Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Manipur Landslide: মণিপুরের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫, নিখোঁজ ৩৮ জন

    Manipur Landslide: মণিপুরের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫, নিখোঁজ ৩৮ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের নোনে জেলায় ভূমিধসে (Manipur Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৪। নিখোঁজ ৩৮ জন। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। মাটি সরালেই মিলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের দেহ। সেনা সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১৫ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) জওয়ান। এখনও ধসের নীচে অন্তত ৫৫ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলের কাছেই আরও একটি ধস নামার কথা জানা গিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    বুধবার, ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। মণিপুরের নোনে জেলায় টুপুলে রেলওয়ে নির্মাণ শিবিরে ভয়াবহ ধস নামে। ধসের নিচে চাপা পড়েন সেনা, রেলকর্মী থেকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন। ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিঙের বাসিন্দা একাধিক জওয়ানের। উদ্ধারকাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। তিনি এই ধসকে রাজ্যের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে খারাপ ঘটনা’ বলে আখ্যা দেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন,”পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়েও সব মৃতদেহ উদ্ধার করতে এখনও দু’‌তিনদিন লাগবে। সেনা ও NDRF উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। যান চলাচলে প্রভাব পড়ায় উদ্ধারকাজ শেষ হতে একটু সময় লাগবে। ঘটনাস্থলে প্রচুর কাদা থাকায় গাড়ি চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।” ইতিমধ্যেই মণিপুর সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

    [tw]



    [/tw]

     
    উত্তর-পূর্ব রেলের সিপিআরও জানিয়েছেন, অবিরাম বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হয়। জিরিবাম – ইম্ফল নতুন লাইনের কাজের সময় টুপুল স্টেশন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে বলা হয়েছে, টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানদের দেহ সসম্মানে তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। এখনও ১৫ জন জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ অনেক বাসিন্দাও। শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। মৃত জওয়ানদের মধ্যে ৯ জন দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। মমতা টুইটে লিখেছেন, “মণিপুরে ধসে মৃতদের মধ্যে ৯ জওয়ান দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। শোকস্তব্ধ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।” শনিবার সকালে পাওয়া খবর অনুসারে, রাজ্যে ফিরছে মণিপুরের ধসে মৃত টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০ জওয়ানের দেহ। এদের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্শিয়ঙের ৯ এবং এক জওয়ান জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা। দুটি বিমানে রাজ্যে পৌঁছবে ১০ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। বাগডোগরায় নামার পর নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙডুবি সেনা হাসপাতালে। সেখানে গান স্যালুট দেওয়ার পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।

  • Mohammed Zubair Alt News: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের

    Mohammed Zubair Alt News: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে মহম্মদ জুবের (Mohammed Zubair)। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট (Fact Checking Website) অল্ট নিউজের (Alt News) সহ প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিককে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ ও ২৯৫ এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে জুবেরের বিরুদ্ধে। এদিন দিল্লি আদালতে তোলা হলে তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। 

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা এক ট্যুইট বার্তায় জানান, দিল্লি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল জুবেরকে ডেকে পাঠায় ২০২০ সালের একটি মামলায়। ওই মামলায় আগাম জামিন নেওয়া রয়েছে তাঁর। এদিন সন্ধ্যায় জানতে পারি জুবেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জুবেরের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলায় অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জুবেরকে একদিনের পুলিশি হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁর হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেন তাঁর পরামর্শদাতারা। তবে জামিন মেলেনি। 

    আরও পড়ুন : কে এই তিস্তা শেতলবাদ? জানুন

    পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে করা একটি ট্যুইটের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে জুবেরকে। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত একটি ক্লাসিক ছবির ক্লিপ শেয়ার করে একটি মন্তব্য করেছিলেন জুবের। অভিযোগ, ওই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা জুবেরের বিরুদ্ধে ট্যুইট বার্তায় হিংসার অভিযোগ উঠেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। জুবের তদন্তে সাহায্য করেননি বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, জুবেরের বিভিন্ন বক্তব্য এবং পোস্টে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে। ওই সব পোস্টের জন্য দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এদিকে, জুবেরের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রাক্তন আমলা, লেখক, চিন্তাবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা।

     

  • Nambi Narayanan: “আমাকে ফাঁসিয়েছিল, এখন…”, শ্রীকুমার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইসরো বিজ্ঞানীর

    Nambi Narayanan: “আমাকে ফাঁসিয়েছিল, এখন…”, শ্রীকুমার নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইসরো বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আরবি শ্রীকুমারের (Former IPS officer RB Sreekumar) গ্রেফতারিতে (Arrest) খুশি ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন (Nambi Narayanan)। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে আমেদাবাদ পুলিশ শনিবার প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আরবি শ্রীকুমার এবং সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে গ্রেফতার করে। মামলা দায়ের হয় আরেক প্রাক্তন আইপিএস  সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধেও। তবে তিনি বর্তমানে জেলেই রয়েছেন। পুলিশি হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় সঞ্জীব ভাটকে যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

    শুক্রবার গুজরাট হিংসার (Gujarat Violence 2002) ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ প্রধানমন্ত্রীকে আগেই এই মামলায় ক্লিনচিট দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team)৷ এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই গুজরাট হিংসার ঘটনায় তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতের রায়েও ক্লিনচিট মোদি  

    এরপরেই আমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এই তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৬৮, ৪৭১ , ১৯৪ ,২১১ নং ধারার অধীনে তিনটি মামলা করে। একই সঙ্গে  ২১৮ এবং ১২০ বি ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে অভিযুক্তরা গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। এই এফআইআরের ভিত্তিতেই গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমার এবং তিস্তা শেতলবাদকে আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তিস্তাদের বিরুদ্ধে সিট! ছয় সদস্যের বিশেষ দল গঠন গুজরাট সরকারের   

    আরবি শ্রীকুমারের গ্রেফতারিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নাম্বি নারায়ণন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছিল এই পুলিশ অফিসার। আমাকে ফাঁসিয়েছিল। আমাদের আইন ব্যবস্থা এমন, যে যেকোনও ভিত্তিহীন কথা বলে পার পাওয়া যায়। কিন্তু সবকিছুর একটা শেষ আছে। এই অফিসার সব মাত্রা লঙ্ঘন করে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত তাঁকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, এতে আমি খুশি।”   

    [tw]


    [/tw]

    চরবৃত্তির অভিযোগে ১৯৯৪ সালে বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, নাম্বি নারায়ণন ও ইসরোর অন্য এক বিজ্ঞানী ক্রায়োজেনিক রকেট টেকনোলজির নথি শত্রু দেশের হাতে তুলে দিয়েছেন। সে সময় নাম্বি দাবি করেছিলেন, রকেটের তরল জ্বালানীর প্রযুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চরকাণ্ড আসলে ছিল একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। কিন্তু কেরল পুলিশ তাঁর কথা শোনেনি। দুমাস জেলেও থাকতে হয় তাঁকে। পরে মামলা সিবিআইয়ের হাতে গেলে ছাড়া পান নাম্বি নারায়ণন।

    এরপরই শুরু হয় তাঁর আইনি লড়াই। টানা ২৪ বছর পর ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নাম্বির বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো  নিম্ন আদালতে যান নাম্বি। মামলা চলার পাশপাশি কেরল সরকার নাম্বির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চায়। শেষপর্যন্ত সরকার কেরল পুলিশের ওই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে ১.৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। কেরল পুলিশের যে দল নাম্বির গ্রেফতারির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তার মাথা ছিল এই আর বি শ্রীকুমার।
      

  • Ajit Doval on Agnipath: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval on Agnipath: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath Scheme) নিয়ে এবার জোরদার সওয়াল করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে, বহু বছর ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এই প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে। অগ্নিবীরদের (Agniveer) নিয়ে পুরো সেনাবাহিনী (Indian Army) তৈরি হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    ডোভাল জানান, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা বাড়ানো। কোন পথে দেশকে মজবুত করা যায়, তার জন্য অনেক পথই ভাবতে থাকেন তিনি। সেই ভাবনারই ফল এই প্রকল্প। ডোভাল বলেন, ভবিষ্যতে সব দেশেরই প্রতিরক্ষা হবে প্রযুক্তি নির্ভর। তাই যুবশক্তির প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রশিক্ষিত আর্মড ফোর্স (Armed Forces)। 

    আরও পড়ুন: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    যারা অগ্নিবীর হতে চায় সেই যুবকদের উদ্দেশ্যে অজিত দোভালের বার্তা, সর্বদা পজিটিভ থেকো। দেশের প্রতি বিশ্বাস রাখো, বিশ্বাস রাখো নেতৃত্বের প্রতি। সর্বোপরি নিজের ওপর। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। তাঁর সাফ কথা, গণতন্ত্রে কোনও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হতেই পারে, কিন্তু ভাঙচুর বা হিংসাকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যে তাণ্ডব চলেছে, তার পিছনে একশ্রেণির স্বার্থ জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসবের মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ডোভালের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই দেশে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। তিনি সাহস দেখাতে পেরেছেন, সাহস দেখিয়েছেন বদল আনার। তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা করা যায়, তা যতই ঝুঁকির হোক না কেন। আর এই সাহসে ভর করেই আগামীর ভারত তৈরি হবে বলে আশাবাদী তিনি। 

    আরও পড়ুন: “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তান (Pakistan) প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)। ডোভালের দাবি, কাশ্মীরের মানুষ আর পাকিস্তানের পক্ষে নেই। সন্ত্রাসও বরদাস্ত করে না তারা। তারা চায় শান্তি। ধর্মঘট চালিয়ে দিনের পর দিন রাজ্যকে অচল রাখার পক্ষপাতি নয় আজকের কাশ্মীর। ২০১৯ সালের পর থেকেই তাদের এই মনোভাবে বদল এসেছে বলে মনে করেন ডোভাল (Doval)। এই সাক্ষাৎকারের মধ্যে দিয়ে অজিত ডোভাল একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নিরাপত্তার স্বার্থে দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। দূরদৃষ্টি নিয়েই দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

  • Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) জের। বদলি করা হল এসপি (SP), আইজিসহ (IG) ৩২ আইপিএস (IPS) অফিসারকে।  দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজস্থানসহ গোটা দেশ। তারই মাঝে একটি খবর সামনে আসে, যে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি আসতে শুরু করে মৃত  দর্জির কাছে। সে বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও। অস্বস্তিতে পড়ে রাজস্থান সরকার। আর তাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন  

    বৃহস্পতিবার মৃত দর্জির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি পুলিশের সততা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমেই সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। পরে বাকি পুলিশ কর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।     

    ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল জানান, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না। দুদিন পরে দুজন তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক   

    তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেশি থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কানহাইয়া থানায় গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পরে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু তার পরেও কানহাইয়া লালকে হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। আর এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজস্থান সরকার। বদলির নির্দেশ নেমে আসে আইপিএসদের মাথায়।    

     

  • Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিচ্ছিন্নতাবাদ! স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তুললেন ডিএমকের (DMK) নেতা এ রাজা (A Raja)। তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়া না হলে তাঁরা স্বাধীন রাষ্ট্রের (Independent State) দাবিতে পথে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রবিবার পশ্চিম তামিলনাড়ুর নমক্কলে (Namakkal, TN) দলের গ্রামীণ জনপ্রতিনিধিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এ রাজা। হাজির ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)। তাঁর উপস্থিতিতেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের স্বায়ত্বশাসন দাবি করেন এ রাজা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, “দ্রাবিড় আন্দোলনের আইকন পেরিয়ার আমৃত্যু পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করে এসেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী (এম কে স্ট্যালিন) আন্নাদুরাইয়ের (ডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা) পথে চলেন। আমাদের পেরিয়ারের পথে হাঁটতে বাধ্য করবেন না। আলাদা রাজ্যের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের স্বায়ত্বশাসন দিয়ে দিন।” 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতা এ রাজা আরও বলেন, “আমরা অহংকার করে বলছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করছি। আমরা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি থেকে সরে এসেছি। কিন্তু আমরা স্বায়ত্বশাসন চাইছি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি।” 

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    স্বাভাবিকভাবেই ডিএমকে নেতার এই হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি।  এ রাজাকে পালটা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। তামিলনাড়ুতে গেরুয়া শিবিরের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। রবির কথায়, “পাঁচ দশক ধরে তামিলনাড়ুতে রাজনীতি করার পরও ওরা এই কথা বলছেন। তাতে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে এ রাজ্যে বিজেপির উত্থান ডিএমকেকে চাপে ফেলছে। তাদের আদর্শ ব্যর্থ হয়েছে। তাই ওরা ভয় পেয়ে এ ধরনের কথা বলছে।”

    তবে এ রাজার মন্তব্য় নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর তা মোকাবিলা করতে আসরে নামেন দলীয় সাংসদ টিকেএস এলংগোবন। তিনি বলেন, হতাশা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন রাজা। পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলার মতো কোনও নীতি কোনও দিনই ছিল না ডিএমকের। তবে রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি থেকেই রাজার এমন মন্তব্য বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি। 

  • New Labour Code: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    New Labour Code: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি (New Labour Code)। কিছুদিন আগেই খবর ছিল নতুন চারটে শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্র। জুলাই থেকেই লাগু হওয়ার কথা ছিল সেগুলির। কিন্তু আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে। 

    এক সরকারি আধিকারিক এ বিষয়ে বলেন, “১ জুলাই লাগু করা হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি। এখনও পুরো বিষয়টি আলোচনারস্তরে রয়েছে। পর্যালোচনার শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রটনায় কান দেবেন না।” আরেক আধিকারিক বলেন, “শ্রমমন্ত্রক রাজ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। কথা অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু ১ জুলাই নতুন আইন লাগু হচ্ছে না।” শ্রমমন্ত্রকের ( Ministry of Labour & Employment) এক আধিকারিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি নেতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে 

    কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই নতুন চারটি শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ২৩ টি রাজ্য এই আইনগুলির খসড়া গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চায় সমস্ত রাজ্য একসঙ্গে এই চারটি পরিবর্তন কার্যকর করুক।

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।  

    শোনা গিয়েছিল, খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে কেন্দ্র। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।    

    এইসব নতুন আইন ১ জুলাই থেকে লাগু হবে এমনটা শোনা গেলেও, তা এখনই হচ্ছে না। নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র।

     

  • EPFO: অভিন্ন পেনশন প্রকল্প, অস্থায়ী কর্মীদের পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর ভাবনা ইপিএফও-র

    EPFO: অভিন্ন পেনশন প্রকল্প, অস্থায়ী কর্মীদের পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর ভাবনা ইপিএফও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প (Provident Fund) আনার পরিকল্পনা নিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। আগামী ৮ জুলাই এই নিয়ে একটি বৈঠকে বসবে ইপিএফও-র কেন্দ্রীয় বোর্ড। যারা এখনও অবসর নেননি বা অবসরকালীন কোনও ভাতার আওতায় পড়েন না, মূলত তাঁদের অবসরকালের জীবনকে আরও একটু নিশ্চিন্ত করতেই এই ভাবনা।

    এছাড়া অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে একটি অভিন্ন পেনশন (Universal Pension) প্রকল্পেরও সুপারিশ করেছে পেনশন রিফর্ম কমিটি। বিষয়টি নিয়ে আগের বৈঠকে পর্যালোচনা করেছে কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। প্রস্তাবটি ইপিএফও- র কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৮ তারিখের বৈঠকে দুটি বিষয়ই পরিস্কার হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের অবসর জীবনকে সচ্ছল করতে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অভিন্ন পেনশনের মতো দুটি নতুন প্রকল্প চালু করতে পারে কেন্দ্র সরকার।”

    আরও পড়ুন: অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করলে নিশ্চিত করুন অবসরকালীন পেনশন

    শ্রমবিধিতেও এইরকম প্রকল্পের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছর কোনও কাজ এগোয়নি। ফের বিষয়টিতে নজর দিয়েছে কেন্দ্র।

    শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ ইপিএফও দুদিনের বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, এখন তার তালিকা প্রস্তুত করছে। 

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে

    দেশজুড়ে এই মুহূর্তে ৭,১৭,০০০ অস্থায়ী কর্মী বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। এদের ৫৮ শতাংশই বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী কর্মী এবং স্বনিযুক্তদের আনা হবে। 

    সূত্রমতে, কেউ যদি কমপক্ষে ১৫ বছর কাজ করেন এবং তাঁর মোট সঞ্চিত অর্থ যদি ৫.৪ লক্ষ বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় তিনি কমপক্ষে ৩০০০ টাকা করে পাবেন।

    এই মুহূর্তে এইপিএস বলে যে প্রকল্পটি আছে, তাতে কর্মীর কাছ থেকে তাঁর মোট বেতনের ১২ শতাংশ কাটা হয় ইপিএফ হিসেবে এবং ১২ শতাংশ দেয় নিয়োগ কর্তা। নিয়োগ কর্তার ১২ শতাংশ থেকে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় ইপিএসে। 

     

  • 2002 Gujarat riots case:  মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    2002 Gujarat riots case: মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে সমন জারি করে জেরা করেছে ইডি। এর প্রতিবাদে ইডির দফতরের বাইরে তুমুল প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এই নিয়েই রাহুলকে বিঁধছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সিটের সামনে হাজিরা দিতে মোদিজি কোনও নাটক করেননি। গণতন্ত্রে সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে তার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদিজিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি, সারা দেশের কর্মীরা মোদিজির সাথে সংহতি প্রকাশ করেনি। আমরা আইনের সাথে সহযোগিতা করেছি। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনি। ’

    গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিলেন জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার তাঁর সেই মামলা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপরই বিরোধীদের একহাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “মোদিজি নাটক করেননি।” শাহ জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদে বসতে মোদি কখনও না বলেননি। সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাঁকে জেরা করা হয়েছিল কিন্তু কেউ ধর্না দেয়নি। কোনও  দলীয় কর্মী তাঁর পাশে দাঁড়াতে আসেনি। তিনি কাউকে সে কথা বলেনওনি। 

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র জেরে ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালায় কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সামনে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তাঁরা কিন্তু কোনও প্রতিবাদ ছাড়াই তদন্তে সাহায্য করেছিলেন। কোনও নাটক হয়নি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলেরও। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রাহুল গান্ধী। টানা কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা নিয়ে প্রথম দিনে থেকেই রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রায় সব রাজ্যেই একই ছবি। বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে রাস্তায় নামেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বারবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে বিক্ষোভ আন্দোলনে ডাক দেয় হাতশিবির। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, চণ্ডীগড়, আগরতলায়  রাস্তায় নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হয় প্রায় সব জায়গাতেই। হায়দরাবাদে আন্দোলন ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ তেতে ওঠে কংগ্রেসের বিক্ষোভে। কর্ণাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের জয়পুরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে দিল্লির রাজপথে বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তদন্তে সাহায্য করলেই হল। নির্দোষ হলে তো যে কেউ ছাড়া পাবেন, তাহলে এত নাটক কেন? কিসের ভয়?

    প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের জমানাতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ১২ বছর আগে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। বিজেপি তো তখন এত বিরোধিতা করেনি! 

    আরও পড়ুন: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ৯ ঘণ্টা জেরা ও ১০০ টি পর পর প্রশ্ন। প্রসঙ্গ ছিল গুজরাতের বুকে ২০০২ সালের বিধ্বংসী হিংসার ঘটনা। যে ঘটনা নিয়ে খোদ সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি পড়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখে। একের পর এক প্রশ্ন। অথচ ধৈর্য্য হারাননি। এড়াননি একটা প্রশ্নও। ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় এক কাপ চা-ও পর্যন্ত নেননি নরেন্দ্র মোদি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এমন সব তথ্য উঠে এসেছিল তদন্তকারী দলের প্রধান আরকে রাঘবনের লেখা বইয়েও।   গান্ধীনগরে সিটের অফিসে জেরার জন্য হাজিরা দিতেও সম্মত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে নিয়ে ‘আ রোড ওয়েল ট্রাভেলড’ বইয়ে রাঘবন লিখেছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীদের আমরা বলেছিলাম, সিটের অফিসে তাঁকে আসতে হবে। অন্য কোথাও হলে তা তদন্তে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। সিটের অফিসে আসতে সম্মত হন।” সিটের অফিসে ৯ ঘণ্টার জেরায় ১০০টির কাছাকাছি প্রশ্ন করা হয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কোনও প্রশ্নই এড়িয়ে যাননি তিনি। এমনকি উত্তর সাজানোর চেষ্টা করেছেন বলেও মনে হয়নি।’ ২০১০ সালে মোদিকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিট। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেয় সিট। ক্লিনচিট পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রিপোর্টে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও প্রমাণই মেলেনি।  

    সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায়  রাজ্যছাড়া ছিলেন অমিত শাহ। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে শাহ বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু কোনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে জমায়েত করতে যায়নি বিজেপি। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান অমিত। তাহলে সেসময় কি কংগ্রেস তদন্ত সাজিয়েছিল? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

  • Pilot Monica Khanna: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    Pilot Monica Khanna: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাধিক যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে বাস্তবের ‘হিরো’ হয়ে উঠলেন স্পাইসজেটের (SpiceJet) মহিলা ক্যাপ্টেন মণিকা খান্না (Monica Khanna)। রবিবার স্পাইসজেটের একটি বিমানে আচমকাই আগুন লেগে যায়। এই বিমানে ১৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। সেইসময় মণিকা মাথা ঠান্ডা রেখে তৎক্ষণাৎ বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করান। এই পরিস্থিতিতেও অসীম ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দেন তিনি। অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    রবিবার স্পাইসজেটের বিমানটি পাটনা থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। টেক-অফের পরেই বিমানের বাঁদিকের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। খবরসূত্রে জানা যায়, একটি পাখি সরাসরি বিমানের ইঞ্জিনে ধাক্কা মারার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাখার তিনটি ব্লেড। সেখান থেকেই বেরতে থাকে ধোঁয়া ও আগুন।

    বিষয়টি দেখতে পেয়েই কেবিন ক্রুর-র এক সদস্য পাইলট (Pilot) মণিকা খান্নাকে জানান। তখন তিনি যাত্রীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এর পাশাপাশি প্রথম অফিসার বলপ্রীত সিং ভাটিয়ার (Balpreet Singh Bhatia) সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি বন্ধ করে তৎক্ষণাৎ বিমান নীচে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। 

    এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি। বুদ্ধি প্রয়োগ করে পাটনা অসামরিক বিমানবন্দরে না ফিরে বিমানটিকে নিকটবর্তী পাটনার বিহতা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে (Bihta Airforce Station) অবতরণ করান মণিকা। তুলনামূলক ছোট রানওয়ে ও গাছ এড়িয়ে অত্যন্ত সন্তর্পণে অবতরণ করাতে হয় বিমানটিকে। অত্যন্ত সাহসিকতা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ নিশ্চিত করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ফের বিপত্তি স্পাইসজেটের বিমানে, যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে চেন্নাই-অন্ডাল উড়ান

    এই অসাধ্য সাধন করে কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছেন স্পাইসজেট বিমানের ক্যাপ্টেন মনিকা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর তৎপরতা দেখে প্রশংসা করেছেন পুরো নেটদুনিয়া। স্পাইসজেট সংস্থার চিফ অব ফ্লাইট অপারেশন গুরুচরণ অরোরা জানান, দু’জনেই এই পরিস্থিতিতে  শান্ত থেকে খুব ভালোভাবে বিমানটিকে নিরাপদে নামিয়ে এনেছেন। এর জন্য তাঁরা খুব গর্বিত। ইতিমধ্যেই আগুন লাগার ভিডিও নেটমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

LinkedIn
Share