয়ে দেন ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আইন, বিচার ও মানবাধিকার মন্ত্রী অজম নাজির তারার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাবি করেন, “কাশ্মীরে সাধারণ মানুষকে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে (Kashmir Remarks)।”

    কী বললেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

    এর পরেই বলতে ওঠেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে পাকিস্তানের তথাকথিত নেতা ও কূটনীতিকরা জঙ্গি ও সেনার দেওয়া মিথ্যা তথ্য নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যেচার করে চলেছেন।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। বিগত কয়েক বছরে জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নই তার প্রমাণ (Geneva Meet)। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাসে যে এলাকা এতদিন ভীত-সন্ত্রস্ত্র ছিল, সেখানে এই উন্নয়ন সরকারের কাজের প্রচেষ্টাকেই প্রমাণ করে।” ভারতের ওপরে এভাবে ‘অবসেসড’ না হয়ে পাকিস্তানের নিজের দেশের মানুষদের ন্যায় বিচার দেওয়া উচিত বলেও খোঁচা দেন ভারতের প্রতিনিধি।

    মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ

    এদিন পরিষদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার সামরিক-সন্ত্রাসবাদী জোট দ্বারা প্রচারিত মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনেন। তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (OIC) বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য একে তাদের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগও করেন। ত্যাগী বলেন, “এটা দুঃখজনক যে পাকিস্তানের তথাকথিত নেতা ও প্রতিনিধিরা তাঁদের সামরিক-সন্ত্রাসবাদী জোটের দেওয়া মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে যাওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। পাকিস্তান ওআইসিকে তার মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করে একে উপহাসে পরিণত করছে।” এর পরেই তিনি (Kashmir Remarks) বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অপ্রতিরোধ্য অংশ থাকবে।” তিনি ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে এই অঞ্চলে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন।

    পাকিস্তানের কোনও অধিকার নেই!

    আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি জানান, পাকিস্তানের কোনও অধিকার নেই নিজের সংখ্যালঘু নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ডের কারণে অন্যদের মানবাধিকার বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার। তিনি বলেন, “একটি দেশ যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিকল্পিত অবক্ষয় রাষ্ট্রনীতির অংশ এবং যা নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়, সেই পাকিস্তান কারও উপদেশ দেওয়ার জায়গায় নেই। ভারতের প্রতি এই অসুস্থ মোহের বদলে, পাকিস্তানের উচিত তার নিজস্ব জনগণকে প্রকৃত শাসন ও ন্যায়বিচার দেওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া (Kashmir Remarks)।” ত্যাগী পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন ভারতের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের (Geneva Meet) অভ্যন্তরীণ সংকট, শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারাবাহিক অবক্ষয় মোকাবিলায় মনোনিবেশ করে।

    ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’

    পাকিস্তানকে ‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করে ত্যাগী বলেন, “পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেওয়া বক্তৃতা ভণ্ডামির গন্ধে ভরা। জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা সফল হয়নি, বরং সেই অঞ্চলের মানুষ ক্রমশ ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি আস্থা রাখছে।” তিনি বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা এই যে এই পরিষদের মূল্যবান সময় একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারা নষ্ট হচ্ছে, যারা অস্থিরতাকে পুঁজি করে টিকে আছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। তাদের বক্তব্য ভণ্ডামিতে ভরা, তাদের কর্মকাণ্ড অমানবিক এবং তাদের শাসন অযোগ্যতায় ভরা। ভারত গণতন্ত্র, উন্নতি এবং তার জনগণের মর্যাদা নিশ্চিত করায় মনোযোগী রয়েছে (Geneva Meet) — এ সবই এমন মূল্যবোধ, যা পাকিস্তানের শেখা উচিত (Kashmir Remarks)।”

  • Universal Pension Scheme: ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম চালু করছে মোদি সরকার! কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    Universal Pension Scheme: ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম চালু করছে মোদি সরকার! কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করেন? পেনশন নেই? তাতে কোনও দুঃখও নেই (India)। কারণ দেশবাসীর জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (Universal Pension Scheme) চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ বয়সে মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা যাতে আর্থিক সুরক্ষা পান, সে কথা ভেবেই নয়া পরিকল্পনা। শ্রমমন্ত্রক সূত্রে খবর, চাকরিরত হোন বা স্বনিযুক্ত – প্রত্যেকেই চলে আসবেন পেনশন স্কিমের আওতায়।

    ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (Universal Pension Scheme)

    বিশ্বের অনেক দেশেই চালু রয়েছে ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের মতো প্রকল্প। আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশেও চালু রয়েছে এই জাতীয় প্রকল্প। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নয়া প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে শ্রমমন্ত্রক। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিক, পরিচারিকা, ডেলিভারি পার্সন- এঁদের প্রত্যেকের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে নয়া পেনশন কাঠামো। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি সেভিংস প্রকল্পগুলিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা যুক্ত হতে পারেন না।

    পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন সকলেই

    সরকার প্রস্তাবিত পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন সকলেই। তবে কারও ক্ষেত্রেই এই স্কিম বাধ্যতামূলক নয়। বর্তমানে যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলির কয়েকটিকে নিয়ে আসা হবে নয়া এই পেনশন স্কিমের আওতায়। কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে এই স্কিমের কোনও যোগ থাকবে না (Universal Pension Scheme)। যাঁরা এই স্কিমে নাম লেখাবেন, তাঁরা নিজেদের মতো করে নির্দিষ্ট অর্থ জমা করবেন। বয়স ষাটের কোঠা পের হলেই মিলবে পেনশন।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার এই প্রকল্পে কিছু বড় ও আকর্ষণীয় প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী মান ধন যোজনা ও ন্যাশনাল পেনশন স্কিম। তবে এই দুই প্রকল্পই ঐচ্ছিক। এই স্কিমে যুক্ত হলে ষাট বছর পর ফি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন মেলে। এই স্কিমে ৫৫ থেকে ২০০ টাকা জমা করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি যতটা অবদান রাখবেন, সরকারও তাঁর কাছে তত টাকাই জমা রাখবে।

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে অটল পেনশন যোজনাও। এই দুটি স্কিম ছাড়াও সরকার বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স অ্যাক্টের অধীনে সংগৃহীত সেসও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এর ফলে নির্মাণ খাতের শ্রমিকদের পেনশনও দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের পেনশন প্রকল্পগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করতে পারে (India)। এতে পেনশনের পরিমাণও বাড়বে। ফলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ (Universal Pension Scheme)।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (VIF) “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus) ওপর অন্তহীন নিপীড়ন” শীর্ষক (Bangladesh Crisis) একটি প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনা আয়োজন করেছিল। এখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নিষ্ঠুর ও সুসংগঠিত আক্রমণ হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরা হয়। নয়াদিল্লির ভিআইএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলা ব্যাপক জাতি হিংসা, ভূমি দখল এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ঘটনাগুলি উন্মোচিত হয়।

    গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্য (Bangladesh Crisis)

    ফাউন্ডেশন এগেইনস্ট কন্টিনিউয়িং টেররিজম (FACT)-এর দ্বারা আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্যমান ও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়। এদিনের প্রদর্শনীতে দেখা গিয়েছে হিন্দু গ্রামগুলির পোড়া অবশেষ এবং পবিত্র মন্দিরগুলি ছন্নছাড়া দশা, যেগুলি উগ্র ইসলামপন্থীদের টার্গেট হয়েছে। বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত সাক্ষ্যও রয়েছে প্রতিবেদনে। এখানে যৌন হিংসা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিবরণও রয়েছে। সংগঠিত জমি দখলের অভিযানের ছবিও রয়েছে। এটাই হিন্দুদের নির্বাসনে যেতে বাধ্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

    কমছে হিন্দু জনসংখ্যা

    পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে (এখন যেটা বাংলাদেশ) হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭ শতাংশ। বর্তমানে সেটাই নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশেরও নীচে। প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন কোনও হিংসা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান। বিশ্ব একে উপেক্ষা করছে। কারণ এটি তাদের পছন্দসই বর্ণনার সঙ্গে মেলে না।”

    প্যানেল আলোচনা

    এদিনের প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা তীব্র সংকটের (Bangladesh Crisis) আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই প্যানেলে অংশ নিয়েছিলেন কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ভিআইএফের সহ সভাপতি সতীশ চন্দ্র, বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার বীণা সিক্রি, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে। প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ভিআইএফের পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত। আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী (Bangladesh Crisis) ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এটি দেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ক্রমশ শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করছে (Hindus)।

    অজিত ডোভাল

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে নয়াদিল্লি যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টির উল্লেখ করেন ডোভাল। তিনি জানান, বাংলাদেশে অবাধে কর্মরত চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মাথা তোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন এতই তীব্র আকার ধারণ করে যে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করছে। এর পাশাপাশি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। হাসিনার অনুপস্থিতিতে, বিদেশি প্রভাব দ্বারা সমর্থিত চরমপন্থী দলগুলি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে সন্ত্রাসের স্টিম রোলার চালিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণহত্যা, হিন্দু মহিলাদের অপহরণ এবং হিন্দু মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনাগুলি ১৯৭১ সালের আগের পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

    ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি করতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-বিরোধী উপাদান সম্পর্কে সতর্কবার্তার জবাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, “আমাদের একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে যে আমরা পারস্পরিক সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্ম-সম্পর্ক চাই। এ বিষয়ে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই (Hindus)।” তবে, ইসলামি উপাদানকে আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। ভারতের অন্যতম প্রধান কৌশলগত থিংক ট্যাঙ্ক ভিআইএফের সুপারিশগুলি হল, বাংলাদেশের সরকারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। যতক্ষণ না সংখ্যালঘুদের অধিকার পুনরুদ্ধার হয়, ততক্ষণ। রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ, যাতে জাতিগত নিধনযজ্ঞের তদন্ত করা হয় এবং বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে মানবাধিকার সংকট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া।

    গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি বিশ্ব ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী দুদশকের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে।” বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কেবল একটি স্থানীয় বিষয় নয় – এটি একটি মানবিক সংকট, যা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি করে। এই ক্রমবর্ধমান গণহত্যার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া গঠনে আঞ্চলিক (Hindus) শক্তি হিসেবে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।

  • Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, স্বপ্নে শিব দর্শন করলে কী লাভ হয় জানেন?

    Maha Shivratri 2025: আজ মহা শিবরাত্রি, স্বপ্নে শিব দর্শন করলে কী লাভ হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র উৎসব হল মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)। শোনা যায়, এই দিনে ভগবান শিব (Lord Shiva) ও দেবী পার্বতীর মিলন হয়েছিল। তাই বিশ্বাস করা হয় যে, এই রাতে ভগবান শিবের শক্তি তার সর্বোচ্চ শিখরে থাকে। যে কারণে এই রাত্রি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও স্বর্গীয় আশীর্বাদ লাভের জন্য অনন্য। প্রশ্ন হল, এই বিশেষ রাত্রিতে যদি মহাদেব স্বপ্নে আপনার সামনে উপস্থিত হন? হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এমন স্বপ্নের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এটি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ইঙ্গিত হতে পারে।

    মহা শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2025)

    হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, মহা শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। এ বছর উৎসবটি পালিত হবে আজ ২৬শে ফেব্রুয়ারি। এদিন ভক্তরা দিনভর উপোস করেন। সন্ধেয় মন্দিরে ভগবান শিবের জলাভিষেক করেন। দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য সারা রাত ধরে চার প্রহরের পূজা করেন। স্বপ্নকে প্রায়ই ঐশ্বরিক বার্তা হিসেবে দেখা হয়। মহা শিবরাত্রিতে যদি আপনি স্বপ্নে ভগবান শিবকে দেখেন, তাহলে এটি একটি বিরল ও অত্যন্ত শুভ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন দর্শনের অর্থ কী হতে পারে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।

    স্বপ্নে ভগবান শিবকে হাসিমুখে দেখা

    মহা শিবরাত্রিতে (Maha Shivratri 2025) যদি আপনি স্বপ্নে মহাদেবকে আনন্দিত বা হাসিমুখে দেখেন, তাহলে এটি অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। এই স্বপ্ন ইঙ্গিত করে যে ভগবান শিবের আশীর্বাদ আপনার ওপর রয়েছে এবং শীঘ্রই আপনার জীবনে সুখবর ও সমৃদ্ধি আসতে চলেছে। স্বপ্নে যদি আপনি একটি শিব মন্দির দেখতে পান, তাহলে এটি বিবেচিত হয় আধ্যাত্মিক জাগরণ ও ঈশ্বরীয় সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে। এটি নির্দেশ করে যে মহাদেব আপনার প্রতি প্রসন্ন হয়েছেন। আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে চলেছে।

    স্বপ্নে যদি আপনি শিবলিঙ্গের দর্শন পান কিংবা দেবী পার্বতীর সঙ্গে শিবকে দেখেন, তা অত্যন্ত শক্তিশালী ও শুভ লক্ষণ। স্বপ্ন শাস্ত্র অনুযায়ী, এই ধরনের দর্শন ইঙ্গিত দেয় যে সামনে কোনও বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে চলেছে। এটি আপনার জীবনে সুখ, সাফল্য ও পরিপূর্ণতা বয়ে আনতে পারে।

    স্বপ্নে ভগবান শিবের পূজা করা

    স্বপ্নে যদি আপনি নিজেকে ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করতে বা পুজো করতে দেখেন, তবে এটি অত্যন্ত বিরল ও দৈবী দর্শন বলে মনে করা হয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মহাদেবের বিশেষ আশীর্বাদ আপনার ওপর বর্ষিত হচ্ছে। এটি আপনার জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে (Maha Shivratri 2025) শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখের পথ খুলে দেবে (Lord Shiva)।

  • PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ বা মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বিজয় দিবস (Victory Day Parade)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    তাসের প্রতিবেদন (PM Modi)

    বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ মে রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, এবং এটি হবে বলেই মনে হচ্ছে।” সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সান্ধ্য সামরিক দলও এই প্যারেডে অংশ নেবে। এই দলটি অন্তত এক মাস আগে মস্কো পৌঁছে যাবে। সেখানেই চলবে প্যারেডের জন্য প্রস্তুতি।

    মস্কোর অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা

    জানা গিয়েছে, ভারতের সেনা কর্মীদের রাশিয়ায় পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ভারতের সামরিক প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন। এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মস্কোর অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে (PM Modi) দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)-এর বাইরে অন্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, রাশিয়া তাঁদের সবাইকে মস্কোয় স্বাগত জানাবে।”

    মোদির এই সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Parade)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (PM Modi)।

  • Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Veer Savarkar: ‘জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না তাঁর অবদান’, সাভারকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Veer Savarkar) মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদানের কথা জাতি কখনওই ভুলতে পারবে না। তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে বীর সাভারকরজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তপস্যা, ত্যাগ, সাহস ও সংগ্রামে ভরা স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অমূল্য অবদান কৃতজ্ঞ জাতি কখনও ভুলতে পারবে না।”

    বীর সাভারকর (PM Modi)

    ১৮৮৩ সালে ২৮ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর সাভারকর (Veer Savarkar)। খুব অল্প বয়সেই তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বদেশি ভাবনা ও বিদেশি পণ্যের বর্জন, শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিপ্লবী চেতনার বিকাশ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সাভারকর ছিলেন একজন আইনজীবী, লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ‘হিন্দুত্ব: হু ইজ আ হিন্দু?’ বইটির জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

    কারাদণ্ড ভোগ

    মর্লে-মিন্টো সংস্কারের বিরোধিতা করায় সাভারকরকে (Veer Savarkar) ১৯১১ সালে আন্দামানের সেলুলার জেলে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯২৪ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর,  তিনি রত্নগিরিতে অস্পৃশ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেন। পরে সাভারকর হন হিন্দু মহাসভার সভাপতি। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তিনি। ভারতের (PM Modi) বিভাজন মেনে নেওয়ার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছিলেন এই দেশপ্রেমিক।

    সাভারকরকে (Veer Savarkar) শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তিনি ছিলেন একজন গতিশীল চিন্তক, জাতীয়তাবাদী ভাবনার ধারক এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “… সাভারকরজি তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কীভাবে মাতৃভূমি, নিজের সংস্কৃতি এবং জাতির জন্য ত্যাগ ও নিবেদনের শিখরে পৌঁছানো যায়। জাতীয় ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে সমাজকে জাত-পাতের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করেছিলেন যে সাভারকরজি (Veer Savarkar), তাঁর জীবনগাথা মাতৃভূমির সেবার পথে ধ্রুবতারার মতো অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share