মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাটলা হাউস এনকাউন্টারের (Batla House Encounter) ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আরিজ খানের ফাঁসির সাজা রদ দিল্লি হাইকোর্টে। ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ আদালতের। বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও অমিত শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ আরিজের মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়। তার বদলে দেওয়া হয় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা।
কলেজের পড়া শেষে জঙ্গি সংগঠনে
আরিজ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন মুজাহিদিনের সদস্য। মুজফফরনগরের বাসিন্দা আরিজ এক সময় ইঞ্জিনিয়ার ছিল। কলেজের পাঠ চুকিয়ে সে যোগ দেয় জঙ্গি সংগঠনে। বিস্ফোরক তৈরিতে তার অনায়াস দক্ষতার কারণে সংগঠনে তার গুরুত্বও ছিল বেশি। দক্ষিণ দিল্লির জামিনা নগরে বাটলা হাউসে ডেরা বেঁধেছিল আরিজরা। নেপাল সহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতেও তার একাধিক ডেরা রয়েছে।
বাটলা হাউসে এনকাউন্টার
সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে সেখানে হামলা চালায় পুলিশ। সেটা ছিল ২০০৮ সাল। দু’ পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ইনসপেক্টর মোহন চাঁদ শর্মার। পুলিশের পাল্টা গুলিতে (Batla House Encounter) জখম হয় আরিজ ও তার কয়েকজন সাগরেদ। যদিও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ফেরার হয়ে যায় আরিজ। ১০ বছর বাদে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। নিম্ন আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। সেটাই খারিজ হয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে দিল্লি ছাড়াও জয়পুর, আমেদাবাদে একাধিক বিস্ফোরণের নেপথ্যে হাত ছিল আরিজের।
আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আড়াই কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির
২০২১ সালের মার্চ মাসে দিল্লির নিম্ন আদালত মোহনচাঁদ শর্মাকে খুন সহ একাধিক অপরাধে ফাঁসির সাজা শোনায় আরিজকে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আরিজ। তার আইনজীবীর দাবি ছিল, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁর মক্কেলকে। এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য শাহজাদ আহমেদকে ২০১৩ সালের জুলাই মাসেই যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন (Batla House Encounter) করেছিল শাহজাদ। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours