মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার মধ্যে বিপর্যস্ত কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয় জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাস্টিন ট্রুডো অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রুডোর অফিস থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, “মোদি বলেছিলেন যে ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরের উদ্বেগের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কানাডার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।”
“Congratulations to Indian Prime Minister Narendra Modi on his electoral victory. Canada stands ready to work with his government to advance the relationship between our nations’ peoples—anchored to human rights, diversity, and the rule of law.” – Prime Minister Justin Trudeau
— CanadianPM (@CanadianPM) June 5, 2024
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানালেন ট্রুডো
গত বছর ট্রুডো যখন খালিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন তখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনমন হয়। ভারত এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাল্টা বার্তায় ট্রুডোকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন “অভিনন্দন বার্তার জন্য @CanadianPM আপনাকে ধন্যবাদ। ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরের উদ্বেগের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কানাডার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।" সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ৬ জুন একটি পোস্টে, ট্রুডোর অফিস বলেছে, যে কানাডা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন। কানাডা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। মানবাধিকার, বৈচিত্র্য এবং আইনের শাসনের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ”
Thank you @CanadianPM for the congratulatory message. India looks forward to working with Canada based on mutual understanding and respect for each others concerns. https://t.co/QQJFngoMyH
— Narendra Modi (@narendramodi) June 10, 2024
নিজ্জার মামলার তথ্য জানায়নি কানাডা দাবি নয়া দিল্লির
প্রসঙ্গত গত মাসে কানাডা নিজ্জার হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা ভারতকে জানায়। নয়াদিল্লি, এদিকে,দাবি করেছে যে কানাডা "আজ পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক প্রমাণ বা তথ্য ভারতের সঙ্গে ভাগ করেনি"। গত সপ্তাহে, একটি কানাডিয়ান সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কানাডার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলির জন্য "দ্বিতীয়-সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিদেশী হস্তক্ষেপের হুমকি হিসেবে উঠে এসেছে ভারত"। প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ভারতের কথিত বিদেশী হস্তক্ষেপ কানাডায় "খালিস্তানপন্থী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বাইরেও প্রসারিত হয়েছে"। ৯২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৪৪ বার ‘ভারত’ উল্লেখ করা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানানোর একদিন পরে এই প্রতিবেদনটি এসেছে। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে নরমে গরমে সম্পর্ক রাখতে চায় কানাডা। যদিও সরকারে এসে পাল্টা কৌশল নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়াদিল্লী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours