মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কেবল তৃণমূল (TMC) সমর্থকদেরই নাম তুলুন! বিজেপির (BJP) লোকদের তুলবেন না! এই নিদান দিয়েছেন এ রাজ্যের এক এমএলএ (MLA)। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) খোকন দাসের এহেন মন্তব্যের জেরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটার লিস্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের টাউন হলে তৃণমূলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এক আলোচনা সভার। এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্টরা। এই সভায়ই বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন খোকন। একজন বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) হয়ে একথা বলতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক?
এদিনের এই সভায় বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) বলেন, অনেক নতুন ভোটার। প্রতিদিন নতুন লোক তো আসছেই। নতুন লোক মানে বুঝতে পারছেন? সব বাংলাদেশের লোক আসছেন। তাঁদের ভোট বেশি তোলা মানে তো আরও ক্ষতি। তাঁরা তো সব ভোট বিজেপিকেই দিয়ে দেন। তাই ভোটার লিস্টে নাম যে তুলবেন, দেখবেন নতুন লোক এলেও, তাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কিনা। যাঁরা সেটা করবেন, তাঁদেরই নাম ভোটার তালিকায় তোলার চেষ্টা করবেন। বিধায়ক বলেন, এখন সবাই আমাদের দলের সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছেন। দু দিন পর আবার ২০১৯, ২০২১ সালের মতো হয়ে না যায়! নিজেদের জায়গা নিজেদের ছেলেদের করতে হবে। আমরাও দলকে বলেছি, যাঁরা উনিশ ও একুশের ভোটে বুক চিতিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তাঁদেরই বিভিন্ন পদ দেওয়া হবে। অন্য কোনও লোককে আমরা কোনও পদ দেব না। তিনি বলেন, যাঁরা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তাঁদেরই জায়গা দেব।
আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?
অথচ দিন কয়েক আগে উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল বিধায়কের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। ১০ নভেম্বর এক প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সবাই যাঁরা ভোটার লিস্টের কাজে আছেন, আমি রিকোয়েস্ট করব সবার নামটা তুলবেন। ১৮ বছর বয়স যাদের হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, তাদের নামগুলো তুলবেন ইলেকশন কমিশনের নিয়ম মেনে। কারও নাম দয়া করে অন্য ধর্মের লোক বলে বাদ দেবেন না।
তৃণমূলের কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ? উঠছে প্রশ্ন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours