Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 170: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ… ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”

    Ramakrishna 170: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ… ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

     চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — মণিলাল ও কাশীদর্শন

    আইস ভাই, আজ আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে দর্শন করিতে যাই। তিনি ভক্তসঙ্গে কিরূপ বিলাস করিতেছেন, ঈশ্বরের ভাবে সর্বদা কিরূপ সমাধিস্থ আছেন দেখিব। কখন সমাধিস্থ, কখন কীর্তনানন্দে মাতোয়ারা আবার কখন বা প্রাকৃত লোকের ন্যায় ভক্তের সহিত কথা কহিতেছেন, দেখিব। শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ, ব্যবহার পঞ্চমবর্ষীয় বালকের ন্যায়। প্রতি নিঃশ্বাসের সহিত মায়ের নাম করিতেছেন। একেবারে অভিমানশূন্য পঞ্চমবর্ষীয় বালকের ন্যায় ব্যবহার। পঞ্চমবর্ষীয় বালক বিষয়ে আসক্তিশূন্য, সদানন্দ, সরল ও উদার প্রকৃতি। এক কথা (Kathamrita)—“ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”, দুইদিনের জন্য। চল, সেই প্রেমোন্মত্ত বালককে দিখিতে যাই। মহাযোগী! অনন্ত সাগরের তীরে একাকী বিচরণ করিতেছেন। সেই অনন্ত সচ্চিদানন্দ-সাগরমধ্যে কি যেন দেখিতেছেন! দেখিয়া প্রেমে উন্মত্ত হইয়া বেড়াইতেছেন।

    আজ রবিবার, ৮ই এপ্রিল, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, ২৬শে চৈত্র, প্রাতঃকাল। এই যে ঠাকুর বালকের ন্যায় বসিয়া আছেন। কাছে বসিয়া একটি ছোকরা ভক্ত—রাখাল।

    মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুরের (Ramakrishna) ভ্রাতুষ্পুত্র রামলাল আছেন, কিশোরী ও আরও কয়েকটি ভক্ত আসিয়া জুটিলেন। পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রণাম করিলেন।

    মণি মল্লিক কাশীধামে গিয়াছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী লোক, কাশিতে তাঁহাদের কুঠি আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হ্যাঁগা, কাশীতে গেলে, কিছু সাধু-টাধু দেখলে?

    মণিলাল—আজ্ঞে হাঁ, ত্রৈলঙ্গ স্বামী, ভাস্করানন্দ—এঁদের সব দেখতে গিছলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিরকম সব দেখলে বল?

    মণিলাল—ত্রৈলঙ্গ স্বামী সেই ঠাকুরবাড়িতেই আছেন, মণিকর্ণিকার ঘাটে বেণীমাধবের কাছে। লোকে বলে, আগে তাঁর উচ্চ অবস্থা ছিল। কত আশ্চর্য আশ্চর্য কার্য করতে পারতেন। এখন অনেকটা কমে গেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও-সব বিষয়ী লোকের নিন্দা।

    মণিলাল—ভাস্করানন্দ সকলের সঙ্গে মেশেন, ত্রৈলঙ্গ স্বামীর মতো নয়—একেবারে কথা বন্ধ (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 169: “যতনে হৃদয়ে রেখো আদরিণী শ্যামা মাকে… আর যেন কেউ নাহি দেখে”

    Ramakrishna 169: “যতনে হৃদয়ে রেখো আদরিণী শ্যামা মাকে… আর যেন কেউ নাহি দেখে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৭ই এপ্রিল

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    গান—বিশ্বভুবনরঞ্জন ব্রহ্ম পরম জ্যোতিঃ ৷
    অনাদিদেব জগৎপতি প্রাণের প্রাণ ॥

    গান—ওহে রাজরাজেশ্বর, দেখা দাও।
    চরণে উৎসর্গ দান, করিতেছি এই প্রাণ,
    সংসার-অনলকুণ্ডে ঝলসি গিয়াছে তাও।
    কলুষ-কলঙ্কে তাহে আবরিত এ-হৃদয়;
    মোহে মুগ্ধ মৃতপায়, হয়ে আছি আমি দয়াময়,
    মৃতসঞ্জীবনী দৃষ্টে, শোধন করিয়ে লও।

    গান—গগনের থালে রবিচন্দ্র দীপক জ্বলে।
    তারকামণ্ডল চমকে মোতি রে।
    ধূপ মলয়ানিল, পবন চামর করে,
    সকল বনরাজি ফুটন্ত জ্যোতিঃ রে।
    কেমন আরতি হে ভবখণ্ডন তব আরতি,
    অনাহত শব্দ বাজন্ত ভেরী রে।

    গান—চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে।

    নরেন্দ্রের গান (Kathamrita) সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভবনাথকে গান গাহিতে বলিতেছেন। ভবনাথ গাহিতেছেন:

    দয়াঘন তোমা হেন কে হিতকারী!
    সুখে-দুঃখে সব, বন্ধু এমন কে, পাপ-তাপ-ভয়হারী।

    নরেন্দ্র (সহাস্যে)—এ (ভবনাথ) পান-মাছ ত্যাগ করেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভবনাথের প্রতি, সহাস্যে)—সে কি রে! পান-মাছে কি হয়েছে? ওতে কিছু দোষ হয় না! কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগই ত্যাগ। রাখাল কোথায়?

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা, রাখাল ঘুমুচ্ছেন।

    ঠাকুর (সহাস্যে)—একজন মাদুর বগলে করে যাত্রা শুনতে এসেছিল। যাত্রার দেরি দেখে মাদুরটি পেতে ঘুমিয়ে পড়ল। যখন উঠল তখন সব শেষ হয়ে গেছে! (সকলের হাস্য)

    তখন মাদুর বগলে করে বাড়ি ফিরে গেল। (হাস্য)

    রামদয়াল বড় পীড়িত। আর এক ঘরে শয্যাগত। ঠাকুর সেই ঘরের সম্মুখে গিয়া, কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করিলেন।

    পঞ্চদশী, বেদান্ত শাস্ত্র ও শ্রীরামকৃষ্ণ—সংসারী ও শাস্ত্রার্থ 

    বেলা ৪টা হইবে। বৈঠকখানাঘরে নরেন্দ্র, রাখাল, মাস্টার, ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ঠাকুর বসিয়া আছেন। কয়েকজন ব্রাহ্মভক্ত আসিয়াছেন। তাঁহাদের সঙ্গে কথা (Kathamrita) হইতেছে।

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়ের পঞ্চদশী দেখা আছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ও-সব একবার প্রথম প্রথম শুনতে হয়,—প্রথম প্রথম একবার বিচার করে নিতে হয়। তারপর—

    “যতনে হৃদয়ে রেখো আদরিণী শ্যামা মাকে,
    মন তুই দেখ আর আমি দেখি, আর যেন কেউ নাহি দেখে।

    সাধনাবস্থায় ও-সব শুনতে হয়। তাঁকে লাভের পর জ্ঞানের অভাব থাকে না। মা রাশ ঠেলে দেন।

    সোনা গলাবার সময় খুব উঠে পড়ে লাগতে হয়। একহাতে হাপর—একহাতে পাখা—মুখে চোঙ্গ—যতক্ষণ না সোনা গলে। গলার পর, যাই গড়নেতে ঢালা হল—অমনি নিশ্চিন্ত।

    শাস্ত্র শুধু পড়লে হয় না। কামিনী-কাঞ্চনের মধ্যে থাকলে শাস্ত্রের মর্ম বুঝতে দেয় না। সংসারের আসক্তিতে জ্ঞান লোপ হয়ে যায়।

    সাধ করে শিখেছিলাম কাব্যরস যত ৷
    কালার পিরীতে পড়ে সব হইল হত ॥(সকলের হাস্য)

    ঠাকুর ব্রাহ্মভক্তদের সহিত শ্রীযুক্ত কেশবের কথা বলিতেছেন:

    “কেশবের যোগ ভোগ। সংসারে থেকে ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে মন আছে।”

    একজন ভক্ত কন্‌ভোকেসন্‌ (বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিতদের বাৎসরিক সভা) সম্বন্ধে বলিতেছেন —দেখলাম লোকে লোকারণ্য!

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনেক লোক একসঙ্গে দেখলে ঈশ্বরের উদ্দীপন (Kathamrita) হয়। আমি দেখলে বিহ্বল হয়ে যেতাম।

     

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 168: “নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় করাও ভাল না”

    Ramakrishna 168: “নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় করাও ভাল না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৭ই এপ্রিল

    নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে বলরাম-মন্দিরে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলরামের বাড়িতে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন (Kathamrita)—বৈঠকখানার উত্তর-পূর্বের ঘরে। বেলা একটা হইবে। নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল, বলরাম, মাস্টার ঘরে তাঁহার সঙ্গে বসিয়া আছেন।

    আজ অমাবস্যা। শনিবার, ৭ই এপ্রিল, ১৮৮৩, ২৫শে চৈত্র। ঠাকুর সকালে বলরামের বাড়ি আসিয়া মধ্যাহ্নে সেবা করিয়াছেন। নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল ও আরও দু-একটি ভক্তকে নিমন্ত্রণ করিতে বলিয়াছিলেন। তাঁহারাও এখানে আহার করিয়াছেন। ঠাকুর বলরামকে বলিতেন—এদের খাইও, তাহলে অনেক সাধুদের খাওয়ানো হবে।

    কয়েকদিন হইল ঠাকুর শ্রীযুক্ত কেশবের বাটীতে নববৃন্দাবন নাটক দেখিতে গিয়াছিলেন। সঙ্গে নরেন্দ্র ও রাখাল ছিলেন। নরেন্দ্র অভিনয়ে যোগ দিয়াছিলেন। কেশব পওহারী বাবা সাজিয়াছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি)—কেশব (সেন) সাধু সেজে শান্তিজল ছড়াতে লাগল। আমার কিন্তু ভাল লাগল না। অভিনয় করে শান্তি জল!

    আর-একজন (কু-বাবু) পাপ পুরুষ সেজেছিল। ওরকম সাজাও ভাল না। নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় (Kathamrita) করাও ভাল না।

    নরেন্দ্রের শরীর তত সুস্থ নয়, কিন্তু তাঁহার গান শুনিতে ঠাকুরের (Ramakrishna) ভারী ইচ্ছা। তিনি বলিতেছেন, “নরেন্দ্র, এরা বলছে একটু গা না।”

    নরেন্দ্র তানপুরা লইয়া গাইতেছেন:

    আমার প্রাণপিঞ্জরের পাখি, গাও না রে।
    ব্রহ্মকল্পতরুপরে বসে রে পাখি, বিভুগুণ গাও দেখি,
    (গাও, গাও) ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ,
    সুপক্ক ফল খাও না রে।
    বল বল আত্মারাম, পড় প্রাণারাম,
    হৃদয়-মাঝে প্রাণ-বিহঙ্গ ডাক অবিরাম,
    ডাক তৃষিত চাতকের মতো,
    পাখি অলস থেক না রে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    Mahakumbh 2025: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলা প্রতি চার বছর অন্তর পালন করা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। ২০১৩ সালে শেষবার মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল প্রয়াগরাজে। ১২ বছর পর ফের অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহাকুম্ভ। প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্মে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেও এই অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এই মহাকুম্ভের সঙ্গে মিশে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুাসের, মেষ রাশির চক্রে বৃহস্পতি, সূর্য ও চন্দ্র মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি থেকে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলাকে সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য-ধর্মীয়-ঐতিহাসিক-পৌরাণিকভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু করেছে যোগী সরকার।

    মহাকুম্ভে থাকবে ৩০টি বড় দ্বার

    এবারের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) তৈরি করা হবে ৩০টি বড় দ্বার। মেলা প্রাঙ্গণের প্রবেশদ্বারের মুখগুলিতেই তৈরি করা হচ্ছে প্রত্যেকটি গেট। সমুদ্রমন্থনের বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করা থাকবে এই দ্বারগুলিতে। এই দ্বারগুলি দিয়ে — যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। পুণ্যার্থীরা সহজেই প্রবেশ-প্রস্থান করতে পারবেন। আবার, দিক-নির্দেশের চিহ্ন বা দিশা দেখানোর কাজ করতে পারবে এই দ্বারগুলি। একই সঙ্গে, তথ্য আদানপ্রদানেরও ব্যবস্থা থাকবে এই দ্বারগুলিতে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি দ্বার পুরাণ বা পৌরাণিক আখ্যানের নিদর্শন বহন করবে। ৩০ দ্বার ৩০ রত্নের থিম নিয়ে নির্মিত হবে। প্রতিটি রত্নদ্বার ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে।

    ৫০ কোটি তীর্থযাত্রী আসতে পারেন বলে অনুমান (Pilgrims)

    যদি কোনও তীর্থযাত্রী কুম্ভ প্রাঙ্গণে হারিয়ে যান তাহলে এই গেটে পৌঁছানো মাত্রই, সেখানে থাকা কর্মীরা তাঁকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানিয়েছেন, এই গেটগুলি শুধুমাত্র প্রবেশদ্বার হিসেবেই গড়ে উঠছে না। এগুলি ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস ও পৌরাণিক ঘটনাগুলির প্রতিফলনও ঘটাবে। এর ফলে  মহাকুম্ভ মেলায় আসা তীর্থযাত্রীরা নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক নানা ঘটনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারই হয়ে উঠবে একটি করে তথ্যভাণ্ডার। এখানেই তীর্থযাত্রীরা নিজেদের খাদ্য পানীয় ও বাসস্থানের বিষয়ে তথ্য পাবেন। শুধু তাই নয়, এগুলির মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের প্রতিদিনকার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও করতে পারবেন। কত সংখ্যা হতে পারে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে? এ নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের বক্তব্য হল, ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে ৫০ কোটি তীর্থযাত্রীর ভিড় হতে পারে।

    ৩০টি গেটে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোট ছোট পুস্তিকা সরবরাহ করা হবে

    জানা গিয়েছে, ওই ৩০টি গেটে মহাকুম্ভ মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোট ছোট পুস্তিকা সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকেই তা দেওয়া হবে। এগুলি, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষাতে হবে। এই পুস্তিকাগুলিতে লেখা থাকবে, প্রয়াগরাজের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটনস্থান সম্পর্কে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে এ বিষয়ে গাইডবুকও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় প্রয়াগরাজের বিভিন্ন গেস্ট হাউসে কীভাবে থাকা যাবে, কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে- তাও এই গাইড বুকগুলির মাধ্যমে জানতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, যোগী সরকার তীর্থযাত্রীদের সমস্ত রকমের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল তীর্থযাত্রীকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে যোগী সরকার।

    তীর্থযাত্রীদের যোগী সরকার দেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি গেট বা প্রবেশদ্বারে কর্মীও মোতায়েন করা হবে এবং তাঁরা প্রতিদিনকার তথ্য সরবরাহ করবেন তীর্থযাত্রীদের। স্থানীয় পর্যটন শিল্পের প্রচারেরও কাজ করবেন তাঁরা। ওই ৩০টি প্রবেশদ্বারকে রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্বে থাকবেন বিশেষ প্রশিক্ষিত কর্মীরা। গেটগুলিতে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ কর্মীরা মহাকুম্ভ মেলার বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে তীর্থযাত্রী তথা ভক্তদেরকে গাইড করবেন। তাঁদেরকে বিশদে বর্ণনা করবেন মহাকুম্ভ মেলায় পুণ্য স্নানের গুরুত্ব ঠিক কতখানি?  ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলাকে সবদিক থেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে যোগী সরকার। যাতে আগত তীর্থযাত্রীদের সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়। তাদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                               (গীতা, ৩।৬)

    নরেন্দ্র প্রভৃতি নিত্যসিদ্ধ—তাদের ভক্তি আজন্ম 

    (অমৃত ও ত্রৈলোক্যের প্রতি)—নরেন্দ্র, রাখাল-টাখাল এই সব ছোকরা, এরা নিত্যসিদ্ধ, এরা জন্মে ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্ত। অনেকের সাধ্যসাধনা করে একটু ভক্তি হয়, এদের কিন্তু আজন্ম ঈশ্বরে ভালবাসা। যেন পাতাল ফোঁড়া শিব—বসানো শিব নয়।

    নিত্যসিদ্ধ একটি থাক আলাদা। সব পাখির ঠোঁট বাঁকা নয়। এরা কখনও সংসারে আসক্ত (Kathamrita) হয় না। যেমন প্রহ্লাদ।

    সাধারণ লোক সাধন করে, ঈশ্বরে ভক্তিও করে। আবার সংসারেও আসক্ত হয়, কামিনী-কাঞ্চনে মুগ্ধ হয়। মাছি যেমন ফুলে বসে, সন্দেশে বসে, আবার বিষ্ঠাতেও বসে। (সকলে স্তব্ধ)

    নিত্যসিদ্ধ যেমন মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে। নিত্যসিদ্ধ হরিরস পান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না।

    সাধ্য-সাধনা করে যে ভক্তি, এদের সে ভক্তি নয়। এত জপ, এত ধ্যান করতে হবে, এইরূপ পূজা করতে হবে—এ-সব ‘বিধিবাদীয়’ ভক্তি। যেমন ধান হলে মাঠ পার হতে গেলে আল দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে। আবার যেমন সম্মুখের গাঁয়ে যাবে, কিন্তু বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।

    রাগভক্তি প্রেমাভক্তি ঈশ্বরে আত্মীয়ের ন্যায় ভালবাসা(Kathamrita), এলে আর কোন বিধিনিয়ম থাকে না। তখন ধানকাটা মাঠ যেমন পার হওয়া। আল দিয়ে যেতে হয় না। সোজা একদিক দিয়ে গেলেই হল।

    বন্যে এলে আর বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হয় না। তখন মাঠের উপর এক বাঁশ জল! সোজা নৌকা চালিয়ে দিলেই হল।

    “এই রাগভক্তি, অনুরাগ, ভালবাসা না এলে ঈশ্বরলাভ হয় না।”

    সমাধিতত্ত্ব—সবিকল্প ও নির্বিকল্প 

    অমৃত—মহাশয়! আপনার এই সমাধি অবস্থায় কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—শুনেছ, কুমুরে পোকা চিন্তা করে আরশুলা কুমুরে পোকা হয়ে যায়, কিরকম জানো? যেমন হাঁড়ির মাছ গঙ্গায় ছেড়ে দিলে হয়।

    অমৃত—একটুও কি অহং থাকে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, আমার প্রায় একটু অহং থাকে। সোনার একটু কণা, সোনার চাপে যত ঘষ না কেন, তবু একটু কণা থেকে যায়। আর যেমন বড় আগুন আর তার একটি ফিনকি। বাহ্যজ্ঞান চলে যায়, কিন্তু প্রায় তিনি একটু  ‘অহং’ রেখে দেন—বিলাসের জন্য! আমি তুমি থাকলে তবে আস্বাদন হয়। কখন কখন সে আমিটুকুও তিনি পুঁছে ফেলেন। এর নাম ‘জড়সমাধি—নির্বিকল্পসমাধি। তখন কি অবস্থা হয় মুখে বলা যায় না। নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল, একটু নেমেই গলে গেল। ‘তদাকারকারিত’। তখন কে আর উপরে এসে সংবাদ দেবে, সমুদ্র কত গভীর!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীরও আটটি রূপ! জানুন কোন রূপের কী মাহাত্ম্য

    Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীরও আটটি রূপ! জানুন কোন রূপের কী মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরাণে দেবী লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2024) আবির্ভাবের কথা বিশদে উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ অনুসারে দেব ও অসুরের ক্ষীরসাগর মন্থন কালে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) উঠে আসেন। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে দেবী লক্ষ্মীর আটটি রূপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রূপই পার্থিব এবং অপার্থিব আট ধরনের সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা যায়। নীচে আট রূপের বর্ণনা দেওয়া হল-

    আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী:

    পুরাণ অনুসারে দেবী আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মীর (Maa Lakshmi) চারটি হাত। এক হাতে থাকে পদ্ম, এক হাতে থাকে সাদা পতাকা, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় ও বরদা মুদ্রা। জ্যোতিষরা বলেন, আদিলক্ষ্মী (Lakshmi Puja 2024) বা মহালক্ষ্মীর সঙ্গে বৃহস্পতি গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে।

    ধনলক্ষ্মী:

    লালবসনা দেবী ধনলক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2024) ছয় হাতে ছয়টি জিনিস থাকে। সেগুলি হল— চক্র, আম্রপল্লব ও নারকেল বসানো কলসি, তির-ধনুক, পদ্ম, সোনার মুদ্রা এবং অভয় মুদ্রা। দেবী ধনলক্ষ্মীর শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমনটাই মনে করেন জ্যোতিষীরা। 

    ধান্যলক্ষ্মী:

    সবুজ বসনা দেবী ধান্যলক্ষ্মীর আটটি হাত রয়েছে। আট হাতের দু’টি হাতে থাকে পদ্ম। অন্যান্য হাতগুলিতে থাকে গদা, ধান, আখ গাছ, কলা, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা। দেবী ধান্যলক্ষ্মীর সূর্য এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, বলেই মনে করেন জ্যোতিষীরা।

    গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মী:

    গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মী লাল বসনা। দেবীর চারটি হাতের দুই হাতে থাকে পদ্ম, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় এবং বরদা মুদ্রা। দেবীর দুই পাশে দুই হাতি কলসি দিয়ে দেবীকে জল অর্পণ করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মীর সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

    সন্তানলক্ষ্মী:

    সন্তানলক্ষ্মীর ছয় হাতের ওপরের দু’টি হাতে থাকে আম্রপল্লব ও নারকেল বসানো কলসি, নীচের হাতগুলিতে থাকে ঢাল ও তরোয়াল। মাঝের হাত দু’টির একটি হাত কোলে বসানো শিশুকে ধরে রাখে, শিশুর হাতে থাকে একটি পদ্ম। দেবীর অপর হাতে থাকে অভয় মুদ্রা। দেবী সন্তানলক্ষ্মীর বৃহস্পতি এবং শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী:

    বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী লাল বসনা। দেবীর আট হাতে যথাক্রমে চক্র, শঙ্খ, তির, ধনুক, ত্রিশূল, তালপাতার ধর্মগ্রন্থ, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা থাকে। বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মীর মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মী:

    বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মী হলেন লালবসনা। দেবীর আটটি হাতে আট রকমের জিনিস থাকে। সেগুলি হল— চক্র, শঙ্খ, তরোয়াল, ঢাল, পদ্ম, পাশ, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা। বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মীর সূর্য এবং মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বিদ্যালক্ষ্মী:

    দেবী বিদ্যালক্ষ্মী শুভ্রবসনা। দেবীর চার হাতের দু’টিতে থাকে পদ্ম, অন্য দুই হাতে থাকে বরদা মুদ্রা এবং আভাস মুদ্রা। দেবী বিদ্যালক্ষ্মীর সঙ্গে দেবী সরস্বতীর অনেকটাই মিল আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Ramakrishna 166: “মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়”

    Ramakrishna 166: “মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                                 (গীতা, ৩।৬)

    গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী—অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়

    পরমহংসদেবের (Ramakrishna) সমাধী ক্রমে ভঙ্গ হইতে লাগিল। ভাবস্থ হইয়াই কথা কহিতেছেন (Kathamrita)। আপনা-আপনি বলিতেছেন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গেরুয়াদৃষ্টে)—আবার গেরুয়া কেন? একটা কি পরলেই হল? (হাস্য) একজন বলেছিল, চন্ডী ছেড়ে হলুম ঢাকী—আগে চণ্ডির গান গাইত, এখন ঢাক বাজায়! (সকলের হাস্য)

    বৈরাগ্য তিন-চার প্রকার। সংসারের জ্বালায় জ্বলে গেরুয়াবসন পরেছে—সে বৈরাগ্য বেশিদিন থাকে না। হয়তো কর্ম নাই, গেরুয়া পরে কাশী চলে গেল। তিনমাস পরে ঘরে পত্র এল, আমার একটি কর্ম হইয়াছে, কিছুদিন পরে বাড়ি যাইব, তোমরা ভাবিত হইও না। আবার সব আছে, কোন অভাব নাই, কিন্তু কিছুভাল লাগে না। ভগবানের জন্য একলা একলা কাঁদে। সে বৈরাগ্য যথার্থ বৈরাগ্য।

    মিথ্যা কিছুই ভাল নয়। মিথ্যা ভেক ভাল নয়। ভেকের মতো যদি মনটা না হয়, ক্রমে সর্বনাশ হয়। মিথ্যা বলতে বা করতে ক্রমে ভয় ভেঙে যায়। তার চেয়ে সাদা কাপড় ভাল। মনে আসক্তি, মাঝে মাঝে পতন হচ্ছে, আর বাহিরে গেরুয়া! বড় ভয়ঙ্কর!”

    কেশবের বাড়ি গমন ও নববৃন্দাবন-দর্শন 

    এমনকি, যারা সৎ, অভিনয়েও তাদের মিথ্যা কথা বা কাজ ভাল নয়। কেশব সেনের ওখানে নববৃন্দাবন নাটক দেখতে গিছলাম। কি একটা আনলে ক্রস (cross); আবার জল ছড়াতে লাগল, বলে শান্তিজল। একজন দেখি মাতাল সেজে মাতলামি করছে!”

    ব্রাহ্মভক্ত—কু—বাবু।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তের পক্ষে ওরূপ সাজাও ভাল নয়। ও-সব বিষয়ে মন অনেকক্ষণ ফেলে রাখায় দোষ হয়। মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়। মিথ্যাতে অনেকক্ষণ ফেলে রাখলে মিথ্যার রঙ ধরে যাবে।

    আর-একদিন নিমাই-সন্ন্যাস, কেশবের বাড়িতে দেখতে গিছিলাম। যাত্রাটি কেশবের কতকগুলো খোশামুদে শিষ্য জুটে খারাপ করেছিল। একজন কেশবকে বললে, কলির চৈতন্য হচ্ছেন আপনি! কেশব আমার দিকে চেয়ে হাসতে হাসতে বললে, ‘তাহলে ইনি কি হলেন?’ আমি বললুম (Kathamrita), ‘আমি তোমাদের দাসের দাস। রেণুর রেণু।’ কেশবের লোকমান্য হবার ইচ্ছা ছিল।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 165: “ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের চক্ষু—বাৎসল্যভাবের উদয় হইল”

    Ramakrishna 165: “ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের চক্ষু—বাৎসল্যভাবের উদয় হইল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের সঙ্গে কথোপকথন

    সমাধিমন্দিরে 

    ফাল্গুনের কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথি, বৃসস্পতিবার, ১৬ই চৈত্র; ইংরেজী ২৯শে মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিতেছেন। দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ির সেই পূর্বপরিচিত ঘর। সম্মুখে পশ্চিমদিকে গঙ্গা। চৈত্র মাসের গঙ্গা। বেলা দুইটার সময় জোয়ার আসিতে আরম্ভ হইয়াছে। ভক্তেরা কেহ কেহ আসিয়াছেন। তন্মধ্যে ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত অমৃত ও মধুরকন্ঠ (Kathamrita) শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য, যিনি কেশবের ব্রাহ্মসমাজে ভগবল্লীলাগুণগান করিয়া আবালবৃদ্ধের কতবার মন হরণ করিয়াছেন।

    রাখালের অসুখ। এই কথা শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই দেখ, রাখালের অসুখ। সোডা খেলে কি ভাল হয় গা? কি হবে বাপু! রাখাল তুই জগন্নাথের (Kathamrita) প্রসাদ খা।

    এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর অদ্ভুতভাবে ভাবিত হইলেন। বুঝি দেখিতে লাগিলেন, সাক্ষাৎ নারায়ণ সম্মুখে রাখালরূপে বালকের দেহধারণ করে এসেছেন! একদিকে কামিনী-কাঞ্চনত্যাগী শুদ্ধাত্মা বালকভক্ত রাখাল, অপরদিকে ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের সেই প্রেমের চক্ষু—সহজেই বাৎসল্যভাবের উদয় হইল। তিনি সেই বালক রাখালকে বাৎসল্যভাবে দেখিতে লাগিলেন ও ‘গোবিন্দ’ ‘গোবিন্দ’ এই নাম প্রেমভরে উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। শ্রীকৃষ্ণকে দেখিয়া যশোদার যে-ভাবের উদয় হইত এ বুঝি সেই ভাব! ভক্তেরা এই অদ্ভুত ব্যাপার দর্শন করিতেছেন, এমন সময়ে সব স্থির! ‘গোবিন্দ’ নাম করিতে করিতে ভক্তাবতার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সমাধি হইয়াছে। শরীর চিত্রার্পিতের ন্যায় স্থির! ইনিদ্রয়গণ কাজে জবাব দিয়া যেন চলিয়া গিয়াছে! নাসিকাগ্রে দৃষ্টি স্থির। নিঃশ্বাস বহিছে, কি না বহিছে। শরীরমাত্র ইহলোকে পড়িয়া আছে! আত্মাপক্ষী বুঝি চিদাকাশে বিচরণ করিতেছে। এতক্ষণ যিনি সাক্ষাৎ মায়ের ন্যায় সন্তানের জন্য ব্যস্ত হইয়াছিলেন, তিনি এখন কোথায়? এই অদ্ভুত ভাবান্তরের নাম কি সমাধি (Kathamrita)?

    এই সময়ে গেরুয়া কাপড়-পরা অপরিচিত একটি বাঙালী আসিয়া উপস্থিত হইলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kojagori Lakshmi Puja 2024: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    Kojagori Lakshmi Puja 2024: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’’-এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে থাকে। দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024) পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা (Lakshmi Puja) তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ ও শান্তি প্রদানকারী দেবী। বাংলার গৃহস্থ থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2024) নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত। আসুন জেনে নিই এই বছরের লক্ষ্মী পুজোর নির্ঘণ্ট।

    এবছর লক্ষ্মীপুজোর সময়সূচি কেমন (Kojagori Lakshmi Puja 2024)?

    বৈদিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে প্রতিবছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী পুজোর উৎসব পালিত হয়। এইবার পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে আজ, বুধবার ১৬ অক্টোবর, রাত ০৮টা ৪০ মিনিট থেকে এবং এই তিথি চলবে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর, বিকেল ০৪টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। ফলে উদয় তিথিতে ১৬ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2024) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পুজোর নিশীথ কাল মুহূর্ত হল রাত ১১টা ৪২ মিনিট থেকে ১২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এদিন চন্দ্রোদয় হবে বিকেল ৫ টা ৫ মিনিটে।

    ‘কোজাগরী’ কেন বলা হয়?

    এবার আসা যাক, ‘কোজাগরী’ শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja 2024) দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে, একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী (Lakshmi Puja)। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই ‘কোজাগরী’ শব্দ (Kojagori Lakshmi Puja 2024) এই লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    পুজোর বিভিন্ন রীতি (Kojagori Lakshmi Puja 2024)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে। গৃহস্থরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন, যেমন আড়ি লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024)। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”-বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    লক্ষ্মীপুজো করলে কী কী ফল মেলে?

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা বা পটচিত্র আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক এক প্রকারের সরা দেখা যায়, যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024)। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্থ কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিঁড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই। ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja) ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি (Kojagori Lakshmi Puja 2024) পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয়, গৃহে সুখ, শান্তি, ধন, সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম

    প্রায় সাড়ে পাঁচটা-ছয়টা হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নিজের ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় বসিয়া আছেন। ভক্তদের দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—সংসারত্যাগী সাধু—সে তো হরিনাম করবেই। তার তো আর কোন কাজ নাই। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা (Kathamrita) করে তো, আশ্চর্যের বিষয় নয়। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা না করে, সে যদি হরিনাম না করে তাহলে বরং সকলে নিন্দা করবে।

    সংসারী লোক যদি হরিনাম করে, তাহলে বাহাদুরি আছে। দেখ, জনক রাজা খুব বাহাদুর। সে দুখানি তরবার ঘুরাত। একখানা জ্ঞান ও একখানা কর্ম। এক দিকে পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞান, আর-একদিকে সংসারে কর্ম করছে। নষ্ট মেয়ে সংসারের সব কাজ খুঁটিয়ে করে, কিন্তু সর্বদাই উপপতিকে চিন্তা করে।

    সাধুসঙ্গ সর্বদা দরকার, সাধু ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ (Kathamrita) করে দেন।

    কেদার—আজ্ঞে হাঁ! মহাপুরুষ (Ramakrishna) জীবের উদ্ধারের জন্য আসেন। যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়। অথবা যেমন নদী বা তড়াগ, কত জীবের পিপাসা শান্তি করে।

    ক্রমে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হইলেন। একে একে সকলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাঁহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ভবনাথকে দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, তুই আজ আর যাস নাই। তোদের দেখেই উদ্দীপন!

    ভবনাথ এখনও সংসারে প্রবেশ করেন নাই। বয়স উনিশ-কুড়ি, গৌরবর্ণ, সুন্দর দেহ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) নামে তাঁহার চক্ষে জল আসে। ঠাকুর তাঁহাকে সাক্ষাৎ নারায়ণ দেখেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share